ক্লাউড কম্পিউটিং-এ কোন মডেলে একাধিক সংস্থা একটি ইনফ্রাস্ট্রাকচার শেয়ার করে?
A
হাইব্রিড ক্লাউড
B
কমিউনিটি ক্লাউড
C
ডিস্ট্রিবিউটেড ক্লাউড
D
প্রাইভেট ক্লাউড
উত্তরের বিবরণ
ক্লাউড কম্পিউটিং এর প্রকারভেদ মূলত ক্লাউড ব্যবহারকারী এবং তাদের চাহিদা অনুযায়ী নির্ধারিত হয়।
পাবলিক ক্লাউড (Public Cloud):
-
এটি এমন ক্লাউড যা সাধারণ জনগণের জন্য উন্মুক্ত। যে টাকা দেবে, সেই সার্ভিস পাবে।
-
উদাহরণ: Amazon EC2।
-
সুবিধা: যে কেউ এর সেবা নিতে পারে।
প্রাইভেট ক্লাউড (Private Cloud):
-
বড় কোনো সংস্থা নিজেদের অভ্যন্তরীণ পরিষেবা দেওয়ার জন্য ক্লাউড সিস্টেম ডেভেলপ করলে তাকে প্রাইভেট ক্লাউড বলা হয়।
-
এটি সাধারণত সংস্থার অভ্যন্তরীণভাবে নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনা করা হয়।
-
এতে খরচ বেশি হয়, নিজস্ব ডেটা সেন্টার বসাতে হয় এবং রক্ষণাবেক্ষণের জন্য নিজস্ব জনবল রাখতে হয়।
হাইব্রিড ক্লাউড (Hybrid Cloud):
-
পাবলিক এবং প্রাইভেট ক্লাউডের সংমিশ্রণ।
-
প্রাইভেট ক্লাউড দিয়ে প্রাথমিক চাহিদা মেটানো হয়, আর প্রাইভেট ক্লাউডের ধারণক্ষমতা অতিক্রান্ত হলে পাবলিক ক্লাউডের সাহায্য নেওয়া হয়।
-
খরচ পাবলিক ক্লাউডের তুলনায় বেশি।
কমিউনিটি ক্লাউড (Community Cloud):
-
কোনো বিশেষ কমিউনিটির জন্য ডেভেলপ করা ক্লাউড।
-
সুবিধা: কমিউনিটির মধ্যে ইউজার সীমাবদ্ধ থাকায় নিরাপত্তা নিশ্চিত।
-
অসুবিধা: ক্লায়েন্টের সংখ্যা সীমিত হওয়ায় খরচ বেশি।
0
Updated: 1 month ago
গ্রাহকের চাহিদা অনুযায়ী, ইউটিলিটি-ভিত্তিক কম্পিউটিং পরিষেবা প্রদানের জন্য কোন প্রযুক্তিটি Distributed Computing এর একটি দৃষ্টান্ত?
Created: 2 weeks ago
A
Remote Sensing
B
Cloud Computing
C
Remote Invocation
D
Private Computing
ক্লাউড কম্পিউটিং (Cloud Computing) হলো এমন একটি আধুনিক কম্পিউটিং প্রযুক্তি, যেখানে ইন্টারনেট ও কেন্দ্রীয় রিমোট সার্ভার ব্যবহার করে তথ্য ও অ্যাপ্লিকেশন সংরক্ষণ, নিয়ন্ত্রণ এবং ব্যবস্থাপনা করা যায়। অর্থাৎ, ব্যবহারকারীকে নিজস্ব কম্পিউটার বা সার্ভারে ডেটা সংরক্ষণের পরিবর্তে ইন্টারনেটের মাধ্যমে অনলাইন সার্ভার ব্যবহার করে কাজ করার সুযোগ দেয় এই প্রযুক্তি। এটি বর্তমানে ডিস্ট্রিবিউটেড কম্পিউটিং (Distributed Computing)-এর অন্যতম বাস্তব উদাহরণ।
ক্লাউড কম্পিউটিং-এর সংজ্ঞা (NIST অনুযায়ী):
