সুশাসনের স্তম্ভ হিসেবে ‘দায়িত্বশীলতা, স্বচ্ছতা, আইনি কাঠামো ও অংশগ্রহণ’—এই নীতি কোন আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান প্রবর্তন করেছিল?
A
জাতিসংঘ
B
এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক
C
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল
D
বিশ্বব্যাংক
উত্তরের বিবরণ
বিশ্বব্যাংক ও সুশাসন
বিশ্বব্যাংকের মতে, “Governance is the manner in which power is exercised in the management of a country’s economic and social resources for development.”
-
সুশাসন হলো এমন একটি প্রক্রিয়া যেখানে রাজনৈতিক কর্তৃত্ব ও প্রাতিষ্ঠানিক সম্পদ সমাজের সমস্যা ও চাহিদা পূরণে ব্যবহার করা হয়।
-
বিশ্বব্যাংক প্রথমবার সুশাসনের ধারণা প্রদান করে ১৯৮৯ সালে।
অন্যান্য তথ্য:
-
১৯৯২ সালে বিশ্বব্যাংক সর্বপ্রথম সুশাসনের সংজ্ঞা প্রদান করে।
-
২০০০ সালে বিশ্বব্যাংক সুশাসনের চারটি স্তম্ভ ঘোষণা করে।
-
চারটি স্তম্ভ হলো: দায়িত্বশীলতা, স্বচ্ছতা, আইনি কাঠামো, অংশগ্রহণ।

0
Updated: 11 hours ago
কে ‘কর্তব্যের নৈতিকতা’র ধারণা প্রবর্তন কৱেন?
Created: 2 weeks ago
A
হ্যারল্ড উইলসন
B
এডওয়ার্ড ওসবর্ন উইলসন
C
জন স্টুয়ার্ট মিল
D
ইমানুয়েল কান্ট
ইমানুয়েল কান্ট ছিলেন একজন প্রখ্যাত জার্মান নীতিবিজ্ঞানী, যিনি নৈতিকতা ও দার্শনিক চিন্তাধারায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন।
তিনি ‘কর্তব্যের জন্য কর্তব্য’ ধারণার প্রবর্তক হিসেবে পরিচিত এবং তার নীতিবিদ্যার মূলকথা তিনটি বিষয়কে কেন্দ্র করে: সৎ ইচ্ছা, কর্তব্যের জন্য কর্তব্য, এবং শর্তহীন আদেশ।
-
নীতিশাস্ত্রে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ রচনা:
-
Groundwork for Metaphysics of Morals
-
Critique of Pure Reason
-
Critique of Practical Reason
-
Critique of Judgement
-

0
Updated: 2 weeks ago
সুশাসন প্রতিষ্ঠায় নাগরিকের দায়িত্ব ও কর্তব্য কোনটি?
Created: 1 week ago
A
সামাজিক দায়িত্ব পালন
B
জাতীয় সম্পদ রক্ষা
C
আইন মান্য করা
D
উপরের সবগুলো
সুশাসন প্রতিষ্ঠায় নাগরিকের দায়িত্ব ও কর্তব্য
মূল ধারণা:
-
গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে অধিকার ভোগের সাথে নাগরিকের কিছু দায়িত্ব ও কর্তব্যও সংযুক্ত থাকে।
-
নাগরিক যে কোনো অধিকার ভোগ করতে চাইলে অবশ্যই সংশ্লিষ্ট কর্তব্য পালন করতে হয়।
নাগরিকের দায়িত্ব ও কর্তব্য:
-
সামাজিক দায়িত্ব পালন
-
জাতীয় সম্পদ রক্ষা
-
আইন মান্য করা
-
সৎ ও যোগ্য নেতৃত্ব নির্বাচন করা
-
নিয়মিত কর প্রদান
-
রাষ্ট্রের সেবা করা
-
আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় সহায়তা করা
-
সচেতন ও সজাগ থাকা
-
সংবিধান মেনে চলা
-
সুশাসনের প্রতি আগ্রহ রাখা
-
রাষ্ট্রের প্রতি নিঃশর্ত আনুগত্য প্রদর্শন
-
সন্তানদের শিক্ষাদান করা
-
রাষ্ট্রীয় উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ
-
উদার ও প্রগতিশীল দলের প্রতি সমর্থন

0
Updated: 1 week ago
রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ কাকে বলা হয়?
Created: 3 weeks ago
A
রাজনীতি
B
বুদ্ধিজীবী সম্প্রদায়
C
সংবাদ মাধ্যম
D
যুবশক্তি
গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে সংবাদমাধ্যমের ভূমিকা
গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে সংবাদমাধ্যমকে “চতুর্থ স্তম্ভ” বলা হয়। কারণ, সংবাদমাধ্যম রাষ্ট্র ও সমাজে সত্য ঘটনা তুলে ধরে জনগণকে সচেতন করে তোলে।
তবে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা যদি সঠিকভাবে ব্যবহার না হয়, কিংবা যদি কোনো স্বার্থে অসত্য বা ভ্রান্ত তথ্য ছড়ানো হয়, তবে তা জাতি ও সমাজের জন্য ক্ষতিকর হয়ে দাঁড়ায়।
বিখ্যাত ব্যক্তিদের মতামত:
-
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা থমাস জেফারসন একবার বলেছিলেন—
“আমাকে যদি বিকল্প দেওয়া হয়— সংবাদপত্রবিহীন সরকার, নাকি সরকারবিহীন সংবাদপত্র— তবে আমি দ্বিতীয়টিই বেছে নেব।” -
ফরাসি সম্রাট নেপোলিয়ন বোনাপার্ট বলেছিলেন—
“চারটি আক্রমণাত্মক সংবাদপত্র হাজার বেয়নেটের চেয়েও ভয়ংকর।” -
অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের মতে, যেখানে স্বাধীন গণমাধ্যম থাকে, সেখানে দুর্ভিক্ষ দেখা দেওয়ার সুযোগ থাকে না।
গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের প্রধান স্তম্ভসমূহ:
সংবাদমাধ্যমকে চতুর্থ স্তম্ভ বলা হলেও, মূলত গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা তিনটি স্তম্ভের উপর দাঁড়িয়ে থাকে। এগুলো হলো—
১. আইন বিভাগ
২. শাসন বিভাগ
৩. বিচার বিভাগ
এই তিনটি স্তম্ভ একে অপরকে ভারসাম্য বজায় রেখে শাসনকার্য পরিচালনায় সহায়তা করে।
উৎস: কালের কণ্ঠ, ১০ জানুয়ারি ২০১৮, পৌরনীতি ও নাগরিকতা, নবম-দশম শ্রেণি

0
Updated: 3 weeks ago