জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ মহাকাশের কোন স্থানে অবস্থান করছে?
A
পৃথিবীর নিম্ন কক্ষপথে
B
চাঁদের কক্ষপথে
C
ল্যাগ্রেঞ্জ পয়েন্টে
D
মঙ্গল গ্রহের কক্ষপথ থেকে ১৫ মিলিয়ন কিলোমিটার দূরে
উত্তরের বিবরণ
জেমস
ওয়েব টেলিস্কোপ পৃথিবী থেকে প্রায় ১.৫ মিলিয়ন কিমি দূরে ল্যাগ্রেঞ্জ পয়েন্ট ২ (L2) তে অবস্থান করছে। এখানে পৃথিবী ও সূর্যের মহাকর্ষীয় টান এমনভাবে ভারসাম্য তৈরি করে যে স্যাটেলাইট স্থিতিশীলভাবে ঘুরতে পারে।
জেমস
ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ:
- বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী স্পেস টেলিস্কোপ জেমস ওয়েব স্পেস
টেলিস্কোপ।
- এটি মার্কিন মহাকাশ সংস্থা NASA, কানাডীয় মহাকাশ সংস্থা ও ইউরোপীয় মহাকাশ
সংস্থার যৌথ প্রচেষ্টায় নির্মিত
একটি মহাকাশ দূরবীক্ষণ যন্ত্র।
- এটিকে হাবল স্পেস টেলিস্কোপ-এর উত্তরসূরী হিসেবে
নির্মাণ করা হয়েছে।
- জেমস ওয়েব টেলিস্কোপের আয়না
৬.৫ মিটার ব্যাসের
(২১.৩ ফুট), যা
হাবলের আয়নার তুলনায় প্রায় সাত গুণ বড়।
আয়না বড় হওয়ার ফলে
এটি অনেক বেশি আলো
সংগ্রহ করতে সক্ষম, যা
দূরবর্তী গ্যালাক্সি ও মহাবিশ্বের প্রাচীনতম
ঘটনাবলি পর্যবেক্ষণে সহায়তা করে।
- টেলিস্কোপটি
পৃথিবীকে কেন্দ্র করে সরাসরি ঘোরে না, বরং সূর্যকে কেন্দ্র করে একটি বিশেষ কক্ষপথে চলে—লিসাজু (Lissajous) প্যাটার্নে দ্বিতীয় ল্যাগ্রাঞ্জ পয়েন্টে (L2)। এটি পৃথিবী থেকে প্রায় ১৫ লাখ কিলোমিটার (৯.৩ লক্ষ মাইল) দূরে, পৃথিবীর রাতের দিকের অংশে অবস্থিত।
- ওয়েবের মূল লক্ষ্য হলো
ছায়াপথের জন্ম ও বিবর্তন
এবং নক্ষত্র ও গ্রহসমূহের সৃষ্টি
সংক্রান্ত গবেষণা।
উল্লেখ্য,
- সবচেয়ে পুরনো ব্ল্যাকহোলের সন্ধান পেয়েছে জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ।
- সূর্যের চেয়ে ষোলো লক্ষগুণ ভারী এই ব্ল্যাকহোলের বয়স প্রায় মহাবিশ্বের বয়সের কাছাকাছি, যেখানে মহাবিশ্বের বয়স ১৩৮০ কোটি বছর।
- এই ব্ল্যাকহোলটি নক্ষত্র-অর্থাৎ তারাদের জন্মের বিষয়ে আরো নিখুঁত তথ্য দেবে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।
- এই গবেষণায় বিজ্ঞানীরা জেমস ওয়েব টেলিস্কোপের দুটি ইনফ্রারেড ক্যামেরা ব্যবহার করেছেন।
- মিড-ইনফ্রারেড যন্ত্র (MIRI) এবং নিয়ার ইনফ্রারেড ক্যামেরা।

0
Updated: 17 hours ago
হৃদপিন্ডের প্রকোষ্ঠের সংখ্যা কত?
