সংবিধান রচনার জন্য তৎকালীন রাষ্ট্রপতি কর্তৃক ‘গণপরিষদ আদেশ’ জারি করা হয় -
A
২৩ মার্চ, ১৯৭২
B
১০ এপ্রিল, ১৯৭২
C
১১ এপ্রিল, ১৯৭২
D
১৭ এপ্রিল, ১৯৭২
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশের
সংবিধানের খসড়া প্রণয়ন:
- সংবিধান রচনার প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি আবু সাইদ চৌধুরী ১৯৭২ সালের ২৩ মার্চ ‘গণপরিষদ আদেশ’ জারি করেন।
- এরপর ১০ এপ্রিল, ১৯৭২
গণপরিষদের প্রথম অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়।
- গণপরিষদে সদস্য ছিলেন ৪০৩ জন।
- মওলানা আবদুর রশীদ তর্কবাগীশের সভাপতিত্বে
গণপরিষদের প্রথম অধিবেশনে শাহ আবদুল হামিদ
স্পিকার ও মোহাম্মদ উল্লাহ
ডেপুটি স্পিকার নির্বাচিত হন। ২ মে,
১৯৭২ শাহ আবদুল হামিদ
মারা গেলে মোহাম্মদ উল্লাহ
স্পিকার নির্বাচিত হন।
- গণপরিষদ অধিবেশনের পরদিন ১১ এপ্রিল গণপরিষদে
খসড়া সংবিধান-প্রণয়ন কমিটি গঠন করা হয়।
⇒ সরকারের আইনমন্ত্রী
ড. কামাল হোসেনকে আহ্বায়ক করে ৩৪ সদস্যের
এ কমিটি গঠন করা হয়।
- সংবিধান প্রণয়নের সময় জনগণের মতামত
সংগ্রহের জন্য মতামত আহ্বান
করা হয়।
- সংগৃহীত মতামত থেকে ৯৮টি সুপারিশ
গ্রহণ করা হয়।
- গণপরিষদ ভবনে সংবিধান প্রণয়ন
কমিটির বৈঠকে সহযোগিতা করেন ব্রিটিশ আইনসভার
খসড়া আইন-প্রণেতা আই
গাথরি।
- সংবিধান লেখার পর এর বাংলা
ভাষারূপ পর্যালোচনার জন্য ড. আনিসুজ্জামানকে
আহ্বায়ক, সৈয়দ আলী আহসান এবং
মযহারুল ইসলামকে ভাষা বিশেষজ্ঞ হিসেবে
একটি কমিটি গঠন করে পর্যালোচনার
ভার দেওয়া হয়।
- ১৯৭২ সালের ১২ অক্টোবর গণপরিষদের
দ্বিতীয় অধিবেশনে তৎকালীন আইনমন্ত্রী ড. কামাল হোসেন
খসড়া সংবিধান বিল আকারে উত্থাপন
করেন।
- ১৪ ও ১৫ ডিসেম্বর
সংসদে পাস হওয়া সংবিধানের
হাতের লেখা কপির উপর
সইয়ের জন্য দিন নির্ধারণ
করা হয়।
- দুই দিনব্যাপী এ সই অনুষ্ঠানে
একে একে ৪০৩ জন
গণপরিষদ সদস্যের মধ্যে ৩৯৯ জন সই
করেন। মানবেন্দ্র নারায়ণ চাকমা (পি.ই. ২৯৯),
সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত (পি.ই. ২২১),
আজিজার রহমান (পি.ই. ২২)
ও এম ইব্রাহিম (পি.ই. ৮২) সই
দানে বিরত থাকেন।
- ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭২ (বিজয় দিবস) সংবিধান থেকে কার্যকর হয়।

0
Updated: 15 hours ago
পাকিস্তানি সেনাদের পরিকল্পিত অভিযানের অংশ ‘অপারেশন সার্চলাইট’-এ ঢাকা শহরে গণহত্যা পরিচালনার মূল দায়িত্ব কার ওপর অর্পিত হয়েছিল?
Created: 2 days ago
A
খাদিম হোসাইন রাজা
B
লেফটেন্যান্ট জেনারেল টিক্কা খান
C
আমির আবদুল্লাহ খান নিয়াজী
D
মেজর জেনারেল রাও ফরমান আলী
পাকিস্তানি
সামরিক বাহিনী ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে পরিকল্পিতভাবে অপারেশন সার্চলাইট চালায়। এই অভিযানের পরিকল্পনা করেন জেনারেল খাদিম হোসাইন রাজা, তবে ঢাকায় গণহত্যা ও সুনির্দিষ্ট অপারেশনের দায়িত্ব দেওয়া হয় মেজর জেনারেল রাও ফরমান আলীকে।
অপারেশন
সার্চলাইট:
- অপারেশন সার্চলাইট অনুযায়ী ঢাকা শহরে গণহত্যার
মূল দায়িত্ব দেওয়া হয় পাকিস্তানি বাহিনীর
মেজর জেনারেল রাও ফরমান আলীকে।
- পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রথমেই ঢাকা শহরের পিলখানার
ইপিআর হেডকোয়ার্টার্স এবং রাজারবাগ পুলিশ
লাইন্সের নিয়ন্ত্রণভার পাকিস্তানি সেনাদের গ্রহণ করার কথা ছিল।
- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়
আক্রমণ, বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার, টেলিফোন এক্সচেঞ্জ ও রেডিয়ো-টেলিভিশন
নিয়ন্ত্রণ, স্টেট ব্যাংক নিয়ন্ত্রণ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গণহত্যা,
আওয়ামী লীগ নেতাদের গ্রেফতার,
ঢাকা শহরের যাতায়াত ব্যবস্থাসহ শহর নিয়ন্ত্রণ ছিল
পাকিস্তানি সৈন্যদের প্রাথমিক দায়িত্ব।
- অপারেশন সার্চলাইটের আওতায় রাজশাহী, যশোর, খুলনা, রংপুর, সৈয়দপুর, কুমিল্লায় সেনাবাহিনী, ইপিআর, আনসার, পুলিশের বাঙালি সদস্যদের নিরস্ত্র করার কথা উল্লেখ
ছিল।
- চট্টগ্রাম বন্দর ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ
স্থাপনা দখলে রাখাও তাদের
লক্ষ্য ছিল।
- ঢাকার বাইরে এ অপারেশনের প্রধান
দায়িত্ব পান মেজর জেনারেল
খাদিম হোসেন রাজা।
- সার্বিকভাবে
এ পরিকল্পনার তত্ত্বাবধান করেন গভর্নর লে. জেনারেল টিক্কা খান।

0
Updated: 2 days ago
বাংলাদেশের ১৭তম অ্যাটর্নি জেনারেল কে?
Created: 4 days ago
A
এ এম আমিন উদ্দিন
B
মাহবুবে আলম
C
মো. আসাদুজ্জামান
D
ব্যারিস্টার রফিক-উল হক
- মো. আসাদুজ্জামান ১৭তম অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
দেশের ১৭তম অ্যাটর্নি জেনারেল:
- বাংলাদেশের ১৭তম অ্যাটর্নি জেনারেল হলেন মো. আসাদুজ্জামান।
- তিনি সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী, এবং রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাকে এই পদে নিয়োগ দিয়েছেন।
- সংবিধানের ৬৪ (১) অনুচ্ছেদের ক্ষমতা বলে তাকে পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তিনি এ এম আমিন উদ্দিনের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন।
উল্লেখ্য,
- অ্যাটর্নি জেনারেল হলেন বাংলাদেশ সরকারের প্রধান আইন পরামর্শক ও প্রধান আইন কর্মকর্তা।
- তিনি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টে সরকারের প্রধান আইনজীবী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। সাধারণত জ্যেষ্ঠ আইনজীবীদের মধ্য থেকে সরকার তাকে নিয়োগ দেয়। এ পদাধিকারবলে তিনি বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সভাপতি হন। তাকে যুগ্ম
সূত্র- অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ের ওয়েবসাইট।

0
Updated: 4 days ago
বাংলাদেশে প্রথম উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় কখন?
Created: 4 days ago
A
১৯৮৫ সালে
B
১৯৯০ সালে
C
২০০০ সালে
D
১৯৮০ সালে
উপজেলা পরিষদ নির্বাচন:
- ১৯৮৫ সালে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
- এই সময় ৪৬০টি উপজেলায় এই নির্বাচন হয়।
- ১৯৯০ সালে দ্বিতীয়বারের মতো উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
- তখন ৪৬০টি উপজেলায় এই নির্বাচন হয়।
- ২০০৯ সালে তৃতীয়বারের মতো উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
- তখন বছর ৪৭৫টি উপজেলায় এই নির্বাচন হয়।
- ২০১৪ সালে চতুর্থবারের মতো উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হয়।
- পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হয় ২০২৯ সালে।
- ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হয় ২০২৪ সালে।

0
Updated: 4 days ago