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেকনোলজি (NIST) অনুসারে, ক্লাউড কম্পিউটিং হলো এমন একটি মডেল যা ব্যবহারকারীকে তার প্রয়োজনীয় তথ্য ও অ্যাপ্লিকেশন কোনো সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের সার্ভারে সংরক্ষণ ও পরিচালনার সুযোগ দেয়। এতে তিনটি মৌলিক বৈশিষ্ট্য থাকতে হবে:
১. Resource Flexibility/Scalability (যত চাহিদা, তত সেবা):
-
গ্রাহক বা ব্যবহারকারী তার প্রয়োজন অনুযায়ী সেবা নিতে পারে এবং প্রয়োজন বাড়লে বা কমলে সেটি সহজেই পরিবর্তন করা যায়।
-
ক্লাউড সার্ভিস প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান গ্রাহকের চাহিদা অনুযায়ী সার্ভার ক্ষমতা, স্টোরেজ বা ব্যান্ডউইথ বাড়াতে বা কমাতে পারে।
-
ফলে এটি অত্যন্ত স্থিতিস্থাপক (Flexible) ও স্কেলেবল (Scalable) একটি সেবা ব্যবস্থা।
২. On Demand Service (যখন চাহিদা, তখন সেবা):
-
ব্যবহারকারী যখনই সেবা প্রয়োজন মনে করবে, তখনই সেটি ব্যবহার করতে পারবে।
-
কোনো নির্দিষ্ট সময় বা স্থানে সীমাবদ্ধ না থেকে এটি ২৪/৭ অনলাইন সেবা প্রদান করে।
-
ব্যবহারকারী চাইলে সহজেই তার সার্ভিসের পরিমাণ বৃদ্ধি বা হ্রাস করতে পারে।
৩. Pay as You Go (যখন ব্যবহার, তখন মূল্যশোধ):
-
ক্লাউড কম্পিউটিং-এ আগাম কোনো রিজার্ভেশন বা স্থায়ী বিনিয়োগের প্রয়োজন হয় না।
-
গ্রাহক শুধুমাত্র যতটুকু সেবা ব্যবহার করবে, ততটুকুর জন্যই মূল্য প্রদান (Payment) করবে।
-
এই মডেলটি ঠিক ইউটিলিটি বিলের মতো—যেমন বিদ্যুৎ বা পানির বিল ব্যবহার অনুযায়ী প্রদান করা হয়।
ক্লাউড কম্পিউটিং-এর বৈশিষ্ট্য ও সুবিধা:
-
ডেটা স্টোরেজ ও ব্যাকআপ সহজে করা যায়, কারণ সমস্ত তথ্য অনলাইন সার্ভারে সংরক্ষিত থাকে।
-
অ্যাক্সেসিবিলিটি: ইন্টারনেট সংযোগ থাকলেই পৃথিবীর যেকোনো স্থান থেকে ডেটা অ্যাক্সেস করা সম্ভব।
-
রিসোর্স শেয়ারিং: একাধিক ব্যবহারকারী একই সময়ে একটি সার্ভিস ব্যবহার করতে পারে।
-
খরচ সাশ্রয়ী: হার্ডওয়্যার ও রক্ষণাবেক্ষণের খরচ কমে যায়।
-
অটো আপডেট ও সিকিউরিটি ফিচার: ক্লাউড সেবাদাতারা নিয়মিত সিস্টেম আপডেট ও নিরাপত্তা রক্ষণাবেক্ষণ করে থাকে।
ক্লাউড কম্পিউটিং-এর উদাহরণ:
-
Google Drive, Dropbox, Microsoft OneDrive, Amazon Web Services (AWS), iCloud, Google Cloud Platform ইত্যাদি জনপ্রিয় ক্লাউড সেবা।
সব মিলিয়ে, ক্লাউড কম্পিউটিং এমন একটি প্রযুক্তি যা গ্রাহকের প্রয়োজন অনুযায়ী অন-ডিমান্ড সার্ভিস, স্কেলেবল রিসোর্স ও ব্যবহারভিত্তিক বিলিং ব্যবস্থা প্রদান করে। এটি বর্তমান বিশ্বের ডিস্ট্রিবিউটেড ও ইউটিলিটি-ভিত্তিক কম্পিউটিং মডেল-এর এক উৎকৃষ্ট উদাহরণ।
0
Updated: 2 weeks ago
ক্লাউড কম্পিউটিং-এর প্রধান সুবিধা কোনটি?
