অধ্যাপক হল্যান্ডের মতে, আইনের কতটি উৎস রয়েছে?
A
৫টি
B
৬টি
C
৭টি
D
উপরের কোনটিই নয়
উত্তরের বিবরণ
আইনের উৎস (Sources of Law) বিষয়ক সংক্ষিপ্ত আলোচনা হলো যে, আইনের উৎপত্তি এবং তার প্রভাব কীভাবে গড়ে ওঠে তা ব্যাখ্যা করে।
-
জন অস্টিনের মত: আইনের উৎস একটাই এবং তা হলো সার্বভৌমের আদেশ।
-
অধ্যাপক হল্যান্ডের মতে: আইনের উৎস মোট ছয়টি, যথা:
১. প্রথা
২. ধর্ম
৩. বিচারকের রায়
৪. ন্যায়বিচার
৫. বিজ্ঞানসম্মত আলোচনা
৬. আইনসভা -
ওপেনহাইমের দৃষ্টিকোণ: জনমতকেও আইনের উৎস হিসেবে বিবেচনা করা যায়, কারণ জনমতের প্রভাবে সরকার অনেক সময় আইন প্রণয়ন, প্রচলিত আইন পরিবর্তন বা সংশোধন করে থাকে।

0
Updated: 11 hours ago
'আইন হচ্ছে আবেগহীন যুক্তি।' – এই সংজ্ঞাটি কে দিয়েছেন?
Created: 11 hours ago
A
থমাস হবস
B
অ্যারিস্টটল
C
ইমানুয়েল কান্ট
D
জন অস্টিন
আইন হলো সভ্য সমাজের মানদণ্ড, যা মানুষের জীবন, আচরণ ও শাসনব্যবস্থাকে নিয়ন্ত্রিত করে।
-
আইন শব্দটি ফার্সি ভাষা থেকে আগত।
-
সাংবিধানিক আইন বা বিধি-বিধানে সরকার পরিচালিত হয়।
-
অ্যারিস্টটলের দৃষ্টিকোণ: আইন হলো যুক্তিসিদ্ধ আচ্ছার অভিব্যক্তি এবং আবেগহীন যুক্তি। উক্তি: "Law is the passionless reason".
-
জন অস্টিনের মতে: আইন হলো নিম্নতমের প্রতি ঊর্ধ্বতন রাজনৈতিক কর্তৃত্বের আদেশ।
-
উড্রো উইলসন আইনের সর্বজনগ্রাহ্য বা সর্বাপেক্ষা বিজ্ঞানসম্মত সংজ্ঞা প্রদান করেছেন।
-
হেনরি মেইনের অভিমত: রাষ্ট্র সৃষ্টির পূর্বেই আইনের জন্ম হয়েছে।

0
Updated: 11 hours ago
‘Law’ শব্দের বাংলা প্রতিশব্দ কোনটি?
Created: 2 weeks ago
A
প্রথা
B
আইন
C
শৃঙ্খলা
D
নীতি
আইন
-
আইনের ইংরেজি প্রতিশব্দ হলো Law।
-
সাধারণভাবে আইন বলতে আমরা সুনির্দিষ্ট নীতি ও নিয়ম-কানুনকে বুঝি, যা সকলের ক্ষেত্রে সমভাবে প্রযোজ্য।
-
বিশেষজ্ঞগণ বিভিন্নভাবে আইনের সংজ্ঞা দিয়েছেন:
-
এরিস্টটল: "সমাজের যুক্তিসিদ্ধ ইচ্ছার অভিব্যক্তিই হচ্ছে আইন।"
-
অধ্যাপক হল্যান্ড: "সেই সাধারণ নিয়ম যা মানুষের আচরণকে নিয়ন্ত্রণ করে এবং সার্বভৌম কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রয়োগ ও বলবৎ করা হয়।"
-
আইনবিদ স্যামন্ড: "আইন হলো ন্যায় প্রতিষ্ঠায় রাষ্ট্র কর্তৃক স্বীকৃত ও প্রয়োগকৃত নীতিমালা।"
-
-
আইন বলতে সমাজ স্বীকৃত এবং রাষ্ট্র কর্তৃক অনুমোদিত নিয়ম-কানুনকে বোঝায়, যা মানুষের বাহ্যিক আচরণ নিয়ন্ত্রণ করে।
-
আইন মানুষের মঙ্গলের জন্য প্রণীত হয়।
-
আইনের মাধ্যমে ব্যক্তির, ব্যক্তির সাথে রাষ্ট্রের এবং রাষ্ট্রের সাথে রাষ্ট্রের সম্পর্ক নির্ধারিত হয়।
-
সাধারণভাবে দেশের আইনসভা কর্তৃক আইন প্রণীত হয় এবং নির্বাহী বিভাগ তা প্রয়োগ করে।
উৎস: পৌরনীতি ও নাগরিকতা, নবম ও দশম শ্রেণি

0
Updated: 2 weeks ago
সুশাসনের মূল চাবিকাঠি কী?
Created: 2 weeks ago
A
গণতন্ত্র
B
জবাবদিহিতা
C
ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ
D
নাগরিক ক্ষমতায়ণ
সুশাসন হলো একটি কার্যকর, স্বচ্ছ, ন্যায়ভিত্তিক ও জনমুখী প্রশাসনিক ব্যবস্থা, যেখানে জনগণের অধিকার ও কল্যাণ সুনিশ্চিত হয়। এই ব্যবস্থায় জবাবদিহিতা সুশাসনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান বা “মূল চাবিকাঠি” হিসেবে কাজ করে।
-
জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে যে শাসক ও সরকারি কর্মচারীরা তাদের কর্মকাণ্ডের জন্য জনগণের কাছে দায়বদ্ধ,
-
কেউ আইন বা দায়িত্বের ঊর্ধ্বে নয়,
-
প্রশাসনে স্বচ্ছতা বজায় থাকে,
-
দুর্নীতি কমে এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়।
গুরুত্বপূর্ণভাবে, গণতন্ত্র, নাগরিক ক্ষমতায়ন ও ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ সুশাসনের অংশ হলেও, জবাবদিহিতা ছাড়া সুশাসন টেকসই হয় না।
তথ্যসূত্র:

0
Updated: 2 weeks ago