'জগদ্দল মহাবিহার' কোথায় অবস্থিত?
A
নাটোর
B
কুমিল্লা
C
বগুড়া
D
নওগাঁ
উত্তরের বিবরণ
জগদ্দল মহাবিহার:
- জগদ্দল মহাবিহার বাংলাদেশের নওগাঁ জেলার ধামুরহাট উপজেলায় অবস্থিত।
⇒ পাল রাজাদের নির্মিত প্রতিষ্ঠানের মধ্যে মগধের বিশালায়তন বিক্রমশীলা মহাবিহার, বিক্রমপুরের বিক্রমপুরী বিহার এবং বরেন্দ্র অঞ্চলের সোমপুর মহাবিহার ও জগদ্দল মহাবিহার বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
- জগদ্দল মহাবিহার নির্মাণ করেন সম্ভবত রামপাল (১০৭৭-১১২০)। মদনপালের রাজত্বকালে রচিত সন্ধ্যাকরনন্দীর রামচরিতম গ্রন্থ অনুসারে এ বিহারের অবস্থান বরেন্দ্রীতে। বিভূতি চন্দ্র, দানশীল, মোক্ষকর গুপ্ত ও শুভকর গুপ্তের ন্যায় তিববতের কয়েকজন বিখ্যাত বৌদ্ধ পন্ডিত এ বিহারের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
- শুভকর গুপ্ত ও অভয়কর গুপ্ত বিক্রমশীলা মহাবিহারের অন্যান্য পন্ডিতসহ ওই
বিহারের ধ্বংসের পর জগদ্দল মহাবিহারে আশ্রয় নিয়েছিলেন বলে মনে করা হয়। এখানে তাঁরা বৌদ্ধধর্ম বিষয়ক বহু সংস্কৃত গ্রন্থ রচনা
উৎস: i) প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর ওয়েবসাইট। ii) বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 16 hours ago
স্বত্ববিলোপ নীতি প্রয়োগ করে লর্ড ডালহৌসি কোন রাজ্যটি অধিকার করেন?
Created: 5 days ago
A
অযোধ্যা
B
পাঞ্জাব
C
হায়দ্রাবাদ
D
নাগপুর
স্বত্ববিলোপ নীতি ছিল একটি সাম্রাজ্যবাদী নীতি, যার মূল কথা হলো: ব্রিটিশ শাসনাধীন কোনো আশ্রিত রাজ্যের রাজা যদি অপুত্রক অবস্থায় মারা যান এবং তার রাজবংশে কোনো উত্তরাধিকার না থাকে, তাহলে সেই রাজ্য সরাসরি ব্রিটিশ সাম্রাজ্যভুক্ত হবে। এই নীতির মাধ্যমে সাঁতারা, নাগপুর, ঝাঁসি ও সম্বলপুর রাজ্য ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হয়।
-
লর্ড ডালহৌসি সর্বপ্রথম সাঁতারা রাজ্যের উপর এই নীতি প্রয়োগ করেন। সাঁতারার রাজা ইংরেজদের অনুমতি ছাড়াই দত্তক পুত্র গ্রহণ করেছিলেন। ১৮৪৮ সালে রাজা মারা গেলে ডালহৌসি দত্তক পুত্রের দাবি অগ্রাহ্য করে সাঁতারা রাজ্য ব্রিটিশ সাম্রাজ্যভুক্ত করেন।
-
সম্বলপুর রাজ্যও অপুত্রক অবস্থায় মৃত্যুর পর ১৮৫০ খ্রিস্টাব্দে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যভুক্ত হয়।
-
১৮৫৩ খ্রিস্টাব্দে ভোঁসলে বংশের শেষ রাজা অপুত্রক অবস্থায় মারা গেলে, নাগপুর ব্রিটিশ সাম্রাজ্যভুক্ত হয়। এটি ইংরেজদের জন্য কলকাতা থেকে বোম্বাই (মুম্বাই) যাতায়াতের পথ সরল করতে সহায়ক হয়।
-
একই বছরের মধ্যে ঝাঁসির রাজা মৃত্যুর পর দত্তক পুত্রের দাবি অস্বীকার করে ডালহৌসি ঝাঁসীকেও ব্রিটিশ সাম্রাজ্যভুক্ত করেন।
-
এভাবে শতদ্রু নদীর নিকট ভগৎ রাজ্য, মধ্যপ্রদেশে উদয়পুর, রাজস্থানে করৌলি প্রভৃতি রাজ্যও ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হয়।
উৎস:

0
Updated: 5 days ago
WTO-এর সর্বোচ্চ সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী শাখা কোনটি?
Created: 1 week ago
A
Dispute Settlement Body
B
Ministerial Conference
C
Trade Policy Review Body
D
General Council
WTO Ministerial Conference (মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলন)
-
সংজ্ঞা: WTO-এর সর্বোচ্চ সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী সংস্থা
-
গঠন: সকল সদস্য দেশ দ্বারা গঠিত
-
কার্যাবলী:
-
WTO-এর কার্যকরী বিভাগ হিসেবে কাজ করা
-
General Council-এর অধিবেশনের অন্তর্বর্তী সময়ে কার্য পরিচালনা
-
-
আয়োজনের ফ্রিকোয়েন্সি: প্রতি দুই বছর
-
সর্বশেষ মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলন: ২০২৪, আবুধাবি, সংযুক্ত আরব আমিরাত (MC13)
-
পরবর্তী সম্মেলন: ১৪তম মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলন (MC14), ২৬–২৯ মার্চ, ২০২৬, ইয়াউন্দে, ক্যামেরুন
WTO-এর প্রধান কাজ:
-
উরুগুয়ে রাউন্ড চুক্তির প্রয়োগ ও বাস্তবায়ন
-
বহুপাক্ষিক বাণিজ্য আলোচনার ফোরাম হিসেবে কাজ করা
-
বাণিজ্য সংক্রান্ত বিরোধ নিষ্পত্তি
-
সদস্য দেশগুলোর জাতীয় বাণিজ্য নীতিমালা পর্যবেক্ষণ
-
উন্নয়নশীল দেশসমূহকে কারিগরি সহযোগিতা ও প্রশিক্ষণ প্রদান

0
Updated: 1 week ago
বাংলাদেশের সংবিধান অনুসারে, কোন বিলকে অর্থবিল বলা হয় না?
Created: 4 days ago
A
কর আরোপ সংক্রান্ত বিল
B
সরকারের ঋণ গ্রহণ সংক্রান্ত বিল
C
স্থানীয় সরকারের ফি সংক্রান্ত বিল
D
সংযুক্ত তহবিল থেকে অর্থ বরাদ্দ সংক্রান্ত বিল
- স্থানীয় কর, ফি বা উসুল সংক্রান্ত বিষয় অর্থবিলের আওতাভুক্ত নয়।
৮১। অর্থবিল:
(১) এই অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, “অর্থবিল” বলতে সেই সব বিলকে বোঝায়, যেগুলোর মধ্যে কর আরোপ, রদবদল বা মওকুফ, সরকারি ঋণ গ্রহণ বা গ্যারান্টি দেওয়া, সংযুক্ত তহবিল থেকে অর্থ ব্যয় বা বরাদ্দ, তহবিলের হিসাব-নিকাশ ও সরকারের আর্থিক দায়দায়িত্বের বিষয় থাকে। এ ছাড়া এসব বিষয়ের সঙ্গে সম্পর্কিত যেকোনো বিষয় থাকলেও সেটি অর্থবিল হিসেবে গণ্য হবে।
(২) কোনো জরিমানা, ফি, উসুল বা স্থানীয় সরকারের কর সংক্রান্ত বিষয় থাকলেই কোনো বিলকে অর্থবিল বলা যাবে না।
(৩) অর্থবিল রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের জন্য পাঠানোর সময় স্পীকারকে অবশ্যই একটি সনদ দিতে হবে যে, এটি একটি অর্থবিল। এই
সূত্র: বাংলাদেশের সংবিধান।

0
Updated: 4 days ago