কত তারিখে পাকিস্তান বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদান করেছে?
A
১৯৭৪ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি
B
১৯৭৪ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি
C
১৯৭৪ সালের ২২ এপ্রিল
D
১৯৭৪ সালের ২৪ এপ্রিল
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশকে
পাকিস্তানের স্বীকৃতি:
- ১৯৭৪ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তান বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়।
⇒
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর আনুষ্ঠানিকভাবে মোট
১৫০টি দেশ স্বীকৃতি দিয়েছে।
- বাংলাদেশকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে সর্বপ্রথম স্বীকৃতি দেয় ভুটান এবং
ভারত। উভয় দেশই বাংলাদেশকে
৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে স্বীকৃতি
দিয়েছিল।
- অপরদিকে সর্বশেষ দেশ হিসেবে চীন
বাংলাদেশকে ১৯৭৫ সালের ৩১
আগস্ট স্বীকৃতি দেয়।
⇒ নানা
বাধা-বিপত্তির পরও দেখা যায়
স্বাধীন হবার মাত্র চার
বছরেরও কম সময়ে বাংলাদেশ
জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্র হয়েছিল আর শতাধিক দেশের
স্বীকৃতি আদায় করতে সক্ষম হয়েছিল।
- বিজয়ের পর পরই ১৯৭২
জানুয়ারি মাসেই পূর্ব জার্মানি, বুলগেরিয়া, পোল্যান্ড, মিয়ানমার, নেপাল, সোভিয়েত ইউনিয়ন স্বীকৃতি দেয়। ১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারি
মাসে যুক্তরাজ্যসহ সুইডেন, নরওয়ে, ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড, অস্ট্রিয়া নেদাল্যান্ডস এবং জাপান বাংলাদেশকে
স্বীকৃতি দেয়।

0
Updated: 12 hours ago
বাংলাদেশে কবে প্রথম জাতীয় ঔষধ নীতি প্রণীত হয়?
Created: 2 weeks ago
A
১৯৮২ সালে
B
১৯৮৩ সালে
C
১৯৮৪ সালে
D
১৯৮৫ সালে
জাতীয় ঔষধনীতি
-
প্রাথমিক প্রণয়ন:
-
বাংলাদেশে প্রথম জাতীয় ঔষধ নীতি প্রণীত হয় ১৯৮২ সালে।
-
নীতি গ্রহণের ফলে ওষুধের নিরাপত্তা ও মান নিশ্চিত হয়, দামের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত হয়, আমদানি নির্ভরতা কমে এবং দেশীয় ঔষধ শিল্পে স্বনির্ভরতা আসে।
-
নীতি আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত হয় এবং বাংলাদেশ ঔষধ সেক্টরের ভাবমূর্তি উন্নত হয়।
-
-
সর্বশেষ সংস্কার:
-
২০১৬ সালে জাতীয় ঔষধনীতি সংস্কার করা হয়।
-
সংবিধানের ১৫(ক), ১৫(ঘ) ও ১৮(১) ধারার প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়ে স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে সরকার জনগণকে নিশ্চয়তা দেয়।
-
এক সময় যেখানে প্রায় ৮০% ঔষধ আমদানি করা হত, বর্তমানে ৯৭% ঔষধ দেশেই উৎপাদিত হচ্ছে।
-
দেশীয় মানসম্মত ঔষধ ১১৩টি দেশে রপ্তানি হচ্ছে।
-
১৯৭৪ সালে বঙ্গবন্ধু ‘ঔষধ প্রশাসন পরিদপ্তর’ গঠন করেন।
-
-
জাতীয় ঔষধনীতির লক্ষ্যসমূহ:
১. জনগণকে নিরাপদ, কার্যকর ও মানসম্পন্ন ঔষধ সহজলভ্য মূল্যে নিশ্চিত করা।
২. ঔষধের যৌক্তিক ও নিরাপদ ব্যবহার এবং সুষ্ঠু বিতরণ (Dispensing) ব্যবস্থা নিশ্চিত করা।
৩. দেশীয় ঔষধ প্রস্তুতকারী শিল্পকে প্রয়োজনীয় সেবা ও সুযোগ-সুবিধা প্রদান, যাতে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জিত হয়।
৪. দেশের উৎপাদিত ঔষধের রপ্তানি বৃদ্ধি করা।
৫. ঔষধের কার্যকর নজরদারি (Surveillance) ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা।
উৎস: জাতীয় ঔষধনীতি-২০১৬

0
Updated: 2 weeks ago
মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশকে কয়টি সেক্টরে ভাগ করা হয়েছিল?
Created: 4 days ago
A
১১টি
B
৭টি
C
৮টি
D
১০টি
মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা:
- ১৯৭১ সালের ১০ই এপ্রিল মুজিবনগর সরকার গঠিত হয়।
- তখন সরকার ৪টি সামরিক জোনে বাংলাদেশকে ভাগ করে ৪ জন সেক্টর কমান্ডার নিযুক্ত করে।
- ১১ই এপ্রিল তা পুনর্গঠিত করে ১১টি সেক্টরে বিভক্ত করা হয়।
- এ ছাড়াও
তিনটি ব্রিগেড ফোর্স গঠিত হয়।

0
Updated: 4 days ago
জেনারেল এরশাদের পতনের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন কে?
Created: 1 week ago
A
বিচারপতি শাহাবুদ্দীন আহমদ
B
বিচারপতি হাবিবুর রহমান
C
বিচারপতি আবু সাইদ চৌধুরী
D
বিচারপতি লতিফুর রহমান
জেনারেল এরশাদের শাসনের অবসান ও গণতান্ত্রিক শক্তির পুনঃপ্রতিষ্ঠার ইতিহাসে ১৯৯০ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকার একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। এটি দেশের প্রথম অসামরিক উপায়ে ক্ষমতা হস্তান্তরের উদাহরণ হিসেবে পরিচিত।
-
জেনারেল এরশাদের বিরোধী আন্দোলন প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্যবদ্ধ ঘোষণার মাধ্যমে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পায়।
-
সারাদেশে আন্দোলন ব্যাপক আকার ধারণ করলে সরকার ২৭ নভেম্বর ১৯৯০ জরুরি অবস্থা জারি ও রাজনৈতিক তৎপরতা নিষিদ্ধ ঘোষণা করে।
-
জনগণ জরুরি অবস্থা উপেক্ষা করে রাস্তা আন্দোলনের মাধ্যমে এরশাদের পদত্যাগ দাবি করে।
-
সামরিক বাহিনী এরশাদকে সমর্থন প্রত্যাহার করলে তিনি নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের দাবি মেনে নেন।
-
১৯৯০ সালের ৪ ডিসেম্বর এরশাদ পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন।
-
৬ ডিসেম্বর ১৯৯০ উপ-রাষ্ট্রপতি মওদুদ আহমেদ পদত্যাগ করেন।
-
তিন-জোটের মনোনীত প্রার্থী, প্রধান বিচারপতি শাহাবুদ্দীন আহমেদকে উপ-রাষ্ট্রপতি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।
-
এরশাদ পদত্যাগ করে শাহাবুদ্দীনের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন।
-
এর মাধ্যমে এরশাদের শাসনের অবসান ঘটে এবং বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়।
-
এটি দেশের প্রথম অসামরিক উপায়ে ক্ষমতা হস্তান্তরের উদাহরণ।

0
Updated: 1 week ago