ওয়েজ আর্নার্স স্কিম কত সালে প্রবর্তিত হয়েছিল?
A
১৯৭২ সালে
B
১৯৭৩ সালে
C
১৯৭৪ সালে
D
১৯৭৫ সালে
উত্তরের বিবরণ
ওয়েজ আর্নার্স স্কিম ১৯৭৪ সালে প্রবর্তিত হয়। এই স্কিমের মূল উদ্দেশ্য ছিল বিদেশে কর্মরত বাংলাদেশি নাগরিকদের অর্জিত আয় সরকারি চ্যানেলের মাধ্যমে দেশে প্রেরণের জন্য উৎসাহ প্রদান করা। বৈদেশিক মুদ্রা মজুত থাকার কারণে আমদানিকারকরা অনুকূলে বৈদেশিক মুদ্রা পেতেন না, ফলে স্কিমটি কার্যকর হয়। এছাড়া, প্রবাসী শ্রমজীবীদের প্রেরিত অর্থ খোলাবাজার বিনিময় হারের কাছাকাছি হারে বিনিময়ের জন্যও স্কিমটি চালু করা হয়।
প্রবাসী কর্মীদের অবদান এবং তাদের পরিবারকে সহায়তা, উদ্ভূত সমস্যা সমাধান এবং সার্বিক কল্যাণমূলক কার্যক্রম পরিচালনার উদ্দেশ্যে সরকার ১৯৯০ সালে Emigration Ordinance-1982 এর ১৯(১) ধারার ক্ষমতায় “ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ তহবিল” গঠন করে। পরবর্তীতে “ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড আইন, ২০১৮” এর মাধ্যমে এই বোর্ডকে একটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হয়।
0
Updated: 1 month ago
পিতা-মাতার ভরণ-পোষণ আইন, ২০১৩ অনুসারে পিতা-মাতার ভরণ-পোষণ না করলে অর্থদণ্ড অনাদায়ের ক্ষেত্রে কত মাসের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবে?
Created: 1 month ago
A
৩ মাস
B
৫ মাস
C
২ মাস
D
৬ মাস
পিতা-মাতার ভরণ-পোষণ আইন, ২০১৩ সন্তানের মাধ্যমে পিতা-মাতা তথা পরিবারের প্রবীণ সদস্যদের ভরণ-পোষণ নিশ্চিত করার জন্য প্রণীত।
-
আইনটি প্রণয়ন করা হয় ২০১৩ সালে, যার উদ্দেশ্য হলো সন্তান কর্তৃক পিতা-মাতার ভরণ-পোষণ নিশ্চিত করা।
-
ধারা ৩ অনুযায়ী, প্রত্যেক সন্তান তার পিতা-মাতার ভরণ-পোষণ নিশ্চিত করতে বাধ্য।
-
ধারা ৪ অনুযায়ী,
-
পিতার অবর্তমানে সন্তানকে দাদা-দাদীর ভরণ-পোষণ করতে হবে,
-
মাতার অবর্তমানে সন্তানকে নানা-নানীর ভরণ-পোষণ করতে হবে,
এবং এই ভরণ-পোষণ পিতা-মাতার ভরণ-পোষণের অন্তর্ভুক্ত বলে গণ্য হবে।
-
-
ধারা ৫ অনুযায়ী, ভরণ-পোষণ না করলে শাস্তির বিধান রয়েছে—
-
ধারা ৩ বা ৪ এর বিধান লঙ্ঘন অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।
-
এর জন্য সর্বোচ্চ ১ লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড হতে পারে।
-
অর্থদণ্ড অনাদায়ে সর্বোচ্চ ৩ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হবে।
-
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
বর্তমানে দেশে স্বীকৃত ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী কয়টি? [আগস্ট, ২০২৫]
Created: 2 months ago
A
৪৮টি
B
৪৯টি
C
৫০টি
D
৫১টি
বাংলাদেশের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী
-
সংখ্যা ও স্বীকৃতি:
-
দেশে বর্তমানে ৫০টি স্বীকৃত ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী রয়েছে (জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ অনুযায়ী)।
-
-
ভৌগোলিক বিস্তৃতি:
-
সবচেয়ে বেশি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী রাঙামাটিতে বসবাস করে।
-
পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ি দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে।
-
মোট মানুষের মধ্যে পুরুষ ৪৯.৯৮%, নারী ৫০.০২%।
-
৬০.০৪% চট্টগ্রাম বিভাগে, ১৪.৮২% রাজশাহী, ৮.২৮% সিলেট, ৫.৫২% রংপুর, ৪.৯৯% ঢাকা বিভাগে বসবাস করে।
-
-
প্রধান জনগোষ্ঠী ও বৈচিত্র্য:
-
পার্বত্য চট্টগ্রামে ১৩টি ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মানুষ বসবাস করে।
-
উল্লেখযোগ্য গোষ্ঠী: চাকমা, ত্রিপুরা, ম্রো, খুমি, লুসাই, মারমা, রাখাইন, চাক, বম, খেয়াং, পাঙ্খোয়া।
-
-
সর্ববৃহৎ গোষ্ঠী:
১. চাকমা
২. মারমা
৩. ত্রিপুরা
উৎস:
i) জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২
ii) প্রথম আলো
0
Updated: 2 months ago
বাংলায় স্বাধীন নবাবী শাসনের প্রতিষ্ঠাতা কে?
Created: 1 month ago
A
আলীবর্দী খান
B
সিরাজ-উদ-দৌলা
C
মুর্শিদকুলী খান
D
সুজাউদ্দিন খান
বাংলায় নবাবী শাসনের সূচনা মুর্শিদকুলী খানের মাধ্যমে হয় এবং তিনি বঙ্গের নবাবী শাসনের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন।
বাংলায় নবাবী শাসন:
-
মুর্শিদকুলী খান ছিলেন মুঘল সম্রাট কর্তৃক নিযুক্ত বাংলার শেষ সুবাদা।
-
সম্রাট আওরঙ্গজেবের পরে দিল্লির দুর্বল শাসনের কারণে বাংলার সুবাদারগণ প্রায় স্বাধীনভাবে রাজত্ব করতে শুরু করেন।
-
মোগল আমলের এই সময়কালকে নবাবী আমল বলা হয়।
-
নবাবদের শাসনকাল প্রায় ৫০ বছর, ১৭৫৭ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত স্থায়ী ছিল।
-
নবাবী শাসনের সূচনাকারী ছিলেন নবাব মুর্শিদকুলী খান।
উল্লেখযোগ্য তথ্য:
-
বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব ছিলেন নবাব সিরাজউদ্দৌলা।
-
আলাউদ্দিন হুসেন শাহ ছিলেন হুসেন শাহী রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রথম শাসক।
-
ফখরুদ্দীন মুবারক শাহ (১৩৩৮-১৩৪৯) ছিলেন বাংলায় প্রথম স্বাধীন মুসলিম সালতানাতের প্রতিষ্ঠাতা।
সূত্র:
0
Updated: 1 month ago