পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে কার নেতৃত্বে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি প্রতিষ্ঠিত হয়?
A
ঘনশ্যাম দেওয়ান
B
স্নেহকুমার চাকমা
C
জোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা
D
মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা
উত্তরের বিবরণ
পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর রাজনৈতিক সংগঠন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমার নেতৃত্বে ১৯৭৩ সালে গঠিত হয়েছিল, প্রধান উদ্দেশ্য ছিল পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার, মানবতাবাদ, জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র এবং ধর্মনিরপেক্ষতা নিশ্চিত করা। সমিতি বিভিন্ন ক্ষুদ্র জাতিসত্তার স্বার্থ রক্ষা ও রাজনৈতিক অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে কাজ করেছে, যার মধ্যে চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, বম, মুরং, পাঙ্খো, খুমি, চাক, খিয়াং, লুসাই প্রভৃতি জাতিগোষ্ঠী অন্তর্ভুক্ত।
জেএসএস-এর কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে:
-
পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর দাবিদাওয়া আদায়ের জন্য সশস্ত্র সংগ্রাম পরিচালনা।
-
সমিতির সামরিক শাখা শান্তি বাহিনী, গ্রাম পঞ্চায়েত, যুব সমিতি ও মহিলা সমিতি পরিচালনা।
-
১৯৭২ সালের ২৪ এপ্রিল মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা বাংলাদেশের খসড়া সংবিধান প্রণেতাদের কাছে পার্বত্য চট্টগ্রামের স্বায়ত্তশাসনের দাবিসহ চার দফা দাবি পেশ করেন। সরকার দাবিগুলো প্রত্যাখ্যান করলে পাহাড়ি জনগোষ্ঠীতে অসন্তোষ সৃষ্টি হয় এবং জুম্ম জাতীয়তাবাদ ও জুম্মল্যান্ড ধারণা জন্ম নেয়।
-
১৯৯৬ সালের ১৪ অক্টোবর, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক ১১-সদস্য বিশিষ্ট জাতীয় কমিটি গঠিত হয়, যা সরকারের পক্ষ থেকে জনসংহতি সমিতির দাবির প্রতি ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করে।
-
১৯৯৭ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর, উভয় পক্ষ শান্তিচুক্তি স্থাপনের ঐক্যমতে পৌঁছায় এবং ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সমাধান হয়।
-
শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরের পর জেএসএস রাজনৈতিক দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে।
0
Updated: 1 month ago
মুঘল যুগের প্রশাসনিক ব্যবস্থায় পরগণার প্রধান নির্বাহীকর্তা ছিলেন কে?
Created: 1 month ago
A
ফৌজদার
B
শিকদার
C
সুবাহদার
D
ওয়াজির
মুঘল যুগের প্রশাসনিক ব্যবস্থা ছিল এক-কেন্দ্রিক ও স্বৈরতন্ত্রী হলেও জনকল্যাণকামী এবং প্রধানত সামরিক শক্তির ওপর নির্ভরশীল। একমাত্র সদর ও কাজী ছাড়া সকল কর্মকর্তা সামরিক দায়িত্ব পালন করতেন। মুঘল শাসনব্যবস্থার মূল কাঠামো তুর্কি-পারস্য শাসন ব্যবস্থার অনুকরণে গঠিত হয়।
-
কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক শাসন: মুঘলরা শক্তিশালী কেন্দ্রীয় শাসনের পাশাপাশি স্থানীয় প্রাদেশিক শাসন কাঠামোও গড়ে তুলেছিলেন
-
ক্ষমতার উৎস: ‘পাদশাহ’ বা সম্রাট ছিলেন রাষ্ট্রের সর্বময় ক্ষমতার কেন্দ্র, একাধারে রাষ্ট্রীয় প্রধান, সামরিক প্রধান ও প্রধান বিচারক
-
প্রধান কর্মকর্তা: সম্রাটের পর প্রধানমন্ত্রী বা ওয়াজিরের স্থান
-
প্রদেশ বিভাজন: সাম্রাজ্যকে ‘সুবাহ’ বা প্রদেশে ভাগ করা হয়
-
সুবাহদার: সুবাহর প্রধান নির্বাহক
-
প্রতিটি প্রদেশ কয়েকটি সরকার বা জেলায় বিভক্ত
-
প্রতিটি সরকার কয়েকটি পরগনায় বিভক্ত
-
ফৌজদার: সরকারের প্রধান নির্বাহীকর্তা
-
শিকদার: পরগণার প্রধান নির্বাহীকর্তা
-
0
Updated: 1 month ago
National Academy for Primary Education কোথায় অবস্থিত?
Created: 2 months ago
A
ঢাকা
B
গাজীপুর
C
ময়মনসিংহ
D
পাবনা
National Academy for Primary Education (নেপ):
-
অবস্থান: ময়মনসিংহ।
-
প্রতিষ্ঠা: নেপ সর্বপ্রথম ১৯৬৯ সালে জুনিয়র ট্রেনিং কলেজ (জেটিসি) হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়।
-
মহান স্বাধীনতার পর: ১৯৭২ সালে জুনিয়র ট্রেনিং কলেজগুলো রূপান্তরিত হয়ে কলেজ অব এডুকেশন নামে কার্যক্রম শুরু করে।
-
১৯৭৮ সালে: ময়মনসিংহস্থ কলেজ অব এডুকেশন "মৌলিক শিক্ষা একাডেমি" (Academy for Fundamental Education) নামে প্রতিষ্ঠিত হয়।
-
১৯৮৫ সালে: এর নামকরণ করা হয় জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমি (নেপ)।
-
২০০৪ সালের ১ অক্টোবর থেকে একাডেমি স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে কার্যক্রম পরিচালনা করে।
সূত্র: নেপ ওয়েবসাইট
0
Updated: 2 months ago
বাংলাদেশের প্রশাসনিক কাঠামো কয় স্তর বিশিষ্ট?
Created: 1 month ago
A
পাঁচ
B
দুই
C
চার
D
এক
বাংলাদেশের প্রশাসনিক কাঠামো
বাংলাদেশের প্রশাসন দুই স্তরে বিভক্ত: কেন্দ্রীয় প্রশাসন ও মাঠ প্রশাসন।
১. কেন্দ্রীয় প্রশাসন (সচিবালয়)
-
দেশের সব ধরনের প্রশাসনিক নীতি ও সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় পর্যায়ে গ্রহণ করা হয়।
-
কেন্দ্রীয় পর্যায়ে গৃহীত নীতি ও সিদ্ধান্ত মাঠ প্রশাসনের মাধ্যমে সারাদেশে বাস্তবায়িত হয়।
২. মাঠ প্রশাসন
মাঠ প্রশাসন মূলত কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ন্ত্রণে পরিচালিত হয়।
-
প্রথম ধাপ: বিভাগীয় প্রশাসন
-
দ্বিতীয় ধাপ: জেলা প্রশাসন
-
তৃতীয় ধাপ: উপজেলা প্রশাসন
-
উপজেলা প্রশাসন তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত বিস্তৃত, জনগণের নিকট প্রশাসনিক সেবা পৌঁছে দেয়।
-
0
Updated: 1 month ago