কত সালে দেশের প্রথম অর্থনৈতিক শুমারি অনুষ্ঠিত হয়েছে?
A
১৯৭৪ সালে
B
১৯৭৭ সালে
C
১৯৮২ সালে
D
১৯৮৬ সালে
উত্তরের বিবরণ
দেশের
প্রথম অর্থনৈতিক শুমারি:
- বিবিএস-এর সেন্সাস উইং
দশকভিত্তিক তিনটি শুমারি যথাক্রমে জনশুমারি ও গৃহগণনা, কৃষি
শুমারি ও অর্থনৈতিক শুমারি
পরিচালনার জন্য দায়বদ্ধ।
- বাংলাদেশে স্বাধীনতা অর্জনের পর ১৯৭৪ সালে
প্রথম জনশুমারি ও গৃহগণনা, ১৯৭৭
সালে প্রথম কৃষি শুমারি এবং ১৯৮৬ সালে প্রথম অর্থনৈতিক শুমারি পরিচালিত হয়।
⇒
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) ১৯৮৬ সালে প্রথমবারের
মতো অর্থনৈতিক শুমারি পরিচালনা করে।
- সেবার এর শিরোনাম ছিল
‘Census on Non-Farm Economic Activities and Disabled Persons’।
- ১৯৮৬ সালের ২৭-২৯ ডিসেম্বর
দেশজুড়ে এ শুমারি পরিচালনা
করা হয়।
- ওই বছরের শুমারিতে যেসব প্রতিষ্ঠান এবং
খানা অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড করত, সেগুলোকে শুমারির
আওতায় আনা হয়েছিল।
- তবে কৃষি খানাগুলোকে শুমারির
আওতায় রাখা হয়নি।
এছাড়াও,
- ২য় অর্থনৈতিক শুমারিতে ২০০১ এবং ২০০৩
সালে দুটি পর্যায়ে তথ্য
সংগ্রহ করা হয়। শহর
এলাকায় ২০০১ সালে এবং
পল্লী এলাকায় ২০০৩ সালে।
- ৩য় অর্থনৈতিক শুমারি ২০১৩ সালে অনুষ্ঠিত
হয়।
- ২০২৪ সালে অনুষ্ঠিত হয়েছে
দেশের ৪র্থ অর্থনৈতিক শুমারি।
উল্লেখ্য,
- অর্থনৈতিক শুমারি হচ্ছে একটি নির্দিষ্ট সময়ে সুনির্ধারিত অর্থনৈতিক বৈশিষ্ট্যের প্রেক্ষিতে একটি নির্দিষ্ট সমগ্রকের (Population) সকল অর্থনৈতিক ইউনিটের পূর্ণাঙ্গ গণনা পদ্ধতি।
- অর্থনৈতিক শুমারির মূল লক্ষ্য হলো সময়ের বিবর্তনে একটি দেশের অর্থনীতিতে যে কাঠামোগত পরিবর্তন ঘটে, সে সম্পর্কে সম্যক ধারণা লাভ করা।
- অর্থনৈতিক শুমারির মাধ্যমে কৃষি বহির্ভূত অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের তথ্য সংগ্রহ করা হয়।
- পরিসংখ্যান আইন ২০১৩ অনুযায়ী বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) অর্থনৈতিক শুমারি সংক্রান্ত কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে।

0
Updated: 11 hours ago
মোস্ট-ফেভারড-নেশন (MFN) নীতি কোন সংস্থার সাথে সংশ্লিষ্ট?
Created: 1 week ago
A
জাতিসংঘ
B
বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা
C
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল
D
বিশ্ব ব্যাংক
মোস্ট-ফেভারড-নেশন (Most-Favored-Nation, MFN) নীতি মূলত বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (WTO)-র সঙ্গে সম্পর্কিত।
-
নীতির মূল বক্তব্য: কোনো দেশ তার বাণিজ্যিক অংশীদারদের সঙ্গে বৈষম্যহীন আচরণ করবে। অর্থাৎ, একটি দেশকে যে সুবিধা দেওয়া হবে, অন্য সব দেশকেও সেই একই সুবিধা দিতে হবে।
-
WTO-এর অধীনে, MFN নীতি সদস্য দেশগুলোর মধ্যে বৈষম্যহীন বাণিজ্য নিশ্চিত করে।
বিস্তারিত দিক:
-
নীতি বিভিন্ন রাষ্ট্রসমূহের মধ্যে সমতা স্থাপন করে।
-
চুক্তিভূক্ত কোনো দেশকে বিশেষ সুবিধা প্রদান করা হয় না।
-
চুক্তিভূক্ত দেশের সামগ্রীকে একই পর্যায়ে বিবেচনা করা হয়।
-
এর মাধ্যমে বাণিজ্যিক বৈষম্য কমানো এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের সমতা প্রতিষ্ঠিত হয়।
-
প্রাথমিকভাবে, MFN নীতি GATT (General Agreement on Tariffs and Trade) চুক্তির অধীনে কার্যকর ছিল, পরে এটি WTO-এর আওতায় চলে আসে।

