চর্যাপদ তিব্বতি ভাষায় অনুবাদ করেন -
A
মুনিদত্ত
B
হরপ্রসাদ শাস্ত্রী
C
কীর্তিচন্দ্র
D
প্রবোধচন্দ্র বাগচী
উত্তরের বিবরণ
র্যাপদ হলো বাংলা ভাষার প্রথম কাব্যগ্রন্থ এবং কবিতা বা গানের সংকলন, যা বাংলা সাহিত্যের প্রাচীন যুগের একমাত্র লিখিত নিদর্শন। এটি বৌদ্ধ সহজিয়াগণের রচিত চর্যাগীতির সম্পূর্ণ সেট, যেগুলোতে বৌদ্ধধর্মের তত্ত্ব এবং চিন্তা প্রকাশ পেয়েছে।
চর্যাপদের গুরুত্বপূর্ণ তথ্যসমূহ:
এটি বাংলা সাহিত্যের আদি যুগের একমাত্র লিখিত নিদর্শন এবং বাংলা ভাষার প্রথম কাব্য বা কবিতাসংকলন।
চর্যাপদের ভাষা এবং বিষয়বস্তু যথেষ্ট দুর্বোধ্য, এবং এর কবিরা ছিলেন বৌদ্ধ সাধক বা সহজিয়া।
চর্যাপদের প্রথম আবিষ্কার করেন ড. হরপ্রসাদ শাস্ত্রী ১৯০৭ সালে নেপালের রাজ দরবার গ্রন্থাগার থেকে।
পরে ১৯৩৮ সালে প্রবোধচন্দ্র বাগচী চর্যাপদের তিব্বতী ভাষায় অনুবাদের সন্ধান পান, যা কীর্তিচন্দ্র নামের এক ব্যক্তির।
চর্যাপদের রচনাকাল নিয়ে ইতিহাসবিদদের মতবিরোধ থাকলেও মূলত ৬৫০ থেকে ১৩৫০ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে রচিত বলে ধারণা করা হয়।
সংক্ষেপে, চর্যাপদ বৌদ্ধধর্মের ভাবনা ও প্রার্থনার গানসমূহের এক সংগ্রহ, যা বাংলা ভাষার প্রাচীনতম সাহিত্য হিসেবে স্বীকৃত
0
Updated: 1 month ago
চর্যাপদের ভাষাকে 'আলো আঁধারি' বলে অভিহিত করেন কে?
Created: 4 weeks ago
A
ড: মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ
B
সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়
C
হরপ্রসাদ শাস্ত্রী
D
সুকুমার সেন
চর্যাপদ বাংলা সাহিত্যের আদি যুগের একমাত্র লিখিত নিদর্শন হিসেবে স্বীকৃত। এটি বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের উৎস নির্ধারণে একটি অমূল্য সম্পদ। বৌদ্ধ সহজিয়া সাধকগণ এই চর্যাগুলো রচনা করেছিলেন, যেখানে ধর্মীয় আধ্যাত্মিক ভাব, জীবনদর্শন ও সাধনাশ্রিত দার্শনিক চিন্তাধারা প্রতিফলিত হয়েছে।
চর্যাপদ সম্পর্কিত প্রধান তথ্য:
-
এটি বাংলা সাহিত্যের আদি যুগের একমাত্র লিখিত নিদর্শন।
-
১৯০৭ খ্রিষ্টাব্দে মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী নেপাল রাজদরবারের গ্রন্থাগার থেকে চর্যাপদের পুথি আবিষ্কার করেন।
-
১৯১৬ সালে কলকাতার বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষৎ থেকে চর্যাপদ আধুনিক লিপিতে প্রকাশিত হয়।
-
হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর সম্পাদনায় পুথিটি ‘হাজার বছরের পুরাণ বাঙ্গালা ভাষায় বৌদ্ধগান ও দোহা’ নামে প্রকাশিত হয়।
-
চর্যাপদের রচয়িতারা ছিলেন বৌদ্ধ সহজিয়া সাধকগণ, যারা আধ্যাত্মিক সাধনার গূঢ় সত্য প্রকাশ করেছেন প্রতীক ও রূপকের মাধ্যমে।
-
চর্যাপদে বৌদ্ধধর্ম ও তত্ত্বচিন্তা প্রকাশ পেয়েছে।
-
চর্যাপদের ভাষাকে কেউ কেউ সন্ধ্যাভাষা বা সন্ধাভাষা বলেছেন, কারণ এতে আংশিকভাবে প্রাচীন, আংশিকভাবে আধুনিক ভাষার বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান।
-
হরপ্রসাদ শাস্ত্রী চর্যার ভাষা সম্পর্কে মন্তব্য করেছিলেন—
“আলো-আঁধারি ভাষা, কতক আল কতক অন্ধকার, খানিক বুঝা যায়, খানিক বুঝা যায় না। যাঁহারা সাধন-ভজন করেন, তাঁহারাই সে কথা বুঝিবেন, আমাদের বুঝিয়া কাজ নাই।”
এই মন্তব্য থেকেই চর্যার ভাষা “সন্ধ্যাভাষা” নামে পরিচিত হয়।
0
Updated: 4 weeks ago
বাংলা ভাষার আদি নিদর্শন কোনটি?
