বাংলা ভাষার নিজস্ব বাগ্ধারা ও ধ্বনি সহযোগে নতুন ছন্দসৃষ্টি করেছিলেন কোন কবি?
A
সুকুমার রায়
B
সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত
C
দ্বিজেন্দ্রলাল রায়
D
অমিয় চক্রবর্তী
উত্তরের বিবরণ
সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত
-
জন্ম: ১৮৮২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি, নিমতা গ্রাম, কলকাতা নিকটবর্তী
-
পেশা: কবি ও ছান্দসিক
-
তিনি ভারতী পত্রিকাগোষ্ঠীর অন্যতম বিশিষ্ট কবি ছিলেন
-
বাংলা ভাষার নিজস্ব বাগধারা ও ধ্বনি ব্যবহার করে নতুন ছন্দসৃষ্টি তাঁর প্রধান কীর্তি; এজন্য তিনি ‘ছন্দের জাদুকর’ এবং ‘ছন্দোরাজ’ নামে পরিচিত
-
১৯১৮ সালে ভারতী পত্রিকার বৈশাখ সংখ্যায় তাঁর ছন্দ সম্পর্কিত প্রসিদ্ধ রচনা ‘ছন্দ-সরস্বতী’ প্রকাশিত হয়
-
তিনি একাধিক ছদ্মনামে কাব্যচর্চা করতেন, যেমন: নবকুমার, কবিরত্ন, অশীতিপর শর্মা, ত্রিবিক্রম বর্মণ, কলমগীর
-
মৃত্যু: ১৯২২ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি; মৃত্যুর পর ‘সত্যেন-প্রয়াণ’ কবিতা রচনা করেন কাজী নজরুল ইসলাম
বিখ্যাত কাব্যসমূহ:
-
সবিতা
-
সন্ধিক্ষণ
-
বেণু ও বীণা
-
কুহু ও কেকা
-
অভ্র আবীর
-
হসন্তিকা
-
বেলা শেষের গান
-
বিদায় আরতি
-
কাব্যসঞ্চয়ন

0
Updated: 11 hours ago
বাংলা সাহিত্যে 'ভোরের পাখি' বলা হয় কাকে?
Created: 4 months ago
A
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
B
রাজশেখর বসু
C
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
D
বিহারীলাল চক্রবর্তী
বিহারীলাল চক্রবর্তী
বিহারীলাল চক্রবর্তী আধুনিক বাংলা গীতিকবিতার অন্যতম পথিকৃৎ এবং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাব্যগুরু হিসেবে বিশেষভাবে পরিচিত।
তিনি বাংলা গীতিকবিতার জনক বলে স্বীকৃত এবং আধুনিক বাংলা গীতিকাব্যের প্রথম ও প্রধান কবি হিসেবে গণ্য হন। রবীন্দ্রনাথ তাকে ভালোবেসে ‘ভোরের পাখি’ আখ্যায় ভূষিত করেছিলেন।
তাঁর প্রথম সার্থক গীতিকবিতা ছিল ‘বঙ্গসুন্দরী’, আর শ্রেষ্ঠ কাব্যগ্রন্থ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে ‘সারদা মঙ্গল’।
বিহারীলাল চক্রবর্তীর উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থসমূহ:
-
স্বপ্নদর্শন
-
সঙ্গীতশতক
-
বঙ্গসুন্দরী
-
নিসর্গ সন্দর্শন
-
বন্ধু বিয়োগ
-
সারদা মঙ্গল
-
প্রেমপ্রবাহিনী
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা (ড. সৌমিত্র শেখর), বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 4 months ago
কোন খ্যাতিমান লেখক 'বীরবল' ছদ্মনামে লিখতেন?
