মৃত্যু-ক্ষুধা' কাজী নজরুল ইসলামের কোন ধরনের উপন্যাস?
A
সামাজিক উপন্যাস
B
রাজনৈতিক উপন্যাস
C
পত্রোপন্যাস
D
ঐতিহাসিক উপন্যাস
উত্তরের বিবরণ
কাজী নজরুল ইসলামের উপন্যাসসমূহ
১. মৃত্যু-ক্ষুধা
-
কালজয়ী সামাজিক উপন্যাস, রচনা: ১৯২৭-১৯৩০, ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ: সওগাত পত্রিকা (অগ্রহায়ণ ১৩৩৪- ফাল্গুন ১৩৩৬)
-
বিষয়বস্তু: দারিদ্র্য, ক্ষুধা, ধর্মান্তরণ, সাম্যবাদী চেতনা, নিম্নবিত্ত মানুষের জীবনসংগ্রাম
-
রচনা প্রেক্ষাপট: নজরুলের বাস্তব অভিজ্ঞতা; ১৯২৬-১৯২৯ পর্যন্ত কৃষ্ণনগরে বাস, চাঁদসড়কের ধারে একতলা বাংলো প্যাটার্নের বাড়ি
-
উপন্যাসের পটভূমি: কৃষ্ণনগরের উক্ত বাড়ি, ওমান কাথলি পাড়া, কলতলার পারিপার্শ্বিক এলাকা
-
রচনা স্থান: প্রথমাংশ কৃষ্ণনগর, শেষাংশ কলকাতা
-
প্রধান চরিত্র: আনাস, রুবি, মেজো-বৌ, প্যাঁকালে, কুর্শি
-
উল্লেখযোগ্য: দারিদ্র, সাম্য ও বিপ্লবী চেতনা উপন্যাসের মূল রূপকল্পের সঙ্গে অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িত; এ সময়ের ‘দ্রারিদ্র’ কবিতাও রচিত
২. বাঁধন-হারা
-
কাজী নজরুল ইসলামের প্রথম উপন্যাস
-
বাংলা সাহিত্যের প্রথম পত্রোপন্যাস হিসেবে পরিচিত
-
ধারাবাহিক প্রকাশ: ১৩২৭ সালের মোসলেম ভারত, প্রথম বর্ষের প্রথম সংখ্যা
-
প্রধান চরিত্র: নূরুল হুদা, মাহবুবা, সাহসিকাদি
৩. কুহেলিকা
-
রাজনৈতিক উপন্যাস
-
প্রথম প্রকাশ: ১৩৩৪ বঙ্গাব্দ, আষাঢ় মাস, কলকাতা থেকে প্রকাশিত মাসিক নওরোজ পত্রিকায়
-
গ্রন্থাকারে প্রকাশ: ১৯৩১ খ্রিষ্টাব্দ
0
Updated: 1 month ago
কোনটি ‘মৃণালিনী’ উপন্যাসের চরিত্র নয়?
Created: 1 month ago
A
মনোরমা
B
পশুপতি
C
হেমচন্দ্র
D
কুন্দনন্দিনী
‘মৃণালিনী’ হলো বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত একটি ঐতিহাসিক উপন্যাস (১৮৬৯)।
-
উপন্যাসটির পটভূমি ত্রয়োদশ শতাব্দীর বাংলাদেশ এবং তুর্কি আক্রমণ।
-
কাহিনীর মূল কেন্দ্রে রয়েছে মগধের রাজপুত্র হেমচন্দ্রের সঙ্গে মৃণালিনীর প্রণয়, এবং দেশরক্ষার জন্য হেমচন্দ্রের সংকল্প ও ব্যর্থতা।
-
এছাড়াও, রহস্যময়ী নারী মনোরমার কাহিনি উপন্যাসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
-
এই উপন্যাসে বঙ্কিমের দেশাত্মবোধ এবং ইতিহাস জিজ্ঞাসা প্রকাশিত হয়েছে।
-
ইতিহাসের ঘটনার প্রেক্ষাপটে হেমচন্দ্র-মৃণালিনী এবং পশুপতি-মনোরমার প্রেমকাহিনি উপন্যাসের কেন্দ্রীয় বিষয়।
-
উপন্যাসে ঐতিহাসিক উপাদান নিয়ে জীবনকেন্দ্রিক বর্ণনাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
নোট: কুন্দনন্দিনী ‘মৃণালিনী’ উপন্যাসের চরিত্র নয়, এটি ‘বিষবৃক্ষ’ উপন্যাসের চরিত্র।
0
Updated: 1 month ago
‘লালসালু’ উপন্যাসের রচনাকাল কোনটি?
Created: 3 months ago
A
১৯৪৩ সালে
B
১৯৪৮ সালে
C
১৯৫২ সালে
D
১৯৭০ সালে
সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ তিনটি উপন্যাস রচনা করেন। যথা - লালসালু (১৯৪৮), চাঁদের অমাবস্যা (১৯৬৪) ও কাঁদো নদী কাঁদো (১৯৬৮)। লালসালু তার শ্রেষ্ঠ রচনা। উপন্যাসটি ফরাসি ভাষায় L Arbre Sams Maeme নামে ও ইংরেজি ভাষায় Tree Without Roots নামে প্রকাশিত হয়।
0
Updated: 3 months ago
‘জয়গুণ’ চরিত্রটি কোন উপন্যাসে পাওয়া যায়?
Created: 2 months ago
A
পদ্মার পলিদ্বীপ
B
সূর্য-দীঘল বাড়ী
C
পদ্মা নদীর মাঝি
D
হাজার বছর ধরে
‘সূর্য দীঘল বাড়ী’ উপন্যাস
-
‘সূর্য দীঘল বাড়ী’ আবু ইসহাক রচিত একটি সামাজিক উপন্যাস।
-
উপন্যাসটি ১৯৫৫ সালে প্রকাশিত হয়। এটি বাংলাদেশের গ্রামীণ জীবনের বিশ্বস্ত চিত্র।
-
বিশ্বযুদ্ধ, দুর্ভিক্ষ, সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ও দেশবিভাগ—এই চারটি বড় ঐতিহাসিক ঘটনার পটভূমিতে উপন্যাসটি রচিত।
-
কেন্দ্রীয় চরিত্র হলো জয়গুণ।
-
অন্যান্য উল্লেখযোগ্য চরিত্র: হাসু, মায়মুন, শাফি, ডা. রমেশ চক্রবর্তী, মোরল গদু ইত্যাদি।
আবু ইসহাক রচিত অন্যান্য উপন্যাস
-
সূর্য-দীঘল বাড়ী
-
পদ্মার পলিদ্বীপ
-
জাল
তাঁর রচিত গল্পগ্রন্থসমূহ
-
হারেম
-
মহাপতঙ্গ
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা এবং বাংলাপিডিয়া
0
Updated: 2 months ago