বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূস কত সালে স্বাধীনতা পদক লাভ করেন?
A
১৯৮৬ সালে
B
১৯৮৭ সালে
C
১৯৯৫ সালে
D
১৯৯৬ সালে
উত্তরের বিবরণ
ড.
মুহাম্মদ ইউনূস:
- বাংলাদেশের বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
- তিনি ১৯৮৭ সালে স্বাধীনতা পদক লাভ করেন।
⇒
ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশি নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ব্যাংকার ও অর্থনীতিবিদ। তিনি চট্টগ্রাম
বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের একজন শিক্ষক ছিলেন।
- তিনি ক্ষুদ্রঋণ নামক অর্থনৈতিক ব্যবস্থার
জনক হিসেবে সমাদৃত।
- তিনি গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা।
- তিনি এবং তার প্রতিষ্ঠিত
গ্রামীণ ব্যাংক যৌথভাবে ২০০৬ সালে নোবেল
শান্তি পুরস্কার লাভ করেন।
- এছাড়াও র্যামন ম্যাগসেসে এওয়ার্ড ও বিশ্ব খাদ্য
পুরস্কারসহ আরও অনেক জাতীয়
ও আন্তর্জাতিক পুরস্কার লাভ করেছেন।
উল্লেখ্য,
- মুহাম্মদ ইউনূস ১৯৯৬ সালে সাবেক
প্রধান বিচারপতি মুহাম্মদ হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে গঠিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের
উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়,
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়
এবং পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের
দায়িত্বে ছিলেন।
⇒ ইংরেজি
ভাষায় লেখা ‘ব্যাংকার টু দ্যা পুওর’
(Banker to the Poor) ড.
মুহাম্মদ ইউনূসের আত্মজীবনী।
- তাঁর আরও কিছু বই:
দারিদ্র্যমুক্ত বিশ্বের জন্য, গ্রামীণ ব্যাংক ও আমার জীবন,
বাংলাদেশ ২০১০, যোগ্য প্রার্থী আন্দোলন, ক্রিয়েটিং অ্যা ওয়ার্ল্ড উইদাউট
পোভার্টি, সামাজিক ব্যবসা, এ ওয়ার্ল্ড অব
থ্রি জিরোস, বালক পরিব্রাজকের দিনলিপি
প্রভৃতি।
⇒ ড.
মুহাম্মদ ইউনূস বিশ্বজুড়ে আলোচিত তার তিন শূন্য
বা থ্রি জিরো তত্ত্বের
জন্য। সেগুলো হচ্ছে দারিদ্র্য, বেকারত্ব ও কার্বন নিঃসরণ
শূন্যে নামিয়ে আনা। তা অর্জনে প্রয়োজন
তারুণ্য, প্রযুক্তি, সুশাসন ও সামাজিক ব্যবসা।

0
Updated: 16 hours ago
প্রথম স্বীকৃতিপ্রাপ্ত বাংলাদেশের জিআই পণ্য কোনটি?
Created: 2 weeks ago
A
ইলিশ
B
মসলিন
C
জামদানি শাড়ি
D
বাগদা চিংড়ি
জিআই (Geographical Indication) পণ্য
-
সংজ্ঞা:
-
জিআই বা ভৌগলিক নির্দেশক হলো এমন একটি স্বীকৃতি, যা কোনো নির্দিষ্ট ভূখণ্ডের মাটি, পানি, আবহাওয়া ও ঐ অঞ্চলের জনগোষ্ঠীর সংস্কৃতির প্রভাবিত পণ্যকে প্রদান করা হয়।
-
অর্থাৎ, সেই পণ্য শুধুমাত্র সেই নির্দিষ্ট এলাকা থেকে উৎপাদনযোগ্য।
-
-
স্বীকৃতি প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান:
-
WIPO (World Intellectual Property Organization) জিআই পণ্যের স্বীকৃতি প্রদান করে।
-
-
আইনি ভিত্তি:
-
বাংলাদেশে ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য (নিবন্ধন ও সুরক্ষা) আইন পাস হয় ২০১৩ সালে।
-
-
দেশের প্রথম স্বীকৃত জিআই পণ্য:
-
জামদানি শাড়ি
-
২০১৬ সালে জামদানি দেশের প্রথম জিআই হিসেবে নিবন্ধিত হয়।
-
উৎস:
i) পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর ওয়েবসাইট
ii) প্রথম আলো

