হিগের কণার (Higgs Particle) প্রকৃতির সাথে কোন বাংলাদেশি বিজ্ঞানীর নাম জড়িয়ে আছে?
A
স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু
B
সত্যেন্দ্র নাথ বসু
C
প্রফেসর জামাল নজরুল ইসলাম
D
ড. কুদরত-ই-খুদা
উত্তরের বিবরণ
বিজ্ঞানী সত্যেন্দ্রনাথ বসু 1924 সালে কোয়ান্টাম তত্ত্ব ব্যবহার করে বিকিরণ সম্পর্কিত কোয়ান্টাম সংখ্যায়নতত্ত্ব প্রদান করেন। এজন্য তাঁকে কোয়ান্টাম সংখ্যায়নতত্ত্বের জনক বলা হয়।
তাঁর অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ একশ্রেণির মৌলিক কণার নামকরণ করা হয় বোসন (Boson)। 1900 থেকে 1930 সালের মধ্যে হাইজেনবার্গ, শ্রোডিঙ্গার ও ডিরাকসহ অন্যান্য বিজ্ঞানীরা মিলে পদার্থের কোয়ান্টাম তত্ত্বকে প্রতিষ্ঠিত করেন।
বোসন (Boson)
-
মৌলিক বলগুলো কাজ করে কণার আদান-প্রদানের মাধ্যমে, আর সেই বলবাহী কণাগুলো হলো বোসন।
-
এদের স্পিন পূর্ণসংখ্যা (0, 1 ইত্যাদি)।
-
বোসন কণা পাউলির বর্জন নীতি (Pauli’s Exclusion Principle) মানে না।
-
এদের আলাদা কোনো প্রতিকণা নেই, অর্থাৎ এরা নিজেরাই নিজেদের প্রতিকণা।
-
স্ট্যান্ডার্ড মডেল অনুসারে বোসন দুই ধরনের: গেজ বোসন এবং হিগস বোসন।
(i) গেজ বোসন (Gauge Boson)
-
এদের স্পিন হলো 1।
-
প্রধান কণাগুলো হলো: গণ্ডুওন (g), ফোটন (γ), এবং W ও Z বোসন।
-
গণ্ডুওন (Gluon): সবল নিউক্লীয় বল বহন করে। এর নিশ্চল ভর শূন্য।
-
ফোটন (Photon): তাড়িতচৌম্বক বল বহন করে। এর নিশ্চল ভরও শূন্য।
-
W ও Z বোসন: W+, W- এবং W0—এই কণাগুলো দুর্বল নিউক্লীয় বলের বাহক। এদের ভর রয়েছে।
-
(ii) হিগস বোসন (Higgs Boson)
-
এর স্পিন 0 হলেও এর ভর রয়েছে।
-
হিগস বোসন বুঝতে হলে হিগস ক্ষেত্র (Higgs Field) সম্বন্ধে জানতে হবে।
-
হিগস ক্ষেত্র হলো একটি তাত্ত্বিক বলক্ষেত্র যা সর্বত্র বিদ্যমান এবং এর কাজ হলো মৌলিক কণাকে ভর প্রদান করা।
-
কোনো ভরহীন কণা যখন হিগস ক্ষেত্রে প্রবেশ করে তখন ধীরে ধীরে ভর লাভ করে এবং এর গতিবেগ কমে যায়।
-
ভর হিগস বোসনের মাধ্যমে কণাতে স্থানান্তরিত হয়। অর্থাৎ হিগস ক্ষেত্র ভর সৃষ্টি করে না, শুধু স্থানান্তর করে।
-
এই হিগস বোসনই ঈশ্বর কণা (God Particle) নামে পরিচিত।
0
Updated: 1 month ago
কোনটি এন্টিবায়োটিক?
