কোন ধাতু পানিতে ফেললে আগুন ধরে যায়?
A
সোডিয়াম
B
ম্যাগনেসিয়াম
C
রেডিয়াম
D
ইউরেনিয়াম
উত্তরের বিবরণ
যখন সোডিয়াম ধাতু পানিতে ফেলা হয়, তখন তা সঙ্গে সঙ্গে প্রচণ্ড বিক্রিয়া করে এবং আগুন ধরে যায়। এর প্রধান কারণ হলো সোডিয়ামের অতিরিক্ত সক্রিয়তা এবং পানির সঙ্গে দ্রুত প্রতিক্রিয়া। নিচে বিষয়গুলো বিস্তারিতভাবে দেওয়া হলো—
-
সোডিয়াম একটি সক্রিয় ধাতু, যা সহজেই রাসায়নিক বিক্রিয়ায় অংশ নেয়।
-
এটি পানির সঙ্গে দ্রুত বিক্রিয়া করে প্রচুর তাপ উৎপন্ন করে এবং সেই সঙ্গে হাইড্রোজেন গ্যাস নির্গত করে।
-
প্রতিক্রিয়াটি এত দ্রুত হয় যে নির্গত হাইড্রোজেন গ্যাস তাপের সংস্পর্শে এসে আগুন ধরে জ্বলে ওঠে।
-
সোডিয়াম সাধারণ অবস্থায়ও বাতাসের সঙ্গে প্রতিক্রিয়া করে এবং বিশেষত আর্দ্রতা বা জলীয় বাষ্পের উপস্থিতিতে দ্রুত ক্ষয়প্রাপ্ত হয়।
-
বাতাসের সংস্পর্শে এলে সোডিয়ামের উপর একটি সোডিয়াম হাইড্রোক্সাইড (NaOH) এর আস্তরণ তৈরি হয়। এটি পরবর্তীতে বাতাস থেকে কার্বন ডাই অক্সাইড শোষণ করে এবং সোডিয়াম বাইকার্বোনেটে (NaHCO₃) রূপান্তরিত হয়।
-
সোডিয়ামকে সাধারণত কেরোসিন বা ন্যাপথার মতো inert তরলে সংরক্ষণ করা হয়, কারণ এগুলোর সঙ্গে এটি বিক্রিয়া করে না এবং সোডিয়ামকে স্থিতিশীল রাখে।
-
তরল অবস্থায় সোডিয়াম কঠিন অবস্থার চেয়ে বেশি সক্রিয়, এবং প্রায় ১২৫ °C (২৫৭ °F) তাপমাত্রায় সহজেই জ্বলে উঠতে পারে।
অন্য উপাদানগুলোর ক্ষেত্রে—
-
ম্যাগনেসিয়াম সাধারণত +2 oxidation state এ থাকে। এটি জীবনের জন্য অপরিহার্য এবং DNA, RNA এবং ATP-এর গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
-
ইউরেনিয়াম একটি তেজস্ক্রিয় উপাদান, যা প্রধানত পারমাণবিক জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
-
রেডিয়াম অত্যন্ত তেজস্ক্রিয় এবং এর যৌগসমূহ অন্ধকারে হালকা নীল রঙের আলো নির্গত করে।
0
Updated: 1 month ago
সর্বাপেক্ষা হালকা গ্যাস-
Created: 2 months ago
A
অক্সিজেন
B
হাইড্রোজেন
C
র্যাডন
D
নাইট্রোজেন
হাইড্রোজেন গ্যাস
-
হাইড্রোজেন হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে হালকা গ্যাস।
-
এটি একটি গ্রিন এনার্জি (পরিষ্কার জ্বালানি), কারণ এটি পোড়ালে শুধু পানি উৎপন্ন হয়—অন্য কোনো ক্ষতিকর পদার্থ হয় না।
-
যদিও হাইড্রোজেন দাহ্য (জ্বলে), কিন্তু এটি অন্য কিছু জ্বালাতে সাহায্য করে না।
হাইড্রোজেন গ্যাসের প্রধান বৈশিষ্ট্য
১. খাঁটি হাইড্রোজেন বর্ণহীন, গন্ধহীন ও স্বাদহীন।
২. এটি পানিতে খুব সামান্য দ্রবীভূত হয়।
৩. সব মৌলের মধ্যে এটি সবচেয়ে হালকা।
৪. বাতাস হাইড্রোজেনের তুলনায় প্রায় ১৪.৪ গুণ ভারী।
উৎস: এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকা
0
Updated: 2 months ago
জমির লবণাক্ততা নিয়িন্ত্রণ করে কোনটি?