Created: 1 day ago
A
2
B
3
C
4
D
5
• মানুষের
হৃদপিন্ডে ৪টি প্রকোষ্ঠ (chambers) থাকে, যা রক্ত প্রবাহের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
• হৃদপিন্ড:
- মানুষের হৃদপিণ্ড একটি পেশিবহুল অঙ্গ
যা রক্ত সংবহনতন্ত্রের মাধ্যমে
সারা শরীরে রক্ত পাম্প করে।
- এটি চারটি প্রকোষ্ঠ বা চেম্বার নিয়ে
গঠিত: দুটি অলিন্দ (atria) এবং
দুটি নিলয় (ventricles)।
- উপরের দুটি ছোট প্রকোষ্ঠকে
অলিন্দ (ডান অলিন্দ ও
বাম অলিন্দ) বলা হয়, যা
সারা শরীর থেকে রক্ত
গ্রহণ করে।
- নিচের দুটি বড় ও
পুরু প্রকোষ্ঠকে নিলয় (ডান নিলয় ও
বাম নিলয়) বলা হয়, যা
রক্ত পাম্প করে শরীরের বিভিন্ন
অংশে পাঠায়।
- অলিন্দ এবং নিলয়ের মাঝে
কপাটিকা (valve) থাকে যা রক্তকে
একমুখী প্রবাহে সাহায্য করে।
- ডান অলিন্দ কার্বন ডাই অক্সাইড যুক্ত
রক্ত গ্রহণ করে এবং ডান
নিলয় থেকে তা ফুসফুসে
পাম্প করে। বাম অলিন্দ
ফুসফুস থেকে অক্সিজেন সমৃদ্ধ
রক্ত গ্রহণ করে এবং বাম
নিলয় থেকে তা শরীরের
অন্যান্য অংশে পাঠায়।
- হৃদপিণ্ডের প্রকোষ্ঠের প্রসারণকে বলে- ডায়াস্টোল এবং
সংকোচনকে বলে- সিস্টোল।
- প্রবাহমান রক্ত রক্তনালীর গায়ে
যে পার্শ্বচাপ দেয় তাকে রক্তচাপ
বলে।
• রক্তচাপ
২ প্রকার। যথা:
১. সিস্টোলিক রক্তচাপ (১১০-১৪০ মি.মি. পারদ)
২. ডায়াস্টোলিক রক্তচাপ (৬০-৯০ মি.মি. পারদ)
- একজন পূর্ণবয়স্ক সুস্থ ব্যক্তির সিস্টোলিক চাপ ১২০ মি.মি. পারদ এবং
ডায়াস্টোলিক চাপ ৮০ মি.মি. পারদ। একে
১২০/৮০ রূপে প্রকাশ
করা হয়।
- মানবদেহের রক্তচাপ (Blood Pressure) নির্ণায়ক যন্ত্রের নাম-স্ফিগমোম্যানোমিটার।
উল্লেখ্য-
- মাছের হৃদপিণ্ডের প্রকোষ্ঠের সংখ্যা ২টি।
- উভচর প্রাণী এবং সরীসৃপদের (কুমির
ব্যতীত) হৃদপিণ্ডের প্রকোষ্ঠের সংখ্যা ৩টি।

0
Updated: 1 day ago
তীব্র তড়িৎ বিশ্লেষ্যের একটি উদাহরণ নয় কোনটি?
Created: 5 days ago
A
ইথানয়িক এসিড
B
সালফিউরিক এসিড
C
সোডিয়াম ক্লোরাইড
D
কপার সালফেট
তড়িৎ বিশ্লেষ্য হলো এমন পদার্থ যা কঠিন অবস্থায় বিদ্যুৎ পরিবাহিতা প্রদর্শন করে না, কিন্তু গলিত বা জলে দ্রবীভূত অবস্থায় বিদ্যুৎ পরিবাহিতা প্রদর্শন করে এবং এর সাথে সাথে রাসায়নিক পরিবর্তন ঘটে। এ ধরনের পদার্থ আয়নে বিভক্ত থাকে এবং ঐ আয়নের মাধ্যমেই বিদ্যুৎ পরিবাহিতা ঘটে।
-
তড়িৎ বিশ্লেষ্য সাধারণত আয়নিক যৌগ অথবা কিছু পোলার সমযোজী যৌগ, যা গলিত বা দ্রবীভূত অবস্থায় আয়নিত হয়ে বিদ্যুৎ পরিবাহিতা করে।
-
উদাহরণ: সোডিয়াম ক্লোরাইড (NaCl), কপার সালফেট (CuSO₄), সালফিউরিক এসিড (H₂SO₄), ইথানয়িক এসিড (CH₃COOH)।
তড়িৎ বিশ্লেষ্য দুই প্রকার।
১। তীব্র তড়িৎ বিশ্লেষ্য
-
দ্রবণে বা গলিত অবস্থায় সম্পূর্ণরূপে আয়নিত হয়।
-
এগুলো বিদ্যুৎ পরিবহণে খুবই কার্যকর।
-
উদাহরণ: সোডিয়াম ক্লোরাইড (NaCl), কপার সালফেট (CuSO₄), সালফিউরিক এসিড (H₂SO₄)।
২। মৃদু তড়িৎ বিশ্লেষ্য
-
দ্রবণে খুব অল্প পরিমাণে আয়নিত হয়।
-
এরা বিদ্যুৎ পরিবাহিতা করে, তবে তীব্র তড়িৎ বিশ্লেষ্যের তুলনায় অনেক দুর্বল।
-
উদাহরণ: অ্যামোনিয়াম হাইড্রোক্সাইড (NH₄OH), ইথানয়িক এসিড (CH₃COOH)।
অতিরিক্ত তথ্য: তড়িৎ বিশ্লেষ্য পদার্থ বিদ্যুৎ প্রবাহের মাধ্যমে তড়িৎ বিশ্লেষণ (Electrolysis) প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন মৌল বা যৌগে ভেঙে যায়। যেমন, সোডিয়াম ক্লোরাইড দ্রবণের তড়িৎ বিশ্লেষণে সোডিয়াম ও ক্লোরিন গ্যাস পাওয়া যায়।

0
Updated: 5 days ago
ইউরেনিয়ামে নিউট্রন দ্বারা আঘাত করলে কোন শক্তির রূপান্তর ঘটে?