0
Updated: 1 week ago
বাংলাদেশের সংবিধানের নবম ভাগে কোন বিষয়ের বিধান বর্ণিত হয়েছে?
Created: 2 days ago
A
নির্বাহী বিভাগ সম্পর্কিত বিধান
B
মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের দায়িত্ব
C
সরকারি কর্ম কমিশনের কার্যাবলি
D
সংবিধান সংশোধনের প্রক্রিয়া
বাংলাদেশের
সংবিধানের নবম ভাগ (অনুচ্ছেদ ১৩৭–১৪১) এ সরকারি কর্ম কমিশন সম্পর্কিত বিধান বর্ণিত হয়েছে।
বাংলাদেশ সরকারী কর্ম কমিশন:
- বাংলাদেশ সরকারী কর্ম কমিশন প্রজাতন্ত্রের
কর্মে নিয়োগের জন্য উপযুক্ত এবং
যোগ্যতাসম্পন্ন ব্যক্তি নির্বাচন করার ক্ষমতাপ্রাপ্ত একটি
সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান।
- প্রতিষ্ঠানটি বিভিন্ন দেশে তার প্রতিরূপ
সংস্থাসমূহের মতো প্রজাতন্ত্রের কর্মে
নিযুক্ত মানব সম্পদ পরিকল্পনায়
উৎকর্ষ সাধনের পাশাপাশি জনপ্রশাসন ব্যবস্থাপনায় নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ জাতীয়
ভূমিকা পালন করছে।
- কর্ম কমিশন দেশব্যাপি প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার মাধ্যমে, প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োগ লাভের উপযুক্ত ব্যক্তি নির্বাচন করে।
- গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ১৩৭ নং অনুচ্ছেদে
সরকারী কর্ম কমিশন প্রতিষ্ঠার
কথা বলা হয়েছে।
বাংলাদেশ
সংবিধান:
- সংবিধানের ১১টি ভাগ রয়েছে।
যথা:-
- সংবিধানের প্রথম ভাগে: প্রজাতন্ত্র;
- দ্বিতীয় ভাগে: রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতিসমূহ,
- তৃতীয় ভাগে: মৌলিক অধিকারসমূহ,
- চতুর্থ ভাগে: নির্বাহী বিভাগ,
- পঞ্চম ভাগে: আইনসভা,
- ষষ্ঠ ভাগে: বিচার বিভাগ,
- সপ্তম ভাগে: নির্বাচন,
- অষ্টম ভাগে: মহাহিসাব নিরীক্ষণ ও নিয়ন্ত্রক,
- নবম ভাগে: সরকারী কর্ম কমিশন,
- দশম ভাগে: সংবিধান সংশোধন ও
- একাদশ ভাগে: বিবিধ বিষয়াবলি আলোচনা করা হয়েছে।

0
Updated: 2 days ago
বায়ান্নের ভাষা আন্দোলনের সময় পূর্ব বাংলার গভর্নর ছিলেন কে?
Created: 4 days ago
A
টিক্কা খান
B
খাজা নাজিমুদ্দিন
C
ফিরোজ খান নুন
D
মোঃ নূরুল আমীন
ভাষা আন্দোলন:
- ভাষা আন্দোলন সময় পূর্ব বাংলার গভর্ণর ছিলেন ফিরোজ খান নুন।
- ১৯৫২ সালের জানুয়ারি মাসের শেষ দিকে খাজা নাজিমুদ্দিনের একটি উক্তি থেকে নতুন করে ভাষা আন্দোলন শুরু হয়।
- ২৭ জানুয়ারি নাজিমুদ্দিন ঘোষণা দেন, 'পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হবে উর্দু'।
- পূর্ববাংলা আইন পরিষদের অধিবেশনে ২২ ফেব্রুয়ারি পুনরায় ভাষা প্রশ্নে তুমুল বিতর্কের সৃষ্টি হয়।
- এই অধিবেশনের সরকারি কর্মকান্ডের কঠোর সমালোচনা করা হয়।
- পরিস্থিতির লক্ষ করে সরকারি দল রাষ্ট্রভাষা বাংলা সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব উত্থাপন করে।
- কিন্তু এই বিলের ওপর এক সংশোধনী প্রস্তাবে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার জন্য কেন্দ্রের নিকট সুপারিশ করা হয়।
- এরপর বিধান সভা ২৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মুলতবী করা হয়।
- কিন্তু গভর্নর ফিরোজ খান নুনের
উৎস: ইতিহাস, এসএসএইচএল উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 4 days ago