বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা (LDC) থেকে বেরিয়ে যাবে -
A
১৪ নভেম্বর, ২০২৬
B
২৪ নভেম্বর, ২০২৬
C
১৪ অক্টোবর, ২০২৬
D
২৪ অক্টোবর, ২০২৬
উত্তরের বিবরণ
LDC:
- LDC-এর পূর্ণরূপ: Least Developed
Countries বা স্বল্পোন্নত দেশ।
- ১৯৭১ সালের ১৮ নভেম্বর প্রথম
স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা করা হয়।
- প্রারম্ভিক তালিকায় ২৫টি দেশ অন্তর্ভুক্ত
ছিল।
- বর্তমানে ৪৪টি দেশ এলডিসি
তালিকাভুক্ত।
- মাথাপিছু কম জাতীয় আয়,
অনুন্নত মানবসম্পদসহ আর্থসামাজিক উন্নয়নে নিম্ন সূচকের দেশগুলোই এলডিসির অন্তর্ভুক্ত।
- সিডিপি তিনটি সূচক যথা মাথাপিছু
জাতীয় আয়, মানবসম্পদ সূচক
এবং অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত ভঙ্গুরতা
সূচকের ভিত্তিতে তিন বছর পরপর
স্বল্পোন্নত দেশগুলোর আর্থসামাজিক পরিস্থিতি মূল্যায়নের মাধ্যমে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের
বিষয় পর্যালোচনা করে।
উল্লেখ্য,
- বাংলাদেশ ১৯৭৫ সালে এই
তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়।
- ২০২৬ সালের ২৪ নভেম্বর থেকে বাংলাদেশ এ তালিকা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার কথা।
- এলডিসি থেকে বের হলে
বাংলাদেশের কিছু বাণিজ্য ও
অন্যান্য সুবিধা স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল হয়ে যাবে।
- LDC থেকে মুক্ত হলে বাংলাদেশ ৩টি
সুবিধা হারাবে।
- বাংলাদেশ যদি স্বল্পোন্নত দেশের
তালিকা থেকে বেরিয়ে যায়,
তাহলে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে শুল্কছাড় সুবিধা কমবে, বিদেশি ঋণের সুদের হার
বাড়বে এবং দেশি শিল্পকারখানা
তীব্র প্রতিযোগিতায় পড়ে অনেকগুলো বন্ধ
হওয়ার ঝুঁকিতে পড়বে।
- কিছু দেশ ও অঞ্চলে
বাংলাদেশের বাণিজ্যে শুল্কছাড় সুবিধা ২০২৯ সাল পর্যন্ত
থাকবে, আর ওষুধ উৎপাদনে
মেধাস্বত্বে ছাড় সুবিধা থাকবে
২০৩৩ সাল পর্যন্ত।

