ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ চর্যাপদের রচনা কাল ধরেছেন-
A
৭৫০ সাল থেকে
B
৬৫০ সাল থেকে
C
৯৫০ সাল থেকে
D
৮৫০ সাল থেকে
উত্তরের বিবরণ
চর্যাপদের রচনাকাল নির্ধারণ নিয়ে পণ্ডিতদের মধ্যে বিভিন্ন মত রয়েছে। নেপাল রাজদরবারের গ্রন্থাগারে যে পুঁথি আবিষ্কৃত হয়েছে তা বাংলা লিপিতে লেখা এবং বাঙালির লেখা বলে অনুমান করা হয়। পুঁথিটি পুরানো হলেও রচনাকালের সমসাময়িক নয়। তিব্বতি অনুবাদের রচনাকাল জানা যায়নি।
-
ড. সুকুমার সেন মনে করেন পুঁথিটি ষোল শতকের পরে লেখা হয়নি। তিনি চর্যাপদের রচনাকালকে পনের শতকের সঙ্গে তুলনা করেছেন, তবে সব পদের রচনার সময় এক নয়।
-
মুনিদত্তের টীকার রচনাকাল পুঁথি লেখার অনেক আগে।
-
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ চর্যাপদের রচনাকাল ৬৫০ সাল থেকে শুরু হওয়া হিসেবে দেখেছেন। তিনি চর্যাকারদের সম্ভাব্য সময়সীমা সপ্তম থেকে দ্বাদশ শতাব্দীর মধ্যে নির্ধারণ করেছেন।
-
ড. সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় চর্যাপদের রচনাকাল ৯৫০ সাল থেকে শুরু হওয়া মনে করেন।
-
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ মৎস্যেন্দ্রনাথ বা মীননাথকে প্রথম বাঙালি কবি হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তিনি প্রমাণ দেখিয়েছেন যে, মৎস্যেন্দ্রনাথ সপ্তম শতকে জীবিত ছিলেন। চর্যাপদে তাঁর কোনো পদ নেই; ২১ সংখ্যক চর্যার টীকায় কেবল চারটি পংক্তি উল্লেখ আছে।
-
ফরাসি পণ্ডিত সিলভ্যা লেভি মতে, মৎস্যেন্দ্রনাথ ৬৫৭ সালে রাজা নরেন্দ্রদেবের রাজত্বকালে নেপালে গিয়েছিলেন।
-
রাহুল সংকৃত্যায়ন লুইপা ও সরহ পা চর্যাকারকে ধর্মপালের সময়ে (৭৬৯-৮০৯ সাল) বর্তমান মনে করেন। তিনি চর্যাপদের রচনাকাল আট থেকে এগার শতকের মধ্যে রেখেছেন।
চর্যাপদের সঠিক রচনাকাল এখনও নিয়ে পণ্ডিতরা একমত হতে পারেননি।
0
Updated: 1 month ago
চর্যাপদের আদি কবি কে?
Created: 2 months ago
A
ভুসুকুপা
B
কাহ্নপা
C
লুইপা
D
কুক্কুরীপা
চর্যাপদ ও আদি কবি
আদি কবি:
-
লুইপা
চর্যাপদ:
-
বাংলা সাহিত্যের প্রাচীন গ্রন্থ।
-
বাংলা ভাষার প্রথম কাব্যগ্রন্থ/কবিতা সংকলন/গানের সংকলন।
-
বাংলা সাহিত্যের আদি যুগের একমাত্র লিখিত নিদর্শন।
-
আবিষ্কার: ১৯০৭, হরপ্রসাদ শাস্ত্রী নেপালের রাজ দরবারের গ্রন্থাগার থেকে।
-
সম্পাদনা: ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ, Buddhist Mystic Songs → ২৩ জন কবির নাম উল্লেখ।
-
প্রথম পদ: লুইপার
-
প্রথম দুই চরণ:
"কাআ তরুবর পাঞ্চ বি ডাল।
চঞ্চল চীএ পৈঠা কাল।।"
-
উৎস:
-
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা
0
Updated: 2 months ago
চর্যাপদ তিব্বতি ভাষায় অনুবাদ করেন কে?
Created: 2 months ago
A
মুনিদত্ত
B
কীর্তিচন্দ্র
C
কানাহরি দত্ত
D
প্রবোধচন্দ্র বাগচী
• চর্যাপদ তিব্বতি ভাষায় অনুবাদ করেন কীর্তিচন্দ্র।
- ১৯৩৮ সালে ড. প্রবোধচন্দ্র বাগচী চর্যাপদের তিব্বতি ভাষার অনুবাদ আবিষ্কার করেন এবং তা প্রকাশ করে চর্যার জট উন্মোচন করেন।
• চর্যাপদ:
- চর্যাপদ বাংলা ভাষার প্রথম কাব্যগ্রন্থ/কবিতা সংকলন/ গানের সংকলন।
- এটি বাংলা সাহিত্যের আদি যুগের একমাত্র লিখিত নিদর্শন।
- ড. হরপ্রসাদ শাস্ত্রী ১৯০৭ সালে নেপালের রাজ দরবার গ্রন্থাগার থেকে এটি আবিষ্কার করেন।
- চর্যাপদের চর্যাগুলো রচনা করেন বৌদ্ধ সহজিয়াগণ।
- চর্যাপদে বৌদ্ধধর্মের কথা বলা হয়েছে।
- চর্যাপদ তিব্বতি ভাষায় অনুবাদ করেন কীর্তিচন্দ্র।
- ১৯৩৮ সালে প্রবোধচন্দ্র বাগচী চর্যাপদের তিব্বতি ভাষার অনুবাদ আবিষ্কার করেন।
0
Updated: 2 months ago
চর্যাপদের টীকাকার কে?
Created: 2 months ago
A
কীর্তিচন্দ্র
B
মুনিদত্ত
C
প্রবোধচন্দ্র বাগচী
D
হরপ্রসাদ শাস্ত্রী
চর্যাপদ
-
সংজ্ঞা: বাংলা সাহিত্যের প্রাচীনযুগের একমাত্র লিখিত নিদর্শন, যাকে চর্যাচর্যবিনিশ্চয়, চর্যাগীতিকোষ, চর্যাগীতি বা চর্যাপদ বলা হয়।
-
ধরন: গানের সংকলন
-
বিষয়বস্তু: বৌদ্ধ ধর্ম অনুযায়ী সাধনভজন ও ধর্মীয় তত্ত্ব প্রকাশ।
-
রচয়িতা: চর্যাগুলো রচনা করেছেন বৌদ্ধ সহজিয়াগণ।
-
আবিষ্কার: মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী কর্তৃক নেপালের রয়েল লাইব্রেরি থেকে ১৯০৭ সালে আবিষ্কৃত।
-
টীকাকার: মুনিদত্ত
-
অনুবাদ: তিব্বতি ভাষায় অনুবাদ করেন কীর্তিচন্দ্র।
- ১৯৩৮ সালে প্রবোধচন্দ্র বাগচী চর্যাপদের তিব্বতি অনুবাদ আবিষ্কার করেন।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস
0
Updated: 2 months ago