বাংলা একাডেমীর 'আঞ্চলিক অভিধান' সম্পাদনা কে করেন?
A
মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
B
মুহম্মদ এনামুল হক
C
মুহম্মদ মনসুর উদ্দিন
D
মুহম্মদ আবদুল হাই
উত্তরের বিবরণ
বাংলা একাডেমী 'বাংলাদেশের আঞ্চলিক ভাষার অভিধান':
- আঞ্চলিক ভাষার অভিধান বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের উপভাষার একটি সংকলন গ্রন্থ।
- ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহর সম্পাদনায় ১৯৬৫ সালে এটি প্রথম প্রকাশিত হয়।
- বাংলাদেশের আঞ্চলিক ভাষাসমূহের সংকলন-জাতীয় গ্রন্থ এটিই প্রথম।
---------------------------
• ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্:
- ১৮৮৫ সালের ১০ জুলাই পশ্চিমবঙ্গের চবিবশ পরগনা জেলার পেয়ারা গ্রামে তাঁর জন্ম।
- তিনি একাধারে শিক্ষাবিদ, সাহিত্যিক ও ভাষাতত্ত্ববিদ ছিলেন।
- তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তুলনামূলক ভাষাতত্ত্বে এম.এ (১৯১২) পাস করেন। দুবছর পর তিনি বি.এল (১৯১৪) ডিগ্রিও অর্জন করেন।
- ১৯২৬ সালে শহীদুল্লাহ্ উচ্চশিক্ষা গ্রহণের জন্য ইউরোপ যান।
- মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ ছিলেন বহুভাষাবিদ এবং ভাষাবিজ্ঞানের ক্ষেত্রে তিনি স্বচ্ছন্দে বিচরণ করেছেন।
- তিনি ১৮টি ভাষা জানতেন; ফলে বিভিন্ন ভাষায় সংরক্ষিত জ্ঞানভান্ডারে তিনি সহজেই প্রবেশ করতে পেরেছিলেন।
তার উল্লেখযোগ্য রচনা কর্ম হলো:
- বাংলা সাহিত্যের কথা,
- ভাষা ও সাহিত্য,
- বাংলা ভাষার ইতিবৃত্ত।
উৎস: বাংলাপিডিয়া ও বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর।

0
Updated: 1 month ago
'একুশে ফেব্রুয়ারি' প্রথম সংকলনের সম্পাদক কে?
Created: 2 months ago
A
শওকত ওসমান
B
জহির রায়হান
C
আব্দুল গণি হাজারী
D
হাসান হাফিজুর রহমান
বাংলা ভাষার মর্যাদা রক্ষায় ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি ঢাকায় ঘটে যাওয়া রক্তঝরা আন্দোলনের স্মৃতিকে ধারণ করে ১৯৫৩ সালের মার্চ মাসে প্রকাশিত হয় এক অনন্য সাহিত্য সংকলন—‘একুশে ফেব্রুয়ারী’।
এই সংকলনের সম্পাদনায় ছিলেন কবি ও সাহিত্যিক হাসান হাফিজুর রহমান এবং প্রকাশনায় ছিলেন মোহাম্মদ সুলতান। উভয়েই তৎকালীন বামপন্থি রাজনৈতিক চিন্তাধারার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
এই সংকলনটি বাংলা সাহিত্যে এক ঐতিহাসিক ভূমিকা রাখে, যেখানে ২২ জন লেখক ছয়টি বিভাগে লিখেছেন—কবিতা, প্রবন্ধ, গল্প, গান, নক্শা ও ইতিহাস। এ গ্রন্থেই প্রথমবার প্রকাশিত হয় ভাষা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের অমর গান “আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো”,
যার রচয়িতা ছিলেন আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরী। তবে স্বাধীন মতপ্রকাশ সহ্য করতে না পেরে পাকিস্তানি সরকার সংকলনটি প্রকাশের মাত্র তিন সপ্তাহের মধ্যেই বাজেয়াপ্ত করে।
হাসান হাফিজুর রহমান: কবি, প্রাবন্ধিক ও সম্পাদক
জন্ম: ১৯৩২, জামালপুর
বিশেষ পরিচিতি: কবি, প্রাবন্ধিক, সম্পাদক
হাসান হাফিজুর রহমান বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে এক উজ্জ্বল ব্যক্তিত্ব। ভাষা আন্দোলনভিত্তিক প্রথম সংকলন ‘একুশে ফেব্রুয়ারী’ তাঁর সম্পাদনায় প্রকাশিত হয়। পরবর্তীতে তিনি ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ: দলিলপত্র’ নামক গুরুত্বপূর্ণ দলিল সংকলনেরও সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
তাঁর সাহিত্যকর্ম:
প্রবন্ধসমূহ:
-
আধুনিক কবি ও কবিতা
-
মূল্যবোধের জন্য
-
সাহিত্য প্রসঙ্গ
-
আলোকিত গহ্বর
কাব্যগ্রন্থ:
-
বিমুখ প্রান্তর
-
প্রতিবিম্ব
-
আর্ত শব্দাবলী
-
অন্তিম শহরের মতো
-
যখন উদ্যত সঙ্গীন
-
ভবিতব্যের বাণিজ্য তরী
-
শোকার্ত তরবারী
গল্প:
-
আরো দুটি মৃত্যু
এই সংকলন ও এর সম্পাদক বাংলা জাতিসত্তার আত্মপ্রকাশ, সাহিত্য ও ইতিহাসে এক অবিচ্ছেদ্য অধ্যায়। ভাষার জন্য প্রাণ দেওয়া শহিদদের স্মরণে সাহিত্যের এ মহাকাব্যিক প্রকাশ বাংলা সংস্কৃতিতে চিরস্মরণীয় হয়ে আছে।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা (ড. সৌমিত্র শেখর), বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 2 months ago
'ইয়ং বেঙ্গল' গোষ্ঠীর মুখপত্ররূপে কোন পত্রিকা প্রকাশিত হয়?