0
Updated: 15 hours ago
কোন দার্শনিকের মতে, "সমাজের যুক্তিসিদ্ধ ইচ্ছার অভিব্যক্তিই হচ্ছে আইন"?
Created: 2 weeks ago
A
প্লেটো
B
জন লক
C
অ্যারিস্টটল
D
টমাস হবস
-
অ্যারিস্টটল আইনকে যুক্তিনির্ভর একটি ব্যবস্থা হিসেবে ব্যাখ্যা করেছেন। তার মতে, আইন কোনো শাসকের খেয়াল-খুশির ফল নয়; বরং এটি সমাজকল্যাণমূলক যুক্তিসিদ্ধ ইচ্ছার প্রকাশ।
-
মানুষ একটি সামাজিক জীব এবং আইন মানবসমাজের প্রতিফলন।
-
সমাজে মিলেমিশে বসবাসের জন্য নিয়ম-শৃঙ্খলা মেনে চলা অপরিহার্য।
-
মানবকল্যাণের স্বার্থেই নিয়ম-কানুন প্রয়োজন, আর স্বীকৃত এই নিয়ম-কানুনই হলো আইন।
-
এরিস্টটল বলেছেন, "সমাজের যুক্তিসিদ্ধ ইচ্ছার অভিব্যক্তিই হচ্ছে আইন" (Law is the passionless reason)।
-
অধ্যাপক হল্যান্ডের মতে, আইন হলো সেই সাধারণ নিয়ম যা মানুষের আচরণ নিয়ন্ত্রণ করে এবং যা সার্বভৌম রাজনৈতিক কর্তৃপক্ষ দ্বারা প্রয়োগ করা হয়।
সূত্র: পৌরনীতি ও নাগরিকতা, নবম-দশম শ্রেণি, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 2 weeks ago
১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের সময় পূর্ব বাংলার মুখ্যমন্ত্রী কে ছিলেন?
Created: 1 week ago
A
নূরুল আমিন
B
খাজা নাজিমুদ্দীন
C
আতাউর রহমান খান
D
এ. কে. ফজলুল হক
১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি ভাষা আন্দোলনের সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় নূরুল আমিন নেতৃত্বাধীন মুসলিম লীগ সরকার ১৪৪ ধারা জারি করেছিল এবং ছাত্রদের মিছিলে গুলি চালানোর নির্দেশ দিয়েছিল।
-
ফিরোজ খান নুন ছিলেন ভাষা আন্দোলনের সময় পূর্ব বাংলার গভর্নর।
-
পাকিস্তানের গভর্নর জেনারেল ছিলেন গোলাম মোহাম্মদ।
-
প্রধানমন্ত্রী ছিলেন খাজা নাজিমউদ্দীন।
-
পূর্ব বাংলার মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন নূরুল আমিন।
-
ভাষা আন্দোলন ছিল বাঙালির মুক্তি সংগ্রামের প্রথম উল্লেখযোগ্য ঘটনা।
-
এই আন্দোলনের মধ্য দিয়ে বাঙালির জাতীয়তাবোধের উন্মেষ ঘটে।
-
ভাষা আন্দোলনের সূত্রপাত হয় ১৯৪৭ সালে এবং এটি চূড়ান্ত রূপ পায় ১৯৫২ সালে।
সূত্র:

0
Updated: 1 week ago
বাংলাদেশের সংবিধানের কত নং অনুচ্ছেদে কাস্টিং ভোট (Casting Vote) সম্পর্কে বলা হয়েছে?
Created: 1 week ago
A
৭৬নং অনুচ্ছেদ
B
৭৫নং অনুচ্ছেদ
C
৭৮নং অনুচ্ছেদ
D
৭৭নং অনুচ্ছেদ
কাস্টিং ভোট হলো সংসদে গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রক্রিয়া, যা স্পীকারকে ভোটের সমান অবস্থায় সিদ্ধান্ত গ্রহণে কার্যকর ভূমিকা পালন করার সুযোগ দেয়। এটি শুধুমাত্র নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে প্রয়োগ করা হয়।
প্রধান তথ্যগুলো হলো:
-
সংসদে কখনো কখনো কোন বিষয়ে পক্ষে ও বিপক্ষে ভোটের সংখ্যা সমান হয়ে যেতে পারে।
-
এই অবস্থায় স্পীকার তার ভোট প্রয়োগ করে সংসদের অচলাবস্থা দূর করেন।
-
অন্যভাবে বলা যায়, কোনো বিলের ভোটাভুটিতে পক্ষে ও বিপক্ষে সমান ভোট পড়লে স্পীকার সভাপতি হিসেবে ভোট ব্যবহার করেন।
-
একে নির্ণায়ক ভোট বা কাস্টিং ভোট বলা হয়।
-
স্পীকার এই ভোট অন্য কোনো ক্ষেত্রে প্রয়োগ করতে পারবেন না।
-
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান ৭৫(১) নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী:
-
“উপস্থিত ও ভোটদানকারী সদস্যদের সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে সংসদে সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে, তবে সমসংখ্যক ভোটের ক্ষেত্র ব্যতীত সভাপতি (স্পিকার) ভোটদান করবেন না এবং অনুরূপ ক্ষেত্রে তিনি নির্ণায়ক (casting) ভোট প্রদান করবেন।”
-
অন্য সংবিধানিক বিধানগুলো:
-
অনুচ্ছেদ ৭৬: সংসদের স্থায়ী কমিটিসমূহ
-
অনুচ্ছেদ ৭৭: ন্যায়পাল
-
অনুচ্ছেদ ৭৮: সংসদ ও সদস্যদের বিশেষ অধিকার ও দায়মুক্তি

0
Updated: 1 week ago