'ঠাকুর বাড়ির আঙিনায়' স্মৃতিকথামূলক গ্রন্থের রচয়িতা কে?
A
বুদ্ধদেব বসু
B
জসীম উদ্দীন
C
নির্মলেন্দু গুণ
D
জীবনানন্দ দাশ
উত্তরের বিবরণ
ঠাকুর বাড়ির আঙিনায়
-
'ঠাকুর বাড়ির আঙিনায়' জসীম উদ্দীন রচিত একটি স্মৃতিকথামূলক গ্রন্থ।
-
প্রকাশিত: ১৯৬১ সালে, নন্দিতা বসু প্রকাশিকা, ৫-১ রমানাথ মজুমদার স্ট্রীট, কলকাতা-৯।
-
বইটি শুরু এবং শেষ হয়েছে স্মৃতিভারাক্রান্ত ভঙ্গিতে। লেখক বর্ণনা করেছেন কীভাবে প্রথম রবীন্দ্রনাথের নাম শুনেছিলেন এবং কীভাবে তাঁর কবিতা পড়া শুরু করেছিলেন। বইতে ঠাকুর বাড়ির ভগ্নদশারও বিস্তৃত বর্ণনা আছে।
-
বইয়ে মূলত রবীন্দ্রনাথ নয়, বরং বেশি জোর আছে অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর-এর কথায়। অবনীন্দ্রনাথের সূত্রধরে জসীম উদ্দীনের ঠাকুর বাড়িতে পা ফেলার সুযোগ হয়েছিল।
-
অবনীন্দ্রনাথের মৃত্যুর পর বাড়িটি নিলাম হয়। বাংলার মহান শিল্পীর বাড়ি সংরক্ষিত হয়নি বলে লেখক দুঃখ প্রকাশ করেছেন। বর্তমানে বাড়িটি বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্ভুক্ত হলেও জসীম উদ্দীন মন্তব্য করেছেন, "আজ ঠাকুর-বাড়ির সেই ইন্দ্রপুরী শ্মশানে পরিণত হইয়াছে।"
জসীম উদ্দীন
-
জন্ম: ১ জানুয়ারি ১৯০৩, ফরিদপুর জেলার তাম্বুলখানা গ্রাম, মাতুলালয়।
-
পরিচিতি: প্রখ্যাত কবি, শিক্ষাবিদ; 'পল্লিকবি' নামে খ্যাত।
-
কর্মজীবন শুরু: পল্লিসাহিত্যের সংগ্রাহক হিসেবে।
-
কলেজজীবনে রচিত ‘কবর’ কবিতা তাঁকে বিপুল খ্যাতি এনে দেয়; বিশ্ববিদ্যালয়ে এ কবিতা প্রবেশিকা বাংলা সংকলনের অন্তর্ভুক্ত হয়।
-
শ্রেষ্ঠ কাব্যগ্রন্থ: নক্সীকাঁথার মাঠ
-
প্রথম কাব্যগ্রন্থ: রাখালী
স্মৃতিকথা:
-
যাদের দেখেছি
-
ঠাকুর বাড়ির আঙিনায়
ভ্রমণকাহিনি:
-
চলে মুসাফির
-
হলদে পীরের দেশ
-
যে দেশে মানুস বড়
-
জার্মানির শহরে ও বন্দরে
উপন্যাস:
-
বোবাকাহিনী
আত্মজীবনী:
-
জীবনকথা
কাব্যগ্রন্থ:
-
রাখালী
-
নক্সীকাঁথার মাঠ
-
সুচয়নী
-
সোজন বাদিয়ার ঘাট
-
এক পয়সার বাঁশি
-
বালুচর
-
ধানক্ষেত
-
রূপবতী
-
মা যে জননী কান্দে
-
মাটির কান্না

