চর্যাপদের কত নং পদটি খণ্ডিত আকারে পাওয়া গেছে?
A
২৪ নং
B
২৩ নং
C
১৮ নং
D
১৫ নং
উত্তরের বিবরণ
চর্যাপদ বাংলা সাহিত্যের প্রাচীনতম গ্রন্থ হিসেবে স্বীকৃত। এটি বাংলা সাহিত্যের আদি যুগের একমাত্র লিখিত নিদর্শন। চর্যাপদ প্রথম আবিষ্কৃত হয় ১৯০৭ সালে (১৩১৪ বঙ্গাব্দে) এবং ১৯১৬ খ্রিস্টাব্দে (১৩২৩ বঙ্গাব্দে) কলকাতার বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ থেকে আধুনিক লিপিতে প্রকাশিত হয়। প্রাচীন এই গ্রন্থটির সম্পাদনা করেন মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী।
-
সুকুমার সেনের ‘বাঙ্গালা সাহিত্যের ইতিহাস’ (প্রথম খণ্ড) গ্রন্থে চর্যাপদের ২৪ জন পদকর্তার নাম পাওয়া যায়।
-
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ সম্পাদিত ‘Buddhist Mystic Songs’ গ্রন্থে চর্যাপদের ২৩ জন কবির নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
-
চর্যাপদের প্রথম পদটির রচয়িতা ছিলেন লুইপা।
-
চর্যাপদ রচনা করেছিলেন বৌদ্ধ সহজিয়াগণ।
-
এর পদগুলোতে মূলত বৌদ্ধ ধর্ম, তত্ত্ব, দর্শন ও জীবনচিন্তা প্রকাশ পেয়েছে।
-
চর্যাপদের উল্লেখযোগ্য কবি: সরহপা, শবরপা, লুইপা, ডোম্বীপা, ভুসুকুপা, কাহ্নপা, কুক্কুরীপা, মীনপা, আর্যদেব, ঢেণ্ঢনপা প্রমুখ।
-
কাহ্নপা সর্বাধিক ১৩টি পদ রচনা করেছেন।
-
ভুসুকুপা দ্বিতীয় সর্বাধিক ৮টি পদ রচনা করেছেন।
-
চর্যাপদের পদগুলো সন্ধ্যাভাষা বা সান্ধ্যাভাষায় রচিত।
-
চর্যাপদের ২৩ নং পদটি খণ্ডিত আকারে পাওয়া গেছে।
-
চর্যাপদের ভাষা ছিল প্রাকৃতভিত্তিক, যেখানে বাংলা ভাষার আদি রূপের ধ্বনিগত বৈশিষ্ট্য ধরা পড়ে।
-
গ্রন্থটি প্রাচীন ভারতের বৌদ্ধ তান্ত্রিক সাহিত্যের গুরুত্বপূর্ণ নিদর্শন হিসেবে বিবেচিত হয়।
-
চর্যাপদে ধর্মীয় শিক্ষা ছাড়াও সাধারণ মানুষের জীবন, প্রেম, দুঃখ ও মানবিক আবেগের প্রতিফলন পাওয়া যায়।
0
Updated: 1 month ago
চর্যাপদ আবিষ্কৃত হয় কোথা থেকে?
Created: 3 months ago
A
বাঁকুড়ার এক গৃহস্থের গোয়াল ঘর থেকে
B
আরাকান রাজগ্রন্থাগার থেকে
C
নেপালের রাজগ্রন্থশালা থেকে
D
সুদূর চীন দেশ থেকে
চর্যাপদ
বাংলা সাহিত্যের আদি যুগের একমাত্র লিখিত নিদর্শন হিসেবে চর্যাপদ বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। ১৯০৭ সালে বিশিষ্ট পণ্ডিত মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী নেপালের রাজদরবারের গ্রন্থাগারে সংরক্ষিত একটি পুথির মাধ্যমে চর্যাপদের আবিষ্কার করেন।
পরবর্তীতে ১৯১৬ সালে 'বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ' এই পুথি আধুনিক বর্ণলিপিতে প্রথমবারের মতো প্রকাশ করে।
এই গ্রন্থটির সম্পাদনা করেন হরপ্রসাদ শাস্ত্রী নিজে। তিনি এটি "হাজার বছরের পুরান বাঙ্গালা ভাষায় বৌদ্ধ গান ও দোহা" নামে চিহ্নিত করেন। চর্যাপদের পদসমূহ মূলত রচনা করেছিলেন বৌদ্ধ সহজিয়া সাধকগণ। এতে বৌদ্ধ ধর্ম ও আধ্যাত্মিক সাধনার নানা দিক উঠে এসেছে।
চর্যাপদের রচয়িতাদের মধ্যে অনেকের নাম জানা যায়। ড. সুকুমার সেন রচিত ‘বাঙ্গালা সাহিত্যের ইতিহাস’ (প্রথম খণ্ড) গ্রন্থে ২৪ জন পদকারের নাম উল্লেখ আছে। অন্যদিকে ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ সম্পাদিত Buddhist Mystic Songs গ্রন্থে ২৩ জন কবির নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
চর্যাপদের প্রথম পদটি রচনা করেন লুইপা। সবচেয়ে বেশি পদ রচয়িতা হলেন কাহ্নাপা—তিনি মোট ১৩টি পদ রচনা করেন, যার মধ্যে ১২টি পাওয়া গেছে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংখ্যক পদ রচনা করেন ভুসুকুপা, যিনি ৮টি পদ রচনা করেছেন।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা – ড. সৌমিত্র শেখর, বাংলাপিডিয়া.
0
Updated: 3 months ago
১৮) আধুনিক ছন্দের বিচারে চর্যাপদ কোন ছন্দে রচিত?
Created: 2 months ago
A
অক্ষরবৃত্ত ছন্দ
B
স্বরবৃত্ত ছন্দ
C
পদ্যছন্দ
D
মাত্রাবৃত্ত ছন্দ
চর্যাপদের ছন্দ
মূল বৈশিষ্ট্য:
-
চর্যাপদ মাত্রাবৃত্ত ছন্দে রচিত।
-
তবে প্রাচীন কোন ছন্দে রচিত তা নিয়ে বিভিন্ন মতভেদ রয়েছে।
ছন্দের প্রভাব ও মিল:
-
সংস্কৃত পজঝটিকা ছন্দের প্রভাব:
-
প্রতিটি চরণ ষোল মাত্রার
-
চরণে চার পর্ব, প্রতিটি পর্বে চার মাত্রা
-
-
শৌরসেনী প্রাকৃত প্রভাবিত পাদাকুলক ছন্দের সঙ্গেও মিল
-
পাদাকুলক ছন্দের চরণও ষোল মাত্রার, প্রতিটি চরণে চার পর্ব, প্রতি পর্বে চার মাত্রা
-
মন্তব্য:
-
চর্যাপদ মাত্রাবৃত্ত রীতিতে গঠিত হলেও বর্তমান সুনির্দিষ্ট মাত্রাবৃত্ত গণনা পদ্ধতি এতে মানা হয়নি।
-
আধুনিক ছন্দের বিচারে মাত্রাবৃত্ত ছন্দের অধীনে বিবেচিত।
0
Updated: 2 months ago
হাজার বছরের পুরাণ বাঙ্গালা ভাষায় বৌদ্ধগান ও দোহা নামে বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষৎ কর্তৃক কী প্রকাশিত হয়?
Created: 3 weeks ago
A
চর্যাপদ
B
রামায়ণ
C
মহাভারত
D
শ্রীকৃষ্ণকীর্তন
চর্যাপদ বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের আদ্যপ্রামাণ্য নিদর্শন হিসেবে স্বীকৃত। এটি প্রাচীন বাংলার বৌদ্ধ সহজিয়াদের রচিত ধর্মীয় ও আধ্যাত্মিক কাব্যসংগ্রহ।
– আবিষ্কার: ১৯০৭ খ্রিস্টাব্দে মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী নেপাল রাজদরবারের গ্রন্থাগার থেকে চর্যাপদের পুথি আবিষ্কার করেন।
– তাঁর সম্পাদনায় চর্যাপদে অন্তর্ভুক্ত ৪৭টি পদসহ পুথিটি “হাজার বছরের পুরাণ বাঙ্গালা ভাষায় বৌদ্ধগান ও দোহা” নামে ১৯১৬ সালে বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষৎ থেকে প্রকাশিত হয়।
– চর্যাগুলো রচনা করেছিলেন বৌদ্ধ সহজিয়াগণ, যারা সহজ সাধনার মাধ্যমে ধর্মীয় সত্য উপলব্ধিতে বিশ্বাসী ছিলেন।
– বিষয়বস্তু: চর্যাপদে মূলত বৌদ্ধ ধর্ম, যোগসাধনা, নৈতিক শিক্ষা, ও আধ্যাত্মিক জীবনবোধ প্রকাশ পেয়েছে।
– চর্যাপদের ভাষা হলো সান্ধ্য বা সন্ধ্যাভাষা, যা সংস্কৃত, পালি, অপভ্রংশ ও প্রাচীন বাংলা ভাষার সংমিশ্রণে গঠিত।
– চর্যাপদের ২৩তম পদটি খণ্ডিত অবস্থায় পাওয়া গেছে।
– তিব্বতি অনুবাদ: কীর্তিচন্দ্র চর্যাপদকে তিব্বতি ভাষায় অনুবাদ করেন; পরবর্তীতে ১৯৩৮ সালে প্রবোধচন্দ্র বাগচী এই তিব্বতি অনুবাদটি আবিষ্কার করেন।
প্রধান কবিগণ:
– সরহপা
– শবরপা
– লুইপা
– ডোম্বীপা
– ভুসুকুপা
– কাহ্নপা
– কুক্কুরীপা
– মীনপা
– আর্যদেব
– ঢেণ্ঢনপা
বিশেষ তথ্য:
– কাহ্নপা সর্বাধিক ১৩টি পদ রচনা করেন
– ভুসুকুপা দ্বিতীয় সর্বাধিক ৮টি পদ রচনা করেন
0
Updated: 3 weeks ago