আল্ট্রাসনোগ্রাফিতে ব্যবহৃত শব্দের কম্পাঙ্ক কত?
A
০.০১-০১ মেগাহার্জ
B
০১-১০ মেগাহার্জ
C
১০-২০ মেগাহার্জ
D
২০-৩০ মেগাহার্জ
উত্তরের বিবরণ
আল্ট্রাসনোগ্রাফি হলো এমন একটি প্রক্রিয়া যা উচ্চ কম্পাঙ্কের শব্দের প্রতিফলনের উপর নির্ভরশীল, এবং এটি মূলত শরীরের অভ্যন্তরীণ অঙ্গ বা টিস্যুর ছবি দেখার জন্য ব্যবহৃত হয়।
এই পদ্ধতিতে উচ্চ কম্পাঙ্কের শব্দ শরীরের ভেতরের অঙ্গ বা পেশি থেকে প্রতিফলিত হয় এবং প্রতিফলিত তরঙ্গের মাধ্যমে ঐ অঙ্গের একটি প্রতিবিম্ব (image) মনিটরের পর্দায় তৈরি করা হয়। আল্ট্রাসনোগ্রাফিতে সাধারণত শব্দের কম্পাঙ্ক 1-10 মেগাহার্টজ থাকে।
-
আল্ট্রাসনোগ্রাফির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যবহার স্ত্রীরোগ ও প্রসূতিবিজ্ঞানে লক্ষ্য করা যায়।
-
এর মাধ্যমে ভ্রুণের আকার, পূর্ণতা, এবং স্বাভাবিক বা অস্বাভাবিক অবস্থান নির্ধারণ করা যায়।
-
প্রসূতিবিজ্ঞানে এটি একটি দ্রুত, নিরাপদ এবং নির্ভরযোগ্য কৌশল হিসেবে বিবেচিত।
-
আল্ট্রাসনোগ্রাফি ব্যবহার করে পিত্তপাথর, জরায়ুর টিউমার এবং অন্যান্য পেলভিক মাস সনাক্ত করা সম্ভব।
-
এক্স-রে বা অন্যান্য পদ্ধতির তুলনায় এটি অধিকতর নিরাপদ। তবে আল্ট্রাসাউন্ড ব্যবহার শুধুমাত্র সীমিত সময়ের জন্য করা উচিত।
0
Updated: 1 month ago
প্রােটিন তৈরি হয়-
Created: 1 month ago
A
ফ্যাটি এসিড দিয়ে
B
সাইট্রিক এসিড দিয়ে
C
অ্যামিনাে এসিড দিয়ে
D
অক্সালিক এসিড দিয়ে
প্রোটিন শরীরের জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জৈব যৌগ যা মূলত অ্যামিনো অ্যাসিড দিয়ে গঠিত। এরা আমাদের দেহের বৃদ্ধি, কোষ নির্মাণ, মেরামত ও বিভিন্ন জৈব কার্যক্রম সম্পাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
-
প্রোটিন তৈরি হয় অ্যামিনো অ্যাসিড দিয়ে।
-
কার্বন, হাইড্রোজেন, অক্সিজেন এবং নাইট্রোজেনের সমন্বয়ে আমিষ (প্রোটিন) গঠিত।
-
আমিষের একক হলো অ্যামিনো অ্যাসিড।
-
আমাদের শরীরে আমিষ পরিপাক হওয়ার পর তা ভেঙে অ্যামিনো অ্যাসিডে পরিণত হয়।
-
মানুষের শরীরে এখন পর্যন্ত ২০ প্রকার অ্যামিনো অ্যাসিড শনাক্ত করা হয়েছে, যার মধ্যে ৮টি অত্যাবশ্যকীয় অ্যামিনো অ্যাসিড।
-
এই ৮টি অ্যামিনো অ্যাসিড দেহ নিজে তৈরি করতে পারে না, তাই খাদ্য থেকে গ্রহণ করতে হয়।
-
অত্যাবশ্যকীয় ৮টি অ্যামিনো অ্যাসিড হলো:
১. লাইসিন
২. লিউসিন
৩. আইসোলিউসিন
৪. মিথিওনিন
৫. ট্রিপটোফ্যান
৬. ভ্যালিন
৭. ফেনাইল অ্যালানিন
৮. থ্রিওনিন
0
Updated: 1 month ago
নিচের কোন উদ্ভিদ কেবল ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চলে দেখা যায়?
