বংশগতির বাহক জিনের রাসায়নিক কী দিয়ে তৈরি?
A
অ্যামিনো অ্যাসিড
B
কার্বোহাইড্রেট
C
ডিএনএ
D
ফ্যাটি অ্যাসিড
উত্তরের বিবরণ
জিন
আসলে
DNA-এর একটি অংশ। DNA হলো নিউক্লিক অ্যাসিড, যা জীবের বংশগত বৈশিষ্ট্য বহন করে। এর ভেতরে চারটি নাইট্রোজেন বেস (A, T, G, C) নির্দিষ্ট ক্রমে সাজানো থাকে, যা জিনগত তথ্য নির্ধারণ করে।
• মানব
দেহে দুই ধরনের নিউক্লিক
এসিড থাকে- DNA এবং RNA।
- DNA এর পূর্ণরূপ হল Deoxyribonucleic acid এবং RNA এর পূর্ণরূপ হল
Ribonucleic acid।
- জিনের রাসায়নিক গঠন উপাদান হলো DNA।
- এটি একটি নিউক্লিক এসিড
যা জীবদেহের গঠন ও ক্রিয়াকলাপ
নিয়ন্ত্রণের জিনগত নির্দেশ ধারণ করে।
- ডিএনএ হলো দ্বিসূত্রকবিশিষ্ট পলিনিউক্লিয়োটাইডের সর্পিলাকার গঠন।
- ডিএনএ অণুর আকৃতি অনেকটা
প্যাঁচানো সিঁড়ির ন্যায়।
- ১৯৫৩ সালে জেমস ওয়াটসন
ও ফ্রান্সিস ক্রিক বিজ্ঞানীদ্বয় ডিএনএ অণুর গঠন আবিষ্কার
করেন।

0
Updated: 17 hours ago
কোন গ্রিনহাউজ গ্যাস সবচেয়ে বেশি উষ্ণায়ন ঘটায়?
Created: 17 hours ago
A
কার্বন ডাই-অক্সাইড
B
মিথেন
C
নাইট্রাস অক্সাইড
D
ফ্লুরোকার্বন
গ্রিনহাউজ
গ্যাসগুলো পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে তাপ আটকে রাখে এবং বৈশ্বিক উষ্ণায়ন (Global Warming) ঘটায়। তবে সব গ্যাস সমানভাবে প্রভাব ফেলে না।
- বায়ুমণ্ডলে
সবচেয়ে বেশি পরিমাণে বিদ্যমান গ্রিনহাউজ গ্যাস। শিল্পকারখানা, জ্বালানি (কয়লা, তেল, গ্যাস) পোড়ানো এবং বন উজাড়ের ফলে এর পরিমাণ বাড়ছে। বৈশ্বিক উষ্ণায়নের প্রধান চালিকা শক্তি।
গ্রীন হাউজ গ্যাস:
- যে সব গ্যাস ভূপৃষ্ঠের বিকিরিত IR রশ্মিকে শোষণ করে তাপমাত্রা বৃদ্ধি করে, তাদেরকে গ্রীন হাউজ গ্যাস বলে।
- কার্বন ডাই-অক্সাইড (CO2) গ্যাসকে প্রধান গ্রীন হাউজ গ্যাস বলা হয়।
- এছাড়াও জলীয় বাষ্প (H2O), মিথেন (CH4), নাইট্রাস অক্সাইড (N2O),
ফ্রিয়ন বা ক্লোরোফ্লোরো কার্বন
(CFC) ও ওজোন গ্যাস (O3) গ্রীন হাউজ প্রভাব সৃষ্টি করে থাকে।
- শেষের গ্যাসগুলোর ঘনত্ব বায়ুমণ্ডলে
CO2 গ্যাসের তুলনায় অনেক কম হলেও এদের IR
রশ্মি শোষণ ও বিকিরণ ক্ষমতা CO2 গ্যাসের তুলনায় অনেক বেশি। তাই গ্লোবাল ওয়ার্মিং-এ এদের ভূমিকা উল্লেখযোগ্য।
• গ্রিন হাউজ গ্যাস ⇔ বায়ুতে % পরিমাণ
১। কার্বন ডাই-অক্সাইড
(CO2) গ্যাস ⇔ 49%,
২। মিথেন
(CH4) গ্যাস ⇔ 18%,
৩। নাইট্রাস অক্সাইড (N2O) গ্যাস ⇔
উৎস: রসায়ন দ্বিতীয় পত্র, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি (ড. হাজারী ও নাগ) ও ব্রিটানিকা।

