মানবদেহে অক্সিজেন পরিবহনের কাজ কোন রক্তকণিকা করে?
A
শ্বেত রক্তকণিকা
B
অণুচক্রিকা
C
লোহিত রক্তকণিকা
D
প্লাজমা
উত্তরের বিবরণ
লোহিত রক্ত কণিকায় হিমোগ্লোবিন নামক প্রোটিন থাকে, যা অক্সিজেনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ ও কোষে অক্সিজেন পৌঁছে দেয় এবং কার্বন-ডাই-অক্সাইডকে ফুসফুসে ফিরিয়ে আনে। তাই অক্সিজেন পরিবহনের মূল কাজ লোহিত রক্ত কণিকা (RBC) করে।
রক্ত (Blood):
-
রক্ত একটি অস্বচ্ছ তরল পদার্থ।
-
লোহিত রক্ত কণিকায় হিমোগ্লোবিন থাকার কারণে রক্তের রং লাল দেখায়।
-
রক্ত হৃদপিণ্ড, শিরা, উপশিরা, ধমনি, শাখা ধমনি ও কৈশিকনালি পথে আবর্তিত হয়।
-
এটি ক্ষারধর্মী এবং লবণাক্ত স্বাদযুক্ত।
-
সাধারণত হাড়ের লাল অস্থিমজ্জা (Bone marrow)-তে রক্ত কণিকার জন্ম হয়।
-
রক্ত মূলত রক্তরস ও রক্ত কণিকার সমন্বয়ে গঠিত।
রক্তের প্রধান কাজ:
-
অক্সিজেন পরিবহন: লোহিত রক্ত কণিকা কোষে অক্সিজেন পৌঁছে দেয়।
-
কার্বন-ডাই-অক্সাইড অপসারণ: নিঃশ্বাসের মাধ্যমে দেহের CO2 বাইরে বের করা।
-
খাদ্যসার পরিবহন: রক্তরস গ্লুকোজ, অ্যামাইনো অ্যাসিড ও চর্বি কণা কোষে সরবরাহ করে।
-
তাপের সমতা রক্ষা: দেহের সর্বত্র তাপের সমতা বজায় রাখে।
-
বর্জ্য পদার্থ নিষ্কাশন: রক্ত দূষিত ও বর্জ্য পদার্থ বহন করে, যা ইউরিয়া, ইউরিক অ্যাসিড ও CO2 হিসেবে নিষ্কাশিত হয়।
-
হরমোন পরিবহন: হরমোন রক্তে মিশে প্রয়োজন অনুযায়ী বিভিন্ন অঙ্গে সঞ্চালিত হয়।
-
রোগ প্রতিরোধ: শ্বেত রক্ত কণিকা ফ্যাগোসাইটোসিস প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জীবাণুর আক্রমণ থেকে দেহকে রক্ষা করে।
-
রক্ত জমাট বাঁধা: অণুচক্রিকা রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে এবং রক্তক্ষরণ বন্ধ করে।
0
Updated: 1 month ago
কোন শাখায় কোষের গঠন ও কার্যাবলি নিয়ে আলোচনা করা হয়?
Created: 1 month ago
A
Entomology
B
Cytology
C
Histology
D
Embryology
জীববিজ্ঞান বিভিন্ন শাখায় বিভক্ত, যেখানে প্রতিটি শাখা জীবের বিশেষ কোনো দিক বা কার্যক্রম নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করে। এই শাখাগুলো জীবদেহ, জীববৈচিত্র্য, পরিবেশ এবং জেনেটিক্স সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়কে অন্তর্ভুক্ত করে।
-
অঙ্গসংস্থান (Morphology): জীবের সার্বিক অঙ্গসংস্থান বা দৈহিক গঠন বর্ণনা করে। দেহের বাহ্যিক গঠনকে বহিঃ অঙ্গসংস্থান (External Morphology) এবং অভ্যন্তরীণ গঠনকে অন্তঃ অঙ্গসংস্থান (Internal Morphology) বলা হয়।
-
শ্রেণিবিন্যাসবিদ্যা (Taxonomy): জীবের শ্রেণিবিন্যাস এবং শ্রেণিবিন্যাস সংক্রান্ত নিয়মাবলি নিয়ে আলোচনা করে।
-
শারীরবিদ্যা (Physiology): জীবদেহের অঙ্গপ্রত্যঙ্গের জৈবরাসায়নিক কার্যাদি যেমন শ্বসন, রেচন, সালোকসংশ্লেষণ ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা করে।
-
হিস্টোলজি (Histology): জীবদেহের টিস্যুসমূহের গঠন, বিন্যাস ও কার্যাবলি অধ্যয়ন করে।
-
ভূণবিদ্যা (Embryology): জনন কোষের উৎপত্তি, নিষিক্ত জাইগোট থেকে ভ্রূণের সৃষ্টি, গঠন ও বিকাশ প্রক্রিয়া আলোচনা করে।
-
কোষবিদ্যা (Cytology): জীবদেহের কোষের গঠন, কার্যাবলি ও বিভাজন সম্পর্কিত বিষয় অধ্যয়ন করে।
-
বংশগতিবিদ্যা (Genetics): জিন ও জীবের বংশগতিধারা নিয়ে আলোচনা করে।
-
বিবর্তনবিদ্যা (Evolution): পৃথিবীতে প্রাণের বিকাশ, জীবের বিবর্তন এবং ক্রমবিকাশের তথ্যসমূহ অধ্যয়ন করে।
-
বাস্তুবিদ্যা (Ecology): প্রাকৃতিক পরিবেশের সাথে জীবের আন্তঃসম্পর্ক এবং পরিবেশগত প্রভাব অধ্যয়ন করে।
-
এন্ডোক্রাইনোলজি (Endocrinology): জীবদেহে হরমোনের কার্যকারিতা এবং হরমোনের প্রভাব নিয়ে আলোচনা করে।
-
কীটতত্ত্ব (Entomology): কীটপতঙ্গের জীবনচক্র, উপকারিতা, অপকারিতা, ক্ষয়ক্ষতি ও নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কিত বিজ্ঞান।
-
অণুজীববিজ্ঞান (Microbiology): ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, আণুবীক্ষণিক ছত্রাক এবং অন্যান্য অণুজীব সম্পর্কিত বিষয় নিয়ে আলোচনা করে।
-
জিনপ্রযুক্তি (Genetic Engineering): জিনপ্রযুক্তি এবং এর ব্যবহার সম্পর্কিত বিষয় অধ্যয়ন করে।
0
Updated: 1 month ago
জারণ প্রক্রিয়ায় কী ঘটে?
