বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির প্রধান মূলনীতির অন্তর্ভুক্ত নয় কোনটি?
A
সামরিক শক্তি বৃদ্ধি করা
B
সকলের প্রতি বন্ধুত্ব, কারও প্রতি বিদ্বেষ নয়
C
অন্য রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্বর প্রতি সম্মান প্রদর্শন
D
অন্য রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ না করা
উত্তরের বিবরণ
সামরিক
শক্তি বৃদ্ধি করা বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির প্রধান মূলনীতির অন্তর্ভুক্ত নয়।
পররাষ্ট্রনীতি:
- পররাষ্ট্রনীতি হলো কোনো সার্বভৌম
রাষ্ট্রের গৃহীত সেসব নীতি যা
রাষ্ট্র তার রাষ্ট্রীয় স্বার্থ
সংরক্ষণের জন্য অন্যান্য রাষ্ট্রের
সাথে যোগাযোগ রক্ষার ক্ষেত্রে সম্পাদন করে থাকে। অন্য
রাষ্ট্রের মতো বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতিও
আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে রাষ্ট্রের আর্থ-সামাজিক ও
রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতাকে তুলে ধরে।
- বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি মূলত বহিঃশক্তির প্রভাব
থেকে দেশের সাবভৌমত্ব ও ভূখন্ডকে রক্ষা
করার মতো বিষয়েই সীমাবদ্ধ
থেকে গেছে।
⇒ বাংলাদেশের
পররাষ্ট্রনীতির মূলনীতিসমূহ পররাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ কিছু মূলনীতি অনুসরণ
করে থাকে।
- বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির প্রধান চারটি মূলনীতি হলো:
১. সকলের প্রতি বন্ধুত্ব, কারও প্রতি বিদ্বেষ নয়:
- যেহেতু বাংলাদেশ তার অর্থনৈতিক উন্নয়নের
জন্য বৈদেশিক সাহায্যের উপর নির্ভরশীল, সেহেতু
বাংলাদেশ বৃহৎ শক্তিগুলোর মধ্যে
কোন একটির পক্ষাবলম্বন করে অন্যটির বিরাগভাজন
হতে চায় না। এর
চেয়েও বড় কথা হল
যে, এক রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের
মাধ্যমে অপ্রকাশের পর বাংলাদেশ চায়
না যে, সে কোন
বৃহৎ শক্তির খুঁটি হিসেবে ব্যবহৃত হবে।
২. অন্য রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব, রাষ্ট্রীয় স্বাধীনতা ও ভৌগোলিক অখন্ডতার প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করা:
- এ মূলনীতিটি জাতিসংঘ সনদের ২(৪) ধারার
সাথে সম্পূর্ণ সামঞ্জস্যপূর্ণ।
৩. অন্য রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ না করা:
- এ মূলনীতিটিও জাতিসংঘ সনদের ২(৭) ধারার
উপর প্রতিষ্ঠিত। প্রকৃতপক্ষে ২ ও ৩
নম্বর মুলনীতি দুটি রাষ্ট্রীয় আচরণের
ক্ষেত্রে পারস্পরিক সমঝোতার ভিত্তিতে গড়ে ওঠা আদর্শের
বুনিয়াদের উপর প্রতিষ্ঠিত।
৪. বিশ্ব শান্তি:
- প্রথমত: বাংলাদেশ শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানে বিশ্বাস করে; দ্বিতীয়ত: বাংলাদেশ
যে কোন বিবাদ শান্তিপূর্ণ
উপায়ে মীমাংসার পক্ষপাতি; এবং তৃতীয়ত: বাংলাদেশ
চায় যে, যে কোন
আন্তর্জাতিক পরিস্থিতির পরিবর্তন শান্তিপূর্ণ উপায়ে হবে। এই প্রসঙ্গে
এ কথাও সবসময় মনে
রাখতে হবে যে, বাংলাদেশ
কখনও বিশ্বের কোন রাষ্ট্রের শান্তি
ও নিরাপত্তার প্রতি হুমকি প্রদর্শন না করার ব্যাপারে
বদ্ধপরিকর।
⇒ বাংলাদেশের
পররাষ্ট্র নীতির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য:
১. আত্বরক্ষা,
২. অর্থনৈতিক অগ্রগতি,
৩. অন্য রাষ্ট্রের তুলনায়
নিজের জাতীয় শক্তিকে রক্ষা ও প্রয়োজনবোধে বৃদ্ধি
করা,
৪. নিজস্ব মতবাদে দৃঢ় থাকা, ও
৫. জাতীয় মর্যাদা বৃদ্ধি করা।