Created: 2 months ago
A
খেজুর পাম
B
সাগু পাম
C
নিপা পাম
D
তাল পাম
ম্যানগ্রোভ
-
ম্যানগ্রোভ হলো সমুদ্র উপকূলের বিশেষ ধরনের বনভূমি, যা জোয়ার-ভাটার প্রভাবে আংশিক বা সম্পূর্ণভাবে প্লাবিত হয়।
-
এই বন সাধারণত উষ্ণমন্ডলীয় এবং উপ-উষ্ণমন্ডলীয় অঞ্চলে দেখা যায়।
-
ম্যানগ্রোভ ইকোসিস্টেমে অন্তর্ভুক্ত থাকে পানি, পলি, পুষ্টি উপাদান, জৈব পদার্থ এবং বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণী। সব উপাদান একে অপরের সাথে সংযুক্তভাবে কাজ করে।
-
ম্যানগ্রোভ বনভূমি মূলত লবণাক্ত সমতলভূমিতে গঠিত হয়, যেখানে জোয়ার-ভাটার নিয়মিত প্রভাব থাকে।
গোলপাতা (Nipa Palm)
-
গোলপাতা হলো Nypa fruticans প্রজাতির একটি পামজাতীয় উদ্ভিদ, যা Arecaceae (Palmae) গোত্রভুক্ত।
-
এটি ম্যানগ্রোভ উদ্ভিদ হিসেবে পরিচিত এবং এশিয়া, ওসেনিয়া ও আফ্রিকার পূর্ব উপকূলের ম্যানগ্রোভ বনগুলোতে বিস্তৃত।
-
উদ্ভিদের কান্ড স্বল্প ও অনুভূমিক, এবং এতে অসংখ্য শিকড় থাকে। পাতাগুলো লম্বা ও খাড়া, প্রায় ৩–৯ মিটার পর্যন্ত।
-
বাংলাদেশে, বিশেষ করে সুন্দরবনের স্বল্প ও মধ্য লবণাক্ত অঞ্চলে গোলপাতা বেশি জন্মায়।
উৎস: বাংলাপিডিয়া
0
Updated: 2 months ago
পৃথিবীর বারিমণ্ডলের জলরাশির শতকরা কতভাগ জল ভূগর্ভে ধারণ করে?
Created: 2 months ago
A
২.০৫%
B
০.৬৮%
C
০.০১%
D
০.০০১%
বারিমণ্ডলের জলের পরিমাণের ভাগ
পৃথিবীতে থাকা মোট জলের মধ্যে বিভিন্ন অংশের ভাগ নিম্নরূপ:
-
সমুদ্রের জল: ৯৭.২৫%
-
হিমবাহের জল (গ্লেসিয়ার): ২.০৫%
-
ভূগর্ভস্থ পানি: ০.৬৮%
-
হৃদ বা হ্রদের জল: ০.০১%
-
মাটির আর্দ্রতা: ০.০০৫%
-
বায়ুমণ্ডলের জল (বাষ্প): ০.০০১%
-
নদীজল: ০.০০০১%
-
জীবমণ্ডলের জল (উদাহরণ: উদ্ভিদ ও প্রাণীর দেহের জল): ০.০০০০৪%
পৃথিবীর জলের প্রায় ৯৭% সমুদ্র ও মহাসাগরে রয়েছে। এই পানি লবণাক্ত হওয়ায় সরাসরি মানবদেহের জন্য পানীয় উপযুক্ত নয়।
হিমবাহ বা বরফ আকারে থাকা পানি প্রায় ২%, যা মধুর পানি হিসেবে পরবর্তীতে ব্যবহৃত হতে পারে।
ভূগর্ভস্থ পানি প্রায় ০.৬৮%, যা প্রধানত কূপ, ঝরনা ও নলকূপের মাধ্যমে মানুষের কাজে আসে।
অন্য ছোট ছোট উৎস যেমন নদী, হ্রদ, মাটির আর্দ্রতা ও বায়ুমণ্ডলীয় জল প্রায় নগণ্য, কিন্তু মানুষের দৈনন্দিন জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
উৎস: ভূগোল ও পরিবেশ, নবম-দশম শ্রেণি
0
Updated: 2 months ago