দ্বিজাতি তত্ত্বের প্রবক্তা কে ছিলেন?
A
জুলফিকার আলী ভুট্টো
B
মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ
C
গোলাম মোহাম্মদ
D
আইয়ুব খান
উত্তরের বিবরণ
দ্বিজাতি
তত্ত্ব:
- জাতিতত্ত্বের বিশ্লেষণে একটি জনগোষ্ঠীকে তখনই
জাতি বলা যায়, যার
ভাষা, শিক্ষা, সংস্কৃতি, সাহিত্য, মনন, কৃষ্টি, ধর্ম
এমনকি অর্থনীতি একটি একক সত্তায়
পরিণতি লাভ করে।
- মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ভারতের
হিন্দু ও মুসলমান এ
দুটি ধর্মীয় সম্প্রদায়কে দুটি পৃথক জাতি
হিসেবে চিহ্নিত করেছিলেন।
- দ্বিজাতি তত্ত্বের প্রবক্তা ছিলেন মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ।
- তিনি ১৯৪০ সালে পাকিস্তান
আন্দোলনের মূল ভিত্তি হিসেবে
এই তত্ত্বটি প্রস্তাব করেন।
- দ্বিজাতি তত্ত্ব অনুযায়ী, ভারতীয হিন্দু এবং মুসলিম সমাজ
দুটি আলাদা জাতি, যার সাংস্কৃতিক, সামাজিক,
ধর্মীয়, এবং ঐতিহাসিক পার্থক্য
রয়েছে।
- তিনি মনে করতেন যে,
হিন্দু ও মুসলিমরা একত্রে
একটি সাধারণ রাষ্ট্রের অধীনে বাস করতে সক্ষম
নয়, কারণ তাদের মধ্যে
মৌলিকভাবে ভিন্ন জাতিগত পরিচয় রয়েছে।
- জিন্নাহর মতে, মুসলমানদের জন্য
একটি পৃথক রাষ্ট্রের প্রয়োজন
ছিল, যেখানে তারা নিজেদের ধর্মীয়
ও সাংস্কৃতিক স্বাধীনতা বজায় রাখতে পারবে।
⇒ ১৯৩৯
সালে জিন্নাহ্ তাঁর 'দ্বিজাতি তত্ত্ব' ঘোষণা করেন।
- পরবর্তী বছর লাহোরে মুসলিম
লীগের ঘোষণায় এরই প্রতিধ্বনি পুনর্ব্যক্ত
হয়েছে।
- ১৯৪০ খ্রিস্টাব্দের ২৩ মার্চ লাহোরে
অনুষ্ঠিত মুসলিম লীগের অধিবেশনের সভাপতি ছিলেন মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ্।
- এ অধিবেশনেই বাংলার নেতা ও প্রধানমন্ত্রী
এ.কে. ফজলুল হক
বিখ্যাত লাহোর প্রস্তাব উত্থাপন করেন।
- এতে বলা হয় যে,
কোনো শাসনতান্ত্রিক পরিকল্পনা এদেশে কার্যকর বা মুসলমানদের কাছে
গ্রহণযোগ্য হবে না যদি
একটি নিম্নবর্ণিত মূলনীতির উপর প্রতিষ্ঠিত না
হয়।

0
Updated: 15 hours ago
বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়ন কমিটির সভাপতি কে ছিলেন?
Created: 1 week ago
A
ড. কামাল হোসেন
B
সৈয়দ নজরুল ইসলাম
C
তাজউদ্দিন আহমদ
D
আবু সাঈদ চৌধুরী
১৯৭২ সালের ১১ এপ্রিল গণপরিষদে সংবিধানের খসড়া প্রণয়নের জন্য গঠিত ৩৪ সদস্যের কমিটির সভাপতি ছিলেন ড. কামাল হোসেন, যিনি তখন আইন ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী ছিলেন।
প্রধান তথ্যসমূহ:
-
সংবিধান প্রণয়নের উদ্দেশ্যে আইন বিশেষজ্ঞ ড. কামাল হোসেনকে সভাপতি করে ৩৪ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়।
-
১৯৭২ সালের ১৬ ডিসেম্বর সংবিধান কার্যকর হয়।
-
হস্তলিখিত সংবিধানটির মূল লেখক ছিলেন শিল্পী আব্দুর রউফ।
-
সংবিধানের অঙ্গসজ্জা করেন শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন।
-
সংবিধানের প্রচ্ছদে শীতলপাটির উপর লেখা ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান’।
-
গণপরিষদের ৩৯৯ জন সদস্য হস্তলিখিত মূল সংবিধানে স্বাক্ষর করেন; বাংলা ও ইংরেজী লিপিতে স্বাক্ষর করা হয় ১৫ ডিসেম্বর, ১৯৭২।
-
একমাত্র বিরোধী দলীয় সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত সংবিধানে স্বাক্ষর করেননি।

0
Updated: 1 week ago
বিশ্বব্যাংক গ্রুপের কোন সংস্থা বেসরকারি খাতে বিনিয়োগকে উৎসাহিত করে?
Created: 1 week ago
A
ICSID
B
IBRD
C
IDA
D
IFC
বিশ্বব্যাংক গ্রুপ হলো এমন একটি আর্থিক সংস্থা, যা ৫টি প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ে গঠিত:
-
International Bank for Reconstruction and Development (IBRD)
-
International Finance Corporation (IFC)
-
Multilateral Investment Guarantee Agency (MIGA)
-
International Center for Settlement of Investment Disputes (ICSID)
-
International Development Association (IDA)
IFC (International Finance Corporation)
-
প্রতিষ্ঠিত: ২০ জুলাই, ১৯৫৬
-
বর্তমান সদস্য দেশ: ১৮৬টি
-
সদরদপ্তর: ওয়াশিংটন ডি.সি., যুক্তরাষ্ট্র
-
প্রধান লক্ষ্য: বেসরকারি খাতের উন্নয়ন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, দারিদ্র্য হ্রাস, টেকসই উন্নয়ন প্রকল্পে অর্থায়ন
-
মূল সেবা: ঋণ (Loans), ইক্যুইটি বিনিয়োগ (Equity Investments), ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা (Risk Management), টেকনিক্যাল সহায়তা (Advisory Services)

0
Updated: 1 week ago
লর্ড ব্রাইসের মতে, নিচের কোনটি মানুষের আইন মেনে চলার কারণ নয়?
Created: 2 weeks ago
A
নির্লিপ্ততা
B
শ্রদ্ধা
C
সহানুভূতি
D
অভ্যাস
-
লর্ড ব্রাইস মানুষের আইন মান্য করার পেছনে পাঁচটি কারণ উল্লেখ করেছেন: নির্লিপ্ততা, শ্রদ্ধা, সহানুভূতি, শাস্তির ভয় এবং যৌক্তিকতার উপলব্ধি। এর মধ্যে ‘অভ্যাস’ অন্তর্ভুক্ত নয়।
আইন মান্য করার কারণ:
-
আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য আইন মান্য করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
-
প্রতিটি আইনে কিছু নির্দেশনা থাকে এবং তা অমান্য করলে শাস্তির বিধান থাকে।
-
আইন মান্য করার বিভিন্ন কারণের মধ্যে একটি হলো আইনের উপযোগিতা।
লর্ড ব্রাইস আইন মান্য করার কারণগুলোকে পাঁচ ভাগে বিভক্ত করেছেন:
১. যৌক্তিকতার উপলব্ধি
২. অপরের প্রতি শ্রদ্ধা
৩. নির্লিপ্ততা
৪. সহানুভূতি
৫. শাস্তির ভয়
উৎস: পৌরনীতি ও সুশাসন প্রথম পত্র, এইচ এস সি, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 2 weeks ago