একটি LAN কে WAN-এর সাথে যুক্ত করতে কোন নেটওয়ার্ক ডিভাইস ব্যবহৃত হয়?
A
রাউটার
B
রিপিটার
C
সুইচ
D
অ্যাক্সেস পয়েন্ট
উত্তরের বিবরণ
Router হলো একটি নেটওয়ার্ক ডিভাইস, যা বিভিন্ন নেটওয়ার্ক (যেমন LAN ↔ WAN) একে অপরের সাথে সংযুক্ত করে। এটি IP Address ব্যবহার করে ডেটা প্যাকেটকে সঠিক গন্তব্যে পৌঁছে দেয় এবং একাধিক নেটওয়ার্কের মধ্যে ডেটা রাউটিং করে।
রাউটার (Router):
-
রাউটার হলো একটি বুদ্ধিমান নেটওয়ার্ক ডিভাইস, যা একই প্রটোকল বিশিষ্ট দুই বা ততোধিক নেটওয়ার্ককে সংযুক্ত করে।
-
এটি উৎস কম্পিউটার থেকে গন্তব্য কম্পিউটারে সর্বনিম্ন দূরত্বের পথ ব্যবহার করে ডেটা প্যাকেট পৌঁছে দেয়।
-
নেটওয়ার্কে ডেটার আধিক্য বা ব্যস্ততা দেখা দিলে রাউটার সেই পথ পরিহার করে অন্য রুট ব্যবহার করে ডেটা পাঠাতে সক্ষম।
-
একাধিক LAN সংযুক্ত করতে বা WAN-এর সাথে LAN সংযুক্ত করতে রাউটার ব্যবহার করা হয়।
-
রাউটার NAT (Network Address Translator) ব্যবহার করে নেটওয়ার্ক চিহ্নিত করে।
অন্যান্য নেটওয়ার্ক ডিভাইস:
-
Switch (সুইচ): একই LAN-এর ভেতরে একাধিক ডিভাইস সংযুক্ত করে, কিন্তু WAN-এর সাথে সংযোগ স্থাপন করতে পারে না।
-
Repeater (রিপিটার): সিগন্যাল দুর্বল হলে সেটিকে পুনরায় শক্তিশালী করে, নেটওয়ার্ক বিস্তৃত করতে ব্যবহৃত হয়।
-
Access Point (অ্যাক্সেস পয়েন্ট): মূলত ওয়্যারলেস LAN (Wi-Fi) তৈরিতে ব্যবহৃত হয়, WAN সংযোগের জন্য নয়।

0
Updated: 13 hours ago
একটি হাফ-ডুপ্লেক্স সিস্টেমে, যদি ডিভাইস A তথ্য প্রেরণ করছে, ডিভাইস B-এর কী হবে?
Created: 2 weeks ago
A
একসাথে ডেটা পাঠাতে পারবে
B
B এর তথ্য প্রেরণ শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে
C
A এর তথ্য প্রেরণ শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে
D
B স্বয়ংক্রিয়ভাবে ফুল-ডুপ্লেক্স মোডে চলে যাবে
হাফ-ডুপ্লেক্স সিস্টেম
হাফ-ডুপ্লেক্স সিস্টেমে তথ্য আদানপ্রদান দুই দিকেই হয়, কিন্তু এক সময়ে কেবল একটি দিকেই ডেটা প্রেরণ সম্ভব। অর্থাৎ, একই মুহূর্তে দুইটি ডিভাইস একসাথে ডেটা প্রেরণ করতে পারে না। সুতরাং, যদি ডিভাইস A তথ্য প্রেরণ করছে, ডিভাইস B কে অপেক্ষা করতে হবে যতক্ষণ না A-এর প্রেরণ সম্পন্ন হয়। এই কারণে, B-এর তথ্য প্রেরণ তখনই শুরু করা যায় যখন চ্যানেল খালি হয়। হাফ-ডুপ্লেক্স সিস্টেমে এক সময়ে এক পক্ষই প্রেরণকারী এবং অন্য পক্ষ গ্রাহক থাকে, যা সম্পূর্ণ ডুপ্লেক্সের থেকে আলাদা। তাই সঠিক উত্তর হবে: গ) A এর তথ্য প্রেরণ শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
ডাটা ট্রান্সমিশন মোড
উৎস থেকে গন্তব্যে ডাটা ট্রান্সফারের ক্ষেত্রে ডাটা প্রবাহের দিককে বিবেচনা করে ডাটা পাঠানোর পদ্ধতিকে ডাটা ট্রান্সমিশন মোড বলা হয়। ডাটা প্রবাহের দিকের উপর ভিত্তি করে ডাটা ট্রান্সমিশন মোডকে তিনটি ভাগে ভাগ করা যায়।
১. সিমপ্লেক্স (Simplex)
-
শুধুমাত্র একদিকে ডাটা প্রেরণের মোড বা পদ্ধতিকে বলা হয় সিমপ্লেক্স।
-
এক্ষেত্রে গ্রাহক যন্ত্রটি কখনোই প্রেরক যন্ত্রটিতে ডাটা পাঠাতে পারে না।
-
উদাহরণ: রেডিও, টিভি, কীবোর্ড থেকে কম্পিউটারে ডাটা প্রেরণ।
২. হাফ-ডুপ্লেক্স (Half-Duplex)
-
হাফ-ডুপ্লেক্স পদ্ধতিতে যে কোন প্রান্ত ডাটা গ্রহণ অথবা প্রেরণ করতে পারে কিন্তু গ্রহণ এবং প্রেরণ একই সাথে করতে পারে না।
-
উদাহরণ: ওয়াকিটকি।
৩. ফুল-ডুপ্লেক্স (Full-Duplex)
-
ফুল-ডুপ্লেক্স মোডে একই সময়ে উভয় দিক হতে ডাটা প্ররণের ব্যবস্থা থাকে।
-
যে কোন প্রান্ত প্রয়োজনে ডাটা প্রেরণ করার সময় ডাটা গ্রহণ অথবা ডাটা গ্রহণের সময় প্রেরণও করতে পারবে।
-
উদাহরণ: টেলিফোন, মোবাইল ফোন।
উৎস: তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, এইচএসসি প্রোগ্রাম, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় এবং ব্রিটানিকা।

0
Updated: 2 weeks ago
মোবাইল নেটওয়ার্কে ব্যবহৃত টপোলজির নাম কী?
Created: 1 week ago
A
রিং টপোলজি
B
মেশ টপোলজি
C
স্টার টপোলজি
D
কোনোটিই নয়
মোবাইল নেটওয়ার্কের কাঠামো মূলত স্টার টপোলজি-এর উপর ভিত্তি করে তৈরি, যেখানে কেন্দ্রীয় হাবের সঙ্গে প্রতিটি মোবাইল ডিভাইস সরাসরি সংযুক্ত থাকে।
-
মোবাইল ফোন:
-
মোবাইল ফোনের জনক হলেন মার্টিন কুপার।
-
যুক্তরাষ্ট্রে Motorola DynaTAC (Total Access Communication System) নামে প্রথম হ্যান্ড-মোবাইল সেট চালু করা হয়।
-
১৯৭৯ সালে জাপানের NTTC (Nippon Telegraph and Telephone Corporation) প্রথম বাণিজ্যিকভাবে অটোমেটেড সেলুলার নেটওয়ার্ক চালু করে, যা 1G-এর সূচনা।
-
মোবাইল ফোনের প্রজন্মকে পাঁচ ভাগে ভাগ করা হয়: প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ এবং পঞ্চম প্রজন্ম।
-
-
স্টার টপোলজি:
-
একটি কেন্দ্রীয় নোড বা হাব থাকে এবং প্রতিটি ডিভাইস সেই কেন্দ্রীয় নোডের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত থাকে।
-
মোবাইল নেটওয়ার্কে প্রতিটি বেস স্টেশন বা সেল টাওয়ার কেন্দ্রীয় হাব হিসেবে কাজ করে।
-
বেস স্টেশনের আওতাধীন প্রতিটি মোবাইল ফোন সেই কেন্দ্রীয় হাবের সঙ্গে সরাসরি সংযোগ স্থাপন করে।
-
সেলুলার নেটওয়ার্কের মৌলিক কাঠামো স্টার টপোলজির মতো, যেখানে বেস স্টেশন কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে কাজ করে।
-
উৎস:

0
Updated: 1 week ago
নেটওয়ার্কের মধ্যে ডিভাইস সংযোগের ধরনকে কী বলে?
Created: 6 days ago
A
প্রোটোকল
B
নোড
C
টপোলজি
D
প্যাকেজ
নেটওয়ার্ক টপোলজি (Network Topology) হলো একটি নেটওয়ার্কে বিভিন্ন ডিভাইস যেমন কম্পিউটার, রাউটার, সুইচ ইত্যাদি কীভাবে পরস্পরের সাথে সংযুক্ত থাকবে তা বর্ণনা করার পদ্ধতি। সহজভাবে বলতে গেলে, এটি নেটওয়ার্কের গঠন বা কাঠামো নির্দেশ করে।
-
নেটওয়ার্ক সিস্টেমের ফিজিক্যাল ডিভাইস বা উপাদানগুলো যেভাবে একে অপরের সাথে সংযুক্ত থাকে, তাকেই নেটওয়ার্ক টপোলজি বলা হয়।
-
সাধারণত নেটওয়ার্ক টপোলজি বলতে নেটওয়ার্ক সিস্টেমের ফিজিক্যাল অবস্থার বা ডিজাইনের বর্ণনাই বোঝানো হয়।
নেটওয়ার্ক টপোলজির প্রধান ধরনগুলো হলো:
১। বাস টপোলজি
২। রিং টপোলজি
৩। স্টার টপোলজি
৪। ট্রি টপোলজি
৫। হাইব্রিড টপোলজি
৬। মেশ টপোলজি
উৎস:

0
Updated: 6 days ago