ফিটকিরিতে কত অণু পানি থাকে?
A
২৪
B
১৫
C
০৭
D
০৫
উত্তরের বিবরণ
ফিটকিরি বা পটাশ অ্যালাম প্রাচীনকাল থেকেই আমাদের দেশে এন্টিসেপটিক হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে। এটি রাসায়নিকভাবে অ্যালুমিনিয়াম সালফেট, পটাশিয়াম সালফার এবং ২৪ অণু পানির যৌগ,
যার রাসায়নিক সংকেত [K2SO4.Al2(SO4)3.24H2O]। ফিটকিরি মূলত একটি দ্বি-লবণ, অর্থাৎ দুটি লবণ—পটাশিয়াম সালফেট এবং অ্যালুমিনিয়াম সালফেটের মিশ্রণ। এটি সাধারণত কঠিন অবস্থায় থাকে এবং সুনির্দিষ্ট আকৃতির কেলাস হিসেবে বাজারে পাওয়া যায়।
ফিটকিরির বৈশিষ্ট্য ও ব্যবহারসমূহ হলো-
• ফিটকিরি মানুষের কাছে পটাশ অ্যালাম নামে পরিচিত।
• এটি জীবাণুনাশক হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
• কোথাও কেটে গেলে বা ছিঁড়ে গেলে, ফিটকিরি পানিতে ভিজিয়ে ক্ষতস্থানে ঘষে দেওয়া হয়।
• যেহেতু ফিটকিরি কঠিন অবস্থায় থাকে, তাই ক্ষতস্থানে লাগানোর আগে তা পানিতে দ্রবীভূত করা হয়।
• খাবার পানি বিশুদ্ধ বা জীবাণুমুক্ত করার জন্য পরিমাণমত ফিটকিরি ব্যবহার করা হয় এবং ঘণ্টাখানেক আগে পানি দিয়ে রাখা হয়।
• ফিটকিরি দ্রবীভূত হলে পানি ছেঁকে নেওয়া হয়।
• অনেকেই দাড়ি কাটার পর এন্টিসেপটিক হিসেবে ফিটকিরি ব্যবহার করেন।
• এটি আফটার শেভ লোশান হিসেবে কাজ করে।
• ফিটকিরি রক্তক্ষরণও বন্ধ করতে সক্ষম।

0
Updated: 13 hours ago
ইথার সম্বন্ধে কোনটি মিথ্যা?
Created: 14 hours ago
A
এটি একটি রাসায়নিক তরল পদার্থ
B
এটি একটি কাল্পনিক মাধ্যম যা মহাবিশ্বে সর্বত্র বিরাজমান ছিল
C
এ মাধ্যম ছাড়া তাড়িৎ চৌম্বক তরঙ্গ সঞ্চালন সম্ভব নয়
D
এ কাল্পনিক মাধ্যমটির স্থিতিস্থাপক ধর্ম ছিলো
ইথার ধারণা এবং তার বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ সম্পর্কে সংক্ষিপ্তভাবে বলা যায় যে, এটি রসায়ন ও পদার্থবিজ্ঞানের দুটি ভিন্ন প্রসঙ্গে দেখা গেছে। Chemistry-এ ইথার হলো বাস্তব রাসায়নিক যৌগ, যেখানে Physics-এ এটি ছিল এক কাল্পনিক, সর্বব্যাপী মাধ্যম।
তবে আধুনিক বিজ্ঞান প্রমাণ করেছে যে ইথারের প্রয়োজন নেই এবং তড়িৎচৌম্বক তরঙ্গ শূন্য মহাশূন্যেও চলতে পারে। বিস্তারিত ব্যাখ্যা হলো:
• রসায়ন (Chemistry):
-
ডাই-ইথাইল ইথার (C4H10O) একটি বাস্তব রাসায়নিক যৌগ।
-
অতীতে চিকিৎসাবিজ্ঞানে এটি অ্যানেস্থেটিক (চেতনানাশক) হিসেবে ব্যবহৃত হতো।
-
এটি একটি উড়নশীল (volatile) এবং দাহ্য (flammable) তরল দ্রাবক।
• পদার্থবিজ্ঞান (Physics):
-
১৯শ শতকে বিজ্ঞানীরা একটি কাল্পনিক মাধ্যম লুমিনিফেরাস ইথার ধরা হয়।
-
ধারণা করা হতো এটি সমগ্র মহাবিশ্বে বিরাজমান এবং আলো ও তড়িৎচৌম্বক তরঙ্গের সঞ্চালনের জন্য অপরিহার্য।
-
এই কাল্পনিক মাধ্যমে স্থিতিস্থাপক ধর্ম থাকা মানে তরঙ্গ সঞ্চালনের ক্ষমতা থাকবে, যেমন শব্দ তরঙ্গের জন্য বায়ু প্রয়োজন হয়।
• মিথ্যা ধারণা:
-
"এ মাধ্যম ছাড়া তড়িৎচৌম্বক তরঙ্গ সঞ্চালন সম্ভব নয়" এই মতটি ভুল।
• ঐতিহাসিক প্রমাণ:
-
মাইকেলসন–মর্লে পরীক্ষা (১৮৮৭) ইথারের অস্তিত্ব খুঁজে পেতে ব্যর্থ হয়।
-
কোনো দিকেই আলোর গতির পার্থক্য পাওয়া যায়নি, যা ইথারের অস্তিত্বের বিরুদ্ধে শক্ত প্রমাণ।
• আধুনিক বৈজ্ঞানিক ধারণা:
-
ম্যাক্সওয়েলের সমীকরণ প্রমাণ করে যে EM তরঙ্গ শূন্যতায়ও চলতে পারে।
-
আইনস্টাইনের বিশেষ আপেক্ষিকতা (১৯০৫) ইথারের প্রয়োজনীয়তা বাতিল করে।
-
তড়িৎচৌম্বক তরঙ্গ হলো বিদ্যুৎ ও চৌম্বক ক্ষেত্রের স্ব-প্রসারিত বিচ্যুতি।
• পরীক্ষামূলক প্রমাণ:
-
নক্ষত্র থেকে আলো শূন্য মহাশূন্য পেরিয়ে পৃথিবীতে পৌঁছায়।
-
মহাকাশযানের সঙ্গে রেডিও যোগাযোগ শূন্য মহাশূন্যে সম্ভব।
-
সব ধরনের EM তরঙ্গ (রেডিও, মাইক্রোওয়েভ, ইনফ্রারেড, দৃশ্যমান, আল্ট্রাভায়োলেট, এক্স-রে, গামা) শূন্যতায় ভ্রমণ করতে সক্ষম।
• ইথার ধারণার ইতিহাস:
-
পদার্থবিদরা মনে করতেন যে তরঙ্গের জন্য মাধ্যম দরকার, যেমন শব্দ তরঙ্গের জন্য বায়ু বা জলতরঙ্গের জন্য পানি।
-
আলোও শূন্যতায় ছড়াতে হলে একটি বিশেষ মাধ্যমের প্রয়োজন হবে বলে তারা বিশ্বাস করতেন।
• ইথার তত্ত্বের পতন:
-
মাইকেলসন–মর্লে পরীক্ষা প্রমাণ করল যে আলোর গতি কোনো দিকেও পরিবর্তিত হয় না।
-
আইনস্টাইনের বিশেষ আপেক্ষিকতা দেখালো যে আলোর গতি সব পর্যবেক্ষকের জন্য একই এবং কোনো মাধ্যমের ওপর নির্ভরশীল নয়।

