এমবেডেড সিস্টেমে সাধারণত কোন অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করা হয়?
A
DOS 6.0
B
Linux (RTOS)
C
macOS
D
Windows 11
উত্তরের বিবরণ
এম্বেডেড সিস্টেমে সাধারণত Linux (Embedded/RTOS) ব্যবহার করা হয়। এমবেডেড সিস্টেম হলো একটি নির্দিষ্ট কাজের জন্য ডিজাইন করা কম্পিউটার সিস্টেম, যা স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিয়ন্ত্রণ, নজরদারি বা ডেটা প্রক্রিয়াকরণ করে। এই ধরনের সিস্টেমে সম্পূর্ণ ডেস্কটপ অপারেটিং সিস্টেম যেমন Windows 11 বা macOS ব্যবহার করা অকার্যকর এবং ভারী হয়ে যায়। DOS 6.0 অনেক পুরনো এবং সীমিত ফিচারের কারণে আধুনিক এমবেডেড ডিভাইসে কার্যকর নয়। অন্যদিকে, Linux ভিত্তিক এমবেডেড বা রিয়েল-টাইম অপারেটিং সিস্টেম (RTOS) হালকা, স্থিতিশীল এবং বিভিন্ন হার্ডওয়্যার প্ল্যাটফর্মে অভিযোজিত করা যায়। এছাড়াও, RTOS নির্ভুল সময়ে কাজ সম্পাদনের সুবিধা দেয়, যা সেন্সর বা নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়ায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সুতরাং, এমবেডেড সিস্টেমে Linux বা RTOS সর্বাধিক ব্যবহৃত হয়।
এম্বেডেড কম্পিউটার:
-
এমবেডেড কম্পিউটার হলো একটি বিশেষায়িত কম্পিউটার সিস্টেম, যা একটি নির্দিষ্ট কাজ বা প্রক্রিয়ার জন্য তৈরি।
-
এটি সাধারণ কম্পিউটার বা ল্যাপটপের মতো বহুমুখী নয়, বরং নির্দিষ্ট কার্য সম্পাদনে দক্ষ এবং হালকা।
-
এমবেডেড কম্পিউটার বিভিন্ন ডিভাইস যেমন স্মার্টফোন, রোবট, হোম অটোমেশন, মেডিকেল ডিভাইস ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল কন্ট্রোল সিস্টেমে ব্যবহৃত হয়।
-
এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে ডেটা প্রক্রিয়াকরণ, সেন্সর নিয়ন্ত্রণ এবং সিস্টেম ম্যানেজমেন্ট করতে সক্ষম।
চাওয়াতে আমি চাইলে এম্বেডেড সিস্টেমে Linux/RTOS ব্যবহারের প্রধান সুবিধা ও উদাহরণও সংযোজন করতে পারি।
0
Updated: 1 month ago
ডাটাবেজ ট্রানজ্যাকশনের ACID বৈশিষ্ট্যে "D" দ্বারা কী বোঝানো হয়?
Created: 1 month ago
A
Durability
B
Data Integrity
C
Data Validation
D
Dynamic Processing
ডাটাবেজ ট্রানজ্যাকশনের ACID বৈশিষ্ট্যের মধ্যে "D" Durability বোঝায়। Durability নিশ্চিত করে যে একটি ট্রানজ্যাকশন সফলভাবে সম্পন্ন হওয়ার পর তার ফলাফল স্থায়ীভাবে সংরক্ষিত থাকে, এমনকি সিস্টেম ফেইলিয়ার বা ক্র্যাশের পরেও ডেটা হারায় না।
ACID বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে মূল তথ্য:
-
A – Atomicity (অ্যাটমিসিটি): ট্রানজ্যাকশন সম্পূর্ণভাবে সম্পন্ন হয় বা একেবারেই হয় না; আংশিক সম্পন্ন হলে তা রোলব্যাক হয়।
-
C – Consistency (কনসিসটেন্সি): ট্রানজ্যাকশন ডাটাবেসকে একটি বৈধ অবস্থান থেকে অন্য বৈধ অবস্থায় নিয়ে যায়।
-
I – Isolation (আইসোলেশন): একাধিক ট্রানজ্যাকশন একই সময়ে চললেও প্রতিটি আলাদাভাবে কার্যকর হয় এবং একে অপরের উপর প্রভাব ফেলে না।
-
D – Durability (ডুরাবিলিটি): সফল ট্রানজ্যাকশনের ফলাফল স্থায়ী থাকে এবং সিস্টেম ক্র্যাশ হলেও সংরক্ষিত থাকে।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
C++ কে সঠিকভাবে উপস্থাপন করে এমন অপশন কোনটি?
