চর্যাপদ বাংলা সাহিত্যের প্রাচীনতম গ্রন্থ হিসেবে স্বীকৃত। এটি বাংলা সাহিত্যের আদি যুগের একমাত্র লিখিত নিদর্শন। চর্যাপদ প্রথম আবিষ্কৃত হয় ১৯০৭ সালে (১৩১৪ বঙ্গাব্দে) এবং ১৯১৬ খ্রিস্টাব্দে (১৩২৩ বঙ্গাব্দে) কলকাতার বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ থেকে আধুনিক লিপিতে প্রকাশিত হয়। প্রাচীন এই গ্রন্থটির সম্পাদনা করেন মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী।
-
সুকুমার সেনের ‘বাঙ্গালা সাহিত্যের ইতিহাস’ (প্রথম খণ্ড) গ্রন্থে চর্যাপদের ২৪ জন পদকর্তার নাম পাওয়া যায়।
-
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ সম্পাদিত ‘Buddhist Mystic Songs’ গ্রন্থে চর্যাপদের ২৩ জন কবির নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
-
চর্যাপদের প্রথম পদটির রচয়িতা ছিলেন লুইপা।
-
চর্যাপদ রচনা করেছিলেন বৌদ্ধ সহজিয়াগণ।
-
এর পদগুলোতে মূলত বৌদ্ধ ধর্ম, তত্ত্ব, দর্শন ও জীবনচিন্তা প্রকাশ পেয়েছে।
-
চর্যাপদের উল্লেখযোগ্য কবি: সরহপা, শবরপা, লুইপা, ডোম্বীপা, ভুসুকুপা, কাহ্নপা, কুক্কুরীপা, মীনপা, আর্যদেব, ঢেণ্ঢনপা প্রমুখ।
-
কাহ্নপা সর্বাধিক ১৩টি পদ রচনা করেছেন।
-
ভুসুকুপা দ্বিতীয় সর্বাধিক ৮টি পদ রচনা করেছেন।
-
চর্যাপদের পদগুলো সন্ধ্যাভাষা বা সান্ধ্যাভাষায় রচিত।
-
চর্যাপদের ২৩ নং পদটি খণ্ডিত আকারে পাওয়া গেছে।
-
চর্যাপদের ভাষা ছিল প্রাকৃতভিত্তিক, যেখানে বাংলা ভাষার আদি রূপের ধ্বনিগত বৈশিষ্ট্য ধরা পড়ে।
-
গ্রন্থটি প্রাচীন ভারতের বৌদ্ধ তান্ত্রিক সাহিত্যের গুরুত্বপূর্ণ নিদর্শন হিসেবে বিবেচিত হয়।
-
চর্যাপদে ধর্মীয় শিক্ষা ছাড়াও সাধারণ মানুষের জীবন, প্রেম, দুঃখ ও মানবিক আবেগের প্রতিফলন পাওয়া যায়।