দিগদর্শন' - প্রথম সংখ্যাটি কত সালের প্রকাশিত হয়?
A
১৮১৮ সালে
B
১৮২৮ সালে
C
১৮৩৮ সালে
D
১৮৪৮ সালে
উত্তরের বিবরণ
দিগদর্শন পত্রিকা:
বঙ্গভূমিতে বাংলা ভাষায় প্রকাশিত প্রথম সাময়িক পত্রিকা।
দিগ্দর্শনের প্রথম সংখ্যাটি ১৮১৮ সালের এপ্রিল মাসে প্রকাশিত হয়।
এটি ছিল মাসিক পত্রিকা।
পত্রিকাটি শ্রীরামপুরের ব্যাপটিস্ট মিশন থেকে প্রকাশিত হয়।
বিখ্যাত খ্রিস্টান ধর্মপ্রচারক জোশুয়া মার্শম্যান-এর পুত্র জন ক্লার্ক মার্শম্যান সম্পাদিত মাসিক সাময়িকী ছিল।
কলকাতার বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ গ্রন্থাগারে দিগ্দর্শনের কপিসমূহ সংরক্ষিত আছে।
0
Updated: 1 month ago
দেওয়ানা মদিনা' পালার অপর নাম কী?
Created: 1 month ago
A
বানিয়াচঙ্গের কাহিনী
B
মদিনার জীবন
C
আলাল-দুলালের পালা
D
সোনাফরের গল্প
দেওয়ানা মদিনা বাংলার লোকসাহিত্যের একটি উল্লেখযোগ্য পালাগীতি, যা মূলত বাংলাদেশের হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচঙ্গ অঞ্চলের দেওয়ান পরিবারের ইতিহাস ও প্রেমকাহিনি অবলম্বনে রচিত।
এই পালাটির লেখক হলেন মনসুর বয়াতি।
পালাটি বানিয়াচঙ্গের দেওয়ান পরিবারকে কেন্দ্র করে রচিত, যা বর্তমান হবিগঞ্জ জেলার অধীনে বাংলাদেশের বৃহত্তম গ্রাম।
পালার মূল বিষয়বস্তু হলো বানিয়াচঙ্গের দেওয়ান সোনাফরের দুই পুত্র আলাল ও দুলালের জীবনকাহিনি, এবং বিশেষভাবে দুলাল ও গৃহস্থকন্যা মদিনার প্রেমগাথা।
‘দেওয়ানা মদিনা’ পালাটির অপর নাম হলো ‘আলাল-দুলালের পালা’।
পালাটির প্রধান কয়েকটি চরিত্রের মধ্যে রয়েছে আলাল, দুলাল, মদিনা এবং সোনাফর।
0
Updated: 1 month ago
লোকসাহিত্য কাকে বলে?
Created: 3 months ago
A
গ্রামীণ নরনারীর প্রণয় সংবলিত উপাখ্যানকে
B
লোক সাধারণের কল্যাণে দেবতার স্তুতিমূলক রচনাকে
C
লোকের মুখে মুখে প্রচলিত কাহিনী, গান, ছড়া ইত্যাদিকে
D
গ্রামীণ অশিক্ষিত ও অখ্যাত লোকের সৃষ্ট রচনাকে
মানুষের মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়া কাহিনী, গান, ছড়া ইত্যাদির সংকলনই হলো লোকসাহিত্যের বিভিন্ন ধারা।
লোকসাহিত্য
লোকসাহিত্য হলো এমন এক ধরনের মৌখিক সাহিত্য, যা পূর্বপুরুষের ঐতিহ্য ও সমকালীন বাস্তবতার সংমিশ্রণে জন্ম নেয়। এটি কোনো নির্দিষ্ট অঞ্চলের মানুষের সম্মিলিত মনন ও অভিজ্ঞতার প্রকাশ।
সাধারণত গ্রামীণ জনগোষ্ঠী, যাদের মধ্যে লেখাপড়ার সুযোগ সীমিত, তারা স্মৃতি ও শ্রবণশক্তির মাধ্যমে এই সাহিত্য রক্ষা ও প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে পৌঁছে দেয়। যদিও এর সূচনা কোনো একজন মানুষের সৃষ্টির মাধ্যমে হতে পারে, তবুও দীর্ঘকাল ধরে সমাজের সম্মিলিত অংশগ্রহণে এটি সমৃদ্ধ ও পূর্ণাঙ্গ রূপ পায়। ফলে লোকসাহিত্য হয়ে ওঠে সমাজের ঐতিহ্য, ভাবনা, অনুভব এবং নৈতিক মূল্যবোধের ধারক ও বাহক।
লোকসাহিত্য কেবল সাহিত্যের এক ধারা নয়, এটি একটি জাতির সংস্কৃতির জীবন্ত নিদর্শন। এর মধ্য দিয়েই জাতির অন্তরাত্মার ধ্বনি প্রতিফলিত হয়।
এই কারণেই বিশ্বকবির ভাষায়, লোকসাহিত্য হলো "জনপদের হৃদয়-কলরব"।
লোকসাহিত্যকে সাধারণভাবে আটটি প্রধান ধারায় শ্রেণিবদ্ধ করা যায়— যেমন:
লোকগান, গীতিকা, লোককথা, লোকনাট্য, উপকথা, ধাঁধা, ছড়া ও প্রবাদ।
উৎস: বাংলাপিডিয়া ও মাহবুবুল আলমের বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস
0
Updated: 3 months ago
লোকসাহিত্য কাকে বলে?
Created: 2 days ago
A
গ্রামের অশিক্ষিত ও অখ্যাত লোকদের সৃষ্ট রচনাকে
B
লোকের মুখে মুখে প্রচলিত কাহিনি, গান, ছড়া ইত্যাদিকে
C
লোক সাধারণের কল্যাণে দেবতার স্তুতিমূলক রচনাকে
D
গ্রামীণ নরনারীর প্রণয় সংবলিত উপাখ্যানকে
লোকসাহিত্য হলো লোকের মুখে মুখে প্রচলিত গান, ছড়া, গল্প ও উপাখ্যানের সমষ্টি।
এটি কোনো নির্দিষ্ট লেখকের নয়, বরং সাধারণ মানুষের জীবন, বিশ্বাস ও সংস্কৃতির বহিঃপ্রকাশ।
-
লোকসাহিত্য মৌখিকভাবে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে প্রচারিত হয়।
-
এতে সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবন, আনন্দ-বেদনা ও বিশ্বাস প্রতিফলিত হয়।
-
এর প্রধান শাখা হলো লোকগান, লোককাহিনি, লোকছড়া, প্রবাদ, ধাঁধা ইত্যাদি।
-
এটি জাতির ঐতিহ্য ও সাংস্কৃতিক পরিচয় বহন করে।
-
লিখিত সাহিত্যের পূর্বে লোকসাহিত্যই ছিল মানুষের আবেগ ও চিন্তার প্রকাশমাধ্যম।
0
Updated: 2 days ago