’নেতা জনগণকে উৎসাহিত করলেন বটে, কিন্তু, কোনো পথ দেখাতে পারলেন না।’- কী ধরনের বাক্যের উদাহরণ?
A
জটিল বাক্য
B
সরল বাক্য
C
যৌগিক বাক্য
D
খণ্ডবাক্য
উত্তরের বিবরণ
যৌগিক বাক্য
যখন দুই বা ততোধিক স্বাধীন বাক্যকে কোনো যোজক দ্বারা যুক্ত করে একটি বাক্যে রূপান্তর করা হয়, তখন তাকে যৌগিক বাক্য বলা হয়।
যৌগিক বাক্যে ব্যবহৃত যোজকসমূহ:
সংযোগসূচক: এবং, ও, আর
বিকল্পসূচক: অথবা, বা, কিংবা
বিরোধসূচক: কিন্তু, অথচ
কারণসূচক/ফলাফলসূচক: সেজন্য, ফলে, তাই
এছাড়াও, কমা (,), সেমিকোলন (;), কোলন (:), ড্যাশ (-) ইত্যাদি যতিচিহ্নও অনেক ক্ষেত্রে যোজকের কাজ করতে পারে।
উদাহরণ:
হামিদ বই পড়ছে, আর সীমা রান্না করছে। (এখানে 'আর' যোজক দুটি স্বাধীন বাক্যকে যুক্ত করেছে।)
সে ঘর ঝাড়ু দিল, ঘর মুছল, তারপর পড়তে বসল। (এখানে 'তারপর' যোজকটি ক্রমানুসারে ঘটনাগুলোকে যুক্ত করেছে।)
অন্ধকার হয়ে এসেছে - বন্ধুরাও মুখ ভার করে রইল। (এখানে ড্যাশ (-) একটি বিরোধ বা ফলাফল নির্দেশক যোজকের কাজ করেছে।)
তোমরা চেষ্টা করেছ, কিন্তু আশানুরূপ ফল পাওনি এতে দোষের কিছু নেই। (এখানে 'কিন্তু' যোজক দুটি বিপরীতধর্মী বাক্যকে যুক্ত করেছে।)
’নেতা জনগণকে উৎসাহিত করলেন বটে, কিন্তু, কোনো পথ দেখাতে পারলেন না।’ (এখানে 'কিন্তু' যোজক দুটি পরস্পরবিরোধী বাক্যকে যুক্ত করেছে।)
0
Updated: 1 month ago
বাক্যের মৌলিক উপাদান কি?
Created: 1 week ago
A
শব্দ
B
ধ্বনি
C
ভাব
D
বর্ণ
বাক্যের মৌলিক উপাদান হলো শব্দ, কারণ বাক্য গঠনের জন্য শব্দের প্রয়োজন হয়। শব্দগুলো নির্দিষ্ট বিন্যাসে সাজিয়ে অর্থপূর্ণ বাক্য তৈরি করা যায়। অন্যদিকে, ভাষার মূল উপাদান হলো ধ্বনি, কারণ ধ্বনি ছাড়া শব্দ তৈরি করা সম্ভব নয়।
-
শব্দ হলো ধ্বনির সমষ্টি, যা নির্দিষ্ট অর্থ প্রকাশ করে এবং বাক্য গঠনে ব্যবহার হয়।
-
ধ্বনি হলো ভাষার ক্ষুদ্রতম ধ্বনিতাত্ত্বিক একক, যা একত্রে শব্দ তৈরি করে।
-
ধ্বনি ছাড়া শব্দ হয় না, আর শব্দ ছাড়া বাক্য হয় না—অর্থাৎ ধ্বনি থেকে শব্দ, এবং শব্দ থেকে বাক্য গঠিত হয়।
-
ব্যাকরণের দৃষ্টিতে, বাক্যের উপাদান নির্ধারণে শব্দ মুখ্য, কারণ শব্দই কর্তা, ক্রিয়া, কর্ম ইত্যাদি রূপে কাজ করে।
-
ভাষাবিজ্ঞানের দৃষ্টিতে, ধ্বনি হলো ভাষার ভিত্তি, যা উচ্চারণ ও শ্রবণের মাধ্যমে অর্থ প্রকাশের প্রথম ধাপ।
