বাংলাদেশে কোন দানাদার ফসল সবচেয়ে বেশি পরিমাণে উৎপাদন হয়?
A
ধান
B
গম
C
ভুট্টা
D
যব
উত্তরের বিবরণ
দানা
জাতীয় ফসলের উৎপাদন:
⇒
কৃষি পরিসংখ্যান বর্ষগ্রন্থ ২০২৪ অনুসারে,
• দেশের ২৮৮.২০ লক্ষ
একর জমিতে মোট ৪০৬.৯৭
লক্ষ মেট্রিক টন ধান উৎপন্ন
হয়। এর মধ্যে আউশ
ধান উৎপন্ন হয় ২৯.৭৩
লক্ষ মেট্রিক টন, আমন ধান
উৎপন্ন হয় ১৬৬.৫৬
লক্ষ মেট্রিক টন, বোরো ধান
উৎপন্ন হয় ২১০.৬৮
লক্ষ মেট্রিক টন।
• দেশের ৭.৭০ লক্ষ
একর জমিতে মোট ১১.৭২
লক্ষ মেট্রিক টন গম উৎপন্ন
হয়।
• দেশের ১২.৭২ লক্ষ
একর জমিতে মোট ৪৮.৭৬
লক্ষ মেট্রিক টন ভুট্টা উৎপন্ন
হয়।
• দেশের ১১.৪৪ লক্ষ
একর জমিতে মোট ৬.৩৮
লক্ষ মেট্রিক টন সরিষা উৎপন্ন
হয়।
• দেশের ০.৩৯৮ লক্ষ
একর জমিতে মোট ০.১৯৫
লক্ষ মেট্রিক টন যব উৎপন্ন
হয়।
- অর্থাৎ, দানা জাতীয় ফসলের মধ্যে বাংলাদেশে ধানের উৎপাদন সবচেয়ে বেশি হয়।

0
Updated: 15 hours ago
বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের মধ্যে কতজন সদস্য সরাসরি জনগণের ভোটে নির্বাচিত হন?
Created: 1 week ago
A
২৫০ জন
B
৩০০ জন
C
৩৫০ জন
D
৩৩০ জন
বাংলাদেশের আইনসভা (জাতীয় সংসদ)
-
আইনসভা: বাংলাদেশের তিনটি সরকারের বিভাগের মধ্যে অন্যতম।
-
রূপ: এককক্ষবিশিষ্ট।
-
মোট সদস্য সংখ্যা: ৩৫০
-
৩০০ জন সদস্য নাগরিকদের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত
-
৫০ আসন মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত
-
-
নির্বাচনী ব্যবস্থা:
-
দেশকে ৩০০টি নির্বাচনী এলাকায় ভাগ করা।
-
প্রতিটি এলাকা থেকে একজন সংসদ-সদস্য নির্বাচিত।
-
সংরক্ষিত মহিলা আসনের সদস্যরা সাধারণ আসনে নির্বাচিত সদস্যদের ভোটে নির্বাচিত হন।
-
মহিলা সদস্যরা চাইলে সরাসরি সাধারণ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন।
-
-
সংসদীয় নেতৃত্ব:
-
একজন স্পিকার ও একজন ডেপুটি স্পিকার থাকেন, যাদের নির্বাচন সংসদ সদস্যদের ভোটে হয়।
-
প্রধানমন্ত্রী সাধারণত সংসদের নেতা।
-
দ্বিতীয় বৃহত্তম দলের প্রধান বিরোধী দলের নেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
-
-
কার্যকাল: পাঁচ বছর।
-
সংসদ অধিবেশন:
-
একটি অধিবেশন শেষ হওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে নতুন অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়।
-
কমপক্ষে ৬০ জন সদস্য উপস্থিত থাকলে কোরাম পূর্ণ হয়।
-
-
সংসদ ভাঙার ক্ষমতা: প্রয়োজনে রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শে সংসদ ভাঙতে পারেন।