Created: 5 days ago
A
শব্দ শক্তি → যান্ত্রিক শক্তি
B
তাপ শক্তি → চৌম্বক শক্তি
C
যান্ত্রিক শক্তি → পারমাণবিক শক্তি
D
রাসায়নিক শক্তি → তাপ শক্তি
প্রকৃতিতে নানা প্রকার শক্তি বিদ্যমান এবং এ শক্তিগুলো একে অপরের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত। এক ধরনের শক্তি অন্য শক্তিতে রূপান্তরিত হতে পারে, একেই শক্তির রূপান্তর বলা হয়। নিচে শক্তির রূপান্তরের কয়েকটি উদাহরণ দেওয়া হলো।
-
বিদ্যুৎ শক্তি থেকে তাপ ও আলোক শক্তি: বৈদ্যুতিক বাল্বের ভেতর দিয়ে বিদ্যুৎ প্রবাহিত হলে ফিলামেন্টে বাঁধাপ্রাপ্ত হয়ে তা উত্তপ্ত হয় এবং আলো নির্গত করে। এখানে বিদ্যুৎ শক্তি → তাপ শক্তি → আলোক শক্তি।
-
বিদ্যুৎ শক্তি থেকে যান্ত্রিক শক্তি: বৈদ্যুতিক পাখা চলার ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ শক্তি যান্ত্রিক শক্তিতে রূপান্তরিত হয়।
-
রাসায়নিক শক্তি থেকে তাপ শক্তি: কয়লা বা জ্বালানি পোড়ালে তাপ উৎপন্ন হয়। এটি রাসায়নিক শক্তির তাপ শক্তিতে রূপান্তরের উদাহরণ।
-
বিদ্যুৎ শক্তি থেকে শব্দ শক্তি: বৈদ্যুতিক ঘণ্টা বাজলে বিদ্যুৎ শক্তি শব্দ শক্তিতে রূপান্তরিত হয়।
-
বিদ্যুৎ শক্তি থেকে চুম্বক শক্তি: লোহার উপর তামার তার পেঁচিয়ে তাতে বিদ্যুৎ প্রবাহিত করলে লোহাটি চুম্বকে পরিণত হয়।
-
তাপ শক্তি থেকে বিদ্যুৎ শক্তি: কয়লা বা জ্বালানি পুড়িয়ে তাপ উৎপন্ন করে পানি বাষ্পে পরিণত করা হয়। এ বাষ্প টারবাইন ঘুরিয়ে ডায়নামো চালায় এবং বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয়।
-
আলোক শক্তি থেকে রাসায়নিক শক্তি: ফটোগ্রাফিক ফিল্মে আলো পড়লে রাসায়নিক ক্রিয়ার মাধ্যমে চিত্র তৈরি হয়।
-
যান্ত্রিক শক্তি থেকে পারমাণবিক শক্তি: ইউরেনিয়ামের নিউক্লিয়াস নিউট্রন দিয়ে আঘাত করলে তা ভেঙে বিপুল পরিমাণ পারমাণবিক শক্তি উৎপন্ন করে।
অতিরিক্ত তথ্য: দৈনন্দিন জীবনে শক্তির রূপান্তর খুবই সাধারণ ঘটনা। যেমন, খাবারের রাসায়নিক শক্তি আমাদের শরীরে যান্ত্রিক ও তাপ শক্তিতে রূপান্তরিত হয়, আবার সৌরশক্তি উদ্ভিদের মধ্যে সালোকসংশ্লেষ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে রাসায়নিক শক্তিতে রূপ নেয়।

0
Updated: 5 days ago