0
Updated: 17 hours ago
জারণ প্রক্রিয়ায় কী ঘটে?
Created: 6 days ago
A
প্রোটনের দান
B
ইলেকট্রনের গ্রহণ
C
নিউট্রনের দান
D
ইলেকট্রনের দান
রসায়নে বিক্রিয়াগুলিকে সাধারণভাবে রেডক্স বিক্রিয়া এবং নন-রেডক্স বিক্রিয়া– এই দুই ভাগে বিভক্ত করা যায়। এদের মূল পার্থক্য হলো ইলেকট্রনের স্থানান্তর ঘটে কি না।
রেডক্স বিক্রিয়া:
-
জারণ-বিজারণ বিক্রিয়ায় ইলেকট্রনের দান ও গ্রহণ ঘটে।
-
এই ধরনের বিক্রিয়াকে রেডক্স (Redox) বিক্রিয়া বলা হয়।
-
শব্দটি গঠিত হয়েছে:
-
Red = Reduction (বিজারণ)
-
Ox = Oxidation (জারণ)
-
-
সুতরাং, Redox অর্থ জারণ-বিজারণ।
-
বিজারণ প্রক্রিয়ায় ইলেকট্রনের গ্রহণ ঘটে।
-
জারণ প্রক্রিয়ায় ইলেকট্রনের দান ঘটে।
-
এসব বিক্রিয়ায় মৌলের জারণ সংখ্যার পরিবর্তন ঘটে।
-
সকল জারণ-বিজারণ বিক্রিয়া ইলেকট্রনের স্থানান্তরের মাধ্যমেই সংঘটিত হয়।
-
ইলেকট্রনের স্থানান্তরের মাধ্যমে সংঘটিত বিক্রিয়ার ধরন:
-
সংযোজন বিক্রিয়া
-
বিয়োজন বিক্রিয়া
-
প্রতিস্থাপন বিক্রিয়া
-
দহন বিক্রিয়া
-
নন-রেডক্স বিক্রিয়া:
-
এ ক্ষেত্রে বিক্রিয়ার সময় মৌলের পরমাণুতে ইলেকট্রনের দান বা গ্রহণ ঘটে না।
-
যখন এক বা একাধিক বিক্রিয়ক উৎপাদে পরিণত হয় কিন্তু তাতে কোনো মৌলের পরমাণুর ইলেকট্রন স্থানান্তর হয় না, তখন তাকে নন-রেডক্স বিক্রিয়া বলে।
-
এর ফলে বিক্রিয়া শেষে কোনো বিক্রিয়ক বা উৎপাদের পরমাণুর জারণ সংখ্যা অপরিবর্তিত থাকে।
-
নন-রেডক্স বিক্রিয়াকে দুটি শ্রেণিতে ভাগ করা যায়:
-
প্রশমন বিক্রিয়া
-
অধঃক্ষেপ বিক্রিয়া
-

0
Updated: 6 days ago
পরমাণুর কেন্দ্রে কোন কণিকাগুলো থাকে?
Created: 6 days ago
A
প্রোটন ও নিউট্রন
B
ইলেকট্রন ও প্রোটন
C
ইলেকট্রন ও নিউট্রন
D
ইলেকট্রন, প্রোটন ও নিউট্রন
মৌলিক কণিকা
যে সূক্ষ্ম কণিকাগুলি দ্বারা পরমাণু গঠিত, তাদেরকে মৌলিক কণিকা বলা হয়। প্রতিটি পরমাণুতে তিনটি মৌলিক কণিকা থাকে:
-
ইলেকট্রন
-
প্রোটন
-
নিউট্রন
পরমাণুর কেন্দ্রে নিউক্লিয়াস থাকে, এবং নিউক্লিয়াসে প্রোটন ও নিউট্রন অবস্থান করে।
ইলেকট্রন:
-
পরমাণুর ক্ষুদ্রতম কণিকা।
-
সকল মৌলের পরমাণুর সাধারণ উপাদান।
-
হাইড্রোজেন পরমাণুর তুলনায় প্রায় ১৮৪০ গুণ হালকা।
-
একক ঋণাত্মক তড়িৎধর্মী কণা।
প্রোটন:
-
সকল মৌলের পরমাণুর একটি সাধারণ মূল কণিকা।
-
পরমাণুর নিউক্লিয়াসে অবস্থান করে।
-
হাইড্রোজেন পরমাণু থেকে একটি ইলেকট্রন অপসারণ করলে যে ধনাত্মক কণা পাওয়া যায়, তাকে প্রোটন বলা হয়।
-
ভর প্রায় হাইড্রোজেন পরমাণুর ভরের সমান।
নিউট্রন:
-
আধানহীন বা চার্জ-নিরপেক্ষ কণা।
-
১৯৩২ সালে বিজ্ঞানী চ্যাডউইক আবিষ্কার করেন।
-
ভর প্রায় প্রোটনের সমান।
-
একমাত্র হাইড্রোজেন পরমাণু ছাড়া সকল পরমাণুর নিউক্লিয়াসে বিদ্যমান।

0
Updated: 6 days ago