’অপসংস্কৃতি’ শব্দে ’অপ’ উপসর্গটি কী অর্থে ব্যবহৃত হয়?
A
বিপরীত
B
স্থানান্তর
C
বিশেষ
D
নিকৃষ্ট
উত্তরের বিবরণ
’অপ’ উপসর্গ এবং তার ব্যবহার
’অপ’ একটি তৎসম (সংস্কৃত) উপসর্গ। 'অপসংস্কৃতি' শব্দটিতে 'অপ' উপসর্গটি ’নিকৃষ্ট’ অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে।
উপসর্গ হিসেবে 'অপ' বিভিন্ন অর্থে ব্যবহৃত হতে পারে, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:
বিপরীত অর্থে:
অপমান (সম্মানের বিপরীত)
অপকার (উপকারের বিপরীত)
অপচয় (সঠিক ব্যবহারের বিপরীত)
অপবাদ (প্রশংসার বিপরীত)
নিকৃষ্ট অর্থে:
অপসংস্কৃতি (ভালো সংস্কৃতির বিপরীত বা নিকৃষ্ট রূপ)
অপকর্ম (ভালো কাজের বিপরীত বা নিকৃষ্ট কাজ)
অপসৃষ্টি (সৃজনের বিপরীত বা নিকৃষ্ট সৃষ্টি)
অপযশ (যশ বা খ্যাতির বিপরীত)
স্থানান্তর অর্থে:
অপসারণ (স্থান থেকে সরানো)
অপহরণ (স্থান থেকে হরণ বা চুরি করা)
অপনোদন (দূর করা বা দূরীকরণ)
বিকৃত অর্থে:
অপমৃত্যু (স্বাভাবিক বা স্বাভাবিক নয় এমন মৃত্যু)
0
Updated: 1 month ago
‘সুনাম’- এ ‘সু’ কোন উপসর্গ?
Created: 3 days ago
A
সংস্কৃত
B
বাংলা
C
আরবি
D
ফারসি
‘সুনাম’ শব্দে ‘সু’ উপসর্গটি বাংলা উপসর্গ, যা শব্দে শুভ, ভালো বা ইতিবাচক অর্থ প্রকাশ করে। এটি তৎসম উপসর্গ হিসেবেও ব্যবহৃত হয় এবং বাংলা শব্দ গঠনে বহুল প্রচলিত।
সু উপসর্গ যোগে গঠিত কিছু সাধারণ শব্দ হলো সুনাম, সুখবর, সুদিন, সুনজর ইত্যাদি।
এই উপসর্গটি মূল শব্দের অর্থকে ইতিবাচক রূপে প্রসারিত করে—যেমন ‘নাম’ শব্দে ‘সু’ যোগে হয় ‘সুনাম’, অর্থাৎ ভালো নাম।
বাংলা ভাষায় এ ধরনের উপসর্গের মাধ্যমে শব্দের অর্থে গুণ, শুভ বা প্রশংসার ভাব যুক্ত হয়।
আ, বি, নি, সু — এ চারটি বাংলা ও তৎসম উপসর্গ ভাষার গঠন ও অর্থবিস্তারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
0
Updated: 3 days ago
'কদাকার' শব্দটি কোন উপসর্গযোগে গঠিত?
Created: 2 months ago
A
দেশি উপসর্গযোগে
B
বিদেশি উপসর্গযোগে
C
সংস্কৃত উপসর্গযোগে
D
কোনোটি নয়
•‘কদ’ খাঁটি বাংলা উপসর্গযোগে নিন্দিত অর্থে গঠিত শব্দ: কদবেল, কদাকার এবং কদর্য ইত্যাদি।
[অপশনে খাঁটি বাংলা উপসর্গ কথাটা লেখা না থাকায়, প্রশ্নটি 'কোনটিই নয়' সঠিক উত্তর হিসেবে গ্রহণ করা হলো।]
-------------------
• উপসর্গ:
বাংলা ভাষায় যেসব শব্দখণ্ড বা শব্দাংশ ধাতুর পূর্বে বসে নতুন শব্দ গঠন করে, সেগুলোকে বলে উপসর্গ।
• বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত উপসর্গকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়। যথা-
১. খাটি বাংলা উপসর্গ,
২. সংস্কৃত বা তৎসম উপসর্গ এবং
৩. বিদেশি উপসর্গ।
• সংস্কৃত বা তৎসম উপসর্গ:
বাংলা ভাষায় যে সকল সংস্কৃত উপসর্গ ব্যবহার করা হয় তাদের সংস্কৃত বা তৎসম উপসর্গ বলে। সংস্কৃত বা তৎসম উপসর্গ ২০টি।
যথা: প্র, পরা, অপ, সম, নি, অনু, অব, নির, দুর, বি, অধি, সু, উৎ, পরি, প্রতি, অতি, অভি, অপি, উপ, আ।
• খাঁটি বাংলা উপসর্গ:
বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত নিজস্ব উপসর্গকে খাঁটি বাংলা উপসর্গ বলা হয়। খাঁটি বাংলা উপসর্গ ২১টি।
যথা: অ, অঘা, অজ, অনা, আ, আড়, আন, আব, ইতি, ঊন (ঊনা), কদ, কু, নি, পাতি, বি, ভর, রাম, স, সা, সু, হা।
[বাংলা উপসর্গের মধ্যে আ, সু, বি, নি এই চারটি উপসর্গ তৎসম শব্দেও পাওয়া যায়।]
• বিদেশি উপসর্গ:
আরবি, ফারসি, ইংরেজি, হিন্দি এসব ভাষার বহু শব্দ দীর্ঘকাল ধরে বাংলা ভাষায় প্রচলিত আছে।
এছাড়া কিছু বিদেশি উপসর্গও বাংলায় চালু আছে।
• বিদেশি উপসর্গ অনির্দিষ্ট বা অনির্ণেয়।
যেমন:
- আরবি উপসর্গ: আম, খাস, লা, গর, বাজে এবং খয়ের।
- ফারসি উপসর্গ: কার, দর, না, নিম, ফি, বদ, বে, বর, ব, কম।
- উর্দু উপসর্গ: হর।
- ইংরেজি উপসর্গ: হেড, সাব, ফুল, হাফ।
উৎস: প্রমিত বাংলা ব্যাকরণ ও নির্মিতি, ড. হায়াৎ মামুদ।
0
Updated: 2 months ago
”পরীক্ষা” শব্দের ”পরি” উপসর্গটি কী অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে?
Created: 3 months ago
A
শেষ
B
বিশেষ
C
সম্যক
D
চতুর্দিক
• ’পরীক্ষা” শব্দের ”পরি” উপসর্গটি ”সম্যক” অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে।
এছাড়াও,
”পরি” উপসর্গটি অন্য যেসব অর্থে ব্যবহৃত হয়:
• ”বিশেষ” অর্থে: পরিপক্ক, পরিপূর্ণ, পরিবর্তন।
• ”শেষ” অর্থে: পরিশেষ।
• ”সম্যক” অর্থে: পরিশ্রান্ত, পরীক্ষা, পরিমাণ।
• ”চতুর্দিক” অর্থে: পরিভ্রমণ, পরিমণ্ডল।
উল্লেখ্য,
- ”পরি” একটি তৎসম উপসর্গ।
- তৎসম উপসর্গ বিশটি, যথা: প্র, পরা, অপ, সম, নি, অনু, অব, নির, দুর, বি, অধি, সু, উৎ, পরি, প্রতি, অতি, অপি, অভি, উপ, আ।
0
Updated: 3 months ago