'ভিজিএফ' কোন মন্ত্রণালয়ের অধীন একটি ত্রাণ কর্মসূচি?
A
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়
B
খাদ্য মন্ত্রণালয়
C
সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়
D
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়
উত্তরের বিবরণ
ভিজিএফ (VGF) হলো দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অধীন একটি ত্রাণ ও মানবিক সহায়তা কর্মসূচি, যা দরিদ্র ও দুর্বল জনগোষ্ঠীর খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে পরিচালিত হয়।
VGF এর পূর্ণরূপ: Vulnerable Group Feeding
কর্মসূচির বাস্তবায়ন:
-
দুর্যোগকালীন, দুর্যোগ পরবর্তী ও কৃষি ক্ষেত্রে কর্মহীন সময়ের মানবিক সহায়তা প্রদান।
-
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মাধ্যমে দেশব্যাপী খাদ্য সহায়তা কার্যক্রম বাস্তবায়ন।
উদ্দেশ্য:
-
দরিদ্র ও দুঃস্থ জনগণের দুর্যোগ ঝুঁকি প্রশমন এবং খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
-
শিশু ও পীড়িত জনগণের রোগ প্রতিরোধে সহায়তা।
-
মন্দার সময়ে কর্মহীন জনগণের মধ্যে খাদ্য সরবরাহ করা।
-
উপকারভোগীদের সাময়িক সহায়তার মাধ্যমে দারিদ্র্য হ্রাস এবং বিশেষ করে অতি দরিদ্র জনগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখা।
উপকারভোগী:
-
ভূমিহীন ব্যক্তি, যাদের বসতভিটা ব্যতীত অন্য কোনো জমি নেই।
-
দরিদ্র ও অতি দরিদ্র পরিবার, যারা দৈনন্দিন দুই বেলা খাবার নিশ্চিত করতে অক্ষম।
-
প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার, যারা তীব্র খাদ্য ও অর্থ সংকটে রয়েছে।
-
বেকারত্বের কারণে খাদ্যসংকটের শিকার পরিবার।
-
বিশেষ পেশায় নিয়োজিত অতি দরিদ্র ব্যক্তি/পরিবার, যাদের জনস্বার্থে পেশা থেকে অব্যাহতি দেওয়া প্রয়োজন।
-
প্রাথমিক বিদ্যালয়গামী শিশুরা, যারা অপুষ্টিতে ভুগছে।
0
Updated: 1 month ago
২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে মূল্যস্ফীতির লক্ষ্য কত?
Created: 1 month ago
A
৭.৫%
B
৬.৫%
C
৫.৫%
D
৮.৫%
বাজেট ২০২৫-২৬ অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ দ্বারা ঘোষণা করা হয়েছে। বাজেট বক্তৃতার শিরোনাম ছিল 'বৈষম্যহীন ও টেকসই অর্থনৈতিক ব্যবস্থা গড়ার প্রত্যয়'।
-
বাজেটের পরিমাণ: ৭ লাখ ৮৯ হাজার ৯৯৯ কোটি টাকা
-
বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি): ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা
-
রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা: ৫ লাখ ৬৪ হাজার কোটি টাকা
-
বাজেটে ঘাটতি: বাজেটের ৩.৬২ শতাংশ
-
বাজেটের পরিচালন ব্যয়: ৫ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকা
-
প্রস্তাবিত জিডিপি বৃদ্ধির হার: ৫.৫ শতাংশ
-
মূল্যস্ফীতির লক্ষ্য: ৬.৫ শতাংশ
-
নতুন সংযুক্তি: করমুক্ত আয়সীমায় যোগ হয়েছে "জুলাই যোদ্ধা"
0
Updated: 1 month ago
অষ্টম সংশোধনীর মাধ্যমে বিচার বিভাগের কোন পরিবর্তন আনা হয়?
