'জীবন আমার বোন' উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র কোনটি?
A
রঞ্জু
B
মুরাদ
C
লুলু চৌধুরী
D
জাহেদুল কবির খোকা
উত্তরের বিবরণ
‘জীবন আমার বোন’ উপন্যাস
-
লেখক: মাহমুদুল হক
-
প্রকাশ: ১৯৭৬, সাহিত্য প্রকাশ
-
এটি লেখকের তৃতীয় উপন্যাস
-
মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক কাহিনী, যা বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের এক গুরুত্বপূর্ণ যুগসন্ধিক্ষণের ঘটনাপ্রবাহকে চিত্রিত করে
-
পটভূমি: ১৯৭১ সালের ১ মার্চ থেকে ২৭ মার্চ, ঢাকা শহর
-
কেন্দ্রীয় চরিত্র: জাহেদুল কবির খোকার দৃষ্টি দিয়ে গল্প বলা হয়েছে
উপন্যাসের কাহিনি সংক্ষেপ:
-
১ মার্চ প্রেসিডেন্টের ভাষণে উত্তাল হয় ঢাকা; উত্তেজনা বাড়তে থাকে বিশেষ করে খোকার বয়সী তরুণদের মধ্যে
-
শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধের জল্পনা-কল্পনা, কাঠের ডামি রাইফেল হাতে কুচকাওয়াজ
-
সমান্তরালভাবে চলে রঞ্জু-খোকার পারিবারিক জীবন
-
ঘটেছে আসন্ন যুদ্ধ পূর্ববর্তী ঐতিহাসিক ঘটনাবলী:
-
অসহযোগ আন্দোলন
-
জাহাজে করে চট্টগ্রামে পাকিস্তানি সৈন্যের আগমন
-
নতুন গভর্নর টিক্কা খান
-
৭ মার্চের ভাষণ
-
জয়দেবপুরে সেনাবাহিনীর গোলাগুলি
-
ঢাকার রাস্তায় মিছিল, মিটিং, জনসভা
-
-
উপন্যাসে দেখা যায় বারুদের স্তুপে পরিণত ঢাকা শহর, যা ২৫ মার্চের কালরাতে স্ফুলিঙ্গে জ্বলে উঠে
-
গণহত্যা শেষে ২৭ মার্চ ঠিক মুক্তিযুদ্ধ শুরুর মুহূর্তেই উপন্যাস শেষ হয়
উপন্যাসের অন্যান্য চরিত্র:
-
খোকার ছোট বোন: রঞ্জু
-
খোকার বন্ধু: মুরাদ, ইয়াসিন, রহমান
-
মুরাদের বড় বোন: লুলু চৌধুরী
-
খোকার পরিচিত: রাজীব ভাই ও তার দুই স্ত্রী
মাহমুদুল হক রচিত অন্যান্য উপন্যাস:
-
কালো বরফ (দেশবিভাগের কাহিনী)
-
জীবন আমার বোন (মুক্তিযুদ্ধ কেন্দ্রিক)
-
খেলাঘর
-
অনুর পাঠশালা
-
নিরাপদ তন্দ্রা
-
অশরীরী
-
পাতালপুরী
-
মাটির জাহাজ
0
Updated: 1 month ago
'পঞ্চতন্ত্র' গ্রন্থের রচয়িতা কে?
