ভুসুকুপা কয়টি পদ রচনা করেন?
A
১০টি
B
৮টি
C
৯টি
D
৭টি
উত্তরের বিবরণ
ভুসুকুপা চর্যাগীতি রচনার দিক থেকে ভুসুকুপা দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন। তাকে সৌরাষ্ট্রের ক্ষত্রিয় রাজপুত্র হিসেবে গণ্য করা হয়। তিনি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৮টি পদ রচনা করেছেন।
ভুসুকুপার রচিত চর্যার পদগুলো হলো:
৬নং
২১নং
২৩নং
২৭নং
৩০নং
৪১নং
৪৩নং
৪৯নং
ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্র মতে, তিনি পূর্ব বঙ্গ অঞ্চলের মানুষ ছিলেন। তিনি তাঁর রচিত ৪৯নং পদে পদ্মা নদী (পঁউআ খাল) এবং ‘বঙ্গাল’ দেশ ও ‘বঙ্গালী’ শব্দের উল্লেখ করেছেন।
‘আপনা মাংসে হরিণা বৈরী’ (৬নং পদ) এই বিখ্যাত পদের রচয়িতাও ভুসুকপাই।

0
Updated: 15 hours ago
ভাষা মানুষের মুখ থেকে কলমের মুখে আসে, উল্টোটা করতে গেলে মুখে শুধু কালি পড়ে” কে বলেছেন?
Created: 1 week ago
A
মীর মশাররফ হোসেন
B
প্রথম চৌধুরী
C
মুনীর চৌধুরী
D
মোতাহের হোসেন চৌধুরী
প্রমথ চৌধুরী
-
সাহিত্যিক ও বাংলা চলিত গদ্যরীতির প্রবর্তক।
-
জন্ম: ১৮৬৮ সালের ৭ আগস্ট, যশোরে।
-
সাহিত্যিক ছদ্মনাম: ‘বীরবল’।
-
তাঁর রচনা ‘বীরবলের হালখাতা’ ১৯০২ সালে ভারতী পত্রিকায় প্রথম প্রকাশিত হয়। এই গ্রন্থে তিনি প্রথম চলিত রীতির প্রয়োগ ঘটান।
-
বাংলা কাব্য সাহিত্যে তিনিই প্রথম ইতালীয় সনেটের প্রবর্তন করেন।
-
তিনি ‘সবুজপত্র’ পত্রিকাটি সম্পাদনা করেন।
বিখ্যাত কিছু উক্তি:
-
সুশিক্ষিত লোক মাত্রই স্বশিক্ষিত।
-
ভাষা মানুষের মুখ থেকে কলমের মুখে আসে, উল্টোটা করতে গেলে মুখে শুধু কালিই পড়ে।
-
আনন্দের ধর্ম এই যে তা সংক্রামক।
-
সাহিত্যে মানবত্মা খেলা করে এবং সেই খেলার আনন্দ উপভোগ করে।
-
যে খেলার ভিতর আনন্দ নেই কিন্তু উপরি পাওনার আশা আছে, তার নাম খেলা নয়, জুয়াখেলা।
-
যে জাতি যত নিরানন্দ সে জাতি তত নির্জীব।

0
Updated: 1 week ago
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর রচিত কোন গ্রন্থটি সত্যেন্দ্রনাথ বসুকে উৎসর্গ?
Created: 2 weeks ago
A
খেয়া
B
বিশ্বপরিচয়
C
পরিশেষ
D
ঘরে বাইরে
‘বিশ্বপরিচয়’ প্রবন্ধ
-
‘বিশ্বপরিচয়’ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত একটি বিজ্ঞানবিষয়ক গ্রন্থ।
-
গ্রন্থটি রবীন্দ্রনাথের ভাষারীতি ও বিজ্ঞানচিন্তার এক মূল্যবান নিদর্শন।
-
এটি প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯৩৭ সালে।
-
রবীন্দ্রনাথ এই গ্রন্থটি উৎসর্গ করেছিলেন বিখ্যাত বিজ্ঞানী সত্যেন্দ্রনাথ বসুকে।
রবীন্দ্রনাথের অন্যান্য গ্রন্থের উৎসর্গপত্র
-
‘খেয়া’ কাব্যগ্রন্থ উৎসর্গ করা হয়েছিল জগদীশ বসুকে।
-
‘পরিশেষ’ কাব্যগ্রন্থ উৎসর্গ করেছিলেন অতুলপ্রসাদ সেনকে।
-
‘ঘরে বাইরে’ উপন্যাস উৎসর্গ করেছিলেন প্রমথ চৌধুরীকে।
উৎস: ‘বিশ্বপরিচয়’ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা

0
Updated: 2 weeks ago
পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়া জেলায় কাকিল্যা গ্রাম বাংলা সাহিত্যে উল্লেখযোগ্য-
Created: 6 days ago
A
বৈষ্ণব পুথির প্রাপ্তিস্থান হিসেবে
B
মনসামঙ্গল কাব্যের পুথির প্রাপ্তিস্থান হিসেবে
C
শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যের পুথির প্রাপ্তিস্থান হিসেবে
D
শূন্যপুরাণের পুথির প্রাপ্তিস্থান হিসেবে
শ্রীকৃষ্ণকীর্তন বাংলা সাহিত্যের প্রাচীনতম ও গুরুত্বপূর্ণ কাব্যগ্রন্থগুলোর একটি, যেখানে রাধাকৃষ্ণের প্রেমকাহিনির মাধ্যমে ঈশ্বরতত্ত্ব প্রকাশ করা হয়েছে। বড়ু চণ্ডীদাস এর রচয়িতা হিসেবে স্বীকৃত। এটি বাংলা ভাষায় রচিত প্রথম দিকের পূর্ণাঙ্গ কাব্য হিসেবে বিশেষ মর্যাদাপ্রাপ্ত।
-
কবি পরিচয়: বড়ু চণ্ডীদাস আনুমানিক ১৩০৯ খ্রিস্টাব্দে (স্থান নিয়ে মতভেদ আছে—বাঁকুড়ার ছাতনা কিংবা বীরভূমের নানুর) জন্মগ্রহণ করেন।
-
কাব্য পরিচয়: ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’ রাধাকৃষ্ণের প্রেমকাহিনি অবলম্বনে রচিত, যা ঈশ্বরতত্ত্বের প্রকাশ ঘটায়। এটি বাংলা ভাষায় মধ্যযুগে রচিত প্রথম কাব্যগ্রন্থ।
-
আবিষ্কার: ১৯০৯ খ্রিস্টাব্দে (১৩১৬ বঙ্গাব্দে) বসন্তরঞ্জন রায় বিদ্বদ্বল্লভ বাঁকুড়া জেলার কাকিল্যা গ্রামে মল্লরাজগুরু বৈষ্ণবমহন্ত শ্রীনিবাসের দৌহিত্র শ্রী দেবেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়ের গোয়ালঘর থেকে পুঁথিটি আবিষ্কার করেন।
-
প্রকাশনা: ১৯১৬ খ্রিস্টাব্দে (১৩২৩ বঙ্গাব্দে) বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষৎ থেকে বসন্তরঞ্জন রায়ের সম্পাদনায় এটি প্রকাশিত হয়।
-
অন্য নাম: শ্রীকৃষ্ণকীর্তনকে শ্রীকৃষ্ণসন্দর্ভ নামেও ডাকা হয়।
-
চরিত্র: প্রধান চরিত্র তিনটি—কৃষ্ণ, রাধা ও বড়ায়ি।
-
বৈশিষ্ট্য:
-
কাহিনিতে ঘাত-প্রতিঘাত, বাক-বিতণ্ডা, রাগ-দ্বেষের উপস্থিতি রয়েছে, যা কাব্যটিকে গতিশীল ও নাট্যরসাশ্রিত করেছে।
-
এতে শৃঙ্গাররস প্রধান, তবে গীতিরসের প্রাধান্যও লক্ষণীয়।
-
কাব্যটি ঝুমুর গানের প্রভাবে রচিত।
-
এটি পয়ার ও ত্রিপদী ছন্দে রচিত।
-
-
গঠন: মোট ১৩ খণ্ডে বিভক্ত এবং এতে ৪১৮টি পদ রয়েছে।

0
Updated: 6 days ago