'ভিজিএফ' কোন মন্ত্রণালয়ের অধীন একটি ত্রাণ কর্মসূচি?
A
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়
B
খাদ্য মন্ত্রণালয়
C
সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়
D
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়
উত্তরের বিবরণ
'ভিজিএফ'
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অধীন একটি ত্রাণ কর্মসূচি।
VGF:
- VGF- এর পূর্ণরূপ: Vulnerable Group
Feeding.
- দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়
দুর্যোগকালিন ও দুর্যোগ পরবর্তী
সময়ে এবং কৃষি ক্ষেত্রে
কর্মহীন সময়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা
অধিদপ্তরের মাধ্যমে দেশব্যাপী মানবিক সহায়তা কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে থাকে।
⇒ ভিজিএফ
একটি মানবিক সহায়তা কর্মসূচি, যার মাধ্যমে সরকার
দরিদ্র পরিবারের মধ্যে খাদ্য বিতরণ করে থাকে। ভিজিএফ
কর্মসূচিতে প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত জনগণের মধ্যে খাদ্যশস্য সরবরাহ করা হয়। এই
কর্মসূচির উদ্দেশ্য হচ্ছে দরিদ্র পরিবারের দারিদ্র্য হ্রাস করা : (১) দুঃস্থ ও
গরীর জনগণের দুর্যোগ ঝুঁকি প্রশমন করার লক্ষ্যে খাদ্য
নিরাপত্তা নিশ্চিত করা; (২) পীড়িত জনগণ
এবং শিশুদের রোগ প্রতিরোধ করা;
(৩) মন্দার সময়ে কর্মহীন জনগণের
মধ্যে খাদ্য সরবরাহ করা; (৪) উপকারভোগীদেরকে সাময়িক
সাহায্যের মাধ্যমে দারিদ্র্য নিরসনে অবদান রাখা, বিশেষ করে অতিদরিদ্র জনগোষ্ঠীর
আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সহায়তা করা।
⇒ এই
কর্মসূচির উপকারভোগী হচ্ছে: (১) যার বসতভিটা
ব্যতীত অন্য কোন জমি
নাই এরূপ ভূমিহীন ব্যক্তি;
(২)দরিদ্র ও অতিদরিদ্র ব্যক্তি/পরিবার, যারা সাধারণত: দৈনিক
২ বেলা খাবারের ব্যবস্থা
করতে পারে না; (৩)প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি/পরিবার, যারা তীব্র খাদ্য
ও অর্থ সংকটাপন্ন; (৪)
ব্যক্তি/পরিবার যারা বেকারত্বের জন্য
খাদ্যের ব্যবস্থা করতে পারে না;
(৫) অতি দরিদ্র ব্যক্তি/পরিবার, যারা বিশেষ পেশায়
নিয়োজিত এবং যাদেরকে জনস্বার্থে
তাদের পেশা থেকে নিবৃত
রাখা প্রয়োজন হয়; (৬) প্রাথমিক
বিদ্যালয়গামী শিশু, যারা অপুষ্টিতে ভুগছে।

0
Updated: 11 hours ago
কোন নৃগোষ্ঠী বাংলাদেশে বাস করে না?
Created: 1 week ago
A
কোচ
B
ডালু
C
চাক
D
নাগা
নাগা, কোচ, ডালু এবং চাক বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বসবাসকারী ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী, যারা নিজস্ব ভাষা, সংস্কৃতি ও সামাজিক প্রথা ধরে রেখেছে।
প্রধান তথ্যগুলো হলো:
-
নাগা:
-
নাগা নৃগোষ্ঠী মূলত ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে বসবাস করে।
-
-
কোচ:
-
কোচ বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার অঞ্চলের একটি প্রাচীন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী।
-
বর্তমানে তারা ময়মনসিংহ জেলার শেরপুরের ঝিনাইগাতী, নালিতাবাড়ী ও শ্রীবর্দী উপজেলায় বসবাস করছে।
-
তাদের বিস্তৃতি মূলত আদিভূমি কোচবিহার থেকে এসেছে।
-
-
ডালু:
-
ডালু জাতি বাংলাদেশে বসবাসকারী একটি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী।
-
তারা মূলত ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট ও শেরপুরের নালিতাবাড়ি এলাকায় অবস্থান করছে।
-
অনেকের ধারণা, তাদের আসল ভাষা হলো মণিপুরি।
-
-
চাক:
-
চাক বাংলাদেশের একটি উপজাতি, যারা বান্দরবান, চট্টগ্রামের চাক পাহাড় ও মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে বসবাস করে।
-
তারা নিজেদের ভাষা চাক ভাষা বলে পরিচিত।
-
চাক ভাষায় ‘চক’ শব্দের অর্থ হলো ‘দাঁড়ানো’।
-