0
Updated: 15 hours ago
ব্রেটন উডস সম্মেলনে কতটি দেশ অংশগ্রহণ করেছিল?
Created: 1 week ago
A
২৯টি
B
৩২টি
C
৩৮টি
D
৪৪টি
ব্রেটন উডস সম্মেলন ১৯৪৪ সালের ১ থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের নিউ হ্যাম্পশায়ার শহরে অনুষ্ঠিত হয়। এই সম্মেলনে বিশ্বের ৪৪টি দেশ থেকে ৭৩০ জন প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন।
-
১৯৪৫ সালের ২৭ ডিসেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস বিশ্বব্যাংক ও IMF গঠনের Articles of Agreement অনুমোদন করে।
-
সম্মেলনে ২৯টি দেশ ব্রেটন উডস চুক্তিতে স্বাক্ষর করে।
-
মোট ২৯ দেশের অনুমোদনের ভিত্তিতে ১৯৪৫ সালের ২৭ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্বব্যাংক ও IMF প্রতিষ্ঠিত হয়।
-
সম্মেলনের প্রধান উদ্যোক্তা ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের হ্যারি ডেক্সটার হোয়াইট এবং ব্রিটিশ অর্থনীতিবিদ জন মেনার্ড কেইনস।
-
ব্রেটন উডস সম্মেলনে IMF ও World Bank এই দুটি আন্তর্জাতিক সংস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়।

0
Updated: 1 week ago
দেশের একমাত্র রাষ্ট্রীয় ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান কোনটি?
Created: 5 days ago
A
ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড
B
আরিস্টোফার্মা লিমিটেড
C
এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেড
D
রেনাটা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড
এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেড বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে ওষুধ উৎপাদনের ক্ষেত্রে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। জনস্বাস্থ্য রক্ষা ও দেশের অভ্যন্তরে মানসম্পন্ন ওষুধ সরবরাহের জন্য এটি ধারাবাহিকভাবে কাজ করে আসছে।
-
দেশের একমাত্র রাষ্ট্রীয় ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান হলো এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেড (ইডিসিএল)।
-
১৯৬২ সালে গভর্নমেন্ট ফার্মাসিউটিক্যালস ল্যাবরেটরি (GPL) নামে কার্যক্রম শুরু করে।
-
১৯৭৯ সালে নাম পরিবর্তন করে ফার্মাসিউটিক্যালস প্রোডাকশন ইউনিট (PPU) রাখা হয়।
-
১৯৮৩ সালে জনস্বাস্থ্য রক্ষা ও মানসম্মত ওষুধ উৎপাদনের উদ্দেশ্যে এটি আধুনিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়।
-
সরকারি হাসপাতাল, সিভিল সার্জন অফিস, ইউনিসেফ, WHO, আইসিডিডিআরবিসহ বিভিন্ন সংস্থায় মানসম্পন্ন ওষুধ সরবরাহ করে।
-
এটি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিচালিত হয়।

0
Updated: 5 days ago
প্রাচীন সভ্যতার নিদর্শনের দিক দিয়ে কোনটি বাংলাদেশের সবচেয়ে সমৃদ্ধ রাজ্য ছিল?
Created: 6 days ago
A
বঙ্গ
B
সমতট
C
চন্দ্রদ্বীপ
D
পুণ্ড্র
পুণ্ড্র জনপদ ছিল পূর্বাঞ্চলের অন্যতম প্রাচীন জনপদ এবং ইতিহাসের বিভিন্ন সময়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। প্রাচীন মহাস্থান ব্রাহ্মী লিপিতে উল্লিখিত পুদনগল বা পুণ্ড্র নগর ও বর্তমান বগুড়া শহরের অবস্থান প্রমাণ করে এই জনপদটির অস্তিত্ব। সময়ের সাথে এটি দুটি ভিন্ন নামে পরিচিতি পায়; প্রাচীনকালে পুণ্ড্রবর্ধন এবং মধ্যযুগে বরেন্দ্র বা বরীন্দ্র।
-
পুণ্ড্র জনপদ বগুড়া, রাজশাহী, রংপুর ও দিনাজপুর জেলার অবস্থানভূমিকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছিল।
-
প্রাচীন পুণ্ড্র রাজ্যের রাজধানী ছিল পুণ্ড্রবর্ধন বা পুণ্ড্রনগর, যা বর্তমানে মহাস্থানগড় নামে পরিচিত।
-
পুণ্ড্রনগর বর্তমান বগুড়া শহরের কাছাকাছি করতোয়া নদীর তীরে অবস্থিত।
-
সম্ভবত মৌর্য সম্রাট অশোকের রাজত্বকালে (খ্রি.পূ. ২৭৩-২৩২ অব্দ) প্রাচীন পুণ্ড্র রাজ্য স্বাধীনতা হারায়।
-
গুপ্ত যুগে (৪র্থ-৬ষ্ঠ শতকে) পুণ্ড্র নগর ছিল গুপ্তদের প্রাদেশিক রাজধানী।
-
প্রাচীন সভ্যতার নিদর্শনের দিক দিয়ে পুণ্ড্র জনপদ বাংলাদেশের সবচেয়ে সমৃদ্ধ রাজ্য হিসেবে বিবেচিত।
উৎস:

0
Updated: 6 days ago