নিপাতনে সিদ্ধ সন্ধির দৃষ্টান্ত কোনটি?
A
গায়ক
B
গবাদি
C
গবেষণা
D
গোষ্পদ
উত্তরের বিবরণ
নিপাতনে সিদ্ধ ব্যঞ্জনসন্ধি হলো সেইসব সন্ধি যেগুলো কোনো নির্দিষ্ট নিয়ম অনুসরণ না করেই গঠিত হয়।
কিছু উদাহরণ:
-
আ + চর্য = আশ্চর্য
-
গো + পদ = গোষ্পদ
-
আ + পদ = আস্পদ
-
পর + পর = পরস্পর
-
ষট্ + দশ = ষোড়শ
-
এক + দশ = একাদশ
-
হরি + চন্দ্র = হরিশ্চন্দ্র
-
পতৎ + অঞ্জলি = পতঞ্জলি
অন্যদিকে, কিছু ব্যঞ্জনসংযোগের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট নিয়ম প্রয়োগ হয়:
-
এ, ঐ, ও, ঔ-কারের পরে এ বা ঐ স্থানে যথাক্রমে অয়, আয়, এবং ও বা ঔ স্থানে যথাক্রমে অব্, আব্ হয়ে থাকে।
উদাহরণ: -
গৈ + অক = গায়ক
-
গো + আদি = গবাদি
-
গো + এষণা = গবেষণা
-
পো + ইত্র = পবিত্র

0
Updated: 11 hours ago
সন্ধির প্রধান সুবিধা কী?
Created: 1 week ago
A
পড়ার সুবিধা
B
লেখার সুবিধা
C
উচ্চারণের সুবিধা
D
শোনার সুবিধা
সন্ধি:
- পাশাপাশি ধ্বনির মিলনকে সন্ধি বলে।
- অন্য কথায়, সন্নিহিত দুটি ধ্বনির মিলনকে সন্ধি বলে।
- সন্ধির প্রধান উদ্দেশ্য স্বাভাবিক উচ্চারণের সহজপ্রবণতা এবং ধ্বনিগত মাধুর্য সম্পাদন।
- সন্ধি শব্দ গঠনেরও একটি উপায়।
- তবে সন্ধির প্রধান সুবিধা হলো উচ্চারণের সুবিধা।
- তবে বাংলা ভাষায় উপসর্গ, প্রত্যয় ও সমাস প্রক্রিয়ায় শব্দ গঠনের ক্ষেত্রে সন্ধির সূত্র কাজে লাগে।
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি, নবম-দশম শ্রেণি (২০২২ সংস্করণ)।

0
Updated: 1 week ago
'প্রাতরাশ'-এর সন্ধি-
Created: 2 months ago
A
প্রাত + রাশ
B
প্রাতঃ + রাশ
C
প্রাতঃ + আশ
D
প্রাত + আশ
• বিসর্গসন্ধির নিয়ম:
অন্তঃ, পুনঃ, প্রান্তঃ ইত্যাদির পর স্বরধ্বনি থাকলে সন্ধির ফলে বিসর্গ র হয়ে পরবর্তী স্বরধ্বনির সঙ্গে যুক্ত হয়।
যেমন:
- অন্তঃ + অঙ্গ = অন্তরঙ্গ,
- প্রাতঃ + আশ = প্রাতরাশ,
- অন্তঃ + আত্মা = অন্তরাত্মা,
- অন্তঃ + ইত = অন্তরিত,
- অন্তঃ + ইন্দ্রিয় = অন্তরিন্দ্রিয়,
- অন্তঃ + ঈক্ষ = অন্তরীক্ষ,
- অন্তঃ+ ঈপ = অন্তরীপ,
- পুনঃ + উত্থান = পুনরুত্থান,
- পুনঃ+ উক্তি = পুনরুক্তি,
- পুনঃ + অধিকার = পুনরধিকার।
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম-দশম শ্রেণি (২০১৯ সংস্করণ)।

0
Updated: 2 months ago
‘মনস্তাপ’- এর সন্ধিবিচ্ছেদ –
Created: 1 month ago
A
মন + তাপ
B
মনস + তাপ
C
মনো + তাপ
D
মনঃ + তাপ
মনস্তাপ = মনঃ+তাপ। বিসর্গ সন্ধি: পূর্বপদের শেষ ধ্বনি বিসর্গ হলে এবং পরপদের প্রথম ধ্বনি ব্যঞ্জন কিংবা স্বর হলে এ দুয়ের মধ্যে যে সন্ধি হয় তাকে বিসর্গ সন্ধি বলে। সংস্কৃত ভাষার নিয়মে সংস্কৃত শব্দের শেষে ‘স্’ বা ‘র্’ থাকলে ‘স’ বা ‘র’ লোপ পেয়ে বিসর্গ হয়। যেমন: র্-জাত বিসর্গ: নির্ >নিঃ; দুর্ >দুঃ; অন্তর্ >অন্তঃ ইত্যাদি। স্-জাত বিসর্গ: সরস্ >সরঃ; মনস্ >মনঃ; পুরস্>পুরঃ ইত্যাদি।

0
Updated: 1 month ago