0
Updated: 1 week ago
রবার্ট ক্লাইভ কত সালে দ্বৈতশাসন ব্যবস্থা প্রবর্তন করেন?
Created: 6 days ago
A
১৭৬২ সালে
B
১৭৬৩ সালে
C
১৭৬৫ সালে
D
১৭৬৭ সালে
দ্বৈতশাসন ব্যবস্থা ১৭৬৫ সালে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির গভর্নর রবার্ট ক্লাইভ প্রবর্তন করেন। এই ব্যবস্থায় রাজস্ব প্রশাসন এবং দেশের রক্ষার দায়িত্ব কোম্পানির হাতে থাকলেও, প্রশাসন ও বিচার বিভাগের দায়িত্ব নবাবের ওপর অর্পিত ছিল। দায়িত্ব বিভাজনের ফলে বাংলার জনজীবনে অরাজকতা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। অবাধ লুণ্ঠন এবং যথেচ্ছভাবে রাজস্ব আদায়ের কারণে গ্রাম্যজীবন ধ্বংসের দিকে ধাবিত হয়, এবং নবাবের হাতে পর্যাপ্ত অর্থ না থাকার কারণে প্রশাসন পরিচালনায় ব্যর্থ হন।
-
দ্বৈতশাসনে রাজস্ব প্রশাসন ও দেশ রক্ষার দায়িত্ব কোম্পানির হাতে এবং প্রশাসন ও বিচার নবাবের হাতে ছিল।
-
দায়িত্বহীনতার কারণে বাংলার জনজীবনে অরাজকতা দেখা দেয়।
-
অবাধ লুণ্ঠন ও অত্যাচারের কারণে গ্রাম্যজীবন ধ্বংস হয়।
-
নবাবের হাতে পর্যাপ্ত অর্থ না থাকার ফলে প্রশাসন পরিচালনায় ব্যর্থতা।
-
সারাদেশে বিশৃঙ্খলা ও অনিয়ম শুরু হয়।
-
এই পরিস্থিতিতে ১৭৭২ সালে ওয়ারেন হেস্টিংস দ্বৈতশাসন ব্যবস্থা রহিত করেন।
উৎস:

0
Updated: 6 days ago
জাতিপুঞ্জের উদ্যোক্তা হয়েও সদস্য ছিল না -
Created: 1 week ago
A
যুক্তরাষ্ট্র
B
ফ্রান্স
C
জাপান
D
জার্মানি
লীগ অব নেশনস প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরে বিশ্বে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে।
-
গঠিত: ১৯২০ সালের ১০ জানুয়ারি, প্যারিস শান্তি সম্মেলনে
-
প্রধান উদ্যোক্তা: মার্কিন প্রেসিডেন্ট উড্রো উইলসন
-
সদর দপ্তর: জেনেভা, সুইজারল্যান্ড
-
সদস্য রাষ্ট্র সংখ্যা: ৬৩টি
-
উদ্দেশ্য:
-
সদস্য রাষ্ট্রের রাজনৈতিক সীমানা অক্ষুণ্ণ রাখা
-
একে অপরকে আক্রমণ করতে নিরুৎসাহিত করা
-
কোনো সদস্য রাষ্ট্রকে আক্রমণ করলে সমবেতভাবে সহায়তা করা
-
সংখ্যালঘু সমস্যা ও ম্যান্ডেট বিষয়ে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান
-
যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা ও অবস্থান:
-
যুক্তরাষ্ট্র লীগ অব নেশনসের প্রধান উদ্যোক্তা, তবে কখনো সদস্য হয়নি
-
১৯১৯ সালে ভার্সাই চুক্তি স্বাক্ষরের পর যুক্তরাষ্ট্রের সিনেট এটি প্রত্যাখ্যান করে
-
প্রধান কারণ: যুক্তরাষ্ট্রের নীতি ছিল বাইরের রাষ্ট্রগুলোর বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করা, যা আন্তর্জাতিক সংস্থার অংশ হওয়ার সাথে সাংঘর্ষিক ছিল
-
পরবর্তীতে, ১৯৪৫ সালে জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠার সময় যুক্তরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হিসেবে যোগ দেয়
অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
-
ফ্রান্স, জাপান, জার্মানি লীগ অব নেশনসের সদস্য ছিল
-
লীগ অব নেশনস বিলুপ্ত হয় ২০ এপ্রিল, ১৯৪৬ (জাতিসংঘের ওয়েবসাইট অনুসারে, ব্রিটানিকার মতে ১৯ এপ্রিল)

0
Updated: 1 week ago