Created: 1 month ago
A
প্রোটনের দান
B
ইলেকট্রনের গ্রহণ
C
নিউট্রনের দান
D
ইলেকট্রনের দান
রসায়নে বিক্রিয়াগুলিকে সাধারণভাবে রেডক্স বিক্রিয়া এবং নন-রেডক্স বিক্রিয়া– এই দুই ভাগে বিভক্ত করা যায়। এদের মূল পার্থক্য হলো ইলেকট্রনের স্থানান্তর ঘটে কি না।
রেডক্স বিক্রিয়া:
-
জারণ-বিজারণ বিক্রিয়ায় ইলেকট্রনের দান ও গ্রহণ ঘটে।
-
এই ধরনের বিক্রিয়াকে রেডক্স (Redox) বিক্রিয়া বলা হয়।
-
শব্দটি গঠিত হয়েছে:
-
Red = Reduction (বিজারণ)
-
Ox = Oxidation (জারণ)
-
-
সুতরাং, Redox অর্থ জারণ-বিজারণ।
-
বিজারণ প্রক্রিয়ায় ইলেকট্রনের গ্রহণ ঘটে।
-
জারণ প্রক্রিয়ায় ইলেকট্রনের দান ঘটে।
-
এসব বিক্রিয়ায় মৌলের জারণ সংখ্যার পরিবর্তন ঘটে।
-
সকল জারণ-বিজারণ বিক্রিয়া ইলেকট্রনের স্থানান্তরের মাধ্যমেই সংঘটিত হয়।
-
ইলেকট্রনের স্থানান্তরের মাধ্যমে সংঘটিত বিক্রিয়ার ধরন:
-
সংযোজন বিক্রিয়া
-
বিয়োজন বিক্রিয়া
-
প্রতিস্থাপন বিক্রিয়া
-
দহন বিক্রিয়া
-
নন-রেডক্স বিক্রিয়া:
-
এ ক্ষেত্রে বিক্রিয়ার সময় মৌলের পরমাণুতে ইলেকট্রনের দান বা গ্রহণ ঘটে না।
-
যখন এক বা একাধিক বিক্রিয়ক উৎপাদে পরিণত হয় কিন্তু তাতে কোনো মৌলের পরমাণুর ইলেকট্রন স্থানান্তর হয় না, তখন তাকে নন-রেডক্স বিক্রিয়া বলে।
-
এর ফলে বিক্রিয়া শেষে কোনো বিক্রিয়ক বা উৎপাদের পরমাণুর জারণ সংখ্যা অপরিবর্তিত থাকে।
-
নন-রেডক্স বিক্রিয়াকে দুটি শ্রেণিতে ভাগ করা যায়:
-
প্রশমন বিক্রিয়া
-
অধঃক্ষেপ বিক্রিয়া
-
0
Updated: 1 month ago
সার্কিটে ক্যাপাসিটরের প্রধান ভূমিকা কী?
Created: 1 month ago
A
কারেন্ট বা প্রবাহের গতি কমানো-বাড়ানো
B
বৈদ্যুতিক চার্জ সঞ্চয় করা
C
ভোল্টেজ স্থায়ীভাবে বৃদ্ধি করা
D
তাপ শক্তি উৎপাদন করা
ধারক (Capacitor) হলো একটি ইলেকট্রনিক উপাদান যা বৈদ্যুতিক চার্জ সংরক্ষণ করতে সক্ষম।
ধারক (Capacitor):
-
যে বস্তু আধান ধারণ বা সঞ্চয় করতে পারে, তাকে আধান ধারক বা শুধুমাত্র ধারক বলা হয়।
-
এটি দুটি পরিবাহী প্লেট এবং তাদের মধ্যে থাকা ডাই-ইলেকট্রিক (Non-conductive insulating material) পদার্থ দিয়ে গঠিত।
-
যখন ক্যাপাসিটরের দুই প্লেটে ভোল্টেজ প্রয়োগ করা হয়, তখন এটি চার্জ জমা করে এবং প্রয়োজন অনুযায়ী সেই চার্জ সরবরাহ করতে পারে।
ধরকের কাজ:
-
চার্জ ধরে রাখতে পারে এবং প্রয়োজন অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময়ে মুক্ত করতে পারে।
-
AC প্রবাহকে পার করতে দেয়, কিন্তু DC প্রবাহকে বাধা দেয়।
-
পাওয়ার সার্কিটে ভোল্টেজ স্থিতিশীল রাখতে সাহায্য করে।
0
Updated: 1 month ago