'বন্দে মাতরম্' গানটি ধ্বনিত হয়েছে নিচের কোন উপন্যাসে?
A
গোরা
B
পথের দাবী
C
আনন্দমঠ
D
ঘরে বাইরে
উত্তরের বিবরণ
বন্দে মাতরম্’ ও আনন্দমঠ সংক্ষেপ:
-
রচনা: বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
-
উপন্যাস: আনন্দমঠ (১৮৮২)
-
গানের প্রেক্ষাপট: ১৮৭০-এর দশকে রচিত; সন্ন্যাসী বিদ্রোহীদের মুখে গীত; ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে দেশপ্রেম ও মাতৃভূমির প্রতি ভক্তি প্রকাশ
-
গানের গুরুত্ব: ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রেরণাদায়ক; প্রথম দুটি স্তবক ভারতের জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে গৃহীত (১৯৫০)
আনন্দমঠ উপন্যাস:
-
ছিয়াত্তরের মন্বন্তরের পটভূমিকায় কল্পিত সন্ন্যাসী বিদ্রোহের গল্প
-
প্রধান প্রতিপাদ্য: স্বদেশভক্তি, স্বজাতি ও স্বধর্মপ্রীতি
-
চরিত্র: আদর্শায়িত, প্রেম ও আদর্শের দ্বন্দ্বে আবদ্ধ
-
ইংরেজি অনুবাদ: নরেশচন্দ্র সেনগুপ্ত – The Abbey of Bliss (1907), শ্রী অরবিন্দ – Ananda Math (1910)
-
লক্ষ্য করা যায় স্বসম্প্রদায়প্রীতি ও ব্রিটিশ বিরোধী দীক্ষা
অন্যান্য রাজনৈতিক ও দেশপ্রেমভিত্তিক উপন্যাস:
-
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর – গোরা (১৯১০)
-
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় – পথের দাবী (১৯২৬)
-
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর – ঘরে-বাইরে (১৯১৬)

0
Updated: 11 hours ago
মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক উপন্যাস কোনটি?
Created: 2 months ago
A
শঙ্খনীল কারাগার
B
কাঁটাতারে প্রজাপতি
C
জাহান্নম হইতে বিদায়
D
আর্তনাদ
জাহান্নম হইতে বিদায়
- শওকত ওসমানের 'জাহান্নম হইতে বিদায়' বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বছর রচিত ও প্রকাশিত উপন্যাস।
- ১৯৭১ সালে লেখক এই গ্রন্থ রচনা করেন। অবশ্য তখন তিনি কলকাতায় অবস্থান করছিলেন এবং তাই বইটি বের হয় কলকাতার আনন্দ পাবলিশার্স থেকে।
- এই উপন্যাসটি প্রকাশ পেলে তা পাঠ করে পশ্চিমবঙ্গের বাঙালি পাঠকসহ সেখানে অবস্থানকারী বাংলাদেশের স্বাধীনতাকামী শরণার্থী বাঙালিরা আমাদের মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে আশাবাদী হয়ে ওঠেন।
- প্রচলিত ধারার উপন্যাসের মতো এই উপন্যাসের নায়ক কোন ব্যক্তি নয়, নায়ক হলো সময় বা যুদ্ধকাল।
- যে সময় সোনার বাংলাকে শ্মশানে পরিণত করেছিল পাকিস্তানিরা, সে সময় শিল্পীর কণ্ঠে ভেসে ওঠে এমন গান: সোনায় মোড়ানো বাংলাকে আমার শ্মশান বানালো কে? ইয়াহিয়া তোমার আসামির মতো জবাব দিতে হবে।
- উপন্যাসের অন্যতম চরিত্র গাজী রহমানের অভিজ্ঞতায় শওকত ওসমান তুলে ধরেছেন যুদ্ধকালীন পাকিবর্বরতা।
- এই উপন্যাসে যুদ্ধকালে পলায়নপর মধ্যবিত্তের চিত্র অঙ্কিত হয়েছে।
উল্লেখযোগ্য চরিত্র:
- গাজী রহমান,
- এডভোকেট রেজা আলী,
- বামপন্থী নেতা কিরণ রায় প্রমুখ কয়েকটি চরিত্র আছে এই উপন্যাসে।
অন্যদিকে,
• ‘আর্তনাদ’ শওকত ওসমান রচিত ভাষা আন্দোলনভিত্তিক উপন্যাস। এটি প্রথম ১৯৮৫ সালে প্রকাশিত হয়।
• বাংলাদেশের জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদের প্রথম উপন্যাস - শঙ্খনীল কারাগার। গ্রন্থটি ১৯৭৩ সালে প্রকাশিত হয়।
• সেলিনা হোসেনের ‘কাঁটাতারে প্রজাপতি’ নাচোলের তেভাগা আন্দোলন ও তাঁর কিংবদন্তিতুল্য সংগঠক ও নেত্রী ইলা মিত্রকে নিয়ে লেখা ইতিহাস-নির্ভর জীবনী উপন্যাস।
-----------------------
• শওকত ওসমান:
- শওকত ওসমান কথাসাহিত্যিক, প্রাবন্ধিক ছিলেন।
- ১৯১৭ সালের ২ জানুয়ারি পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার সবলসিংহপুর গ্রামে তিনি জন্মগ্রহণ করেন।
- তাঁর প্রকৃত নাম শেখ আজিজুর রহমান; ‘শওকত ওসমান’ তাঁর সাহিত্যিক নাম।
- 'জাহান্নম হইতে বিদায়' শওকত ওসমান রচিত মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক উপন্যাস।
• তাঁর রচিত অন্যান্য উপন্যাস:
- জননী,
- জাহান্নম হইতে বিদায়,
- দুই সৈনিক,
- সমাগম,
- চৌরসন্ধি,
- রাজা উপাখ্যান,
- নেকড়ে অরণ্য,
- পতঙ্গ পিঞ্জর,
- রাজসাক্ষী,
- জলাংগী,
- পুরাতন খঞ্জর।
• তাঁর রচিত প্রবন্ধ:
- সংস্কৃতির চড়াই উৎরাই,
- মুসলিম মানসের রূপান্তর।
• তাঁর রচিত শিশুতোষ গ্রন্থ:
- ওটেন সাহেবের বাংলো,
- তারা দুই জন,
- ক্ষুদে সোশালিস্ট।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর এবং বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 2 months ago
কাজী নজরুল ইসলাম তার কোন গ্রন্থ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে উৎসর্গ করেন?
Created: 5 days ago
A
সঞ্চিতা
B
দোলনচাঁপা
C
বিষের বাশিঁ
D
সর্বহারা
কাজী নজরুল ইসলামের ‘সঞ্চিতা’ একটি কবিতা সংকলন, যা প্রকাশিত হয় ১৯২৮ খ্রিষ্টাব্দে। এই গ্রন্থটি তিনি উৎসর্গ করেছেন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে। সংকলনে মোট ৭৮টি কবিতা ও গান অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
উল্লেখযোগ্য তথ্য:
-
‘সঞ্চয়িতা’ হলো রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটি কবিতা সংকলন।
-
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর বসন্ত নাটক কাজী নজরুল ইসলামকে উৎসর্গ করেছিলেন।
উৎস:

0
Updated: 5 days ago
‘রোহিণী’ চরিত্রটি কোন উপন্যাসে পাওয়া যায়?
Created: 3 months ago
A
চরিত্রহীন
B
গৃহদাহ
C
কৃষ্ণকান্তের উইল
D
সংসপ্তক
কৃষ্ণকান্তের উইল
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের অন্যতম শ্রেষ্ঠ এবং সমকালীন সময়ে বিতর্কিত উপন্যাসগুলোর মধ্যে এটি অন্যতম। উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র বিধবা নারী রোহিণীকে ঘিরে বঙ্কিমচন্দ্র নিজের শিল্পবোধ ও নৈতিক আদর্শের দ্বন্দ্বকে ফুটিয়ে তুলেছেন। ঔপন্যাসিকের জীবদ্দশায় এই গ্রন্থের চারটি সংস্করণ প্রকাশ পেয়েছিল।
উপন্যাসটির প্রধান চরিত্রগুলো হলো:
-
রোহিণী
-
গোবিন্দলাল
-
ভ্রমর
অন্যদিকে,
‘চরিত্রহীন’ উপন্যাসটি শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের রচনা। এর চরিত্রগুলো হলো সতীশ, সাবিত্রী, দিবাকর ও কিরণময়ী।
‘গৃহদাহ’ শরৎচন্দ্রের আরেকটি উল্লেখযোগ্য উপন্যাস, যার চরিত্রগুলো হলো সুরেশ, মহিম ও অচলা।
সংশপ্তক উপন্যাসটি শহীদুল্লাহ কায়সারের লেখা। এতে প্রধান চরিত্রগুলো হলো রাবেয়া খাতুন (রাবু), জাহেদ, সেকেন্দার, মালু, হুরমতি, লেকু, রমজান এবং রামদয়াল।
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়:
১৮৩৮ সালের ২৭ জুন চবিবশ পরগনা জেলার কাঁঠালপাড়া গ্রামে তাঁর জন্ম। তাঁকে বাংলা উপন্যাসের জনক বলা হয়। তাঁর ত্রয়ী উপন্যাস হলো — আনন্দমঠ, দেবী চৌধুরানী এবং সীতারাম। এছাড়া তিনি ‘সাম্য’ নামক গ্রন্থের রচয়িতা।
বঙ্কিমচন্দ্রের অন্যান্য উপন্যাসের মধ্যে উল্লেখযোগ্য:
-
কপালকুণ্ডলা
-
মৃণালিনী
-
বিষবৃক্ষ
-
ইন্দিরা
-
যুগলাঙ্গুরীয়
-
চন্দ্রশেখর
-
রাধারানী
-
রজনী
-
কৃষ্ণকান্তের উইল
-
রাজসিংহ
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর।

0
Updated: 3 months ago