'শিখা' পত্রিকার প্রথম সংখ্যার সম্পাদক ছিলেন কে?
A
আবুল হুসেন
B
মোতাহার হোসেন চৌধুরী
C
মুন্সি আহমদ আলী
D
আবদুল কাদির
উত্তরের বিবরণ
শিখা পত্রিকা:
১৯২৬ সালে ঢাকা শহরে মুসলিম সাহিত্য-সমাজে প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯২৭ সালে ‘শিখা’ নামে একটি বার্ষিক মুখপত্র প্রকাশ শুরু হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি ও বাণিজ্য বিভাগের অধ্যাপক আবুল হুসেন ছিলেন শিখা পত্রিকার প্রথম সংখ্যার সম্পাদক; শিখা বছরে একবার প্রকাশিত হত।
পত্রিকাটি মুসলিম সাহিত্য-সমাজের পক্ষে আবদুল কাদির কর্তৃক মুসলিম হল থেকে প্রকাশিত এবং মুন্সি আহমদ আলী কর্তৃক সাত রওজার (ঢাকা) ইসলামীয়া প্রেস থেকে মুদ্রিত।
শিখার মোট পাঁচটি সংখ্যা প্রকাশিত হয়।
শিখা ছিল সমকালীন অন্যান্য সাময়িকপত্র থেকে সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র ধরনের।
তাই প্রথম সংখ্যার প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গেই পত্রিকাটি বুদ্ধিজীবী সমাজের দৃষ্টি আকর্ষণ করে।
মুসলিম সাহিত্য-সমাজের সারা বছরের কর্মকাণ্ডের পরিচয় বহন করত শিখা।
শিখার প্রতিটি সংখ্যার শিরোনামে ‘জ্ঞান যেখানে সীমাবদ্ধ, বুদ্ধি সেখানে আড়ষ্ট, মুক্তি সেখানে অসম্ভব’ কথাটি মুদ্রিত থাকত।

0
Updated: 15 hours ago
আবুল হুসেন কোন পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন?
Created: 2 weeks ago
A
সওগাত
B
শিখা
C
মোসলেম ভারত
D
সমাচার সভারাজেন্দ্র
আবুল হুসেন মুসলমান সমাজে আধুনিক শিক্ষা ও জ্ঞানের আলো বিস্তারের উদ্দেশ্যে লেখনী পরিচালনা করেন।
-
তিনি ১৯২৬ সালে ঢাকার ‘মুসলিম সাহিত্যসমাজ’-এর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন।
-
এই সাহিত্যসমাজের মুখপত্র ছিল ‘শিখা’ (১৯২৭-৩১)। তিনি এর প্রথম বর্ষের সম্পাদক ছিলেন।
তাঁর রচিত গ্রন্থ:
-
বাংলার বলশী
-
বাঙালি মুসলমানদের শিক্ষা সমস্যা
-
মুসলিম কালচার
অন্যান্য তথ্য:
-
‘মোস্লেম ভারত’ পত্রিকা ১৯২০ সালে প্রকাশিত হয়, এর প্রথম সম্পাদক ছিলেন মোজাম্মেল হক।
-
‘সমাচার সভারাজেন্দ্র’ পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন শেখ আলিমুল্লাহ।
-
‘সওগাত’ (মাসিক) ১৯১৮ সালে প্রকাশিত হয়, এর প্রথম সম্পাদক ছিলেন মোহাম্মদ নাসিরউদ্দীন।

0
Updated: 2 weeks ago
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘পুতুলনাচের ইতিকথা’ কোন ধরনের রচনা?
Created: 2 weeks ago
A
ছোটগল্প
B
উপন্যাস
C
প্রবন্ধ
D
নাটক
পুতুলনাচের ইতিকথা
রচয়িতা: মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রকাশকাল: ১৯৩৬।
লেখকের বক্তব্য: “সাহিত্যিকেরও বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি থাকা প্রয়োজন।” — এই উপন্যাসে সেই বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গির প্রয়োগ লক্ষ্য করা যায়।
বিষয়বস্তু: ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনামলে শিক্ষিত বাঙালি মধ্যবিত্ত সমাজের অন্তর্গত টানাপোড়েন, মানসিক দ্বন্দ্ব ও অস্তিত্ব সংকট।
প্রতীক: ‘পুতুল’ বলতে বোঝানো হয়েছে সেইসব মানুষকে, যারা দৃঢ় চরিত্র বা নিজস্ব অবস্থান নিয়ে দাঁড়াতে পারে না, বরং অন্যের সামান্য প্রভাবেই দোদুল্যমান হয়।
উল্লেখযোগ্য চরিত্র: হারু ঘোষ, শশী, কুসুম প্রভৃতি।
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় (১৯০৮–১৯৫6)
জন্ম: ১৯০৮ সালে, পিতার কর্মস্থল বিহারের সাঁওতাল পরগনার দুমকা শহরে।
পৈতৃক নিবাস: ঢাকা জেলার বিক্রমপুরের মালবদিয়া গ্রামে।
পিতা: হরিহর বন্দ্যোপাধ্যায় (কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানের গ্রাজুয়েট)।
প্রকৃত নাম: প্রবোধকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়, ডাকনাম ‘মানিক’।
পরিচিতি: ত্রিশোত্তর বাংলা কথাসাহিত্যের অন্যতম শক্তিমান লেখক।
সাহিত্যজীবন:
প্রথম গল্প: ‘অতসী মামী’ (প্রকাশিত: ১৯২৮, বিচিত্রা পত্রিকায়)।
লেখনীতে: মার্ক্সবাদী শ্রেণিসংগ্রামতত্ত্বের বিশ্লেষণ ও মানুষের মনের জটিল রহস্য উন্মোচনে বিশেষ দক্ষতা দেখিয়েছেন।
শ্রেষ্ঠ উপন্যাস: ‘পদ্মানদীর মাঝি’ ও ‘পুতুলনাচের ইতিকথা’ – এই দুই রচনার মাধ্যমে সর্বাধিক জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। পদ্মানদীর মাঝি পরবর্তীতে চলচ্চিত্রায়িত হয়।
উল্লেখযোগ্য উপন্যাসসমূহ:
জননী (১৯৩৫)
দিবারাত্রির কাব্য
পদ্মানদীর মাঝি
পুতুলনাচের ইতিকথা
শহরতলী
চিহ্ন
চতুষ্কোণ
সার্বজনীন
আরোগ্য প্রভৃতি
মৃত্যু: ৩ ডিসেম্বর, ১৯৫৬, কলকাতা।

0
Updated: 2 weeks ago