Created: 2 months ago
A
ইনসুলিন
B
পেপসিন
C
পেনিসিলিন
D
ইথিলিন
পেনিসিলিন হলো একটি গুরুত্বপূর্ণ এন্টিবায়োটিক, যা জীবাণু নিধনে ব্যবহৃত হয়। এটি আবিষ্কার করেন সার আলেকজান্ডার ফ্লেমিং ১৯২৯ সালে।
-
ডায়াবেটিস রোগ ঘটে যখন শরীরে ইনসুলিন হরমোনের অভাব থাকে।
-
পেপসিন হলো একটি এনজাইম, যা প্রোটিন পরিপাকে সাহায্য করে।
-
ফলের পাকা প্রক্রিয়ায় ভূমিকা রাখে একটি ফাইটোহরমোন যার নাম ইথিলিন।
উৎস: ব্রিটানিকা অভিধান এবং একাদশ–দ্বাদশ শ্রেণির উদ্ভিদবিজ্ঞান বই।
0
Updated: 2 months ago
শূন্য মাধ্যমে শব্দের বেগ কত?
Created: 2 months ago
A
২৮০ m/s
B
০
C
৩৩২ m/s
D
১১২০ m/s
শব্দের গতি এবং মাধ্যম
-
শব্দ হল এক ধরনের যান্ত্রিক তরঙ্গ, অর্থাৎ শব্দ চলার জন্য মাধ্যমের প্রয়োজন।
-
কঠিন পদার্থে শব্দের গতি সবচেয়ে বেশি হয়, যেমন ইস্পাত বা লোহা। কারণ এখানে কণাগুলোর ঘনত্ব বেশি এবং তারা কম দমনীয়।
-
তরল পদার্থে (যেমন পানি) শব্দের গতি কঠিনের তুলনায় কম।
-
বায়বীয় পদার্থে (যেমন বায়ু) শব্দের গতি আরও কম।
-
শূন্য বা ভ্যাকুয়ামে শব্দ যেতে পারে না, তাই এখানে শব্দের বেগ শূন্য হয়।
উৎস: পদার্থবিজ্ঞান, নবম-দশম শ্রেণি
0
Updated: 2 months ago
পর্যায় সারণির একই গ্রুপে উপর থেকে নিচে গেলে পরমাণুর আকার-
Created: 2 months ago
A
বৃদ্ধি পায়
B
হ্রাস পায়
C
হঠাৎ কমে যায়
D
অপরিবর্তিত থাকে
পরমাণুর আকার বা পারমাণবিক ব্যাসার্ধ (Atomic Radius)
-
সংজ্ঞা: পরমাণুর আকার বা পারমাণবিক ব্যাসার্ধ হলো পরমাণুর কেন্দ্র (নিউক্লিয়াস) থেকে সবচেয়ে বাইরের ইলেকট্রন পর্যন্ত দূরত্ব। এটি একটি পর্যায়বৃত্ত ধর্ম অনুসরণ করে।
1️⃣ একই পর্যায়ে (Period) পরিবর্তন
-
বাম থেকে ডান দিকে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পারমাণবিক ব্যাসার্ধ কমে যায়।
-
কারণ, একই পর্যায়ে পারমাণবিক সংখ্যা বাড়লেও প্রধান শক্তিস্তর সংখ্যা বৃদ্ধি পায় না।
-
পারমাণবিক সংখ্যা বাড়লে নিউক্লিয়াসে প্রোটন সংখ্যা বৃদ্ধি পায় এবং ইলেকট্রনও বৃদ্ধি পায়।
-
নিউক্লিয়াসের অধিক প্রোটন ও বাইরের ইলেকট্রনের মধ্যে আকর্ষণ বৃদ্ধি পেলে ইলেকট্রনগুলো নিউক্লিয়াসের দিকে টানে, ফলে পরমাণুর আকার ছোট হয়।
2️⃣ একই গ্রুপে (Group) পরিবর্তন
-
উপরের দিক থেকে নিচের দিকে গেলে নতুন শক্তিস্তর যুক্ত হয়, তাই পরমাণুর আকার বৃদ্ধি পায়।
-
যদিও নিউক্লিয়াসের প্রোটন সংখ্যা ও বাইরের ইলেকট্রনের সংখ্যা বাড়ার কারণে আকর্ষণ বৃদ্ধি পায়, নতুন শক্তিস্তরের যোগ পারমাণুর আকারকে বড় করে।
-
ফলস্বরূপ, গ্রুপের নিচের মৌলের আকার উপরের মৌলের চেয়ে বড় হয়।
সংক্ষেপে:
-
Period: বাম → ডান = আকার ↓
-
Group: উপরে → নিচে = আকার ↑
উৎস: রসায়ন, নবম–দশম শ্রেণি
0
Updated: 2 months ago