শুদ্ধ বানান কোনটি?
A
জগদ্বিখ্যাতো
B
জগৎবিখ্যাত
C
জগদ্বিখ্যাত
D
জগতবিখ্যাত
উত্তরের বিবরণ
শুদ্ধ বানান: জগদ্বিখ্যাত।
বর্ণনা:
-
এটি একটি বিশেষ্য পদ।
-
শব্দটি সংস্কৃত উৎপত্তির।
-
অর্থ: বিশ্বজোড়া খ্যাতি থাকা।

0
Updated: 11 hours ago
চলিত ভাষার বৈশিষ্ট্য নয়–
Created: 4 weeks ago
A
সহজবোধ্যতা
B
ধ্বন্যাত্মক শব্দের প্রাধান্য
C
সংস্কৃত শব্দের বহুল ব্যবহার
D
ভদ্রসমাজে ব্যবহার উপযোগিতা
চলিত ভাষা হলো সাধারণ মানুষের মুখের ভাষা, যা সহজ, সাবলীল এবং দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহার উপযোগী। এর বৈশিষ্ট্য হলো—
-
সহজবোধ্যতা (ক) → চলিত ভাষার অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য।
-
ধ্বন্যাত্মক শব্দের প্রাধান্য (খ) → কথোপকথনে ‘টুকটাক’, ‘ঝমঝম’, ‘ঠকঠক’ প্রভৃতি ধ্বন্যাত্মক শব্দ ব্যবহৃত হয়।
-
ভদ্রসমাজে ব্যবহার উপযোগিতা (ঘ) → চলিত ভাষা সাহিত্যে, বক্তৃতায় ও সামাজিক পরিসরে স্বাভাবিকভাবে ব্যবহৃত হয়।
কিন্তু—
-
সংস্কৃত শব্দের বহুল ব্যবহার (গ) → এটি সাধু ভাষার বৈশিষ্ট্য, চলিত ভাষার নয়। চলিত ভাষায় দেশজ, তদ্ভব ও প্রয়োজনে বিদেশি শব্দ বেশি ব্যবহৃত হয়, সংস্কৃত শব্দের আধিক্য নয়।
তাই সঠিক উত্তর (গ) সংস্কৃত শব্দের বহুল ব্যবহার।

0
Updated: 4 weeks ago
ষ-ত্ব বিধানের সঠিক প্রয়োগ ঘটেছে নিচের কোন শব্দে?
Created: 2 weeks ago
A
পোষাক
B
মাষ্টার
C
চক্ষুষ্মান
D
ষ্টেশন
‘ষ’ ব্যবহারের নিয়মাবলী
১. সাধারণ ব্যবহার:
-
অ, আ ভিন্ন অন্যান্য স্বরধ্বনি এবং ক ও র-এর পরে প্রত্যয়ের ক্ষেত্রে ‘ষ’ হয়।
-
উদাহরণ: ভবিষ্যৎ, মুমূর্ষু, চক্ষুষ্মান, চিকীর্ষা।
-
-
তবে বিদেশি ভাষা থেকে আগত শব্দে সাধারণত ‘ষ’ ব্যবহার হয় না।
-
উদাহরণ: জিনিস, পোশাক, মাস্টার, পোস্ট, স্টেশন।
-
২. ই-কারান্ত ও উ-কারান্ত উপসর্গের পরে:
-
এই ধরনের উপসর্গযুক্ত ধাতুতে ‘ষ’ বসে।
-
উদাহরণ:
-
অভিসেক → অভিষেক
-
সুসুপ্ত → সুষুপ্ত
-
অনুসঙ্গ → অনুষঙ্গ
-
প্রতিসেধক → প্রতিষেধক
-
প্রতিস্থান → প্রতিষ্ঠান
-
অনুস্থান → অনুষ্ঠান
-
বিসম → বিষম
-
সুসমা → সুষমা
-
-
৩. ঋ ধ্বনি এবং ঋ কারের পরে:
-
ঋ ধ্বনি বা ঋ কারের পর ‘ষ’ ব্যবহার হয়।
-
উদাহরণ: ঋষি, কৃষক, উৎকৃষ্ট, দৃষ্টি, সৃষ্টি।
-
৪. তৎসম শব্দে ‘র’-এর পরে:
-
তৎসম শব্দে র-এর পরে ‘ষ’ বসে।
-
উদাহরণ: বর্ষা, ঘর্ষণ, বৰ্ষণ।
-
৫. র-ধ্বনির পরে অ, আ ভিন্ন স্বরধ্বনি থাকলে:
-
তার পরে ‘ষ’ বসে।
-
উদাহরণ: পরিষ্কার
-
-
কিন্তু অ, আ স্বরধ্বনি থাকলে ‘স’ ব্যবহার হয়।
-
উদাহরণ: পুরস্কার
-
৬. ট-বর্গীয় ধ্বনির সঙ্গে:
-
ট-বর্গীয় ধ্বনির সঙ্গে ‘ষ’ ব্যবহার হয়।
-
উদাহরণ: কষ্ট, স্পষ্ট, নষ্ট, কাষ্ঠ, ওষ্ঠ।
-
৭. স্বভাবতই ‘ষ’যুক্ত কিছু শব্দ:
-
উদাহরণ: ষড়ঋতু, রোষ, কোষ, আষাঢ়, ভাষণ, ভাষা, ঊষা, পৌষ, কলুষ, পাষাণ, মানুষ, ঔষধ, ষড়যন্ত্র, ভূষণ, দ্বেষ।
৮. সংস্কৃত ‘সাৎ’ প্রত্যয়যুক্ত পদে ‘ষ’ ব্যবহার হয় না:
-
উদাহরণ: অগ্নিসাৎ, ধূলিসাৎ, ভূমিসাৎ।
উপসংহার:
‘ষ’ ব্যবহারের নিয়ম শব্দের উৎপত্তি, ধ্বনিগত পরিবেশ ও পদবিন্যাস অনুযায়ী নির্ধারিত হয়।

