বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক কবে কার্যক্রম শুরু করে?
A
১৬ ডিসেম্বর, ১৯৭১
B
২৬ ডিসেম্বর, ১৯৭১
C
৩১ অক্টোবর, ১৯৭২
D
১৬ ডিসেম্বর, ১৯৭২
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশ ব্যাংক হলো বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক, যা দেশের মুদ্রা ব্যবস্থাপনা, আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রণ ও ব্যাংকের ব্যাংক হিসেবে কার্যকর। এটি মুদ্রানীতি ও ব্যাংকিং বিষয়ে সরকারের পরামর্শদাতা এবং সরকারের ব্যাংক বা কোষাগার হিসেবেও দায়িত্ব পালন করে।
-
প্রতিষ্ঠা: বাংলাদেশ ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংক অর্ডার, ১৯৭২ (রাষ্ট্রপতির আদেশ নং ১২৭/১৯৭২) অনুযায়ী প্রতিষ্ঠিত হলেও কার্যক্রমের শুরুর তারিখ ধরা হয় ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১, অর্থাৎ বিজয় দিবস থেকে।
-
বাণিজ্যিক ব্যাংক পুনর্বিন্যাস: ১৯৭২ সালের রাষ্ট্রপতির ২৬ নম্বর অধ্যাদেশ অনুযায়ী দেশে কার্যরত বারোটি বাণিজ্যিক ব্যাংককে জাতীয়করণ ও পুনর্বিন্যাসের মাধ্যমে ছয়টি বাণিজ্যিক ব্যাংকে রূপান্তর করা হয়।
-
বিদেশি ব্যাংক: জাতীয়করণের আওতামুক্ত রাখা হয়।
-
বিশেষায়িত ব্যাংক: পাকিস্তান কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক ও শিল্প উন্নয়ন ব্যাংককে যথাক্রমে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক এবং বাংলাদেশ শিল্প ব্যাংক নামে নামকরণ করা হয়।
উল্লেখযোগ্য তথ্য:
-
১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর স্বাধীনতা অর্জনের পর দীর্ঘ নয় মাসের মুক্তিযুদ্ধের পর বাংলাদেশ বিশ্ব মানচিত্রে একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ হিসেবে আবির্ভূত হয়।
-
সেই দিন থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের কার্যক্রম শুরু হয়।
0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমি (বার্ড) -এর প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক কে ছিলেন?
Created: 1 month ago
A
ড. আব্দুল হামিদ খান
B
ড. আখতার হামিদ খান
C
ড. আখতার হামিদ
D
ড. আখতার সিদ্দিক খান
বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমি (বার্ড)
-
প্রতিষ্ঠা: ১৯৫৯ সালের ২৭ মে
-
অধীন: স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ
-
প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক: ড. আখতার হামিদ খান
-
মূল কার্যক্রম:
-
পল্লী উন্নয়নের ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণ, গবেষণা ও প্রয়োগমূলক উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনা
-
উদ্ভাবিত ‘কুমিল্লা মডেল’ এর মাধ্যমে দেশে ও বিদেশে সুনাম অর্জন
-
-
প্রাপ্তি ও সম্মাননা:
-
১৯৮৬: স্বাধীনতা পদক
-
২০১৩: জাতীয় পল্লী উন্নয়ন পদক
-
২০২২: আজিজ-উল-হক রুরাল ডেভেলপমেন্ট অ্যাওয়ার্ড
-
0
Updated: 1 month ago
বাংলা একাডেমি পুরস্কার প্রবর্তন করা হয় কত সালে?
Created: 1 month ago
A
১৯৭৫ সালে
B
১৯৬০ সালে
C
১৯৫৫ সালে
D
১৯৮০ সালে
বাংলা একাডেমি পুরস্কার ১৯৬০ সালে প্রবর্তিত হয় এবং এটি বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে বিশেষ অবদানের জন্য প্রদত্ত সম্মাননা। পুরস্কারটি সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় বিশিষ্ট ব্যক্তি ও গবেষকদের উৎসাহিত করার জন্য প্রদত্ত হয়।
-
কবিতা: মাসুদ খান
-
নাটক ও নাট্যসাহিত্য: শুভাশিস সিনহা
-
প্রবন্ধ/গদ্য: সলিমুল্লাহ খান
-
বিজ্ঞান: রেজাউর রহমান
-
অনুবাদ: জি এইচ হাবিব
-
গবেষণা: মুহম্মদ শামজাহান মিয়া
-
ফোকলোর: সৈয়দ জামিল আহমেদ
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
মারমাদের সবচেয়ে বড় উৎসবের নাম -
Created: 1 month ago
A
রাশ
B
বিজু
C
বাইশু
D
সাংগ্রাই
মারমা জনগোষ্ঠীর সবচেয়ে বড় উৎসব হলো সাংগ্রাই, যা মূলত তাদের বর্ষবরণ উৎসব। এটি শুধু একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান নয়, বরং তাদের সামাজিক ঐতিহ্য ও পারস্পরিক সম্প্রীতির গুরুত্বপূর্ণ প্রকাশ।
মারমা ও সাংগ্রাই উৎসব সম্পর্কিত প্রধান তথ্যগুলো হলো:
-
মারমা জনগোষ্ঠী বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম আদিবাসী সম্প্রদায়।
-
তাদের বসবাসের মূল এলাকা হলো রাঙ্গামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি — এই তিন পার্বত্য জেলা।
-
তারা মঙ্গোলয়েড বর্ণগোষ্ঠীর অন্তর্গত এবং তাদের নিজস্ব ভাষা রয়েছে, যা ভোট বর্মী শাখার বর্মী দলভুক্ত।
-
মারমা সম্প্রদায়ের মধ্যে তিন স্তরের প্রথাগত প্রশাসনিক ব্যবস্থা বিদ্যমান:
-
গ্রাম পর্যায়ের প্রধানের পদবী কারবারি,
-
মৌজা পর্যায়ের প্রধান হেডম্যান,
-
সার্কেলের প্রধান রাজা।
-
-
মারমাদের বর্ষবরণ উৎসবের নাম সাংগ্রাই, যা এসেছে ‘সাক্রাই’ শব্দ থেকে, যার অর্থ ‘সংক্রান্তি’।
-
সাধারণত বছরের শেষ দুই দিন এবং নতুন বছরের প্রথম দিন এ উৎসব পালিত হয়।
-
সাংগ্রাইয়ের মূল আকর্ষণ হলো ‘পানিখেলা’ বা জলোৎসব, যেখানে নৌকা বা বড় পাত্রে পানি রেখে অংশগ্রহণকারীরা একে অপরকে পানি ছিটিয়ে আনন্দ করে।
পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর মধ্যে বর্ষবরণ উৎসবের আলাদা আলাদা নাম থাকলেও, এই তিন বড় নৃগোষ্ঠীর উৎসবকে একত্রে বৈসাবি বলা হয়।
-
ত্রিপুরাদের বর্ষবরণ উৎসব: বৈসুখ/বৈসু/বাইশু
-
মারমাদের বর্ষবরণ উৎসব: সাংগ্রাই
-
চাকমাদের বর্ষবরণ উৎসব: বিজু
এই তিনটি উৎসব একত্রে বৈসাবি নামে পরিচিত। সাধারণত বছরের শেষ দুই দিন ও নতুন বছরের প্রথম দিন বান্দরবান, রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়ি জেলায় উৎসবটি পালিত হয়।
অন্যদিকে, মণিপুরিদের প্রধান উৎসব হলো রাস, যা শরতের পূর্ণিমায় অনুষ্ঠিত হয়।
0
Updated: 1 month ago