Created: 1 month ago
A
তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
B
বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়
C
সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ
D
সৈয়দ মুজতবা আলী
সৈয়দ মুজতবা আলী (১৯০৪-১৯৭৪) ছিলেন শিক্ষাবিদ এবং সাহিত্যিক, যিনি বাংলা সাহিত্যে ভ্রমণকাহিনি, উপন্যাস, রম্যরচনা ও ছোটগল্পের মাধ্যমে অসামান্য অবদান রেখেছেন। ১৯০৪ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর তাঁর পিতার কর্মস্থল শ্রীহট্ট (সিলেট) জেলার করিমগঞ্জে জন্ম হলেও তাঁর পৈতৃক নিবাস ছিল হবিগঞ্জের উত্তরসুর গ্রামে। গ্রন্থাকারে তাঁর মোট ত্রিশটি রচনা প্রকাশিত হয়েছে।
-
উপন্যাস:
-
অবিশ্বাস্য
-
শবনম
-
-
ভ্রমণকাহিনি:
-
দেশে-বিদেশে
-
জলে-ডাঙায়
-
-
রম্যরচনা:
-
পঞ্চতন্ত্র
-
ময়ূরকণ্ঠী
-
-
ছোটগল্প:
-
চাচা-কাহিনী
-
টুনি মেম
-
0
Updated: 1 month ago
নাথ সাহিত্যের আদি ও প্রধান কবি কে?
Created: 1 month ago
A
শ্যামদাস সেন
B
মীননাথ
C
শেখ ফয়জুল্লাহ
D
দৌলত উজির বাহারাম খান
নাথ সাহিত্য হলো শিব উপাসক নাথ-যোগী ও সিদ্ধাচার্যদের রচিত সাহিত্য, যা মূলত নাথ ধর্মের সাধনতত্ত্ব এবং প্রাসঙ্গিক গল্প ও কাহিনির উপর ভিত্তি করে রচিত। নাথ সাহিত্যের আদি ও প্রধান কবি ছিলেন শেখ ফয়জুল্লাহ, যিনি তাঁর রচনায় নাথ যোগীদের অলৌকিক গল্প ও সাধনাচারণকে ফুটিয়ে তুলেছেন। নাথ সাহিত্য সাধারণত দুটি ভাগে বিভক্ত:
-
প্রথম ভাগ: মীন নাথ ও তার শিষ্য গোরক্ষ নাথের কাহিনি
-
দ্বিতীয় ভাগ: রাজা গোপীচন্দ্রের সন্ন্যাস
-
এই দুই কাহিনির মাধ্যমে নাথ যোগীদের অলৌকিক ও সাধনামূলক কাহিনি প্রকাশ পেয়েছে
শেখ ফয়জুল্লাহ সম্পর্কে:
-
তিনি ১৬শ শতকের মধ্যযুগীয় বাংলা সাহিত্যের কবি
-
মর্সিয়া সাহিত্য, যা মূলত কারবালা ও ইসলামি বেদনাগ্রস্ত কাহিনির উপর ভিত্তি করে মুসলমানদের রচিত, এর আদিকবি ছিলেন
-
তাঁর রচিত গ্রন্থের নাম জয়নবের চৌতিশা (১৫৭০ খ্রিষ্টাব্দ)
0
Updated: 1 month ago
'সাত সাগরের মাঝি' কাব্যগ্রন্থে মোট কয়টি কবিতা হয়েছে?
Created: 1 month ago
A
১৩টি
B
১৬টি
C
১৯টি
D
২১টি
সাত সাগরের মাঝি ফররুখ আহমদের প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ, যা মূলত জাগরণের উদ্দেশ্যে রচিত। এই কাব্যগ্রন্থে মোট উনিশটি কবিতা স্থান পেয়েছে, যা ১৯৪৩-৪৪ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে লেখা। কবি বাংলা প্রচলিত শব্দ পরিত্যাগ করে বহু অপ্রচলিত আরবি ও ফারসি শব্দ ব্যবহার করেছেন। পাশাপাশি, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সমাজচিত্রের বিরূপ প্রভাবও কাব্যগ্রন্থে ফুটে উঠেছে।
-
কাব্যনাট্য:
-
নৌফেল ও হাতেম
-
-
সনেট সংকলন:
-
মুহূর্তের কবিতা
-
-
কাহিনিকাব্য:
-
হাতেমতায়ী
-
-
শিশুতোষ গ্রন্থ:
-
পাখির বাসা
-
0
Updated: 1 month ago