Created: 2 months ago
A
কৃত্রিম সার প্রয়োগ
B
পানি সেচ
C
মাটিতে নাইট্রোজেন ধরে রাখা
D
প্রাকৃতিক গ্যাস প্রয়োগ
জমির লবণাক্ততা কমানো এবং উর্বরতা রক্ষা
-
জমির লবণাক্ততা নিয়ন্ত্রণের জন্য পানি সেচ একটি গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতি।
-
জমিতে দুই-তিনবার স্বাদুপানি দিয়ে সেচ দিলে অতিরিক্ত লবণ ধুয়ে বের হয়ে যায়, ফলে লবণাক্ততা অনেক কমে। এটি একটি প্রাকৃতিক ও সহজ পদ্ধতি।
-
লবণাক্ততার কারণে শুকনো মৌসুমে বিশেষ করে রবি ও খরিফ-১ মৌসুমে ফসল চাষ কঠিন হয়ে যায়। এই সময় মাটির লবণাক্ততা প্রায় ৮.০ ডিএস/মি. এর উপরে চলে যায়।
-
নদীর পানির লবণাক্ততা এই সময় প্রায় ২৫.০–৩০.০ ডিএস/মি. পর্যন্ত হতে পারে।
জমির উর্বরতা রক্ষা ও বৃদ্ধির উপায়:
-
ভূমিক্ষয় রোধ করা।
-
মাটিতে পর্যাপ্ত জৈব পদার্থ প্রয়োগ করা।
-
মাটির অম্লমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা।
-
শিম জাতীয় উদ্ভিদ চাষ করা।
-
একই জমিতে বারবার একই ফসল না চাষ করে ভিন্ন ফসল চাষ করা।
-
পানি ও আগাছা নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করা।
উৎস: বাংলাদেশ কৃষি তথ্য সার্ভিস; কৃষিশিক্ষা, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।
0
Updated: 2 months ago
বায়ুমণ্ডলে শতকরা কতভাগ আর্গন বিদ্যমান?
Created: 2 months ago
A
৭৮.০
B
০.৮
C
০.৪১
D
০.৩
পৃথিবীর চারপাশে যে অদৃশ্য বায়বীয় আবরণ রয়েছে, তাকে বায়ুমণ্ডল বলা হয়। ইংরেজিতে এটিকে Atmosphere বলা হয়।
বায়ুমণ্ডল পৃথিবীর অপরিহার্য অংশ, যা মাধ্যাকর্ষণ শক্তির কারণে পৃথিবীর সঙ্গে সংযুক্ত থাকে এবং পৃথিবীর সঙ্গে আবর্তন করে। তবে বায়ু কঠিন ভূমির সঙ্গে পুরোপুরি একইভাবে চলতে না পারায় কিছুটা পশ্চাতে থাকে।
বয়স ও উৎপত্তি:
বিজ্ঞানীরা ধারণা করেন, বায়ুমণ্ডলের বয়স প্রায় ৩৫০ কোটি বছর। এটি মূলত ভূ-অভ্যন্তর থেকে নির্গত গ্যাসের মাধ্যমে সৃষ্টি হয়েছে।
প্রসারণ:
-
ভূ-পৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটারের মধ্যে বায়ুমণ্ডলের প্রায় ৯০% অংশ অবস্থান করে।
-
সর্বোচ্চ প্রায় ১০,০০০ কিলোমিটার পর্যন্ত বায়ুমণ্ডল বিস্তৃত।
বায়ুমণ্ডলের উপাদান
বায়ুমণ্ডল মূলত বিভিন্ন গ্যাস এবং জলীয় বাষ্পের সংমিশ্রণে গঠিত। প্রধান দুটি গ্যাস হলো:
-
নাইট্রোজেন: ৭৮.০২%
-
অক্সিজেন: ২০.৭১%
এই দুটি গ্যাস মিলে মোট বায়ুমণ্ডলের প্রায় ৯৯% গঠন করে। অবশিষ্ট ১% গ্যাস ও অন্যান্য উপাদান।
গ্যাসের বিতরণ অনুযায়ী বায়ুমণ্ডলের স্তর:
-
সমমণ্ডল (Homosphere): ভূ-পৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৯০ কিলোমিটার পর্যন্ত, যেখানে গ্যাসের অনুপাত প্রায় একই রকম থাকে।
-
বিষমমণ্ডল (Heterosphere): ৯০ কিলোমিটারের উপরে, যেখানে বিভিন্ন গ্যাসের অনুপাত সমান নয়।
বায়ুমণ্ডলের উপাদান এবং তাদের শতাংশ
| উপাদান | শতকরা (%) |
|---|---|
| নাইট্রোজেন | ৭৮.০২ |
| অক্সিজেন | ২০.৭১ |
| আর্গন | ০.৮০ |
| কার্বন ডাই-অক্সাইড | ০.০৩ |
| ওজোন | ০.০০০১ |
| অন্যান্য গ্যাস | ০.০১৯৯ |
| জলীয় বাষ্প | ০.৪১ |
| ধূলিকণা ও কনিক্স | ০.০১ |
উৎস: ভূগোল প্রথম পত্র, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়
0
Updated: 2 months ago