0
Updated: 2 weeks ago
সমুদ্রগুপ্তের রাজত্বকালে সমতট কোন ধরনের রাজ্য ছিল?
Created: 6 days ago
A
করদ
B
পরাধীন
C
বিচ্ছিন্ন
D
পূর্ণাঙ্গ
সমুদ্রগুপ্তের রাজত্বকালে সমতট একটি করদ রাজ্য হিসেবে বিদ্যমান ছিল। করদ রাজ্য বলতে সাধারণত সেই সামন্ত রাজ্যকে বোঝানো হয়, যা অন্য কোনো রাজ্যের সঙ্গে যুদ্ধে পরাজিত হলে জয়ী রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায়। পরাজিত রাজা সামন্ত রাজা হিসেবে জয়ী রাজার অধীনে ক্ষমতায় থাকে, এবং সাধারণত এক চুক্তির মাধ্যমে তার শাসনধারা বজায় থাকে।
-
করদ রাজ্য: ইতিহাসে করদ রাজ্য বলতে সামন্ত রাজ্য বোঝানো হয়। যুদ্ধে হেরে যাওয়া রাজাকে জয়ী রাজার সঙ্গে চুক্তির মাধ্যমে ক্ষমতায় রাখা হত। পরাজিত রাজাকে সামন্ত রাজা বলা হত।
-
সমুদ্রগুপ্ত: গুপ্ত বংশের শ্রেষ্ঠ সম্রাট, যিনি চন্দ্রগুপ্তের মৃত্যুর পর পাটালিপুত্রের সিংহাসনে আরোহণ করেন। তাঁকে প্রাচীন ভারতের নেপোলিয়ান বলা হয়। সমুদ্রগুপ্তের রাজত্বকালে সমগ্র বাংলা জয় করা হলেও সমতট করদ রাজ্য হিসেবে রয়ে যায়। এলাহাবাদ প্রশস্তিলিপি অনুযায়ী, তিনি সমতট ব্যতীত বাংলার অন্যান্য জনপদকে সাম্রাজ্যভুক্ত করেন। তাঁর বিস্তীর্ণ সাম্রাজ্যের পূর্বতন রাজ্য ছিল নেপাল, কর্তৃপুর (পরিচয় বিতর্কিত), কামরূপ, ডবাক (আসাম বা ঢাকা), এবং সমতট। কালক্রমে সমতটও গুপ্ত সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হয়।
-
সমতট: দক্ষিণ-পূর্ব বাংলার প্রাচীন জনপদ। বর্তমান ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের কিছু অংশ, এবং বাংলাদেশের বৃহত্তর কুমিল্লা ও নোয়াখালী অঞ্চল সমতট নামে পরিচিত ছিল।
-
সমতটের অবস্থান ছিল মেঘনা পূর্ববর্তী কুমিল্লা-নোয়াখালীর সমতল অঞ্চলে, এবং ত্রিপুরাকে এর প্রধান কেন্দ্র বলা হতো।
-
৭ম শতকে রাজা রাজভট্টের অন্যতম রাজধানী ছিল বড়োকামতা।
উৎস:

0
Updated: 6 days ago
জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২-এর চূড়ান্ত রিপোর্ট অনুযায়ী, কোন বিভাগে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী জনসংখ্যা সবচেয়ে কম? [আগস্ট, ২০২৫]
Created: 2 weeks ago
A
চট্টগ্রাম
B
বরিশাল
C
রংপুর
D
সিলেট
জনশুমারি ও গৃহগণনা, ২০২২
-
ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী জনসংখ্যা: ১৬,৫০,৪৭৮ জন।
-
ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীভুক্ত জনসংখ্যা সবচেয়ে বেশি চট্টগ্রাম বিভাগে বাস করে (৬০.০৪%)।
-
উপজাতির সংখ্যা সবচেয়ে কম বরিশাল বিভাগে (০.২৫%)।
-
বাংলাদেশে বসবাসকারী ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠীর মধ্যে চাকমা জনগোষ্ঠীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।
ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জনসংখ্যা:
-
চাকমা: ৪,৮৩,৩৬৫
-
মারমা: ২,২৪,২৯৯
-
ত্রিপুরা: ১,৫৬,৬২০
-
সাঁওতাল: ১,২৯,০৫৬
-
ওরাওঁ: ৮৫,৮৫৮
-
গারো: ৭৬,৮৫৪

0
Updated: 2 weeks ago