ইথার সম্বন্ধে কোনটি মিথ্যা?
A
এটি একটি রাসায়নিক তরল পদার্থ
B
এটি একটি কাল্পনিক মাধ্যম যা মহাবিশ্বে সর্বত্র বিরাজমান ছিল
C
এ মাধ্যম ছাড়া তাড়িৎ চৌম্বক তরঙ্গ সঞ্চালন সম্ভব নয়
D
এ কাল্পনিক মাধ্যমটির স্থিতিস্থাপক ধর্ম ছিলো
উত্তরের বিবরণ
ইথার ধারণা এবং তার বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ সম্পর্কে সংক্ষিপ্তভাবে বলা যায় যে, এটি রসায়ন ও পদার্থবিজ্ঞানের দুটি ভিন্ন প্রসঙ্গে দেখা গেছে। Chemistry-এ ইথার হলো বাস্তব রাসায়নিক যৌগ, যেখানে Physics-এ এটি ছিল এক কাল্পনিক, সর্বব্যাপী মাধ্যম।
তবে আধুনিক বিজ্ঞান প্রমাণ করেছে যে ইথারের প্রয়োজন নেই এবং তড়িৎচৌম্বক তরঙ্গ শূন্য মহাশূন্যেও চলতে পারে। বিস্তারিত ব্যাখ্যা হলো:
• রসায়ন (Chemistry):
-
ডাই-ইথাইল ইথার (C4H10O) একটি বাস্তব রাসায়নিক যৌগ।
-
অতীতে চিকিৎসাবিজ্ঞানে এটি অ্যানেস্থেটিক (চেতনানাশক) হিসেবে ব্যবহৃত হতো।
-
এটি একটি উড়নশীল (volatile) এবং দাহ্য (flammable) তরল দ্রাবক।
• পদার্থবিজ্ঞান (Physics):
-
১৯শ শতকে বিজ্ঞানীরা একটি কাল্পনিক মাধ্যম লুমিনিফেরাস ইথার ধরা হয়।
-
ধারণা করা হতো এটি সমগ্র মহাবিশ্বে বিরাজমান এবং আলো ও তড়িৎচৌম্বক তরঙ্গের সঞ্চালনের জন্য অপরিহার্য।
-
এই কাল্পনিক মাধ্যমে স্থিতিস্থাপক ধর্ম থাকা মানে তরঙ্গ সঞ্চালনের ক্ষমতা থাকবে, যেমন শব্দ তরঙ্গের জন্য বায়ু প্রয়োজন হয়।
• মিথ্যা ধারণা:
-
"এ মাধ্যম ছাড়া তড়িৎচৌম্বক তরঙ্গ সঞ্চালন সম্ভব নয়" এই মতটি ভুল।
• ঐতিহাসিক প্রমাণ:
-
মাইকেলসন–মর্লে পরীক্ষা (১৮৮৭) ইথারের অস্তিত্ব খুঁজে পেতে ব্যর্থ হয়।
-
কোনো দিকেই আলোর গতির পার্থক্য পাওয়া যায়নি, যা ইথারের অস্তিত্বের বিরুদ্ধে শক্ত প্রমাণ।
• আধুনিক বৈজ্ঞানিক ধারণা:
-
ম্যাক্সওয়েলের সমীকরণ প্রমাণ করে যে EM তরঙ্গ শূন্যতায়ও চলতে পারে।
-
আইনস্টাইনের বিশেষ আপেক্ষিকতা (১৯০৫) ইথারের প্রয়োজনীয়তা বাতিল করে।
-
তড়িৎচৌম্বক তরঙ্গ হলো বিদ্যুৎ ও চৌম্বক ক্ষেত্রের স্ব-প্রসারিত বিচ্যুতি।
• পরীক্ষামূলক প্রমাণ:
-
নক্ষত্র থেকে আলো শূন্য মহাশূন্য পেরিয়ে পৃথিবীতে পৌঁছায়।
-
মহাকাশযানের সঙ্গে রেডিও যোগাযোগ শূন্য মহাশূন্যে সম্ভব।
-
সব ধরনের EM তরঙ্গ (রেডিও, মাইক্রোওয়েভ, ইনফ্রারেড, দৃশ্যমান, আল্ট্রাভায়োলেট, এক্স-রে, গামা) শূন্যতায় ভ্রমণ করতে সক্ষম।
• ইথার ধারণার ইতিহাস:
-
পদার্থবিদরা মনে করতেন যে তরঙ্গের জন্য মাধ্যম দরকার, যেমন শব্দ তরঙ্গের জন্য বায়ু বা জলতরঙ্গের জন্য পানি।
-
আলোও শূন্যতায় ছড়াতে হলে একটি বিশেষ মাধ্যমের প্রয়োজন হবে বলে তারা বিশ্বাস করতেন।
• ইথার তত্ত্বের পতন:
-
মাইকেলসন–মর্লে পরীক্ষা প্রমাণ করল যে আলোর গতি কোনো দিকেও পরিবর্তিত হয় না।
-
আইনস্টাইনের বিশেষ আপেক্ষিকতা দেখালো যে আলোর গতি সব পর্যবেক্ষকের জন্য একই এবং কোনো মাধ্যমের ওপর নির্ভরশীল নয়।
0
Updated: 1 month ago
AC কে DC করার যন্ত্র-
Created: 2 months ago
A
রেকটিফায়ার
B
অ্যামপ্লিফায়ার
C
ট্রানজিস্টর
D
ডায়োড
রেকটিফায়ার (Rectifier)
-
যে প্রক্রিয়ায় পরিবর্তনশীল ধারা (AC) সরলধারায় (DC) রূপান্তরিত হয়, তাকে একমুখীকরণ বা রেকটিফিকেশন বলে।