Created: 3 weeks ago
A
বঙ্গদূত
B
জ্ঞানান্বেষণ
C
জ্ঞানাঙ্কুর
D
সংবাদ প্রভাকর
ইয়ং বেঙ্গল গোষ্ঠী ও এর মুখপাত্র
ইয়ং বেঙ্গল মূলত ইংরেজি শিক্ষা গ্রহণ করা বাঙালি যুবকদের একটি গোষ্ঠী, যারা নবচেতনার ভাবধারাকে উৎসাহিত করত। এই আন্দোলনের প্রধান প্রবক্তা ছিলেন হেনরি লুই ডিরোজিও।
গোষ্ঠীর মতাদর্শ ও চিন্তাভাবনা প্রকাশিত হতো বিভিন্ন পত্রিকায়, যেমন “জ্ঞানান্বেষণ” এবং “এনকোয়ারার”।
ইয়ং বেঙ্গলের সদস্যদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন:
-
কৃষ্ণমোহন বন্দ্যোপাধ্যায়
-
রাধানাথ শিকদার
-
প্যারীচাঁদ মিত্র
-
তারাচাঁদ চক্রবর্তী
১৮৩৩ সালে মাইকেল মধুসূধন দত্ত হিন্দু কলেজে ভর্তি হন। এই কলেজেই ডিরোজিওর নেতৃত্বে ইয়ং বেঙ্গল গোষ্ঠী গঠিত হয়। মধুসূধন দত্ত নিজেও এই গোষ্ঠীর প্রভাব দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে, তার অধ্যাপক ডিরোজিওর স্বদেশপ্রেম এবং চিন্তাভাবনায় প্রভাবিত হয়ে গোষ্ঠীতে যোগ দেন।
উৎস: লাল নীল দীপাবলি, হুমায়ূন আজাদ,বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 3 weeks ago
সাপ্তাহিক 'সুধাকর'-এর সম্পাদক কে?
Created: 1 month ago
A
মুন্সি মোহাম্মদ রিয়াজউদ্দিন আহমদ
B
মুন্সি মোহাম্মদ মেহের উল্লা
C
শেখ আব্দুর রহিম
D
ইসমাইল হোসেন সিরাজী
‘সুধাকর’ পত্রিকা
- সুধাকর কলকাতা থেকে ১৮৮৯ সালের ৮ নভেম্বর (১২৯৬ বঙ্গাব্দের ২৩ কার্তিক) প্রকাশিত একটি সাপ্তাহিক পত্রিকা।
- রেয়াজুদ্দীন আহমদ, মোহাম্মদ রেয়াজউদ্দীন আহমদ ও শেখ আবদুর রহিমের প্রচেষ্টায় এটি প্রকাশিত হয় এবং এর প্রথম সম্পাদক ছিলেন শেখ আবদুর রহিম (মতান্তরে মোহাম্মদ রেয়াজউদ্দীন আহমদ)।
- পত্রিকা প্রকাশের লক্ষ ও উদ্দেশ্য ছিল মুসলমানদের অতীত গৌরব ও ইসলামের মাহাত্ম্য প্রচার করা। এক পর্যায়ে এটি মিহির ও সুধাকর নামে প্রকাশিত হয়।
- খ্রিস্টান মিশনারিদের পরিচালিত খ্রিস্টীয় বান্ধব পত্রিকার সঙ্গে সুধাকরের ধর্মবিষয়ে বহু বিতর্ক হয়; এমনকি গো-হত্যার ব্যাপারে টাঙ্গাইলের মৌলবি নইমুদ্দীনের পক্ষে এবং মীর মশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে এটি প্রচারাভিযান চালায়। ধর্ম, সমাজ, ইতিহাস, ঐতিহ্য ইত্যাদি ছাড়াও সাহিত্যবিষয়ক মৌলিক রচনাও এতে প্রকাশিত হতো।
- ১৯১০ সাল পর্যন্ত এর প্রকাশনা অব্যাহত ছিল।
উৎস: বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 1 month ago