Created: 2 months ago
A
অন-ডিমান্ড কম্পিউটিং রিসোর্স সরবরাহ করে
B
বেশি খরচের হার্ডওয়্যার দরকার
C
কেবলমাত্র স্থানীয় সার্ভারেই চলে
D
ইন্টারনেট নির্ভরতা হ্রাস করে
ক্লাউড কম্পিউটিং
সংজ্ঞা:
ক্লাউড কম্পিউটিং হলো এমন একটি কম্পিউটিং মডেল যেখানে ব্যবহারকারী তার নিজস্ব কম্পিউটারের হার্ড ড্রাইভের পরিবর্তে ইন্টারনেট ভিত্তিক সেবা প্রদানকারীর হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার ব্যবহার করে তথ্য সংরক্ষণ, প্রসেসিং এবং অ্যাপ্লিকেশন চালাতে পারে।
ক্লাউড শব্দের উৎস:
-
"ক্লাউড" অর্থ মেঘ, যা ইন্টারনেটের রূপক হিসেবে ব্যবহৃত হয়। যেমন আকাশে মেঘ ছড়িয়ে থাকে, তেমনি ইন্টারনেটও সর্বত্র ছড়িয়ে আছে।
ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট:
-
১৯৬০-এর দশকে ক্লাউড কম্পিউটিং ধারণার সূচনা।
-
২০০৬ সালে অ্যামাজন ওয়েব সার্ভিস বাণিজ্যিকভাবে ক্লাউড কম্পিউটিং ব্যবহার শুরু করে।
-
২০১০ সালে Rackspace Cloud ও NASA মুক্ত API চালু করে।
মূল সুবিধা ও বৈশিষ্ট্য (NIST অনুযায়ী):
১. রিসোর্স স্কেলেবিলিটি (Resource Scalability):
-
ব্যবহারকারীর চাহিদা অনুযায়ী ছোট বা বড় রিসোর্স সরবরাহ।
-
ব্যবহারকারীর চাহিদা বাড়লে সেবা প্রদানকারীর সেবা স্বয়ংক্রিয়ভাবে বৃদ্ধি পায়।
২. অন-ডিমান্ড (On-Demand):
-
ব্যবহারকারী যখন খুশি সেবা গ্রহণ করতে পারবে।
-
চাহিদা বাড়ানো বা কমানো সহজ।
৩. পে-অ্যাজ-ইউ-গো (Pay-as-You-Go):
-
ব্যবহারকারী কেবলমাত্র যে পরিমাণ সেবা ব্যবহার করবে, তার জন্য অর্থ প্রদান করবে।
-
আগাম রিজার্ভ বা পেমেন্টের প্রয়োজন নেই।
উপসংহার:
ক্লাউড কম্পিউটিং অর্থনৈতিক এবং প্রযুক্তিগতভাবে একটি বিপ্লব, যা ব্যবহারকারীদের কম খরচে, সহজে এবং দক্ষভাবে কম্পিউটিং সুবিধা প্রদান করে।
উৎস: তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।
0
Updated: 2 months ago
নিচের কোন মডেলটি Cloud Computing সেবা প্রদানকারীগণ ব্যবহার করে না?
Created: 1 month ago
A
CaaS
B
laaS
C
PaaS
D
SaaS
ক্লাউড কম্পিউটিং সেবাগুলোকে সাধারণত তিন ভাগে ভাগ করা হয় এবং প্রতিটি ভাগ নির্দিষ্ট ধরনের সুবিধা প্রদান করে। এগুলো হলো–
-
Infrastructure-as-a-Service (IaaS): এই ধরনের সেবায় ক্লাউড প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান তাদের নেটওয়ার্ক, CPU, স্টোরেজ এবং অন্যান্য মৌলিক কম্পিউটিং রিসোর্স ভাড়া দিয়ে থাকে। ব্যবহারকারীরা চাইলে এগুলো দিয়ে নিজেদের সিস্টেম তৈরি ও পরিচালনা করতে পারেন। যেমন: Amazon Elastic Compute Cloud (EC2)।
-
Platform-as-a-Service (PaaS): এখানে সরাসরি ভার্চুয়াল মেশিন ভাড়া দেওয়া হয় না, বরং ভাড়া দেওয়া হয় এমন একটি প্ল্যাটফর্ম, যার উপর ব্যবহারকারীরা সহজেই অ্যাপ্লিকেশন তৈরি ও ডেভেলপ করতে পারেন। যেমন: Google App Engine।
-
Software-as-a-Service (SaaS): এটি এমন একটি সেবা যেখানে ব্যবহারকারীরা সরাসরি ক্লাউডে চলমান রেডিমেড সফটওয়্যার ব্যবহার করতে পারেন, আলাদা করে ইন্সটল বা রক্ষণাবেক্ষণের প্রয়োজন হয় না। যেমন: Google Docs।
অতিরিক্ত তথ্য: অনেক সময় ভুলভাবে CaaS বা অন্য কিছু শব্দ ব্যবহৃত হয়, তবে এগুলো ক্লাউড কম্পিউটিং-এর মূল সেবার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত নয়।
0
Updated: 1 month ago