Created: 1 month ago
A
অবজেক্ট ওরিয়েন্টেড প্রোগ্রামিং ভাষা
B
মার্কআপ ভাষা
C
ফাংশনাল প্রোগ্রামিং ভাষা
D
প্রোসিডিউরাল প্রোগ্রামিং ভাষা
C++ হলো একটি অবজেক্ট ওরিয়েন্টেড প্রোগ্রামিং (OOP) ভাষা, যা C ভাষার উপর ভিত্তি করে তৈরি। এই ভাষার মূল বৈশিষ্ট্য হলো অবজেক্ট, যার মাধ্যমে ডেটা এবং ফাংশন একত্রে সংগঠিত করা যায়। C++-এ ইনক্যাপসুলেশন, ইনহেরিটেন্স, পলিমরফিজম ইত্যাদি OOP ধারণাগুলো ব্যবহার করে সফটওয়্যারকে আরও মডুলার, পুনঃব্যবহারযোগ্য এবং পরিচালনাযোগ্য করা যায়। যদিও C++ প্রোসিডিউরাল প্রোগ্রামিংও সমর্থন করে, তবে এর শক্তিশালী OOP ফিচারের কারণে এটি প্রধানত অবজেক্ট ওরিয়েন্টেড ভাষা হিসেবে ধরা হয়। তাই অপশনগুলোর মধ্যে ‘অবজেক্ট ওরিয়েন্টেড প্রোগ্রামিং ভাষা’ সঠিক উত্তর।
সি++ সম্পর্কে তথ্য:
-
সি++ হলো এক ধরনের অবজেক্ট ওরিয়েন্টেড প্রোগ্রামিং ভাষা।
-
এটি ১৯৮০ সালে বিয়ার্নে স্ট্রোট্রুপ (Bjarne Stroustrup) যুক্তরাষ্ট্রের AT&T Bell Laboratories-এ ডেভেলপ করেন।
-
মূলত C ভাষার উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছিল, যাতে প্রোসিডিউরাল প্রোগ্রামিংয়ের সুবিধা বজায় রেখে OOP ধারণা যোগ করা যায়।
-
C++ সফটওয়্যার উন্নয়ন, গেম ডেভেলপমেন্ট, সিস্টেম প্রোগ্রামিং এবং বিভিন্ন কমপ্লেক্স অ্যাপ্লিকেশনে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়।
0
Updated: 1 month ago
হাইব্রিড কম্পিউটার কী?
Created: 1 month ago
A
ট্যাবলেট এবং স্মার্টফোনের সংমিশ্রণ
B
ল্যাপটপ ও ডেস্কটপের সংমিশ্রণ
C
দুটি ডিজিটাল কম্পিউটারের সংমিশ্রণ
D
অ্যানালগ এবং ডিজিটাল কম্পিউটারের সংমিশ্রণ
হাইব্রিড কম্পিউটার হলো এমন একটি কম্পিউটার সিস্টেম যা অ্যানালগ এবং ডিজিটাল উভয় ধরনের কম্পিউটারের বৈশিষ্ট্য একত্রিত করে। এটি অ্যানালগ ডেটা যেমন তাপমাত্রা, চাপ বা স্পিড প্রথমে প্রক্রিয়াকরণ করতে পারে এবং তারপর সেই ডেটাকে ডিজিটাল ফরম্যাটে রূপান্তর করে বিশ্লেষণ ও সংরক্ষণ করতে সক্ষম। হাইব্রিড কম্পিউটার সাধারণত উচ্চ নির্ভুলতা এবং দ্রুত প্রক্রিয়াকরণের জন্য ব্যবহৃত হয়, যেমন চিকিৎসা ক্ষেত্রে ইসিজি, বৈজ্ঞানিক গবেষণা, ইঞ্জিনিয়ারিং সিমুলেশন এবং ইলেকট্রিক শক্তি মনিটরিং। এটি শুধুমাত্র অ্যানালগ বা ডিজিটাল নয়, বরং উভয়ের মিলিত ক্ষমতা ব্যবহার করে কার্যকর সমাধান প্রদান করে। তাই সঠিক উত্তর হলো— অ্যানালগ এবং ডিজিটাল কম্পিউটারের সংমিশ্রণ।
হাইব্রিড কম্পিউটারের বৈশিষ্ট্য ও ব্যবহার:
-
অ্যানালগ কম্পিউটার (যেমন সিগন্যাল প্রসেসিং, অবিচ্ছিন্ন ডেটা প্রক্রিয়াকরণ) এবং ডিজিটাল কম্পিউটার (যেমন লজিক্যাল অপারেশন, ডেটা স্টোরেজ)-এর ক্ষমতা একত্রিত করে।
-
বিশেষভাবে বৈজ্ঞানিক গবেষণা, ইঞ্জিনিয়ারিং সিমুলেশন এবং রিয়েল-টাইম কন্ট্রোল সিস্টেমে ব্যবহৃত হয়।
-
সাধারণত উপাত্ত অ্যানালগ প্রক্রিয়ায় সংগৃহীত হয় এবং ডিজিটাল অংশে রূপান্তরিত করে প্রেরণ করা হয়।
-
ডিজিটাল অংশ প্রাপ্ত উপাত্ত প্রক্রিয়াকরণের পর ফলাফল প্রদান করে।
-
অত্যন্ত ব্যয়বহুল হওয়ায় শুধুমাত্র বিশেষ ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়, যেমন মিসাইল, সমরাস্ত্র, নভোযান, বৈজ্ঞানিক গবেষণা, পরমাণুর গঠন নির্ণয়, রাসায়নিক দ্রব্যের মান নির্ণয়, ঔষধ পরীক্ষাগার ইত্যাদি।
-
হাসপাতালের ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে, রোগীর তাপমাত্রা, রক্তচাপ এবং হৃত্যন্ত্রের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago