সুশাসনের স্তম্ভ হিসেবে ‘দায়িত্বশীলতা, স্বচ্ছতা, আইনি কাঠামো ও অংশগ্রহণ’—এই নীতি কোন আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান প্রবর্তন করেছিল?
A
জাতিসংঘ
B
এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক
C
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল
D
বিশ্বব্যাংক
উত্তরের বিবরণ
বিশ্বব্যাংক ও সুশাসন
বিশ্বব্যাংকের মতে, “Governance is the manner in which power is exercised in the management of a country’s economic and social resources for development.”
-
সুশাসন হলো এমন একটি প্রক্রিয়া যেখানে রাজনৈতিক কর্তৃত্ব ও প্রাতিষ্ঠানিক সম্পদ সমাজের সমস্যা ও চাহিদা পূরণে ব্যবহার করা হয়।
-
বিশ্বব্যাংক প্রথমবার সুশাসনের ধারণা প্রদান করে ১৯৮৯ সালে।
অন্যান্য তথ্য:
-
১৯৯২ সালে বিশ্বব্যাংক সর্বপ্রথম সুশাসনের সংজ্ঞা প্রদান করে।
-
২০০০ সালে বিশ্বব্যাংক সুশাসনের চারটি স্তম্ভ ঘোষণা করে।
-
চারটি স্তম্ভ হলো: দায়িত্বশীলতা, স্বচ্ছতা, আইনি কাঠামো, অংশগ্রহণ।
0
Updated: 1 month ago
রাষ্ট্র ও সমাজে দুর্নীতিপ্রবণতার জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী-
Created: 1 month ago
A
আইনের প্রয়ােগের অভাব
B
নৈতিকতা ও মূল্যবােধের অভাব
C
দুর্বল পরিবীক্ষণ ব্যবস্থা
D
অসৎ নেতৃত্ব
দুর্নীতির সংজ্ঞা নির্ধারণ করা সহজ কাজ নয়, কারণ এটি সমাজভেদে এবং একই সমাজের বিভিন্ন যুগে ভিন্নভাবে দেখা যায়। নীতি, আদর্শ ও মূল্যবোধের পার্থক্য অনুযায়ী কোনো কাজকে দুর্নীতি হিসেবে ধরা বা না ধরা যায়।
-
দুর্নীতি হলো নীতি, আদর্শ ও মূল্যবোধের পরিপন্থী কাজ, তাই কোন কাজকে দুর্নীতিমূলক বলার ক্ষেত্রে স্থান, কাল, পাত্র ও আদর্শ বিবেচনা করা জরুরি।
-
সাধারণভাবে বলতে গেলে, দুর্নীতি হলো আইন ও নীতির বিরুদ্ধে সংঘটিত কার্যকলাপ।
-
দুর্নীতির সঙ্গে পেশা, ক্ষমতা, সুযোগ-সুবিধা, পদবি, সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অবস্থান ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত থাকে।
সুতরাং, “নৈতিকতা ও মূল্যবোধের অভাব” রাষ্ট্র ও সমাজে দুর্নীতিপ্রবণতার জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী।
0
Updated: 1 month ago
মূল্যবোধ হলো-
Created: 2 months ago
A
মানুষের সঙ্গে মানুষের পারস্পরিক সম্পর্ক নির্ধারণ
B
মানুষের আচরণ পরিচালনাকারী নীতি ও মানদণ্ড
C
সমাজজীবনে মানুষের সুখী হওয়ার প্রয়োজনীয় উপাদান
D
মানুষের প্রাতিষ্ঠানিক কার্যাবলীর দিক নির্দেশনা
মূল্যবোধ ও মূল্যবোধ শিক্ষা
-
মূল্যবোধ হলো সেই নীতি ও মানদণ্ড যা মানুষের আচরণকে সঠিক পথে পরিচালিত করে।
-
অন্যভাবে বলা যায়, মূল্যবোধ হলো মানুষের কিছু নির্দিষ্ট মনোভাব ও বিশ্বাসের সংমিশ্রণ, যা সময়ের সাথে স্থায়ীভাবে গড়ে ওঠে।
-
মূল্যবোধ শিক্ষা হলো সেই প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে একজন মানুষ সমাজে প্রচলিত নিয়ম, প্রথা, রীতিনীতি ও আদর্শ সম্পর্কে শিক্ষিত হয় এবং তা তার আচরণে প্রতিফলিত হয়।
-
মূল্যবোধ শুধু ব্যক্তিগত নয়, এটি সমাজ ও রাষ্ট্রের ভিত্তিও।
-
এটি মানুষের আচরণের সামাজিক মাপকাঠি নির্ধারণ করে এবং দেশের সমাজ, অর্থনীতি ও রাজনৈতিক উন্নয়নের অন্যতম সূচক।
ফ্রাঙ্কেলের দৃষ্টিকোণ:
-
“মূল্যবোধ হলো আবেগিক ও আদর্শগত ঐক্যের ধারণ।”
উৎস: পৌরনীতি ও সুশাসন, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।
0
Updated: 2 months ago
‘শাসক যদি মহৎগুণসম্পন্ন হয় তাহলে আইন নিষ্প্রয়ােজন, আর শাসক যদি মহৎগুণসম্পন্ন না হয় তাহলে আইন অকার্যকর’-এটি কে বলেছেন?
Created: 1 month ago
A
সক্রেটিস
B
প্লেটো
C
অ্যারিস্টটল
D
বেনথাম
নীতিশাস্ত্র মূলত মানুষের আচার-আচরণ এবং ভালো-মন্দের বিচারের সঙ্গে সম্পর্কিত। এটি সমাজে নৈতিকতা ও আইনকে সংযুক্ত করে ব্যাখ্যা করে। নৈতিকতা এবং আইন সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো হলো:
-
মানুষের আচার-আচরণের মূল্যায়ন, যা ভালো এবং মন্দ নির্ধারণ করে, তা নীতিশাস্ত্রের মূল বিষয়।
-
সমাজে সর্বজন স্বীকৃত নৈতিক আদর্শই পরবর্তীতে রাষ্ট্রীয় আইন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়।
-
যদি কোনো দেশের প্রচলিত আইন নৈতিকতার বিরোধী হয়, তবে সেই আইন কার্যকর হয় না।
-
কারণ, কোনো রাষ্ট্রীয় আইন যদি জনগণের নৈতিক মানদণ্ডের সঙ্গে বিরোধপূর্ণ হয়, তখন তার বিরুদ্ধে গণআন্দোলনের সম্ভাবনা থাকে।
প্লেটো তাঁর ‘রিপাবলিক’ গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন, “যদি শাসক ন্যায়বান হন, তাহলে আইন প্রয়োজন হয় না; আর যদি শাসক দুর্নীতিপরায়ণ হন, তাহলে আইনও কার্যকর হয় না।”
0
Updated: 1 month ago