বাংলাদেশের কোন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সম্প্রদায় মাতৃতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থা অনুসরণ করে?
A
ত্রিপুরা
B
সাঁওতাল
C
খাসিয়া
D
রাখাইন
উত্তরের বিবরণ
মাতৃতান্ত্রিক
পরিবার ব্যবস্থা:
- মাতৃতান্ত্রিক সমাজ হচ্ছে সেসব
পরিবার বা জনগোষ্ঠী, যাদের
পরিবারের দায়িত্ব থাকে একজন নারীর
ওপর এবং বংশের ধারাও
নির্ধারিত হয় নারীর দিক
থেকে।
- মায়ের পরিবার থেকেই উত্তরাধিকার ও বংশ-পদবি
নির্ধারিত হয়।
- বাংলাদেশের
ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সম্প্রদায় খাসিয়া ও গারো মাতৃতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থা অনুসরণ করে।
অন্যদিকে,
- ত্রিপুরাদের পিতৃতান্ত্রিক পরিবার ব্যবস্থায় পিতাই পরিবারের প্রধান।
- সাঁওতালদের মধ্যে পিতৃতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রচলিত। পিতাই পরিবারের প্রধান।
- মণিপুরিদের মধ্যে পিতৃতান্ত্রিক এবং পিতৃসূত্রীয় পরিবার
ব্যবস্থা প্রচলিত।
- রাখাইনদের পরিবারব্যবস্থা পিতৃতান্ত্রিক।

0
Updated: 16 hours ago
১৯৭৩ সাল থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত বাংলাদেশের সংবিধান মোট কতবার সংশোধন হয়েছে? [আগস্ট - ২০২৫]
Created: 1 week ago
A
১৬ বার
B
১৮ বার
C
১৫ বার
D
১৭ বার
বাংলাদেশের সংবিধান স্বাধীনতার পর রাষ্ট্র পরিচালনার মূল দলিল হিসেবে প্রণীত হয়। এটি সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দেশের রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক বাস্তবতার আলোকে একাধিকবার সংশোধিত হয়েছে। সংবিধানের প্রথম সংশোধনী হয় ১৯৭৩ সালে এবং সর্বমোট ১৭ বার সংশোধন সম্পন্ন হয়েছে।
-
১৯৭৩ সালের ১৫ জুলাই জাতীয় সংসদে সংবিধানের প্রথম সংশোধনী পাশ হয়।
-
সংবিধান গৃহীত হয় ১৯৭২ সালের ৪ নভেম্বর গণপরিষদে।
-
এটি কার্যকর হয় ১৬ ডিসেম্বর, ১৯৭২ সালে।
-
সংবিধান এ পর্যন্ত ১৭ বার সংশোধিত হয়েছে।
-
এই ১৭টি সংশোধনীর মধ্যে—
-
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সময়ে ৪ বার
-
জিয়াউর রহমানের সময়ে ২ বার
-
এরশাদের সময়ে ৪ বার
-
শেখ হাসিনার সরকারের সময়ে ৩ বার
-
খালেদা জিয়ার সরকারের সময়ে ৪ বার
-