-
এই কাজটি সম্পাদনের জন্য যে যন্ত্র বা উপাদান ব্যবহার করা হয় তাকে একমুখীকারক বা রেকটিফায়ার বলা হয়।
-
মূলত, ডায়োড রেকটিফায়ারের কাজ করে।
-
রেকটিফায়ার AC প্রবাহকে DC প্রবাহে রূপান্তরিত করে।
-
রেকটিফায়ারের প্রধান দুই প্রকার আছে:
-
অর্ধ-তরঙ্গ রেকটিফায়ার (Half-wave rectifier)
-
পূর্ণ-তরঙ্গ রেকটিফায়ার (Full-wave rectifier)
-
উৎস: পদার্থবিজ্ঞান দ্বিতীয় পত্র, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি, শাহজাহান তপন
0
Updated: 2 months ago
ডেঙ্গু রোগ ছড়ায়-
Created: 2 months ago
A
Aedes aegypti মশা
B
House flies
C
Anopheles মশা
D
ইঁদুর ও কাঠবেড়ালী
ডেঙ্গুর বাহক
-
ডেঙ্গু হলো মশাবাহিত একটি রোগ, যা মূলত এডিস মশা দ্বারা ছড়ায়।
-
প্রধানত Aedes aegypti প্রজাতির মশার কামড়ে ডেঙ্গু সংক্রমণ ঘটে।
-
এছাড়া Aedes albopictus মশার কামড়েও রোগটি ছড়াতে পারে।
ডেঙ্গুর প্রকৃতি
-
ডেঙ্গু আক্রান্ত ব্যক্তি সাধারণত ২–৭ দিনের মধ্যে সুস্থ হয়ে ওঠে।
-
তবে কিছু ক্ষেত্রে রোগটি গুরুতর রূপ নেয়, যা ডেঙ্গু হেমোরাজিক জ্বর নামে পরিচিত।
উপসর্গ ও সংক্রমণ
-
সংক্রমণের ৩–১৫ দিনের মধ্যে ডেঙ্গুর সাধারণ লক্ষণগুলো দেখা দেয়।
-
প্রধান উপসর্গসমূহ:
-
জ্বর ও মাথাব্যথা
-
বমি
-
পেশি ও গাঁটে ব্যথা
-
ত্বকে ফুসকুড়ি
-
ডেঙ্গু টিকা
-
বিশ্বে বর্তমানে দুটি ডেঙ্গু ভ্যাকসিন অনুমোদিত, যা প্রায় ২০টি দেশে ব্যবহার করা হচ্ছে।
-
টিকা দেওয়ার ফলে ৯০% সংক্রমিত ব্যক্তিরা হাসপাতালে যেতে হয় না।
-
অনুমোদিত টিকা দুটি হলো: Dengvaxia এবং Qdenga।
-
এই টিকার মাধ্যমে সংক্রমণ প্রতিরোধের ক্ষমতা ৮০%-এর বেশি।
তুলনামূলক তথ্য – ম্যালেরিয়া
-
অন্যদিকে, স্ত্রী অ্যানোফিলিস মশা ম্যালেরিয়ার জীবাণু ছড়ায়।
-
বাংলাদেশে ৩৬ প্রজাতির অ্যানোফিলিস মশা রয়েছে, যার মধ্যে ৭টি প্রজাতি ম্যালেরিয়া ছড়ায়।
উৎস: Britannica
0
Updated: 2 months ago
তাপ ইঞ্জিনের কাজ- (Heat Engine)
Created: 2 months ago
A
যান্ত্রিকশক্তিকে তাপশক্তিতে রূপান্তর
B
তাপশক্তিকে যান্ত্রিকশক্তিতে রূপান্তর
C
বিদ্যুৎশক্তিকে যান্ত্রিকশক্তিতে রূপান্তর
D
তাপশক্তিকে বিদ্যুৎশক্তিতে রূপান্তর
তাপীয় ইঞ্জিন
তাপীয় ইঞ্জিন হলো এমন একটি যন্ত্র, যা তাপশক্তিকে যান্ত্রিক শক্তিতে রূপান্তর করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, বাষ্প ইঞ্জিন, পেট্রোল ইঞ্জিন, এবং ডিজেল ইঞ্জিন।
মূল বৈশিষ্ট্যগুলো
-
তাপীয় ইঞ্জিনে দুটি প্রধান অংশ থাকে: তাপ উৎস এবং তাপগ্রাহক।
-
ইঞ্জিন কোনো উচ্চ তাপমাত্রার উৎস থেকে তাপ গ্রহণ করে, তার একটি অংশকে কাজে রূপান্তরিত করে।
-
যে অংশ তাপে কাজ হয়নি, তা পরিবেশে বা শীতল বস্তুতে ছেড়ে দেয়।
-
ইঞ্জিন সবসময় একটি চক্র পূর্ণ করে, অর্থাৎ কাজ শেষে আবার প্রাথমিক অবস্থায় ফিরে আসে।
-
তাপ উৎসের তাপমাত্রা সর্বদা তাপগ্রাহকের চেয়ে বেশি হতে হবে, যাতে তাপ স্থানান্তর সম্ভব হয়।
উদাহরণ:
-
বাষ্প ইঞ্জিন
-
পেট্রোল ইঞ্জিন
-
ডিজেল ইঞ্জিন
সূত্র: পদার্থ বিজ্ঞান, প্রথম পত্র, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়
0
Updated: 2 months ago