ভাষা শহিদদের মধ্যে কে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন?
A
আবুল বরকত
B
আব্দুস সালাম
C
রফিক উদ্দিন
D
আব্দুল জব্বার
উত্তরের বিবরণ
আবুল
বরকত:
- ভাষা আন্দোলনের একজন শহিদ আবুল
বরকত।
- আবুল বরকত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ছাত্র ছিলেন।
⇒ ভাষা
শহিদ আবুল বরকত ১৯২৭
সালের ১৩ জুন অবিভক্ত
বাংলার মুর্শিদাবাদ জেলায় গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ভারত বিভাগের পর
১৯৪৮ সালে সপরিবার ঢাকায়
চলে আসেন। তিনি ১৯৫১ সালে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ থেকে দ্বিতীয় শ্রেণিতে
চতুর্থ হয়ে স্নাতক সম্পন্ন
করেন। পরে একই বিভাগে
স্নাতকোত্তর শ্রেণীতে ভর্তি হন।
- বাংলাকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতির দাবিতে সংগঠিত আন্দোলনে ১৯৫২ সালের ২১শে
ফেব্রুয়ারি পুলিশের গুলিতে আহত হয়ে ঢাকা
মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন
অবস্থায় তিনি শাহাদাত বরণ
করেন।
অন্যদিকে,
- আবদুস সালাম ডাইরেক্টর অব কমার্স অ্যান্ড
ইন্ডাস্ট্রি অফিসে রেকর্ড কিপার পদে চাকরি করতেন।
- রফিক উদ্দীন আহমদ মানিকগঞ্জ জেলার
দেবেন্দ্রনাথ কলেজের বাণিজ্য বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।
- আবদুল জব্বার সাধারণ গ্রামীণ কর্মজীবী মানুষ ছিলেন।

0
Updated: 16 hours ago
ষষ্ঠ জনশুমারিতে কোন পদ্ধতি অনুসরণ করে তথ্য সংগ্রহ করা হয়?
Created: 1 week ago
A
ICPI
B
PICI
C
CAPI
D
CIPI
ষষ্ঠ জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ বাংলাদেশের জনসংখ্যা ও সামাজিক তথ্যাবলির একটি গুরুত্বপূর্ণ চিত্র প্রদান করে। এটি দেশের জনসংখ্যার পরিমাণ, ঘনত্ব এবং শিক্ষার অবস্থা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দিয়েছে।
প্রধান তথ্যগুলো হলো:
-
নির্বাচিত সময়কাল: ১৫-২১ জুন ২০২২।
-
মোট জনসংখ্যা: ১৬,৯৮,২৮,৯১১ জন।
-
সাক্ষরতার হার: ৭৪.৮০%।
-
তথ্য সংগ্রহ পদ্ধতি: CAPI পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়, গণনার জন্য Modified De-fecto পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয়।
-
জনবহুল এলাকা: ঢাকা বিভাগ।
-
সবচেয়ে কম জনসংখ্যা: বরিশাল বিভাগ।
-
জেলা পর্যায়ে সর্বনিম্ন জনঘনত্ব: রাঙ্গামাটি জেলা।

0
Updated: 1 week ago
বাংলাদেশের সংবিধানের মোট অনুচ্ছেদ সংখ্যা কত?
Created: 1 week ago
A
১০৩টি
B
১৩৩টি
C
১৪৩টি
D
১৫৩টি
বাংলাদেশের সংবিধান সংক্ষেপে:
-
গৃহীত: ১৯৭২ সালের ৪ নভেম্বর গণপরিষদে।
-
কার্যকর: ১৯৭২ সালের ১৬ ডিসেম্বর, বিজয় দিবস থেকে।
-
গঠন: সংবিধানে ১১টি ভাগ এবং মোট ১৫৩টি অনুচ্ছেদ রয়েছে।
-
পরিবর্তন: ৫০ বছরে সংবিধান ১৭ বার সংশোধিত হয়েছে (২০২৫ সালের আগস্ট পর্যন্ত)।
-
প্রথম সংশোধনী: ১৯৭৩ সালের ১৫ জুলাই পাস হয়, মূল উদ্দেশ্য যুদ্ধাপরাধের বিচার নিশ্চিত করা।

0
Updated: 1 week ago
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির প্রধান মূলনীতির অন্তর্ভুক্ত নয় কোনটি?
Created: 15 hours ago
A
সামরিক শক্তি বৃদ্ধি করা
B
সকলের প্রতি বন্ধুত্ব, কারও প্রতি বিদ্বেষ নয়
C
অন্য রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্বর প্রতি সম্মান প্রদর্শন
D
অন্য রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ না করা
সামরিক
শক্তি বৃদ্ধি করা বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির প্রধান মূলনীতির অন্তর্ভুক্ত নয়।
পররাষ্ট্রনীতি:
- পররাষ্ট্রনীতি হলো কোনো সার্বভৌম
রাষ্ট্রের গৃহীত সেসব নীতি যা
রাষ্ট্র তার রাষ্ট্রীয় স্বার্থ
সংরক্ষণের জন্য অন্যান্য রাষ্ট্রের
সাথে যোগাযোগ রক্ষার ক্ষেত্রে সম্পাদন করে থাকে। অন্য
রাষ্ট্রের মতো বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতিও
আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে রাষ্ট্রের আর্থ-সামাজিক ও
রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতাকে তুলে ধরে।
- বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি মূলত বহিঃশক্তির প্রভাব
থেকে দেশের সাবভৌমত্ব ও ভূখন্ডকে রক্ষা
করার মতো বিষয়েই সীমাবদ্ধ
থেকে গেছে।
⇒ বাংলাদেশের
পররাষ্ট্রনীতির মূলনীতিসমূহ পররাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ কিছু মূলনীতি অনুসরণ
করে থাকে।
- বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির প্রধান চারটি মূলনীতি হলো:
১. সকলের প্রতি বন্ধুত্ব, কারও প্রতি বিদ্বেষ নয়:
- যেহেতু বাংলাদেশ তার অর্থনৈতিক উন্নয়নের
জন্য বৈদেশিক সাহায্যের উপর নির্ভরশীল, সেহেতু
বাংলাদেশ বৃহৎ শক্তিগুলোর মধ্যে
কোন একটির পক্ষাবলম্বন করে অন্যটির বিরাগভাজন
হতে চায় না। এর
চেয়েও বড় কথা হল
যে, এক রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের
মাধ্যমে অপ্রকাশের পর বাংলাদেশ চায়
না যে, সে কোন
বৃহৎ শক্তির খুঁটি হিসেবে ব্যবহৃত হবে।
২. অন্য রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব, রাষ্ট্রীয় স্বাধীনতা ও ভৌগোলিক অখন্ডতার প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করা:
- এ মূলনীতিটি জাতিসংঘ সনদের ২(৪) ধারার
সাথে সম্পূর্ণ সামঞ্জস্যপূর্ণ।
৩. অন্য রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ না করা:
- এ মূলনীতিটিও জাতিসংঘ সনদের ২(৭) ধারার
উপর প্রতিষ্ঠিত। প্রকৃতপক্ষে ২ ও ৩
নম্বর মুলনীতি দুটি রাষ্ট্রীয় আচরণের
ক্ষেত্রে পারস্পরিক সমঝোতার ভিত্তিতে গড়ে ওঠা আদর্শের
বুনিয়াদের উপর প্রতিষ্ঠিত।
৪. বিশ্ব শান্তি:
- প্রথমত: বাংলাদেশ শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানে বিশ্বাস করে; দ্বিতীয়ত: বাংলাদেশ
যে কোন বিবাদ শান্তিপূর্ণ
উপায়ে মীমাংসার পক্ষপাতি; এবং তৃতীয়ত: বাংলাদেশ
চায় যে, যে কোন
আন্তর্জাতিক পরিস্থিতির পরিবর্তন শান্তিপূর্ণ উপায়ে হবে। এই প্রসঙ্গে
এ কথাও সবসময় মনে
রাখতে হবে যে, বাংলাদেশ
কখনও বিশ্বের কোন রাষ্ট্রের শান্তি
ও নিরাপত্তার প্রতি হুমকি প্রদর্শন না করার ব্যাপারে
বদ্ধপরিকর।
⇒ বাংলাদেশের
পররাষ্ট্র নীতির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য:
১. আত্বরক্ষা,
২. অর্থনৈতিক অগ্রগতি,
৩. অন্য রাষ্ট্রের তুলনায়
নিজের জাতীয় শক্তিকে রক্ষা ও প্রয়োজনবোধে বৃদ্ধি
করা,
৪. নিজস্ব মতবাদে দৃঢ় থাকা, ও
৫. জাতীয় মর্যাদা বৃদ্ধি করা।

0
Updated: 15 hours ago