কোনটি শরীরে নাইট্রোজেন সরবরাহ করে?
A
খনিজ লবণ
B
ভিটামিন
C
স্নেহ
D
আমিষ
উত্তরের বিবরণ
আমিষ বা Protein হলো মানবদেহের জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান, যা দেহ গঠন, বৃদ্ধি, মেরামত এবং শক্তি সরবরাহে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এটি বিশেষভাবে নাইট্রোজেন ধারণ করে বলে অন্যান্য খাদ্য উপাদান যেমন শর্করা ও স্নেহ পদার্থ থেকে আলাদা। নিচে আমিষ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হলো:
-
আমিষ বা Protein গঠিত হয় Carbon, Hydrogen, Oxygen এবং Nitrogen দিয়ে।
-
আমিষে গড়ে ১৬% Nitrogen থাকে।
-
এতে সামান্য পরিমাণে Sulphur, Phosphorus এবং Iron-ও থাকে।
-
Nitrogen এবং অন্যান্য উপাদানের উপস্থিতির কারণে Protein-এর গুরুত্ব অন্য সব Macronutrient থেকে আলাদা।
-
কেবলমাত্র Protein-জাতীয় খাবারই শরীরকে Nitrogen Supply করে, এজন্য Nutrition Science-এ একে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ধরা হয়।
আমিষের উৎস:
-
প্রধান উৎস হলো Fish, Meat, Egg, Milk, Pulses (ডাল), Beans, Dry Fish, Peanuts ইত্যাদি।
-
উৎসভেদে Protein দুই ধরনের— Animal Protein এবং Plant Protein।
প্রাণিজ আমিষ (Animal Protein):
-
এর মধ্যে পড়ে Fish, Meat, Egg, Cheese, Paneer, Liver ইত্যাদি।
-
এগুলোতে দেহের জন্য প্রয়োজনীয় সব Essential Amino Acids বিদ্যমান।
উদ্ভিজ্জ আমিষ (Plant Protein):
-
এর মধ্যে রয়েছে Pulses, Peanuts, Beans ইত্যাদি।
-
আগে ধারণা করা হতো উদ্ভিজ্জ প্রোটিন প্রাণিজ প্রোটিনের তুলনায় কম পুষ্টিকর, কারণ এতে সব Essential Amino Acids থাকে না।
-
কিন্তু বাস্তবে দেখা গেছে বিভিন্ন উদ্ভিজ্জ উৎস একত্র করলে প্রায় সব Amino Acids পর্যাপ্ত পরিমাণে পাওয়া যায়।
-
দুই বা ততোধিক উদ্ভিজ্জ আমিষ একত্রে রান্না করলেও Amino Acid Ratio তেমন পরিবর্তিত হয় না।
0
Updated: 1 month ago
কোন মাধ্যমে শব্দের গতি সর্বাপেক্ষা কম?
Created: 3 months ago
A
শূন্যতায়
B
কঠিন পদার্থে
C
তরল পদাবায়বীয় পদার্থের্থে
D
বায়বীয় পদার্থে
শব্দের গতি:
- বায়বীয় পদার্থে শব্দের গতি সবচেয়ে কম।
- শব্দ এক প্রকার যান্ত্রিক তরঙ্গ। তাই শব্দ চলার জন্য মাধ্যমের প্রয়োজন হয়।
- কঠিন পদার্থে শব্দের গতি সবচেয়ে বেশি। যেমন- ইস্পাত, লোহা ইত্যাদি।
- তরলে পদার্থে শব্দের গতি কঠিন পদার্থের চেয়ে কম। যেমন- পানি।
- বায়বীয় পদার্থে শব্দের গতি সবচেয়ে কম।
- শূন্য মাধ্যমে শব্দের বেগ শূন্য।
উৎস: পদার্থবিজ্ঞান, নবম-দশম শ্রেণি।
0
Updated: 3 months ago
যেসব অণুজীব রোগ সৃষ্টি করে তাদের বলা হয়-
Created: 2 months ago
A
প্যাথজেনিক
B
ইনফেকশন
C
টক্সিন
D
জীবাণু
রোগ সংক্রমণ ও প্যাথোজেন
-
প্যাথোজেন (Pathogen):
জীববিজ্ঞান এবং চিকিৎসা বিজ্ঞানে, প্যাথোজেন হলো সেই কোনো অণুজীব বা এজেন্ট যা রোগ সৃষ্টি করতে পারে। সহজ কথায়, “যে অণুজীব রোগের কারণ হয়, তাকে প্যাথোজেন বলা হয়।”উদাহরণ: ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, ছত্রাক, প্রিয়ন, এবং অন্যান্য কিছু ক্ষুদ্র জীবাণু।
-
Oxford Dictionary অনুযায়ী: Pathogenic = (of a bacterium, virus, or other microorganism) causing disease.