0
Updated: 1 week ago
পাকিস্তান আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশকে কোন সালে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করে?
Created: 2 days ago
A
১৯৭৪ সাল
B
১৯৭৫ সাল
C
১৯৭৩ সাল
D
১৯৭৬ সাল
২২
ফেব্রুয়ারি, ১৯৭৪ সালে পাকিস্তান বাংলাদেশকে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করে।
বাংলাদেশকে
স্বীকৃতি:
- পাকিস্তান বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদান করে ১৯৭৪ সালের ২২শে ফেব্রুয়ারি।
- ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর ভারত
ও ভূটান বাংলাদেশকে প্রথম স্বীকৃতি প্রদান করে।
- ১৯৭২ জানুয়ারি মাসেই পূর্ব জার্মানি, বুলগেরিয়া, পোল্যান্ড, মিয়ানমার, নেপাল, সোভিয়েত ইউনিয়ন স্বীকৃতি দেয়
- ১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে যুক্তরাজ্যসহ সুইডেন,
নরওয়ে, ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড, অস্ট্রিয়া নেদাল্যান্ডস এবং জাপান বাংলাদেশকে
স্বীকৃতি দেয়।
- যুক্তরাষ্ট্র ১৯৭২ সালের এপ্রিল
মাসে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেয় বাংলাদেশকে।

0
Updated: 2 days ago
১৯৩০ সালের চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠন অভিযানের নেতৃত্ব কে দিয়েছিলেন?
Created: 6 days ago
A
নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু
B
প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার
C
ভগৎ সিং
D
মাস্টারদা সূর্য সেন
১৯৩০ সালের চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠন অভিযানের নেতৃত্ব দেন মাস্টারদা সূর্য সেন, যিনি চট্টগ্রামের স্বাধীনতা সংগ্রামের এক উল্লেখযোগ্য বিপ্লবী নেতা ছিলেন। তাঁর জীবন ও কর্মকাণ্ডের গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো নিম্নরূপ:
-
পূর্ণ নাম: সূর্যকুমার সেন।
-
জন্ম: ১৮৯৪ সালে চট্টগ্রামের রাউজান থানার নোয়াপাড়া গ্রামে।
-
বিএ পড়ার সময় তিনি তাঁর শিক্ষক সতীশ চন্দ্র চক্রবর্তী কর্তৃক বৈপ্লবিক আদর্শে দীক্ষিত হন।
-
অধ্যাপক সতীশ চন্দ্র চক্রবর্তী যুগান্তর নামে বিপ্লবী দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
-
-
১৯১৬ সালে মুর্শিদাবাদের বহরমপুর কৃষ্ণনাথ কলেজে বি.এ. শ্রেণিতে অধ্যয়নকালে সতীশ চন্দ্র চক্রবর্তী তাঁকে বৈপ্লবিক আদর্শে দীক্ষিত করেন।
-
১৯১৮ সালে চট্টগ্রামে ফিরে তিনি বিপ্লবী যুগান্তর দলকে পুনরুজ্জীবিত করেন।
-
শিক্ষকতা করার কারণে পরিচিত মহলে তাঁকে ‘মাস্টারদা’ আখ্যা দেওয়া হয়।
-
সূর্য সেন নোয়াপাড়া উচ্চ ইংরেজি বিদ্যালয়ের ছাত্র থাকাকালীন ১৯০৫ সালের বঙ্গভঙ্গকে কেন্দ্র করে বাংলায় স্বদেশী আন্দোলন শুরু হয়।
-
ক্রমে এই আন্দোলন চট্টগ্রাম এলাকায় বিপ্লবী আন্দোলনে রূপ নেয়।
-
-
চট্টগ্রামে ফিরে তিনি ব্রিটিশ বিরোধী একটি বিপ্লবী দল গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নেন।
-
১৯৩০ সালের ১৮ এপ্রিল চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠন অভিযান পরিচালনা করা হয়, যা সূর্যসেনের নেতৃত্বে বিপ্লবীদের দীর্ঘ সময়ের প্রস্তুতি ও সুষ্ঠু পরিকল্পনার ফল ছিল।
-
১৯৩৪ সালের ১২ জানুয়ারি চট্টগ্রাম কারাগারে তাঁর ফাঁসি কার্যকর হয়।
উৎস:

0
Updated: 6 days ago