0
Updated: 11 hours ago
বাংলা গদ্যে সুললিত শব্দবিন্যাস ও পদবিভাগ করে শিল্প গুণান্বিত করে তোলেন কে?
Created: 6 days ago
A
রামমোহন রায়
B
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
C
ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত
D
মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর বাংলা গদ্যের বিকাশে অপরিসীম অবদান রেখেছেন এবং তাঁকে বাংলা গদ্যের জনক হিসেবে অভিহিত করা হয়।
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর:
-
তিনি বাংলা গদ্যের জনক।
-
বাংলা গদ্যে যতি বা বিরামচিহ্নের প্রবর্তন করেন।
-
গদ্যকে সমৃদ্ধ ও সুন্দর করার জন্য 'উচ্চবচন ধ্বনিতরঙ্গ' এবং 'অনতিলক্ষ্য ছন্দঃস্রোত' সৃষ্টি করেন।
-
বাংলা গদ্যকে গতিশীল ও প্রাণবন্ত করে তোলেন।
-
তিনি সুললিত শব্দবিন্যাস, পদবিভাগ এবং যতিসন্নিবেশের মাধ্যমে গদ্যকে সুবোধ্য ও শিল্পসম্মত করেন।
-
বিদ্যাসাগরের এই কীর্তির কারণে বাংলা গদ্য সাহিত্যিক গুণসম্পন্ন এবং সর্বভাব প্রকাশক্ষম হয়েছে।

0
Updated: 6 days ago
মনসামঙ্গল কাব্যের আদি কবি কে?
Created: 1 month ago
A
মুকুন্দরাম চক্রবর্তী
B
কানা হরিদত্ত
C
বিজয়গুপ্ত
D
মানিক দত্ত
মনসামঙ্গল কাব্য
সাপের দেবী মনসাকে কেন্দ্র করে রচিত স্তব, স্তুতি ও কাহিনি-নির্ভর কাব্যকে ‘মনসামঙ্গল’ বলা হয়। একে কখনও পদ্মপুরাণ নামেও অভিহিত করা হয়।
বাংলার প্রাকৃত জীবন ও লৌকিক জীবনাচার থেকেই মনসামঙ্গল কাব্যের উদ্ভব হয়েছে। এ ধারার আদি কবি হিসেবে কানা হরিদত্ত পরিচিত।
মনসামঙ্গল কাব্যের প্রধান চরিত্র
-
সাপের দেবী মনসা
-
চাঁদ সওদাগর
-
বেহুলা
-
লখিন্দর
-
সনকা

0
Updated: 1 month ago
‘যোগাযোগ’ উপন্যাসে কুমোদিনীর স্বামীর নাম কী?
Created: 1 week ago
A
নিখিলেস
B
অমিত
C
মধুসূদন
D
নবকুমার
সঠিক উত্তর হলো: গ) মধুসূদন
অন্যান্য অপশনের ব্যাখ্যা:
-
নিখিলেশ: তিনি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ঘরে-বাইরে উপন্যাসের চরিত্র।
-
অমিত: তিনি শেষের কবিতা উপন্যাসের নায়ক।
-
নবকুমার: তিনি বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের কপালকুণ্ডলা উপন্যাসের চরিত্র।
যোগাযোগ উপন্যাস সম্পর্কিত আলোচনা
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের যোগাযোগ উপন্যাস প্রথমে তিন পুরুষ নামে বিচিত্রা মাসিক পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়েছিল। পরে উপন্যাসটির নামকরণ হয় যোগাযোগ। এই উপন্যাসে কুমোদিনীর স্বামীর নাম হলো মধুসূদন।
কাহিনিতে কুমোদিনী ও মধুসূদনের সম্পর্কের মধ্য দিয়ে পারিবারিক ও সামাজিক দ্বন্দ্ব, শ্রেণিগত বৈষম্য, ব্যক্তিগত আকাঙ্ক্ষা ও টানাপোড়েন ফুটে উঠেছে। শেষ পর্যন্ত কুমোদিনী দ্বিধাগ্রস্ত অবস্থায় স্বামীর কাছে সমর্পিত হলেও তার ভেতরে এক বিদ্রোহী নারীর সত্তা স্পষ্টভাবে প্রকাশিত হয়।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত উল্লেখযোগ্য উপন্যাস
-
ঘরে-বাইরে
-
চোখের বালি
-
শেষের কবিতা
-
যোগাযোগ
-
নৌকাডুবি
-
গোরা
-
রাজর্ষি
-
চার অধ্যায়

0
Updated: 1 week ago