আমি বহু কষ্ট করেছি, ফলে শিক্ষা লাভ করেছি।’ বাক্যটিকে সরল বাক্যে রুপান্তর করলে কী?
A
শিক্ষা লাভ আমার বহু কষ্ট হয়েছিলো।
B
আমি বহু কষ্টে শিক্ষা লাভ করেছি।
C
আমি শিক্ষা লাভ করায় বহু কষ্ট হয়েছিলো।
D
বহু কষ্টে আমি শিক্ষা লাভ করেছিলাম।
উত্তরের বিবরণ
সরল বাক্যকে যৌগিক বাক্যে রূপান্তর
নিয়ম:
সরল বাক্যকে যৌগিক বাক্যে পরিণত করতে হলে, সরল বাক্যের কোনো অংশকে নিরপেক্ষ বাক্যে রূপান্তর করতে হয়।
এবং যথাসম্ভব সংযোজক বা বিয়োজক অব্যয়ের প্রয়োগ করতে হয়।
উদাহরণ:
সরল বাক্য: তিনি আমাকে পাঁচ টাকা দিয়ে বাড়ি যেতে বললেন। যৌগিক বাক্য: তিনি আমাকে পাঁচটি টাকা দিলেন এবং বাড়ি যেতে বললেন।
সরল বাক্য: পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য এখন থেকেই তোমার পড়া উচিত। যৌগিক বাক্য: এখন থেকেই তোমার পড়া উচিত, তবেই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারবে।
সরল বাক্য: আমি বহু কষ্টে শিক্ষা লাভ করেছি। যৌগিক বাক্য: আমি বহু কষ্ট করেছি, ফলে শিক্ষা লাভ করেছি।
0
Updated: 1 month ago
কোন বাক্যটি দ্বারা অনুরোধ বুঝায়?
Created: 4 months ago
A
তুই বাড়ি যা
B
ক্ষমা করা ঘোর অপরাধ
C
কাল একবার এসো
D
দূর হও
একই বাক্য বা শব্দ, ভিন্ন স্বরভঙ্গিতে উচ্চারিত হলে তা ভিন্ন ভিন্ন অনুভূতি প্রকাশ করতে পারে। এটিই বাভঙ্গির মাহাত্ম্য। মানুষ কখনো জিজ্ঞাসা করে, কখনো আদর করে, আবার কখনো রাগ বা বিস্ময় প্রকাশ করে—এসবই স্বরভঙ্গির মাধ্যমে বোঝা যায়।
নিচে কিছু উদাহরণ দেওয়া হলো, যা বাভঙ্গির রূপভেদে একই বাক্য বা বাক্যাংশ কীভাবে বিভিন্ন অনুভূতি প্রকাশ করতে পারে, তা স্পষ্ট করে তোলে:
১. সাধারণ বিবৃতি (তথ্য দেওয়া)
-
সে আজ যাবে।
👉 নিছক একটি তথ্য জানানো হচ্ছে।
২. প্রশ্ন (জিজ্ঞাসা)
-
সে আজ যাবে?
👉 সন্দেহ বা কৌতূহল প্রকাশ পাচ্ছে।
৩. বিস্ময়
-
সে আজ যাবে!
👉 ভাবনার বাইরে কিছু ঘটছে, আশ্চর্যজনক অনুভূতি।
৪. ক্রোধ
-
আমি তোমাকে দেখে নেব।
👉 হুমকি বা রাগ প্রকাশ করা হচ্ছে।
৫. আদর
-
বড্ড শুকিয়ে গেছিস রে।
👉 স্নেহমাখা কণ্ঠে কষ্ট প্রকাশ।
৬. আনন্দ
-
বেশ বেশ, খুব ভালো হয়েছে।
👉 খুশি হয়ে প্রশংসা করা হচ্ছে।
৭. অনুরোধ
-
কাল একবার এসো। / কাল একবার আসতে পারবে?
👉 ভদ্রভাবে কারো প্রতি অনুরোধ জানানো।
স্বরভঙ্গি কেবল বাক্য গঠনের একটি উপাদান নয়, বরং এটি ভাষাকে প্রাণবন্ত করে তোলে। একই বাক্য, ভিন্ন স্বরভঙ্গিতে ভিন্ন আবেগ ও মনোভাব প্রকাশ করতে পারে। এটি ভাষার নান্দনিক ও ব্যবহারিক সৌন্দর্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক।
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি, নবম দশম শ্রেণি (২০২১ ও ২০১৯ সংস্করণ)।
0
Updated: 4 months ago
গুরুচন্ডালী দোষে বাক্য কি হারায়?
Created: 4 weeks ago
A
প্রসাদ গুণ
B
আকাংক্ষা
C
আসক্তি
D
যোগ্যতা
তৎসম শব্দের সঙ্গে দেশীয় বা তদ্ভব শব্দ মিশে গেলে অনেক সময় গুরুচণ্ডালী দোষ দেখা দেয়। এই দোষ তখনই হয়, যখন ভাষার দুই ভিন্ন উৎসের শব্দ একত্রে এমনভাবে ব্যবহৃত হয় যে তা ভাষার স্বাভাবিক সৌন্দর্য ও শুদ্ধতা নষ্ট করে। ফলে সেই শব্দ বা বাক্য অশুদ্ধ ও অগ্রহণযোগ্য হয়ে পড়ে।
-
তৎসম শব্দ সংস্কৃত থেকে অপরিবর্তিতভাবে গৃহীত শব্দ।
-
দেশীয় বা তদ্ভব শব্দ হলো সময়ের সঙ্গে ধ্বনিগত পরিবর্তনে গঠিত সহজ চলিত রূপ।
-
এই দুই শ্রেণির শব্দ একত্রে অনুপযুক্তভাবে ব্যবহার করলে তা ভাষার ধ্বনিগত ও রূপগত অসামঞ্জস্য সৃষ্টি করে।
-
যেমন— “অগ্নিলাগা” (অগ্নি + লাগা) শব্দে গুরুচণ্ডালী দোষ আছে, কারণ “অগ্নি” তৎসম এবং “লাগা” দেশীয়।
অতএব, গুরুচণ্ডালী দোষে আক্রান্ত শব্দ তার শুদ্ধতা ও প্রাঞ্জলতা হারায় এবং সাহিত্যিক ভাষার উপযোগিতা নষ্ট হয়।
0
Updated: 4 weeks ago
'তুমি আসবে বলে, আমি অপেক্ষা করছি।' - এটি কোন ধরনের বাক্য?
Created: 5 months ago
A
যৌগিক
B
সরল
C
খণ্ড
D
জটিল
জটিল বাক্য
যেসব বাক্যে সাপেক্ষ সর্বনাম (যেমন—যে-সে, যারা-তারা, যিনি-তিনি, যাঁরা-তাঁরা, যা-তা ইত্যাদি) এবং সাপেক্ষ যোজক (যেমন—যদি-তবে, যদিও-তবু, যেহেতু-সেহেতু, যত-তত, যেটুকু-সেটুকু, যেমন-তেমন, যখন-তখন ইত্যাদি) ব্যবহৃত হয়ে একাধিক অধীন বাক্য একত্রে যুক্ত থাকে, সে ধরনের বাক্যকে জটিল বাক্য বলে।
উদাহরণ:
-
যে ছেলেটি এখানে এসেছিল, সে আমার ভাই।
-
যদি তুমি যাও, তবে তার দেখা পাবে।
-
তুমি আসবে বলে আমি অপেক্ষা করছি।
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি, নবম-দশম শ্রেণি (২০২২ সংস্করণ)।
0
Updated: 5 months ago