'বীরবলের হালখাতা' গ্রন্থটি কোন ধরনের রচনা?
A
কাব্য
B
নাটক
C
উপন্যাস
D
প্রবন্ধ
উত্তরের বিবরণ
‘বীরবলের হালখাতা’:
- ‘বীরবলের হালখাতা’ তাঁর রচিত প্রথম চলিত রীতির গদ্য/প্রবন্ধ রচনা।
- প্রমথ চৌধুরী রচিত 'বীরবলের হালখাতা' ১৯০২ সালে ভারতী পত্রিকায় প্রথম প্রকাশিত হয়।
- এ গদ্য/প্রবন্ধ রচনায় তিনি প্রথম চলিত রীতির প্রয়োগ ঘটান।
---------------------------
প্রমথ চৌধুরী:
- বাংলা ভাষার সাধু ও চলিত রূপের মধ্যে তুলনামূলক গবেষণা করেন প্রমথ চৌধুরী।
- বাংলা গদ্যে চলিত রীতির প্রবর্তক ও বিদ্রূপাত্মক প্রাবন্ধিক হলেন প্রমথ চৌধুরী।
- প্রমথ চৌধুরীর সাহিত্যিক ছদ্মনাম 'বীরবল’।
- বাংলা কাব্য সাহিত্যে তিনিই প্রথম ইতালীয় সনেটের প্রবর্তন করেন।
- তিনি মাসিক ‘সবুজপত্র’ (১৯১৪) পত্রিকা সম্পাদনা করতেন।
• প্রমথ চৌধুরী রচিত প্রবন্ধগ্রন্থ:
- নানা কথা,
- আমাদের শিক্ষা,
- রায়তের কথা,
- প্রবন্ধ সংগ্রহ,
- তেল-নুন-লকড়ি ইত্যাদি।
• তাঁর রচিত গল্পগ্রন্থ:
- চার ইয়ারী কথা,
- নীললোহিত ও
- আহুতি ইত্যাদি।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর এবং বাংলাপিডিয়া।
0
Updated: 3 months ago
বহুনির্বাচনী প্রশ্নঃ 'আমার পথ' প্রবন্ধে ফুটে উঠেছে-
Created: 1 week ago
A
সৌন্দর্যের রূপ
B
প্রকৃতির সৌন্দর্য
C
সত্যের স্বরূপ
D
মানবপ্রেমের বার্তা
কাজী নজরুল ইসলামের ‘আমার পথ’ প্রবন্ধে কবি ব্যক্ত করেছেন মানুষের আত্মবিশ্বাস, নৈতিক দৃঢ়তা ও সত্যের প্রতি অনড় বিশ্বাসের কথা। এখানে তিনি বলেন, মানুষের জীবনের প্রকৃত পথনির্দেশক কোনো বাইরের শক্তি নয়—নিজের অন্তর্গত সত্যই তার পথপ্রদর্শক। প্রবন্ধটি মূলত সত্য ও মিথ্যার দ্বন্দ্বে মানুষের সঠিক অবস্থান নির্ধারণের আহ্বান জানায়। প্রবন্ধের মূল ভাব প্রকাশিত হয়েছে নিচের দিকগুলোয়—
-
নিজস্ব সত্যের প্রতি বিশ্বাস: লেখক মনে করেন, মানুষ যদি নিজের অন্তরের সত্যকে চেনে, তাহলে বাহ্যিক কোনো ভয়, প্রলোভন বা প্রভাব তাকে বিপথে নিতে পারে না।
-
ভয় ও মিথ্যার সম্পর্ক: যে মানুষের মনে মিথ্যা থাকে, তার মধ্যেই ভয় জন্মে। কিন্তু যে সত্যে স্থিত, সে নির্ভয়ে নিজের পথে এগিয়ে যায়।
-
আত্মনির্ভরতার বার্তা: “আমার কর্ণধার আমি”—এই কথার মাধ্যমে নজরুল বোঝাতে চেয়েছেন, জীবনের দিকনির্দেশনা অন্যের হাতে নয়; নিজের বিবেকই হলো প্রকৃত পথপ্রদর্শক।
-