0
Updated: 1 week ago
বাংলাদেশের সংবিধানের কোন অনুচ্ছেদে সংবিধান সংশোধনের বিধান রয়েছে?
Created: 1 week ago
A
১৪১নং অনুচ্ছেদে
B
১৪৪নং অনুচ্ছেদে
C
১৪২নং অনুচ্ছেদে
D
১৪৩নং অনুচ্ছেদে
বাংলাদেশের সংবিধানের ১৪২ নং অনুচ্ছেদে সংবিধানের বিধান সংশোধনের ক্ষমতা নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে যে সংসদ বিশেষ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সংবিধানের যেকোনো বিধান সংশোধন, সংযোজন, পরিবর্তন, প্রতিস্থাপন বা রহিত করতে পারে। তবে এই সংশোধনী প্রক্রিয়ায় কিছু নির্দিষ্ট শর্ত কঠোরভাবে মানতে হয়।
তথ্যগুলো হলো:
-
সংশোধনী বিলের শিরোনামে স্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকতে হবে যে এটি সংবিধানের কোনো নির্দিষ্ট বিধান সংশোধনের উদ্দেশ্যে আনা হয়েছে। অন্যথায় তা বিবেচনার জন্য গ্রহণযোগ্য হবে না।
-
সংসদের মোট সদস্যসংখ্যার অন্তত দুই-তৃতীয়াংশ ভোটে বিলটি পাস হতে হবে। এর আগে রাষ্ট্রপতির নিকট সম্মতির জন্য বিল উপস্থাপন করা যাবে না।
-
সংসদ কর্তৃক উল্লিখিত সংখ্যাগরিষ্ঠতার মাধ্যমে গৃহীত হওয়ার পর বিলটি রাষ্ট্রপতির নিকট পাঠানো হলে, তিনি সাত দিনের মধ্যে সম্মতি দিতে বাধ্য থাকবেন। তিনি যদি তা না-ও দেন, তবে মেয়াদ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ধরে নেওয়া হবে যে রাষ্ট্রপতি সম্মতি দিয়েছেন।
অন্য অনুচ্ছেদে সম্পর্কিত আরও কিছু বিষয় উল্লেখ আছে:
-
১৪১ নং অনুচ্ছেদে জরুরি অবস্থা সংক্রান্ত বিধানাবলী রয়েছে।
-
১৪৩ নং অনুচ্ছেদে প্রজাতন্ত্রের সম্পত্তি বিষয়ক বিধান উল্লেখ আছে।
-
১৪৪ নং অনুচ্ছেদে সম্পত্তি ও কারবার সম্পর্কিত নির্বাহী কর্তৃত্বের বিষয় বলা হয়েছে।

0
Updated: 1 week ago
বাংলাদেশের সংবিধানের কত নং অনুচ্ছেদে কাস্টিং ভোট (Casting Vote) সম্পর্কে বলা হয়েছে?
Created: 1 week ago
A
৭৬নং অনুচ্ছেদ
B
৭৫নং অনুচ্ছেদ
C
৭৮নং অনুচ্ছেদ
D
৭৭নং অনুচ্ছেদ
কাস্টিং ভোট হলো সংসদে গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রক্রিয়া, যা স্পীকারকে ভোটের সমান অবস্থায় সিদ্ধান্ত গ্রহণে কার্যকর ভূমিকা পালন করার সুযোগ দেয়। এটি শুধুমাত্র নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে প্রয়োগ করা হয়।
প্রধান তথ্যগুলো হলো:
-
সংসদে কখনো কখনো কোন বিষয়ে পক্ষে ও বিপক্ষে ভোটের সংখ্যা সমান হয়ে যেতে পারে।
-
এই অবস্থায় স্পীকার তার ভোট প্রয়োগ করে সংসদের অচলাবস্থা দূর করেন।
-
অন্যভাবে বলা যায়, কোনো বিলের ভোটাভুটিতে পক্ষে ও বিপক্ষে সমান ভোট পড়লে স্পীকার সভাপতি হিসেবে ভোট ব্যবহার করেন।
-
একে নির্ণায়ক ভোট বা কাস্টিং ভোট বলা হয়।
-
স্পীকার এই ভোট অন্য কোনো ক্ষেত্রে প্রয়োগ করতে পারবেন না।
-
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান ৭৫(১) নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী:
-
“উপস্থিত ও ভোটদানকারী সদস্যদের সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে সংসদে সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে, তবে সমসংখ্যক ভোটের ক্ষেত্র ব্যতীত সভাপতি (স্পিকার) ভোটদান করবেন না এবং অনুরূপ ক্ষেত্রে তিনি নির্ণায়ক (casting) ভোট প্রদান করবেন।”
-
অন্য সংবিধানিক বিধানগুলো:
-
অনুচ্ছেদ ৭৬: সংসদের স্থায়ী কমিটিসমূহ
-
অনুচ্ছেদ ৭৭: ন্যায়পাল
-
অনুচ্ছেদ ৭৮: সংসদ ও সদস্যদের বিশেষ অধিকার ও দায়মুক্তি

0
Updated: 1 week ago