Created: 1 month ago
A
রাষ্ট্রপতির অধীনে হাইকোর্ট আনা
B
আপিল বিভাগ বাতিল
C
ঢাকার বাইরে হাইকোর্টের ছয়টি বেঞ্চ স্থাপন
D
সুপ্রিম কোর্ট বাতিল
৮ম সংশোধনী (১৯৮৮)
৮ম সংবিধান সংশোধনী ১৯৮৮ সালে গৃহীত হয় এবং এটি সংবিধানের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অনুচ্ছেদে পরিবর্তন আনে। সংশোধনী সম্পর্কিত প্রধান তথ্যসমূহ নিম্নরূপ:
-
সংবিধানের সংশোধিত অনুচ্ছেদসমূহ: ২ক, ৩, ৫, ৩০ ও ১০০
-
মূল পরিবর্তনসমূহ:
১. ইসলামকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
২. ঢাকার বাইরে হাইকোর্ট বিভাগের ছয়টি স্থায়ী বেঞ্চ স্থাপনের মাধ্যমে বিচার বিভাগের বিকেন্দ্রীকরণ সম্পন্ন করা হয়।
৩. সংবিধানের ৫ অনুচ্ছেদে Bengali শব্দটি পরিবর্তন করে Bangla, এবং Dacca পরিবর্তন করে Dhaka করা হয়।
৪. সংবিধানের ৩০ অনুচ্ছেদে পরিবর্তন আনা হয়, যার মাধ্যমে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির পূর্বানুমতি ছাড়া কোনো নাগরিক বিদেশী রাষ্ট্রের প্রদত্ত খেতাব, সম্মাননা বা পুরস্কার গ্রহণ করতে পারবে না। -
আইনি প্রেক্ষাপট: ১৯৮৯ সালে আপীল বিভাগ হাইকোর্টের বেঞ্চ স্থাপন সংক্রান্ত ধারা অসাংবিধানিক বলে রায় প্রদান করে।
0
Updated: 1 month ago
২০২৫ সালে ’স্বাধীনতা পুরস্কার’ মুক্তিযুদ্ধ ও সংস্কৃতিতে লাভ করেন কে?
Created: 1 month ago
A
অধ্যাপক জামাল নজরুল ইসলাম
B
বদরুদ্দীন মোহাম্মদ উমর
C
মোহাম্মদ মাহবুবুল হক খান
D
স্যার ফজলে হাসান আবেদ
স্বাধীনতা পুরস্কার বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা, যা প্রতিবছর স্বাধীনতা দিবসে প্রদান করা হয়। ২০২৫ সালে মোট ৭ জন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে এই পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছে। এর মাধ্যমে তাঁদের সমাজ, সংস্কৃতি, শিক্ষা, বিজ্ঞানসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানকে স্মরণ ও সম্মান জানানো হয়েছে।
-
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি: অধ্যাপক জামাল নজরুল ইসলাম (মরণোত্তর)
-
সাহিত্য: মীর আবদুস শুকুর আল মাহমুদ (মরণোত্তর)
-
সংস্কৃতি: নভেরা আহমেদ (মরণোত্তর)
-
সমাজসেবা: স্যার ফজলে হাসান আবেদ (মরণোত্তর)
-
মুক্তিযুদ্ধ ও সংস্কৃতি: মোহাম্মদ মাহবুবুল হক খান ওরফে আজম খান (মরণোত্তর)
-
শিক্ষা ও গবেষণা: বদরুদ্দীন মোহাম্মদ উমর
-
প্রতিবাদী তারুণ্য: আবরার ফাহাদ (মরণোত্তর)
অতিরিক্ত তথ্য হিসেবে উল্লেখ করা যায় যে—
-
স্বাধীনতা পদক হলো বাংলাদেশ সরকারের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা।
-
এই পদক ১৯৭৭ সাল থেকে প্রতিবছর ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসে প্রদান করা হচ্ছে।
-
১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের বীর শহিদদের স্মরণে এই পুরস্কার প্রবর্তন করা হয়।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago