CYBER 205 কোন ধরণের কম্পিউটারের উদাহরণ?
A
মাইক্রোকম্পিউটার
B
মিনি কম্পিউটার
C
মেইনফ্রেম কম্পিউটার
D
সুপারকম্পিউটার
উত্তরের বিবরণ
CYBER 205 ছিল Control Data Corporation (CDC) কর্তৃক তৈরি একটি সুপারকম্পিউটার, যা 1980 সালের শুরুর দিকে চালু হয়। এটি প্রধানত ভারি গণনা (Scientific Calculations), আবহাওয়া পূর্বাভাস, পারমাণবিক গবেষণা, এবং জটিল গাণিতিক সমস্যা সমাধানের জন্য ব্যবহৃত হত।
আকার ও ক্ষমতা অনুযায়ী কম্পিউটারকে সাধারণত চার ভাগে ভাগ করা হয়:
১. অতিবৃহৎ কম্পিউটার (Super Computer)
২. বৃহৎ কম্পিউটার (Mainframe Computer)
৩. ছোট কম্পিউটার (Mini Computer)
৪. ক্ষুদ্র কম্পিউটার (Micro Computer)
অতিবৃহৎ কম্পিউটার (Super Computer):
-
এ পর্যন্ত আবিষ্কৃত সবচেয়ে শক্তিশালী ও অত্যন্ত দ্রুতগতি সম্পন্ন কম্পিউটার।
-
উদাহরণ: CRAY-1, CYBER 205।
বৃহৎ কম্পিউটার (Mainframe Computer):
-
ক্ষমতা ও আকারে সুপারকম্পিউটারের তুলনায় ছোট, কিন্তু মাইক্রো ও মিনি কম্পিউটারের তুলনায় অনেক বেশি ক্ষমতা সম্পন্ন।
-
উদাহরণ: IBM 4341, NCR N8370, IBM Amdahl 1580।
ছোট কম্পিউটার (Mini Computer):
-
মেইনফ্রেমের তুলনায় আকারে ছোট এবং কম ক্ষমতা সম্পন্ন।
-
এর কেন্দ্রীয় প্রক্রিয়াকরণ অংশটি সাধারণ টেবিলের উপর বসানো সম্ভব।
-
উদাহরণ: NOVA 3, PDP 11, IBM-AS/400।
ক্ষুদ্র কম্পিউটার (Micro Computer):
-
আকার, ক্ষমতা ও মূল্য অনুযায়ী সবচেয়ে ছোট কম্পিউটার।
-
উদাহরণ: IBM 486, IBM Pentium।
-
ক্ষুদ্র বা মাইক্রো কম্পিউটারের জগতে সর্বাধুনিক সংযোজন: ডেস্কটপ, ল্যাপটপ, নোটবুক কম্পিউটার।
0
Updated: 1 month ago
কোন প্রযুক্তির মাধ্যমে প্রথম মাইক্রোপ্রসেসর তৈরি সম্ভব হয়েছিল?
Created: 2 months ago
A
BIOS প্রযুক্তি
B
LSI প্রযুক্তি
C
VLST প্রযুক্তি
D
CMOS প্রযুক্তি
মাইক্রোপ্রসেসর (Microprocessor)
সংজ্ঞা:
মাইক্রোপ্রসেসর হলো একটি ক্ষুদ্র ইলেকট্রনিক যন্ত্রাংশ যা CPU-এর গাণিতিক, যুক্তিগত ও নিয়ন্ত্রণ কার্য সম্পাদন করে। এটি একটি ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট (IC) যা প্রোগ্রামের নির্দেশনা ব্যাখ্যা ও সম্পাদন করতে পারে।
উদ্ভব ও বিকাশ
-
LSI (Large Scale Integration) প্রযুক্তির মাধ্যমে ১৯৭০-এর দশকে হাজার হাজার যন্ত্রাংশ একত্রে একটি সিলিকন চিপে বসানো সম্ভব হয়েছিল।
-
বিশ্বের প্রথম মাইক্রোপ্রসেসর: Intel 4004, ১৯৭১ সালে বাজারে আসে।
-
VLSI (Very Large Scale Integration) প্রযুক্তির মাধ্যমে ১৯৮০-এর দশকে মাইক্রোপ্রসেসরের ঘনত্ব ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পায়।
-
২০১০-এর দশকে একটি ছোট চিপেই বিলিয়ন সংখ্যক যন্ত্রাংশ বসানো সম্ভব হয়েছে।
মাইক্রোপ্রসেসরের প্রধান কাজ
-
ইনপুট ও আউটপুট অংশের সাথে কাজের সমন্বয় সাধন করা।
-
গাণিতিক ও যুক্তিসংক্রান্ত কাজ সম্পাদন করা।
-
কম্পিউটারের স্মৃতিতে সঞ্চিত প্রোগ্রাম নির্বাহ করা।
-
স্মৃতি ও গাণিতিক/যুক্তি অংশের তথ্য প্রক্রিয়াকরণ এবং অন্যান্য অংশের সাথে তথ্য বিনিময়ের কাজ নিয়ন্ত্রণ করা।
0
Updated: 2 months ago
প্রোগ্রামিং এ ‘JMP’ অপ-কোডের নির্দেশ কী?
Created: 2 months ago
A
নির্দিষ্ট মেমোরি লোকেশনে যাওয়া
B
কোড কম্পাইল করা
C
আউটপুট ডিভাইস বন্ধ করা
D
রেজিস্টার রিসেট করা
অপ-কোড (Operation Code / Opcode)
সঠিক উত্তর: ক) নির্দিষ্ট মেমোরি লোকেশনে যাওয়া
সংজ্ঞা:
অপ-কোডে ইনস্ট্রাকশন বা কমান্ডের নেমোনিক থাকে যা কম্পিউটারের বিভিন্ন কাজ নির্দেশ করে। নেমোনিকগুলো বিভিন্ন কম্পিউটারে ভিন্ন হতে পারে, তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রে সাধারণ নেমোনিকগুলো নিম্নরূপ—
প্রধান অপ-কোড ও তাদের কার্য:
-
STO / STA: Store Accumulator; অ্যাকুমুলেটরের ডাটাকে নির্দিষ্ট মেমোরি লোকেশনে সংরক্ষণ।
-
CLR: Clear Accumulator; অ্যাকুমুলেটর পরিষ্কার করা।
-
ADD: প্রধান মেমোরির নির্দিষ্ট অবস্থানের সংখ্যার সঙ্গে অ্যাকুমুলেটরের সংখ্যা যোগ করা।
-
SUB: প্রধান মেমোরির নির্দিষ্ট অবস্থানের সংখ্যা থেকে অ্যাকুমুলেটরের সংখ্যা বিয়োগ করা।
-
MUL: গুণ করার নির্দেশ।
-
DIV: ভাগ করার নির্দেশ।
-
JMP: পরবর্তী নির্দেশের জন্য নির্দিষ্ট মেমোরি অবস্থানে যাওয়া।
-
INP: ইনপুট নেওয়া; ডাটা প্রধান মেমোরিতে রাখা।
-
OUT: আউটপুট প্রদর্শন; প্রধান মেমোরির তথ্য আউটপুটের মাধ্যমে প্রকাশ করা।
-
STP: প্রোগ্রাম থামানোর নির্দেশ।
0
Updated: 2 months ago
নিচের কোনটি কম্পিউটারের প্রাইমারি মেমোরি?
Created: 2 months ago
A
RAM
B
Hard Disk
C
Pen drive
D
কোনোটিই নয়
স্টোরেজ ডিভাইস
স্টোরেজ ডিভাইস হলো সেই ডিভাইস যা কম্পিউটারকে ডেটা ও প্রোগ্রাম সংরক্ষণ করতে সাহায্য করে। এগুলো থেকে প্রয়োজন অনুযায়ী তথ্য গ্রহণ করে কম্পিউটার ব্যবহার করতে পারে। স্টোরেজ ডিভাইস প্রধানত দুই ধরনের:
১. প্রাইমারি স্টোরেজ ডিভাইস
২. সেকেন্ডারি স্টোরেজ ডিভাইস
প্রাইমারি স্টোরেজ ডিভাইস
প্রাইমারি স্টোরেজ হলো মাইক্রোপ্রসেসরের মূল কর্মক্ষেত্র। যখন কোনো প্রোগ্রাম কম্পিউটারে চলছে, তখন প্রোগ্রামের তথ্য ও আংশিক ফলাফল সাময়িকভাবে এখানে রাখা হয়। সাধারণ উদাহরণ হলো RAM (র্যান্ডম অ্যাকসেস মেমোরি)।
প্রাইমারি স্টোরেজের বৈশিষ্ট্য
-
CPU-এর সঙ্গে সরাসরি সংযুক্ত থাকে।
-
প্রক্রিয়াকরণের জন্য প্রয়োজনীয় প্রোগ্রাম ও ডেটা এখানে রাখা হয়।
-
ডেটা অ্যাকসেসের সময় খুব কম।
-
ধারণক্ষমতা সাধারণত কম।
-
ডেটা স্থানান্তরের গতি বেশি।
-
বিদ্যুৎ বন্ধ হলে তথ্য মুছে যায়।
সেকেন্ডারি স্টোরেজ ডিভাইস
সেকেন্ডারি স্টোরেজ হলো কম্পিউটারের সহায়ক স্মৃতি। এখানে ডেটা দীর্ঘ সময় ধরে সংরক্ষণ করা যায়। উদাহরণ:
-
হার্ড ডিস্ক
-
ফ্লপি ডিস্ক
-
পেনড্রাইভ
-
সিডি / ডিভিডি / ব্লু-রে ডিস্ক
-
মেমোরি কার্ড
-
স্মার্ট কার্ড
উৎসঃমৌলিক কম্পিউটার শিক্ষা, বিবিএ প্রোগ্রাম, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়
0
Updated: 2 months ago