হাইড্রোজেন বোমায় ক্রিয়া করে-
A
ফিশন বিক্রিয়া
B
ফিউশন বিক্রিয়া
C
ফিশন ও ফিউশন উভয়টিই
D
সাধারণ রাসায়নিক বিক্রিয়া
উত্তরের বিবরণ
হাইড্রোজেন বোমা (Hydrogen bomb / Thermonuclear bomb): হাইড্রোজেন বোমায় মূলত পারমাণবিক বিক্রিয়া ঘটে; এতে ফিশন (fission) ও ফিউশন (fusion)—উভয় প্রক্রিয়া ব্যবহৃত হয়।
প্রাথমিক রিঅ্যাকশন: প্রথমে একটি ফিশন বিক্রিয়া ঘটিয়ে প্রচুর শক্তি উৎপন্ন করা হয়, যা ফিউশন শুরু করার জন্য প্রয়োজনীয় চরম উষ্ণতা ও চাপে (extremely high temperature and pressure) পৌঁছে দেয়।
ফিউশন স্টেজ: এই শক্তির মাধ্যমে হাইড্রোজেন আইসোটোপ—ডিউটেরিয়াম এবং ট্রিটিয়াম—এর ফিউশন বিক্রিয়া শুরু হয়, এবং অতি সংক্ষিপ্ত সময়ে বিপুল পরিমাণ শক্তি মুক্তি পায়।
শক্তি মাত্রা ও নাম: যেহেতু মূল শক্তি fusion থেকে আসে, হাইড্রোজেন বোমাকে থার্মোনিউক্লিয়ার বোমা বলা হয় এবং এটি সাধারণ পারমাণবিক (fission-only) বোমার তুলনায় অনেকগুণ বেশি শক্তিশালী।
নির্বাচন সম্পর্কিত নোট: প্রশ্নের সঠিক উত্তর—গ) ফিশন ও ফিউশন উভয়টিই; যদি অপশনে “ফিশন ও ফিউশন উভয়টিই” না থাকে, তখন “ফিউশন বিক্রিয়া” গ্রহণযোগ্য হিসেবে ধরা হবে।
নিউক্লিয়ার বিক্রিয়া (Nuclear reaction): যে বিক্রিয়ায় কোনো মৌলের নিউক্লিয়াস পরিবর্তিত হয় তাকে নিউক্লিয়ার বিক্রিয়া বলা হয়; এতে ইলেকট্রনদের ভূমিকা নেই—ইলেকট্রনিক স্তরের পরিবর্তন নয়, বরং নিউক্লিয়াসের পরিবর্তন ঘটে।
রসায়ন বনাম নিউক্লিয়ার: রাসায়নিক বিক্রিয়ায় পরমাণুর বাইরের শক্তিস্তর থেকে ইলেকট্রনের আদান‑প্রদান ঘটে, নিউক্লিয়াস অপরিবর্তিত থাকে; অথচ নিউক্লিয়ার বিক্রিয়ায় নিউক্লিয়াসে পরিবর্তন ঘটে এবং নতুন পরমাণু/পরমাণু কোর (nuclei) সৃষ্টি হতে পারে।
ফলাফল ও শক্তি: নিউক্লিয়ার বিক্রিয়ায় প্রচুর পরিমাণে শক্তি মুক্তি পায়; এই শক্তি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে বা অস্ত্রে ব্যবহৃত হতে পারে।
প্রকারভেদ: নিউক্লিয়ার ফিউশন এবং নিউক্লিয়ার ফিশন—এরা হলো প্রধান দুই ধরনের নিউক্লিয়ার বিক্রিয়া।
নিউক্লিয়ার ফিউশন বিক্রিয়া (Nuclear fusion): ছোট ছোট নিউক্লিয়াসসমূহ (light nuclei) একত্রিত হয়ে বৃহৎ নিউক্লিয়াস গঠন করলে সেই প্রক্রিয়াকে ফিউশন (fusion) বলা হয়।
উদাহরণ ও শর্ত: সূর্য ও নক্ষত্রগুলোতে hydrogen fusion ঘটে; fusion সাধারণত অতৈব উষ্ণতা ও উচ্চ চাপ চাই—সেই কারণে কৃত্রিমভাবে নিয়ন্ত্রিত fusion চালানো খুবই চ্যালেঞ্জিং।
নিউক্লিয়ার ফিশন বিক্রিয়া (Nuclear fission): কোনো বড় ও ভারী নিউক্লিয়াস ভেঙে ছোট ছোট নিউক্লিয়াসে বিভক্ত হওয়াকে ফিশন (fission) বলা হয়।
নিউট্রন ও শক্তি: স্বল্পগতির নিউট্রন দিয়ে আঘাত করলে একটি ভারী নিউক্লিয়াস প্রায় দুইটি ভাগে বিভক্ত হয়ে তিনটি নিউট্রন এবং প্রচুর শক্তি উৎপন্ন করতে পারে; এই মুক্ত নিউট্রনগুলো অন্য কোরকে আঘাত করলে চেইন রিঅ্যাকশন (chain reaction) শুরু হয়।
প্রয়োগ: ফিশন থেকে উৎপন্ন শক্তি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং পারমাণবিক অস্ত্র (উদাহরণ: আণবিক বোমা) তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।

