জুলাই ঘোষণাপত্রে কতটি ধারা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে?
A
১৬টি
B
২১টি
C
২২টি
D
২৮টি
উত্তরের বিবরণ
জুলাই ঘোষণাপত্র হলো ২০২৪ সালের জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের একটি গুরুত্বপূর্ণ দলিল, যার মাধ্যমে ওই গণ-অভ্যুত্থানকে রাষ্ট্রীয় ও সাংবিধানিক স্বীকৃতি প্রদানের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এটি জুলাই জাতীয় সনদের মতো রাষ্ট্রের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়নে ঐকমত্যের রাজনৈতিক দলিল হিসেবে কাজ করে।
-
উদ্বোধন: অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ৫ আগস্ট ২০২৫ তারিখে ‘৩৬ জুলাই উদ্যাপন’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে ঘোষণাপত্র পাঠ করেন।
-
ধারা: এই ঘোষণাপত্রে মোট ২৮টি ধারা অন্তর্ভুক্ত।
-
মূল বক্তব্য: ২৮ দফা ধারা অনুযায়ী, “বাংলাদেশের জনগণ এই অভিপ্রায় ব্যক্ত করছে যে, ছাত্র-গণঅভ্যুত্থান ২০২৪-এর উপযুক্ত রাষ্ট্রীয় ও সাংবিধানিক স্বীকৃতি প্রদান করা হবে, এবং পরবর্তী নির্বাচনে নির্বাচিত সরকারের সংস্কারকৃত সংবিধানের তফসিলে এই ঘোষণাপত্র সন্নিবেশিত থাকবে।”
0
Updated: 1 month ago
কৃষি পরিসংখ্যান বর্ষগ্রন্থ ২০২৪ অনুযায়ী, সর্বাধিক বনাঞ্চলসম্পন্ন জেলা -খাগড়াছড়ি
Created: 1 month ago
A
বাগেরহাট
B
খাগড়াছড়ি
C
বান্দরবান
D
রাঙ্গামাটি
বাংলাদেশের বনাঞ্চল সংক্রান্ত তথ্য:
-
মোট বনাঞ্চল: ৬৩,৬৩,০০০ একর
সর্বাধিক বনাঞ্চলসম্পন্ন জেলা:
-
রাঙ্গামাটি – ১৩,৭৮,৫৬৪.১৩ একর
-
বান্দরবান – ৭,৯৭,৫৪১.৪৯ একর
-
বাগেরহাট – ৫,৬৬,৫১২.৯৫ একর
-
খাগড়াছড়ি – ৫,৫৪,১১৬.২১ একর
-
খুলনা – ৫,৬৪,০৮১.৬১ একর
তথ্যসূত্র:
0
Updated: 1 month ago
বাংলার কোন সুলতানের শাসনকালকে 'স্বর্ণযুগ' বলা হয়?
Created: 1 month ago
A
শামসুদ্দীন ইলিয়াস শাহ
B
গিয়াসউদ্দিন আজম শাহ
C
রুকনুদ্দিন বারবক শাহ
D
আলাউদ্দিন হোসেন শাহ
আলাউদ্দিন হোসেন শাহের শাসনকালে বাংলায় শান্তি, সমৃদ্ধি এবং শিল্প-সাহিত্যের উল্লেখযোগ্য উন্নতি ঘটে, যার কারণে তার শাসনকালকে প্রায়শই বাংলার স্বর্ণযুগ বলা হয়।
আলাউদ্দিন হোসেন শাহ:
-
তিনি হোসেন শাহী বংশের প্রতিষ্ঠাতা।
-
১৪৯৩ সালে ‘আলাউদ্দিন হোসেন শাহ’ উপাধি গ্রহণ করে সিংহাসনে আরোহণ করেন।
-
তার সময়ে আরাকান ও চট্টগ্রাম দখল করা হয়।
-
নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যোগ্যতার ভিত্তি প্রাধান্য পেত।
-
বাংলাকে রাজদরবারের ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেন।
-
বাংলা সাহিত্যের পৃষ্ঠপোষকতা করেন।
-
তাকে নৃপতি তিলক, জগৎভূষণ, কৃষ্ণাবতার উপাধিতে অভিহিত করা হতো।
-
তার শাসনামলকে বাংলার স্বর্ণযুগ বলা হয়।
উল্লেখযোগ্য কাজসমূহ:
-
জনকল্যাণমূলক কাজ যেমন লঙ্গরখানা স্থাপন ও পানির কূপ খনন করেন।
-
বহু মসজিদ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং খানকাহ নির্মাণ করেন।
-
বৈষ্ণব ধর্মের প্রবর্তক শ্রীচৈতন্যদেবকে সম্মান এবং ধর্ম প্রচারে সুবিধা প্রদান করেন।
-
তার সময়ে বিজয়গুপ্ত পদ্মপুরাণ, মনসা মঙ্গল, বিপ্রদাস মনসা বিজয়, যশোরাজ খান শ্রীকৃষ্ণ বিজয় কাব্য রচিত হয়।
-
মালাধর বসু শ্রীমদ্ভাগবত বাংলা ভাষায় অনুবাদ করেন।
-
তিনি নিজেও শ্রীকৃষ্ণ বিজয় নামে একটি কাব্য রচনা করেন।
-
রাজত্বকালে গৌড়ের ‘ছোট সোনা’ মসজিদ নির্মিত হয়।
-
দীর্ঘ ২৬ বছর শাসন করার পর ১৫১৯ খ্রিস্টাব্দে মৃত্যুবরণ করেন।
সূত্র:
0
Updated: 1 month ago
ভাষা আন্দোলনে শহিদ হওয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন কে?
Created: 1 month ago
A
আবুল বরকত
B
রফিক উদ্দিন আহমদ
C
আবদুল জব্বার
D
আব্দুস সালাম
বাংলা ভাষার মর্যাদা রক্ষা ও বাঙালির জাতীয়তাবোধের উদ্ভব ঘটানোর ইতিহাসে ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। এই আন্দোলনের সময় ছাত্রদের সক্রিয় অংশগ্রহণ এবং পুলিশের নৃশংসতার কারণে বহু শহীদ প্রমাণ হয়ে ওঠে সংগ্রামের তীব্রতা।
-
১৯৫২ সালের ২৭ জানুয়ারি খাজা নাজিমুদ্দীন করাচি থেকে ঢাকায় আসেন।
-
তিনি পল্টন ময়দানে এক জনসভায় বলেন, প্রদেশের সরকারি কাজকর্মে কোন ভাষা ব্যবহৃত হবে তা প্রদেশের জনগণই ঠিক করবে, কিন্তু পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হবে কেবল উর্দু।
-
২০ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায়, আবুল হাশিমের (১৯০৫–১৯৭৪) সভাপতিত্বে কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের সভা অনুষ্ঠিত হয়।
-
২১ ফেব্রুয়ারি সকাল ১১টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজের একাংশে অবস্থিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আমতলায় ছাত্রদের সভা হয়।
-
ছাত্ররা পাঁচ-সাতজন করে ছোট ছোট দলে ‘রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই’ শ্লোগান নিয়ে রাস্তায় বের হয়।
-
পুলিশের গুলিতে শহীদ হন রফিক উদ্দিন আহমদ, আবদুল জব্বার, আবুল বরকত।
-
আবুল বরকত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানে এমএ শ্রেণীর ছাত্র।
0
Updated: 1 month ago