-
এভাবে দেখা যায়, ধ্বনি ভাষার মূল উপাদান, আর শব্দ বাক্যের মূল উপাদান, উভয়ই পরস্পর নির্ভরশীল।
0
Updated: 1 week ago
'চাঁদমুখ' এর ব্যাস বাক্য হলো-
Created: 2 weeks ago
A
চাঁদ মুখের ন্যায়
B
চাঁদের মত মুখ
C
চাঁদ মুখ যার
D
চাঁদ রূপ
‘চাঁদমুখ’ শব্দটি একটি উপমাসূচক যৌগিক শব্দ, যা রূপ-সৌন্দর্যের তুলনা প্রকাশ করে। এই শব্দের অর্থ প্রকাশের সময় মূল ভাব থাকে কারও মুখকে চাঁদের মতো উজ্জ্বল ও মনোরম বলে বর্ণনা করা।
• “চাঁদ” মানে উজ্জ্বল, সুন্দর ও মনোহর জ্যোতিষ্ক।
• “মুখ” মানে মানুষের মুখমণ্ডল বা মুখাবয়ব।
• এই দুইটি শব্দ মিলিয়ে গঠিত হয়েছে “চাঁদমুখ”, যা নির্দেশ করে চাঁদের মতো উজ্জ্বল ও সুন্দর মুখ।
• ব্যাসবাক্যে শব্দের অন্তর্নিহিত অর্থ স্পষ্টভাবে প্রকাশ করা হয়, তাই “চাঁদমুখ”-এর ব্যাসবাক্য হবে “চাঁদের মত মুখ”।
• এটি উপমার মাধ্যমে গঠিত হওয়ায় শব্দটি সৌন্দর্যের রূপক প্রকাশ করে।
তাই “চাঁদমুখ” এর ব্যাসবাক্য “চাঁদের মত মুখ”-ই শুদ্ধ ও অর্থপূর্ণ।
0
Updated: 2 hours ago
'ফিফা নীল' এর সঠিক ব্যাসবাক্য কোনটি?
Created: 1 week ago
A
ফিফা নীল যা
B
নীলের অভাব
C
ঈষৎ নীল
D
নীলের সদৃশ
অব্যয়ীভাব সমাস হলো এমন একধরনের সমাস যেখানে পূর্বপদে অব্যয় যুক্ত হয়ে নতুন অর্থবোধক শব্দ গঠন করে, এবং সেই গঠনে অব্যয়ের অর্থই প্রধান ভূমিকা রাখে। এই সমাসে অব্যয় শব্দের সঙ্গে পরবর্তী পদ যুক্ত হয়ে একটি যৌগিক শব্দ সৃষ্টি হয়, যা বিশেষ অর্থ প্রকাশ করে।
-
অব্যয়ীভাব সমাসে সাধারণত অব্যয় শব্দ + বিশেষণ/বিশেষ্য মিলিয়ে নতুন অর্থ গঠিত হয়।
-
এই সমাসে অব্যয় শব্দের অর্থই মুখ্য থাকে, আর দ্বিতীয় পদের অর্থ গৌণ।
-
উদাহরণ:
-
‘ফিফা নীল’ = ঈষৎ নীল (এখানে ‘ফিফা’ অব্যয়, অর্থাৎ সামান্য বা অল্প বোঝাচ্ছে)।
-
‘শহরের সাদৃশ’ = উপশহর (এখানে ‘উপ’ অব্যয়, যার অর্থ নিকট বা আশেপাশে)।
-
‘আমিষের অভাব’ = নিরামিষ (এখানে ‘নি’ অব্যয়, যার অর্থ অভাব বা বর্জন)।
-
-
এই সমাসে অব্যয়পদটি প্রধান থাকায় শব্দের অর্থ নির্ভর করে সেই অব্যয়ের ভাবের উপর।
-
ফলে, অব্যয়ীভাব সমাস বাংলা ব্যাকরণে অর্থগত পরিবর্তন ও নতুন শব্দ গঠনের একটি গুরুত্বপূর্ণ রূপ।
0
Updated: 1 week ago