Created: 6 months ago
A
চর্যাপদ
B
শ্রীকৃষ্ণ কীর্তন কাব্য
C
বঙ্গবাণী
D
অন্যমঙ্গল কাব্য
চর্যাপদ বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের আদি নিদর্শন।
- এটি মূলত গানের সংকলন।
- ১৯০৭ খ্রিস্টাব্দে মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী নেপাল রাজদরবারের গ্রন্থাগার থেকে এর পুথি আবিষ্কার করেন।
- চর্যাপদ রচনা করেন বৌদ্ধ সহজিয়াগণ। সহজিয়াগণ হচ্ছেন বৌদ্ধ সহজযান পন্থি।
- চর্যাপদের পদ সংখ্যা নিয়ে মতবিরোধ আছে। সুকুমার সেনের হিসাবে ৫১টি পদ এবং মুহম্মদ শহীদুল্লাহ বলেছেন ৫০টি পদ। চর্যাপদ ছিন্ন অবস্থায় পাওয়া যাওয়ায় এই মতান্তরের সৃষ্টি।
- চর্যাপদের কবির সংখ্যা ২৩ মতান্তরে ২৪ জন।
- চর্যাপদের পদগুলো প্রাচীন কোন ছন্দে রচিত তা আজ বলা সম্ভবপর নয়। তবে আধুনিক ছন্দের বিচারে এগুলো মাত্রাবৃত্ত ছন্দের অধীন বিবেচ্য।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর।
0
Updated: 6 months ago
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ চর্যাপদের রচনা কাল ধরেছেন-
Created: 1 month ago
A
৭৫০ সাল থেকে
B
৬৫০ সাল থেকে
C
৯৫০ সাল থেকে
D
৮৫০ সাল থেকে
চর্যাপদের রচনাকাল নির্ধারণ নিয়ে পণ্ডিতদের মধ্যে বিভিন্ন মত রয়েছে। নেপাল রাজদরবারের গ্রন্থাগারে যে পুঁথি আবিষ্কৃত হয়েছে তা বাংলা লিপিতে লেখা এবং বাঙালির লেখা বলে অনুমান করা হয়। পুঁথিটি পুরানো হলেও রচনাকালের সমসাময়িক নয়। তিব্বতি অনুবাদের রচনাকাল জানা যায়নি।
-
ড. সুকুমার সেন মনে করেন পুঁথিটি ষোল শতকের পরে লেখা হয়নি। তিনি চর্যাপদের রচনাকালকে পনের শতকের সঙ্গে তুলনা করেছেন, তবে সব পদের রচনার সময় এক নয়।
-
মুনিদত্তের টীকার রচনাকাল পুঁথি লেখার অনেক আগে।
-
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ চর্যাপদের রচনাকাল ৬৫০ সাল থেকে শুরু হওয়া হিসেবে দেখেছেন। তিনি চর্যাকারদের সম্ভাব্য সময়সীমা সপ্তম থেকে দ্বাদশ শতাব্দীর মধ্যে নির্ধারণ করেছেন।
-
ড. সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় চর্যাপদের রচনাকাল ৯৫০ সাল থেকে শুরু হওয়া মনে করেন।
-
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ মৎস্যেন্দ্রনাথ বা মীননাথকে প্রথম বাঙালি কবি হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তিনি প্রমাণ দেখিয়েছেন যে, মৎস্যেন্দ্রনাথ সপ্তম শতকে জীবিত ছিলেন। চর্যাপদে তাঁর কোনো পদ নেই; ২১ সংখ্যক চর্যার টীকায় কেবল চারটি পংক্তি উল্লেখ আছে।
-
ফরাসি পণ্ডিত সিলভ্যা লেভি মতে, মৎস্যেন্দ্রনাথ ৬৫৭ সালে রাজা নরেন্দ্রদেবের রাজত্বকালে নেপালে গিয়েছিলেন।
-
রাহুল সংকৃত্যায়ন লুইপা ও সরহ পা চর্যাকারকে ধর্মপালের সময়ে (৭৬৯-৮০৯ সাল) বর্তমান মনে করেন। তিনি চর্যাপদের রচনাকাল আট থেকে এগার শতকের মধ্যে রেখেছেন।
চর্যাপদের সঠিক রচনাকাল এখনও নিয়ে পণ্ডিতরা একমত হতে পারেননি।
0
Updated: 1 month ago