আমি বহু কষ্ট করেছি, ফলে শিক্ষা লাভ করেছি।’ বাক্যটিকে সরল বাক্যে রুপান্তর করলে কী?
A
শিক্ষা লাভ আমার বহু কষ্ট হয়েছিলো।
B
আমি বহু কষ্টে শিক্ষা লাভ করেছি।
C
আমি শিক্ষা লাভ করায় বহু কষ্ট হয়েছিলো।
D
বহু কষ্টে আমি শিক্ষা লাভ করেছিলাম।
উত্তরের বিবরণ
সরল বাক্যকে যৌগিক বাক্যে রূপান্তর
নিয়ম:
সরল বাক্যকে যৌগিক বাক্যে পরিণত করতে হলে, সরল বাক্যের কোনো অংশকে নিরপেক্ষ বাক্যে রূপান্তর করতে হয়।
এবং যথাসম্ভব সংযোজক বা বিয়োজক অব্যয়ের প্রয়োগ করতে হয়।
উদাহরণ:
সরল বাক্য: তিনি আমাকে পাঁচ টাকা দিয়ে বাড়ি যেতে বললেন। যৌগিক বাক্য: তিনি আমাকে পাঁচটি টাকা দিলেন এবং বাড়ি যেতে বললেন।
সরল বাক্য: পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য এখন থেকেই তোমার পড়া উচিত। যৌগিক বাক্য: এখন থেকেই তোমার পড়া উচিত, তবেই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারবে।
সরল বাক্য: আমি বহু কষ্টে শিক্ষা লাভ করেছি। যৌগিক বাক্য: আমি বহু কষ্ট করেছি, ফলে শিক্ষা লাভ করেছি।

0
Updated: 14 hours ago
'যেহেতু তুমি বেশি নম্বর পেয়েছ, সুতরাং তুমি প্রথম হবে' কোন ধরনের বাক্য?
Created: 2 months ago
A
সরল
B
জটিল
C
যৌগিক
D
অনুজ্ঞামূলক
যে বাক্যে একটি প্রধান খণ্ডবাক্যের সাথে এক বা একাধিক অপ্রধান খণ্ডবাক্য যুক্ত থাকে, বা একাধিক বাক্য পরস্পরের সঙ্গে নির্ভরশীল ও সম্পর্কিত হয়ে ব্যবহৃত হয়, তাকে জটিল বাক্য বলা হয়।
সহজ কথায়, যেখানে একটি মূল বাক্যের সঙ্গে সাব-বাক্যগুলো সংযুক্ত থাকে এবং তারা একে অপরের ওপর নির্ভরশীল, সেসব বাক্যই জটিল বাক্য।
জটিল বাক্যে ব্যবহৃত সাপেক্ষ সর্বনাম ও সাপেক্ষ যোজক
জটিল বাক্যে প্রায়শই ‘যে-সে’, ‘যারা-তারা’, ‘যিনি-তিনি’, ‘যাঁরা-তাঁরা’, ‘যা-তা’ এর মতো সাপেক্ষ সর্বনাম এবং ‘যদি-তবে’, ‘যদিও-তবু’, ‘যেহেতু-সেহতু’, ‘যত-তত’, ‘যেটুকু-সেটুকু’, ‘যেমন-তেমন’, ‘যখন-তখন’ ইত্যাদি সাপেক্ষ যোজক ব্যবহৃত হয়।
এই ধরনের শব্দ ও যুক্তি অপ্রধান ও প্রধান খণ্ডবাক্যগুলোকে যুক্ত করে এবং বাক্যের অর্থকে পরস্পরের সঙ্গে সাপেক্ষ করে।
উদাহরণসমূহ
-
যেহেতু তুমি ভালো ফলাফল করেছ, তাই তুমি প্রথম স্থান অধিকার করবে।
(এখানে ‘যেহেতু তুমি ভালো ফলাফল করেছ’ অংশটি অপ্রধান খণ্ডবাক্য এবং ‘তুমি প্রথম স্থান অধিকার করবে’ প্রধান খণ্ডবাক্য।) -
যে ছাত্রটি সময়মতো এসেছে, সে আমার বন্ধু।
-
যখন বৃষ্টি শুরু হলো, তখন আমরা ছাতা নিয়ে বের হলাম।
তথ্যসূত্র: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম-দশম শ্রেণি (২০১৯), ড. হায়াৎ মামুদ, ভাষা-শিক্ষা