0
Updated: 14 hours ago
জীবজগতের জন্য সবচেয়ে ক্ষতিকর রশ্মি কোনটি?
Created: 4 weeks ago
A
আলফা রশ্মি
B
বিটা রশ্মি
C
গামা রশ্মি
D
আলট্রাভায়োলেট রশ্মি
জীবজগতের জন্য সবচেয়ে ক্ষতিকর বিকিরণ হলো গামা রশ্মি। কারণ, এর ভেদন ক্ষমতা (penetration power) আলফা ও বিটা রশ্মির তুলনায় অনেক বেশি। গামা রশ্মি এমনকি কয়েক সেন্টিমিটার পর্যন্ত সীসা (lead) ভেদ করতে সক্ষম।
অন্যদিকে, সূর্য থেকে আসা অতিবেগুনি (Ultraviolet) রশ্মিও ক্ষতিকর হলেও তা গামা রশ্মির মতো প্রাণঘাতী নয়। এর ক্ষতিকর প্রভাব তুলনামূলকভাবে কম।
গামা রশ্মির তরঙ্গদৈর্ঘ্য (wavelength) সব ধরনের বিকিরণের মধ্যে সবচেয়ে কম। এজন্যই এর ভেদন ক্ষমতাও সবচেয়ে বেশি। উল্লেখযোগ্যভাবে, পারমাণবিক বিস্ফোরণ থেকে গামা রশ্মি নির্গত হয়, যা পরিবেশ ও জীবজগতের জন্য মারাত্মক বিপজ্জনক।
তুলনামূলকভাবে, আলফা ও বিটা রশ্মি গামা রশ্মির চেয়ে কম ক্ষতিকর, কারণ এগুলোর ভেদন ক্ষমতা সীমিত।
উৎস: NASA (nasa.gov)

0
Updated: 4 weeks ago
শিশুদের ভিটামিন এ ক্যাপসুল দিতে হয় -
Created: 1 week ago
A
বছরে একবার
B
বছরে দুইবার
C
বছরে তিনবার
D
এর কোনটিই নয়
শিশু এবং কিশোর-কিশোরীদের টিকা ও পুষ্টি সম্পর্কিত তথ্যগুলো নিচেরভাবে整理 করা যায়। শিশুদের সঠিক বয়স অনুযায়ী টিকা প্রদান ও পুষ্টি নিশ্চিত করার জন্য নিয়মিত স্বাস্থ্য কেন্দ্র পরিদর্শন জরুরি।
-
শিশুর বয়স ৬ সপ্তাহ বা ৪২ দিন পূর্ণ হলে পেন্টাভ্যালেন্ট টিকা (ডিপিটি, হেপাটাইটিস-বি, হিব) এবং ওপিভি টিকার প্রথম ডোজ প্রদান করতে হবে। জন্মের প্রথম বছরের মধ্যে সব টিকা নিশ্চিত করতে কমপক্ষে ৪ বার শিশুকে স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে আসতে হবে।
-
শিশুর বয়স ৯ মাস পূর্ণ হয়ে ১০ মাসে পড়লে হামের টিকা এবং ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল দিতে হবে।
-
১৫ বছর বয়সে সকল মহিলাদের ধনুষ্টংকার প্রতিষেধক (টি.টি.) টিকা দেওয়া শুরু করতে হবে এবং নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী মোট ৫ ডোজ টিকা সম্পন্ন করতে হবে।
-
১-৫ বছর বয়সী শিশুকে প্রতি ৬ মাস অন্তর ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল এবং কৃমিনাশক ট্যাবলেট খাওয়াতে হবে।
-
অর্থাৎ বছরে দুইবার শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল দেওয়া নিশ্চিত করতে হবে।

0
Updated: 1 week ago
জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কি?
Created: 1 month ago
A
প্রাকৃতিক পরিবেশ
B
সামাজিক পরিবেশ
C
বায়বীয় পরিবেশ
D
সাংস্কৃতিক পরিবেশ
জনসংখ্যা বাড়ার কারণে বেশি মানুষকে থাকার জায়গা, রাস্তা, খাবারসহ অনেক জিনিস প্রয়োজন হয়।
এজন্য গাছপালা এবং বনাঞ্চল কমে যাচ্ছে, যার ফলে পরিবেশের সামঞ্জস্য হারিয়ে যাচ্ছে।
বেশি ফলন পাওয়ার জন্য জমিতে রাসায়নিক সার ও কীটনাশক বেশি ব্যবহার করা হচ্ছে।
প্রকৃতির মধ্যে যেমন মাটি, নদী, গাছপালা ও প্রাণী সব প্রাকৃতিক পরিবেশের অংশ।
জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে এই প্রাকৃতিক পরিবেশ খুব ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

0
Updated: 1 month ago