-
ইতিহাস: ১৮৮০ সাল থেকে এই শব্দটি সাধারণত রোগ সৃষ্টিকারী এজেন্ট বোঝাতে ব্যবহৃত হয়েছে।
-
-
সংক্রমণ (Infection):
সংক্রমণ হলো সেই প্রক্রিয়া যখন কোনো প্যাথোজেন আমাদের দেহে প্রবেশ করে এবং রোগের লক্ষণ তৈরি করে। -
টক্সিন (Toxin):
টক্সিন হলো ক্ষতিকারক বা বিষাক্ত পদার্থ, যা কোনো অণুজীব (বা অন্য উৎস) দ্বারা তৈরি হতে পারে। -
জীবাণু (Microorganism):
ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অণুজীব, যা সবসময় রোগ সৃষ্টি করে না। কিছু জীবাণু বিপজ্জনক (প্যাথোজেনিক) হতে পারে, আবার অনেকগুলো নিরীহ বা উপকারীও হতে পারে।
সংক্ষেপে:
“যে অণুজীব রোগ সৃষ্টি করতে সক্ষম, সেটিই প্যাথোজেন; সংক্রমণ হলো সেই প্যাথোজেনের প্রভাবে শরীরে রোগ দেখা; টক্সিন হলো বিষ; আর সব জীবাণুই রোগ সৃষ্টি করে না।”
উৎস: Oxford English Dictionary, Pathogenic
0
Updated: 2 months ago
কোন জোড়াটি বেমানান?
Created: 1 month ago
A
যক্ষ্মার জীবাণু : রবার্ট কচ
B
হোমিওপ্যাথি: হ্যানিম্যান
C
ব্যাকটেরিয়া : রবার্ট হুক
D
এনাটমি : ভেসলিয়াস
ওলন্দাজ বিজ্ঞানী অ্যান্টনি ফন লিউয়েন হুক ১৬৭৫ সালে তাঁর আবিষ্কৃত সরল অণুবীক্ষণ যন্ত্র ব্যবহার করে এক ফোঁটা বৃষ্টির পানিতে ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেছিলেন। তিনি এই ক্ষুদ্র জীবকে Animalcule অর্থাৎ ক্ষুদ্র প্রাণী হিসেবে নামকরণ করেন।
এ কারণে তাকে ব্যাকটেরিওলজির জনক (Father of Bacteriology) বলা হয়। পরবর্তীতে, জার্মান বিজ্ঞানী এহরেনবার্গ ১৮২৯ সালে এ ধরনের জীবকে ব্যাকটেরিয়া নাম দেন।
-
যক্ষ্মা একটি মারাত্মক সংক্রামক রোগ, যা মাইকো-ব্যাকটেরিয়াম টিউবারকুলোসিস নামক জীবাণুর কারণে হাঁচি ও কাশির মাধ্যমে সংক্রমিত হয়। ১৮৮২ সালের ২৪ মার্চ ড. রবার্ট কচ জার্মানির বার্লিনে যক্ষ্মার জীবাণু আবিষ্কার করেন।
-
ক্রিস্টিয়ান ফ্রিডরিখ স্যামুয়েল হ্যানিম্যান ছিলেন জার্মানির একজন বিখ্যাত চিকিৎসক এবং তিনি হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার জনক হিসেবে পরিচিত।
-
আন্দ্রেয়াস ভেসলিয়াস ছিলেন একজন বেলজিয়ান অ্যানাটমিস্ট ও চিকিৎসক, যাকে আধুনিক শারীরবিদ্যার জনক হিসেবে ধরা হয় এবং তার কাজ আধুনিক চিকিৎসার ভিত্তি স্থাপন করে।
0
Updated: 1 month ago