নৈতিক সাহসের আহ্বান: প্রবন্ধে রাজভয় বা লোকভয়—কোনো কিছুকেই সত্যের পথ থেকে বিচ্যুত করার কারণ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি। সত্যনিষ্ঠ মানুষ সমাজের মিথ্যা প্রথা বা অন্যায়ের বিরুদ্ধে নির্ভয়ে দাঁড়াতে পারে।
-
সত্যকে সালাম জানানো: প্রবন্ধের শুরুতেই লেখক তাঁর “সত্যকে সালাম” জানান—যা প্রতীকীভাবে নৈতিক জাগরণের প্রতিফলন।
-
মিথ্যার পরাজয়: লেখকের মতে, যে ব্যক্তি নিজের অন্তরের সত্যকে জানে, সে মিথ্যাকে ভয় পায় না; বরং মিথ্যাকে চিনেই তার ওপর বিজয় অর্জন করে।
-
মানবমুক্তির দর্শন: সত্যের পথে চলা মানুষই প্রকৃত মুক্ত মানুষ। কারণ সত্য মানুষকে আত্মবিশ্বাসী করে, তাকে দাসত্ব বা ভয় থেকে মুক্ত করে।
-
চিন্তাশক্তির জাগরণ: প্রবন্ধটি পাঠককে আত্মবিশ্লেষণের আহ্বান জানায়—নিজেকে চিনতে পারলেই মানুষ তার জীবনের প্রকৃত লক্ষ্য ও পথ খুঁজে পায়।
সবশেষে বলা যায়, ‘আমার পথ’ শুধু একটি প্রবন্ধ নয়; এটি সত্য, সাহস ও আত্মনির্ভরতার এক দার্শনিক ঘোষণা। এখানে নজরুল দেখিয়েছেন, মানুষের মুক্তি ও সঠিক পথের দিশা লুকিয়ে আছে নিজের অন্তরের সত্যে। তাই প্রবন্ধে সত্যের স্বরূপই প্রধানভাবে ফুটে উঠেছে।
0
Updated: 1 week ago
জীবনানন্দ দাশের রচনা — "কবিতার কথা" কোন ধরনের সাহিত্যকর্ম?
Created: 4 weeks ago
A
প্রবন্ধগ্রন্থ
B
কবিতা
C
কাব্যগ্রন্থ
D
কাব্যনাট্য
ChatGPT said:
0
Updated: 4 weeks ago
"শিক্ষার হেরফের" প্রবন্ধটি কোন গ্রন্থে সংকলিত আছে?
Created: 1 month ago
A
কালান্তর
B
শিক্ষা
C
ব্যক্তি ও বিশ্ব
D
সভ্যতার সংকট
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রবন্ধ ‘শিক্ষার হেরফের’
-
রচনাকাল: ১৮৯২ খ্রিস্টাব্দ।
-
প্রবন্ধগ্রন্থ: শিক্ষা গ্রন্থে অন্তর্ভুক্ত।
-
মূল বক্তব্য: রবীন্দ্রনাথ এই প্রবন্ধে বাংলা ভাষাকে শিক্ষার মাধ্যম করার প্রস্তাব দেন।
-
এখানে তিনি বিদেশি ভাষাভিত্তিক শিক্ষার সীমাবদ্ধতা তুলে ধরে মাতৃভাষাভিত্তিক শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা করেন।
"শিক্ষা" প্রবন্ধগ্রন্থের উল্লেখযোগ্য প্রবন্ধ
-
শিক্ষার হেরফের
-
ছাত্রদের প্রতি সম্ভাষণ
-
শিক্ষাসংস্কার
-
শিক্ষাসমস্যা
-
জাতীয় বিদ্যালয়
উৎস: বাংলাপিডিয়া; রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শিক্ষা প্রবন্ধগ্রন্থ।
0
Updated: 1 month ago