0
Updated: 2 weeks ago
জয়দেবের রচিত 'গীতগোবিন্দম্' কোন ধরনের রচনা?
Created: 3 weeks ago
A
মহাকাব্য
B
গীতিকাব্য
C
নাট্যকাব্য
D
উপন্যাস
‘গীতগোবিন্দম্’ গীতিকাব্য
-
আদি বৈষ্ণব পদাবলির অনন্য নিদর্শন হলো জয়দেবের রচিত বিখ্যাত সংস্কৃত কাব্য ‘গীতগোবিন্দম্’।
-
এর মূল বিষয়বস্তু রাধাকৃষ্ণের প্রেমলীলা।
-
কাব্যটি ১২ সর্গে বিভক্ত, যাতে ২৪টি গীত ও ২৮৬টি শ্লোক অন্তর্ভুক্ত।
-
প্রতিটি সর্গের নামকরণ হয়েছে ভিন্ন ভিন্ন তত্ত্বনির্দেশক নামে।
-
যদিও কাব্যের নায়ক-নায়িকা রাধা ও কৃষ্ণ, প্রকৃতপক্ষে এতে প্রতিফলিত হয়েছে জীবাত্মা ও পরমাত্মার সম্পর্ক এবং নর-নারীর চিরন্তন প্রেম।
-
রাগভিত্তিক গীতসমূহ এ কাব্যের শ্রেষ্ঠ বৈশিষ্ট্য, যা বাংলা পদাবলি সাহিত্যে গভীর প্রভাব বিস্তার করেছে।
-
বৈষ্ণব সম্প্রদায়সহ সাহিত্যরসিকদের কাছে এটি দীর্ঘকাল পরম শ্রদ্ধার বিষয় ছিল।
-
এর একটি উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হলো চরণশেষে অন্ত্যমিলের ব্যবহার, যা সংস্কৃত সাহিত্যে অত্যন্ত বিরল।
কবি জয়দেব
-
জয়দেব ছিলেন দ্বাদশ শতকের বাঙালি কবি; তবে তাঁর সাহিত্যভাষা ছিল সংস্কৃত।
-
তাঁর জন্ম পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার অজয় নদ-তীরবর্তী কেন্দুবিল্ব (কেঁদুলি) গ্রামে।
-
কেউ কেউ তাঁকে মিথিলা বা উড়িষ্যা নিবাসী বলেও অভিহিত করেছেন।
-
তিনি সেনরাজা লক্ষ্মণসেনের রাজসভায় ‘পঞ্চরত্ন’-এর অন্যতম ছিলেন।
তথ্যসূত্র: বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 3 weeks ago