0
Updated: 2 months ago
নিচের কোনটি বাংলা উপসর্গ?
Created: 14 hours ago
A
অপ
B
ইতি
C
অনু
D
পরা
বাংলা ভাষায় প্রচলিত উপসর্গসমূহ
বাংলা উপসর্গ:
বাংলা ভাষায় মোট একুশটি উপসর্গ প্রচলিত।
যথা: অ, অঘা, অজ, অনা, আ, আড়, আন, আব, ইতি, উন (উনা), কদ, কু, নি, পাতি, বি, ভর, রাম, স, সা, সু, হা।
তৎসম (সংস্কৃত) উপসর্গ:
বাংলা ভাষায় বহু সংস্কৃত শব্দ হুবহু এসে গেছে।
সেই সঙ্গে সংস্কৃত উপসর্গও তৎসম শব্দের আগে বসে শব্দের নতুন রূপে অর্থের সংকোচন বা সম্প্রসারণ করে থাকে।
বাংলা ভাষায় বিশটি তৎসম উপসর্গ প্রচলিত।
যথা: প্র, পরা, অপ, সম, নি, অনু, অব, নির, দুর, বি, অধি, সু, উৎ, পরি, প্রতি, অতি, অপি, অভি, উপ, আ।

0
Updated: 14 hours ago
কোন বাক্যটি দ্বারা অনুরোধ বুঝায়?
Created: 2 months ago
A
তুই বাড়ি যা
B
ক্ষমা করা ঘোর অপরাধ
C
কাল একবার এসো
D
দূর হও
একই বাক্য বা শব্দ, ভিন্ন স্বরভঙ্গিতে উচ্চারিত হলে তা ভিন্ন ভিন্ন অনুভূতি প্রকাশ করতে পারে। এটিই বাভঙ্গির মাহাত্ম্য। মানুষ কখনো জিজ্ঞাসা করে, কখনো আদর করে, আবার কখনো রাগ বা বিস্ময় প্রকাশ করে—এসবই স্বরভঙ্গির মাধ্যমে বোঝা যায়।
নিচে কিছু উদাহরণ দেওয়া হলো, যা বাভঙ্গির রূপভেদে একই বাক্য বা বাক্যাংশ কীভাবে বিভিন্ন অনুভূতি প্রকাশ করতে পারে, তা স্পষ্ট করে তোলে:
১. সাধারণ বিবৃতি (তথ্য দেওয়া)
-
সে আজ যাবে।
👉 নিছক একটি তথ্য জানানো হচ্ছে।
২. প্রশ্ন (জিজ্ঞাসা)
-
সে আজ যাবে?
👉 সন্দেহ বা কৌতূহল প্রকাশ পাচ্ছে।
৩. বিস্ময়
-
সে আজ যাবে!
👉 ভাবনার বাইরে কিছু ঘটছে, আশ্চর্যজনক অনুভূতি।
৪. ক্রোধ
-
আমি তোমাকে দেখে নেব।
👉 হুমকি বা রাগ প্রকাশ করা হচ্ছে।
৫. আদর
-
বড্ড শুকিয়ে গেছিস রে।
👉 স্নেহমাখা কণ্ঠে কষ্ট প্রকাশ।
৬. আনন্দ
-
বেশ বেশ, খুব ভালো হয়েছে।
👉 খুশি হয়ে প্রশংসা করা হচ্ছে।
৭. অনুরোধ
-
কাল একবার এসো। / কাল একবার আসতে পারবে?
👉 ভদ্রভাবে কারো প্রতি অনুরোধ জানানো।
স্বরভঙ্গি কেবল বাক্য গঠনের একটি উপাদান নয়, বরং এটি ভাষাকে প্রাণবন্ত করে তোলে। একই বাক্য, ভিন্ন স্বরভঙ্গিতে ভিন্ন আবেগ ও মনোভাব প্রকাশ করতে পারে। এটি ভাষার নান্দনিক ও ব্যবহারিক সৌন্দর্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক।
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি, নবম দশম শ্রেণি (২০২১ ও ২০১৯ সংস্করণ)।

0
Updated: 2 months ago