0
Updated: 14 hours ago
কাজ ও বলের একক যথাক্রমে-
Created: 1 month ago
A
নিউটন ও মিটার
B
জুল ও ডাইন
C
ওয়াট ও পাউন্ড
D
প্যাসকেল ও কিলোগ্রাম
কাজ ও বলের একক
-
SI পদ্ধতি:
-
কাজের একক: জুল (J)
-
বলের একক: নিউটন (N)
-
-
C.G.S পদ্ধতি:
-
বলের একক: ডাইন (dyne)
-
কাজের সংজ্ঞা ও একক:
-
কাজ = বল × সরণ
-
এখানে, বলের একক হলো নিউটন (N) এবং সরণের একক হলো মিটার (m)।
-
সুতরাং, কাজের একক হবে নিউটন-মিটার (N·m)।
-
নিউটন-মিটারকে জুল (J) বলা হয়।
-
অর্থাৎ, যদি কোনো বস্তুতে 1 নিউটন বল প্রয়োগ করা হয় এবং বস্তু বলটির দিকে 1 মিটার সরানো হয়, তখন সম্পন্ন কাজ হবে 1 জুল।
বল ব্যবহৃত এককসমূহ:
-
ডাইন (dyne)
-
নিউটন (N)
-
পাউন্ডাল (poundal)
সূত্র: পদার্থবিজ্ঞান, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

0
Updated: 1 month ago
বৈদ্যুতিক বাল্বের ফিলামেন্ট কী ধাতু দিয়ে তৈরি?
Created: 1 month ago
A
সংকর ধাতু
B
সীসা
C
টাংস্টেন
D
তামা
বৈদ্যুতিক বাল্ব
-
বৈদ্যুতিক বাল্বের ভিতরে একটা সরু তার থাকে, যেটা টাংস্টেন নামক ধাতু দিয়ে তৈরি।
-
এই তারের দুটো প্রান্ত বাল্বের সাথে যুক্ত থাকে এবং এটাকেই ফিলামেন্ট বলা হয়।
-
যখন বাল্বে বিদ্যুৎ পৌঁছায়, তখন এই ফিলামেন্ট গরম হয়ে জ্বলে ওঠে এবং আলো দেয়।
উৎস: সাধারণ বিজ্ঞান, সপ্তম শ্রেণি।

0
Updated: 1 month ago