Created: 4 months ago
A
প্রমথনাথ বিশী
B
প্রমথ চৌধুরী
C
প্রেমেন্দ্র মিত্র
D
প্রমথ নাথ বসু
প্রমথ চৌধুরী ছিলেন একজন সাহিত্যিক ও বাংলা চলিত গদ্যরীতির প্রবর্তক।
-
তিনি ১৮৬৮ সালের ৭ আগস্ট যশোরে জন্মগ্রহণ করেন।
-
তাঁর সাহিত্যিক ছদ্মনাম ছিল 'বীরবল'।
-
'বীরবলের হালখাতা' নামক গ্রন্থটি ১৯০২ সালে ভারতী পত্রিকায় প্রথম প্রকাশিত হয়, যা বাংলা সাহিত্যে প্রথম চলিত রীতির প্রয়োগের নিদর্শন।
-
বাংলা কাব্য সাহিত্যে তিনিই প্রথম ইতালীয় সনেট প্রবর্তন করেন।
-
তিনি 'সবুজপত্র' পত্রিকাটির সম্পাদক হিসেবেও কাজ করেছেন।
প্রমথ চৌধুরীর রচিত প্রধান কাব্যগ্রন্থ:
-
সনেট পঞ্চাশৎ
-
পদচারণ
প্রবন্ধগ্রন্থসমূহ:
-
তেল নুন লকড়ি
-
বীরবলের হালখাতা
-
নানাকথা
-
আমাদের শিক্ষা
-
রায়তের কথা
-
নানাচর্চা
-
আত্মকথা
-
প্রবন্ধসংগ্রহ
গল্পগ্রন্থ:
-
চার ইয়ারী কথা
-
আহুতি
-
নীললোহিত
অন্যদিকে, প্রেমেন্দ্র মিত্রের ছদ্মনাম ছিল কৃত্তিবাস ভদ্র ও লেখরাজ সামন্ত।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর ও বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 4 months ago
জাতিবাচক বিশেষ্যের দৃষ্টান্ত-
Created: 4 months ago
A
সমাজ
B
পানি
C
মিছিল
D
নদী
বিশেষ্যের প্রকারভেদ ও উদাহরণ
বিশেষ্য পদ
যে শব্দগুলো দিয়ে ব্যক্তি, প্রাণী, স্থান, বস্তু, ধারণা বা গুণের নাম বোঝানো হয়, সেগুলোকে বিশেষ্য বলা হয়। যেমন: নজরুল, বাঘ, ঢাকা, ইট, ভোজন, সততা ইত্যাদি। বিশেষ্য ছয় প্রকারের হয়ে থাকে:
১. নাম-বিশেষ্য
২. জাতি-বিশেষ্য
৩. বস্তু-বিশেষ্য
৪. সমষ্টি-বিশেষ্য
৫. গুণ-বিশেষ্য
৬. ক্রিয়া-বিশেষ্য
নাম-বিশেষ্য
নির্দিষ্ট কোনো ব্যক্তি, স্থান, দেশ, কাল বা সৃষ্টি প্রভৃতির সুনির্দিষ্ট নামকে নাম-বিশেষ্য বলা হয়।
উদাহরণ:
-
ব্যক্তিনাম: হাবিব, সজল, লতা, শম্পা
-
স্থাননাম: ঢাকা, বাংলাদেশ, হিমালয়, পদ্মা
-
কালনাম: সোমবার, বৈশাখ, জানুয়ারি, রমজান
-
সৃষ্টিনাম: গীতাঞ্জলি, সঞ্চিতা, ইত্তেফাক, অপরাজেয় বাংলা
জাতি-বিশেষ্য
জাতি-বিশেষ্য বা সাধারণ-বিশেষ্য হলো এমন বিশেষ্য যা কোনো নির্দিষ্ট নাম নয়, বরং প্রাণী বা অপ্রাণীর সাধারণ নাম বোঝায়।
উদাহরণ: মানুষ, গরু, ছাগল, ফুল, ফল, নদী, সাগর, পর্বত ইত্যাদি।
-
উদাহরণ: ‘নদী’ একটি জাতি-বিশেষ্যের উদাহরণ।
বস্তু-বিশেষ্য
যে বিশেষ্য কোনো দ্রব্য বা বস্তু বোঝায় তাকে বস্তু-বিশেষ্য বলা হয়।
উদাহরণ: ইট, লবণ, আকাশ, টেবিল, বই ইত্যাদি।
-
উদাহরণ: ‘পানি’ একটি বস্তু-বিশেষ্যের উদাহরণ।
সমষ্টি-বিশেষ্য
সমষ্টি-বিশেষ্য এমন শব্দ যা ব্যক্তি বা প্রাণীর একটি গুচ্ছ বা দল বোঝায়।
উদাহরণ: জনতা, পরিবার, ঝাঁক, বাহিনী, মিছিল ইত্যাদি।
-
উদাহরণ: ‘সমাজ’ ও ‘মিছিল’ সমষ্টি-বিশেষ্যের উদাহরণ।
গুণ-বিশেষ্য
গুণ বা অবস্থা বোঝানো বিশেষ্যকে গুণ-বিশেষ্য বলে।
উদাহরণ: সরলতা, দয়া, আনন্দ, গুরুত্ব, দীনতা, ধৈর্য ইত্যাদি।
ক্রিয়া-বিশেষ্য
যে বিশেষ্য কোনো কাজ বা ক্রিয়ার নাম বোঝায় তাকে ক্রিয়া-বিশেষ্য বলা হয়।
উদাহরণ: পঠন, ভোজন, শয়ন, করা, করানো, পাঠানো, নেওয়া ইত্যাদি।
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি, নবম-দশম শ্রেণি (২০২২ সংস্করণ)

0
Updated: 4 months ago